কওমী মাদ্রাসায় কি পড়ানো হয় একটু জেনে নিন
লিখেছেন লিখেছেন এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া ১৮ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:২০:২৫ দুপুর
আমার এক ফ্রেন্ড "আমিন রশীদ ভাই " তার ফেইজবুক ষ্ট্যেটাসে লিখেছেন, যে কওমী মাদ্রাসায় কি পড়ানো হয় এই নিয়ে তাঁর কাছে অনেকে প্রশ্ন করেছেন ,তাই তিনি যে ভাষ্যে লিখেছেন পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল। যদিও আজকাল অনেক প্রগতিশীল বস্তুবাদীরা রঙ্গীন চশমা ব্যবহারের কারণে তাদের দৃষ্টিগোচর হয়নি । ্
অনেকে কাওমী মাদ্রাসাতে কি পড়ানো হয় জানতে চেয়েছেন.
আলহামদুলিল্লাহ আমি এর কিছু অংশ নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি৷
দ্বীনি মাদরাসার তা'লিম সম্পর্কে মানুষের মনের মাঝে নানা বিভ্রান্তি ঘুৃরপাক খায়। দেশের সরকার ও দায়িত্বশীলদের স্বউদ্যোগী হয়ে এসব মাদরাসার সিলেবাস ও শিক্ষাকারিকুলাম সম্পর্কে পরিষ্কার মন নিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান চালানো উচিত। অতঃপর দেশ পরিচালনায় এদেরকেও শরীক করা উচিত। এগুলো আমাদের দাবি। আমি দৃঢ় কণ্ঠে বলতে পারি দেশের সাধারণ শিক্ষানীতি একেবারেই অসম্পূর্ণ। যেমন, এই শিক্ষানীতিতে পরকাল সম্পর্কে একটি কথাও নেই। তাহলে মানব জীবনের প্রধান অংশই বাদ পড়ে গেল। অতএব এ শিক্ষানীতি অর্ধেক শিক্ষানীতি। নারীদের প্রতিমাসে দশদিন ঋতুস্রাব হয়। অর্থাৎ বছরে ১২০ দিন ঋতস্রাব হয়। এ ব্যাপারে সাধারণ শিক্ষানীতিতে একটি শব্দও লেখা নেই। তাদেরকে জানাতে চাই যে, আমাদের ছাত্রদের কাছে এসব বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান আছে। তোমরা দেখাও, তোমাদের কোন বিষয়টা আমাদের শিক্ষানীতিতে নেই। যদি বিজ্ঞানের কথা বলো, এটাও আমরা পড়ি। আমাদের ছাত্ররা মেট্রিক সমমান পর্যন্ত বাংলা পড়ে। সাহিত্যিক তৈরি হয়। বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নির্ভরযোগ্য যত ইসলামী বই আছে তার ৯০% কওমী মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের হাতে লেখা।
আজ কওমী মাদরাসার ছেলেরা ইসলাম ও বিজ্ঞান
সম্পর্কে অহরহ বই লিখে যাচ্ছে। তোমরা তোমাদের ইউনিভার্সিটিতে বিজ্ঞান সম্পর্কে যে বইটা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে পড়াও তা হচ্ছে আমাদের দেওবন্দের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী রহ. এর লিখিত, যা তোমরা ইংরেজীতে অনুবাদ করে পড়াও।
ইউনিভার্সিটিগুলোতে অর্থনীতি সম্পর্কে সবচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে যে বইটি পড়ানো হয়, তা হচ্ছে ইমাম আবু ইউসুফ রহ.-এর লিখিত কিতাবের ইংরেজী অনুবাদ। তোমাদের ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি ও আইন-কানুন সম্পর্কে যা পড়ানো হয়, তা আমাদের হেদায়া কিতাবে রয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই ইহুদী
খৃষ্টানসহ সবাই তা ইংরেজীতে অনুবাদ করে
পড়ছে। তোমরা যা পড়ছ তা সবই আমাদের কওমী
মাদরাসার পাঠ্য কিতাব।
ক্বওমী মাদরাসাগুলো অন্তহীনভাবে জাতির যা
খেদমত করে যাচ্ছে তার প্রচার করে আরো ভাল
ভাবে বিশ্ববাসিকে জানিয়ে দেওয়া দরকার।
লন্ডনের বিশ্ববিখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের
মত প্রতিষ্ঠানে এই কাওমী মাদরাসা নিয়ে পিএইচডি করেছেন আমাদের চট্টগ্রামের অহঙকার হাটহাজারি ও পটিয়া আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত ছাত্র চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের লেকচারার মাওলানা মাহমুদুল হাসান আল- আযহারি সাহেব।
অতএব ক্বওমি মাদরাসাসমুহ কে হেলা করার সময় এখন আর নেয়।
https://www.facebook.com/amin.rashid.98031?fref=nf
বিষয়: বিবিধ
৪৮৫৭ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
