বেলের কাঁটা-৩ (রাস্তায় নির্যাতিত মেয়ে)
লিখেছেন লিখেছেন চোরাবালি ০৭ জুন, ২০১৪, ০৯:১২:৫