#জর্জ কার্জন, the British secretary of state for foreign affair (1911-1921) তিনি বলেছিলেন, we must put an end to anything which brings about any Islamic unity between the sons of the Muslims. As we have already succeeded in finishing off the Khilafah, so we must ensure that there will never arise again unity for the Muslims, whether it be intellectual or cultural unity
তারা তাদের কাজে সফল হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সুরক্ষার জন্য তারা সৌদ পরিবারকে দিয়ে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের সুরক্ষার জন্য। ফিলিস্তিনের মাটি দখল করে প্রতিষ্ঠা করা হয় ইজরাইল।তবে উপমহাদেশে তাদেরকে বেশ নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছিল। গোটা উপমহাদেশে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ-যুদ্ধ, অসহযোগ ইত্যাদি নানান কার্যক্রমগুলো পরিচালিত হচ্ছিল যার নেতৃত্বে ছিলেন কওমী ভিত্তিক আলেমগণ। সাধারণ মুসলিমদের পরিপূর্ণ সমর্থন ও সহযোগীতা ছিল তাদের পক্ষে। হাজি শরীয়তউল্লাহ, তিতুমীর,সৈয়দ আহমদ বেরলভীরা ছিলেন এমন পর্যায়ের আলেম। ফলে বৃটিশদের পক্ষে তা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে ওঠে। ব্রিটিশরা চেয়েছিল কওমী আলেমদের এই নেতৃত্বের শক্তি ধ্বংশ করে দিতে।
ব্রিটিশ লেখক পি হার্ডির ভাষায়, ব্রিটিশদের প্ল্যান ছিল "এমন প্রত্যেক কওমী আলেম যিনি বলেন, ভারত দারুল হরব বা শত্রুকবলিত রাষ্ঠ্র, তার জবাবে আরো একজন আলেম থাকা অপরিহার্য যিনি বলবেন নাহ! ভারত হল দারুল ইসলাম।
তাতাই বৃটিশরা তাদের শিক্ষাব্যাবস্হা প্রণয়ণ করে এবং কওমীকে টেক্কা দেয়ার জন্য গড়ে তোলে আলিয়া মাদ্রাসা। সাধারণ শিক্ষাব্যাবস্হার কাজ ছিল মডারেট মুসলিম তৈরী করা এবং আলিয়ার কাজ ছিল মডারেট আলেম তৈরী করা। যারা ধর্মে, কালচারে, শরীরের রঙ্গে ভিন্ন হলেও চিন্তাচেতনায় হয়ে উঠবে বৃটিশ। যারা তাদের পক্ষে কাজ করে মুসলিমদের একতা ভেঙ্গে দিবে, চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন নিয়ে আসবে ফলে নেতৃত্ব কওমীদের বদলে চলে আসবে এসব মডারেট মুসলিম ও মডারেট আলেমদের হাতে, গোড়া-মৌলবাদীরা বা কওমীরা হবে দূর্বল-উপেক্ষিত। আলিয়া মাদ্রাসা ও সাধারণ শিক্ষাব্যাবস্হা তৈরী করে তারা সত্যিই কওমী আলেমদের নেতৃত্বকে ভেঙ্গে দিয়েছে। ব্রিটিশ ও পশ্চিমারা চেয়েছিল মুসলিমদের আরো বিভক্ত করতে। মডারেট মুসলিমদের দিয়ে সেকুলার রাজনৈতিক দল ও মডারেট আলেমদের দিয়ে মডারেট বা গণতান্ত্রিক ইসলামী দল বানিয়ে তারা মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি নিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। সেকুলাররা যেমন ইসলামের বিপক্ষে কাজ করছে অন্যদিক গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো উম্মাহকে খেলাফত ব্যাবস্হা সম্পর্কে না জানিয়ে তাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য উৎসাহিত করছে। অর্থাৎ তারাও মূল ইসলাম থেকে মানুষকে দূরে রাখতেই কাজ করছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মত যেহেতু তাদের দখলে ফলে কওমী আলেমদের মানুষ অগ্রাহ্য করছে।
কিন্তু আপনি যদি আর একটু কষ্ট করে চিন্তা করতে পারেন কিংবা খুঁজে পান 'কি এমন কারন ছিল - মুদির দোকানদার বৃটিশ রা - বিচ্ছিন্ন একটা বিবিধ জাতিগোষ্ঠির দ্বীপ রাষ্ট্র হতে সারা পৃথিবীতে পূর্ব হতে পশ্চিমে, উত্তর হতে দক্ষিনে তাদের শাসন ও শোষন, তাদের ইনফ্লুয়েন্স স্টাবলিশ করতে পেরেছিল - যখন ভারতীয়, রাশিয়ার জার, চায়না ও অস্ট্রো হাংগেরিয়ান এমনকি অটোমান সাম্রাজ্য অর্থনীতি, বিজ্ঞান, রাষ্ট্রকাঠামো, সামরিক এই সকল বিষয়ে ঐ দ্বীপরাষ্ট্র হতে অনেক বড় ও শক্তিশালী ছিল ইন অল সেন্স এ?
যদি এর উত্তর বের করতে পারেন - নিশ্চয়ই আপনি একজন ব্রিলিয়ান্ট স্মার্ট জিওপলিটিক্যাল বিশ্লেষক হতে পারবেন - ইনশাল্লাহ্।
ভাল থাকুন সব সময়।
http://www.monitorbd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/64167#.VTJAYNjfSTo
আর কোরানিক ব্যাখ্যাটা হল:
যদি তোমাদেরকে কোন আঘাত স্পর্শ করে থাকে তবে তার অনুরূপ আঘাত উক্ত সম্প্রদায়কেও স্পর্শ করেছে। আর এইসব দিন আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন করি এবং যাতে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে জেনে নেন এবং তোমাদের মধ্য থেকে কিছু লোককে শহীদরূপে গ্রহণ করেন। আর আল্লাহ যালিমদেরকে ভালবাসেন না।(সুরা আল ইমরান, আয়াত: ১৩৯ ও ১৪০)
আমরা পৃথিবীর ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই কোন উন্নত, শক্তিশালী সভ্যতাই সুদীর্ঘকাল টিকে থাকতে পারেনি। ধ্বংশ হয়ে গিয়েছে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে। হয়ত প্রাকৃতিক দূর্যোগে বা বহিঃশত্রুর আক্রমণে। একটি শক্তিশালী জাতিগোষ্ঠীর ধ্বংশের পর অন্য একটি জাতির উদ্ভব হয়েছে এবং তাদের দাপট দেখে, শক্তিমত্তা দেখে মনে হয়েছে যে, তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করার কেই নেই তারা অক্ষয় কিন্তু তারাও টিকেনি। কোরানেও ব্যাপারটি বলা হয়েছে, তোমরা স্মরণ কর সেই বিষয়টি যখন তিনি আদ জাতির পর তোমাদেরেকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন আর তিনি তোমাদেরকে পৃথিবীতে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে তোমরা সমতল ভূমিতে প্রাসাদ ও পাহাড় কেটে আবাস গৃহ নির্মাণ করেছো...” (সূরা আরাফ, আয়াত- ৭৪)।
একেরপর এক উন্নত সভ্যতার জন্ম হয়েছে কিন্তু কেউ টিকেনি।
"শ্রেষ্ঠ কি উহারা, নাকি তুব্বা সম্প্রদায় ও উহাদের পূর্ববর্তীরা? আমি উহাদিগকে ধ্বংশ করিয়াছিলাম, অবশ্যই উহারা ছিল জালিম(দুখান -৪৪: আয়াত ৩৭,অধ্যায়:২৫)"
এখানে কোন সভ্যতাই চীরস্হায়ী ভাবে জেঁকে বসতে পারেনি। একবার তারা অন্যান্যদের শাসন করেছে তো কিছুদিন পরে তারাই আবার অন্যের দ্বারা শাসিত-শোষিত হয়েছে। এটা পৃথিবীর স্ট্রাকচার বা ভাগ্যলিপি। গ্রীকরা কর্তৃত্ব স্হাপন করেছে আবার কখনো রোমানরা। মুসলিমরা হাজার বছরের বেশি পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করেছে। ইহুদি-খৃষ্টানরা মুসলিম ভূমিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করার শর্তে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করত। মধ্যযুগে জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাও ছিল মুসলিমদের হাতে। পশ্চিমাদের কাছে মধ্যযুগ ছিল "অন্ধকার যুগ" কারণ তারা ছিল অন্ধকারে নিমজ্জিত। জ্ঞান-বিজ্ঞান থেকে অনেক দূরে, কূসংষ্কারাচ্ছন্ন এক সম্প্রদায়। আবার সেই ক্রুশেডাররাই মুসলিম ভূমিগুলো দখল ও গণহত্যার মাত্রা দেখে মনে হচ্ছিল মুসলিম বুঝি শেষ। শুধু ফিলিস্তিনেই তারা ৭০,০০০ মুসলিমকে হত্যা করেছিল অন্যান্য জায়গার কথা বাদই দিলাম। কিন্তু তা কতদিন স্হায়ী হয়েছে? সালাহউদ্দিন আইয়ুবী (রঃ)আবারো ইতিহাস পাল্টে দিয়েছেন। মুসলিম ভূখন্ডগুলি মুক্ত হয়েছিল কিন্তু আবার সেই বর্বর অশিক্ষিত তাতারীরা সমৃদ্ধ মুসলিমদের কচুকাটা করে যাচ্ছিল। আবারো মনে হচ্ছিল মুসলিম শেষ কিন্তু সেই তাতারীদের হাতেই আবার ওসমানী খেলাফতের প্রতিষ্ঠা হ. একদিন ইহুদিরা খৃষ্টানদের হাতে কচুকাটা হয়েছে, হিটলার তাদের প্রায় শেষ করেই দিয়েছিল যখন মুসলিমরা তাদের রক্ষা করেছে কিন্তু আজ সেই পরাক্রমশালী হিটলার আর তার নাজি বাহিনীর অস্তিত্বটুকুও নেই। আবার আজ পৃথিবী ইহুদীদের নিয়ন্ত্রণে। মুসলিমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তাদের দ্বারা। হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের সক্ষমতা দেখে মনে হচ্ছে তারা চীরস্হায়ী কিন্তু তারা কি চীরস্হায়ী হবে? খৃঃপূঃ ১৫০০-২০০০ বছর আগে ভারতে দ্রাবিড়দের সভ্যতা ধ্বংশ করে আর্যরা ভারত দখল করেছিল অথচ আর্যরা ছিল বর্বর, অসভ্য,যাযাবর জাতি তাদের সংস্কৃতি ছিল নিম্নমানের। অথচ দ্রাবিড়রা জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নত, সভ্য। সে সময়ের পেক্ষাপটে আর্যরা ছিল পরাক্রমশালী কিন্তু পরে তারাও ইসলাম আগমণের পর হাজার বছর মুসলিমদের শাসনে থাকতে বাধ্য হয়েছে। আজ তারা আবার মুসলিমদের উপর নিয়ন্ত্রণ চালাচ্ছে। কিন্তু হাদিস বলে মুসলিমরা ভারতে মুশরিকদের দ্বারা ভয়াবহ গণহত্যার শিকার হবে মনে হবে তাদের অস্তিত্বই টিকবে না কিন্তু মুশরিকদের আবারো পতন হবে এবং ভারত শাসন করবে মুসলিমরা।ইহুদি সভ্যতাও খুব তাড়াতাড়ি ধ্বসে পরবে তারাও মুসলিমদের দ্বারাই কচুকাটা হবে।
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত।রাসুল (সঃ) বলেছেন, কিয়ামত সংগঠিত হবেনা ততক্ষন পর্যন্ত, যতক্ষন না মুসলমানরা ইহুদীদের সাথে যুদ্ধ করবে, তারা (মুসলমানরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে, ইহুদীরা পাথর খন্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে, তখন পাথর ও গাছগুলো বলবে; হে মুসলমান! এই যে ইহুদী আমার পিছনে!! এসো,তাকে হত্যা কর [সহীহ মুসলিম, অধ্যায় ৪১, হাদিস সংখ্যা:৬৯৮৫)
আর তোমরা দুর্বল হয়ো না এবং দুঃখিত হয়ো না, আর তোমরাই বিজয়ী যদি মুমিন হয়ে থাক।( আল ইমরান:১৩৯)
হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “নবুওয়াত ব্যবস্থা তোমাদের মাঝে ততদিন থাকবে, যতদিন আল্লাহ তাআলা মঞ্জুর করেন। অতঃপর যখন ইচ্ছা, তখন তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাতের পর) তোমাদের মাঝেনবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত ব্যবস্থা কায়েম হবে এবং তা আল্লাহ তাআলা যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (খুলাফায়ে রাশিদিন এর যুগ)। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নিবেন। তারপর হানাহানির রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তা আল্লাহ তাআলার যতদিন ইচ্ছা ততদিন থাকবে (রাজতন্ত্র)। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় তার বিলুপ্তি ঘটবে। তারপর জবর দখল তথা আধিপত্য বিস্তারের রাজত্ব কায়েম হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় দুনিয়াতে কিছুকাল বিরাজমান থাকবে (নানা ভূখণ্ডে বর্তমান একনায়কতন্ত্র ও রকমারি বাদ ও তন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বৈর শাসকগণ) । তারপর যখন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন, তখন এরও অবসান ঘটবে। অতঃপর নবুওয়াতের পদ্ধতিতে খেলাফত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা কায়েম হবে। এ বলে রাসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম চুপ রইলেন”। (মুসনাদে আহমদঃ ৪/২৭৩)
কোরানেও ব্যাপারটা বলা হয়েছে সুরা নুরের ৫৫ নাম্বার আয়াতে।
কাজেই এসব আল্লাহর পক্ষ থেকেই হয় যা পূর্ব নির্ধারিত শুধু এটুকুই বুঝি। সব নিয়ন্ত্রণ আল্লাহর হাতেই। কাজেই যা ঘটার তা ঘটবে আমাদেরকে শুধু হাদিসে এসকল যুগে কি করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে? সেটা বের করে চলতে হবে আমি এটাই সহজভাবে বুঝি।
সিম্পলী দেখুন ব্যাংকারদের - মাত্র লাখ টাকা বেতনের জন্য আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের বিরুদ্ধে সকাল ৭ঃ৩০ হতে সন্ধ্যা ৭ঃ০০ পয্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করে যাচ্ছে - অথচ নিজেদের মুসলমান বলছে।
গার্মেন্টস এর শ্রমিক ও কর্মচারীদের দেখুন সপ্তাহে ৬ দিন ১২ ঘন্টার বেশী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বেনিয়াদের জন্য পোষাক বানাচ্ছে এবং সে জন্য পারিশ্রমিক হিসাবে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪% ভাতা পাচ্ছে বাকি সাড়ে ৯৫% বেনিয়ারা খেয়ে ফেলছে - অথচ নিজের স্বামী সংসার ও বাচ্চা কাচ্চারা ইতরামী পাতরামী ও রংবাজ হচ্ছে। খবর নেই ওনারা দেশের জন্য বলদ ও বলদান হয়ে দেশের মধ্যে লিটারেলী বাস্টার্ড, পরকীয়া, ও ষন্ডাপান্ডার জন্ম দিয়ে দেশকে বোঝা মুক্ত করে চলেছে।
আর সুশীল সমাজের মত গাধাঁ দের দিকে দেখুন - যারা না পারছে পাপাচার, ব্যাভিচার, দূর্নীতি নিয়ে কথা বলতে না পারছে ভূয়া আমেরিকান ডলার এর বিনিময়ে কিভাবে দেশ ও দেশের মানুষ শোষন হচ্ছে - তা নিয়ে কথা বলতে, কিভাবে দেশ ও জাতি এ্যাবসুলুট দাশ এ পরিনত হয়েছে - তা নিয়ে কথা বলতে। যাদের না আছে মাথা না আছে সাহস - তাহলে ঐ সব গর্দভদের কে ফয়দা দেওয়া ঐ ভার্সিটিগুলো - কোন কাজে আসছে?
আমার মনে হয় - কাওমী মাদ্রাসাগুলো দেশের জন্য পারফেক্ট কিছু ছেলে মেয়ে বের করতে না পারলে ও - দেশ ও জাতির জন্য কোন রকমের বোঝা বের করছে না। এ্যাটলিস্ট তারা ওয়েস্টার্ন শোষক দের স্লেইভ তৈরী করছে না - যা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তৈরী করছে।
আমার বিশ্বাস আপনি আপনার দৃষ্টিভংগী বদলাবার জন্য ফ্যাক্টস ও ফিগারস ঘাটাঘাটি করার মত সময় পাবেন - নয়তো যা বলবেন লিটারেলী তোঁতা পাখির মত কথা হয়ে যাবে। ধন্যবাদ।
বইটার নাম কি ভাই ?
দ্বীন ও ধর্মের প্রচার প্রসারেই ক্বাওমী মাদ্রাসার উৎপত্তি! এখানে এ বিষয়ে প্রাধন্য দেয়া হবে এটাই সাভাবিক নয় কী?
কিছু বেহুদা লোক অযথাই বিতর্ক সৃষ্টি করছে!
আসুক। আংশিক কাজ ইসলাম না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন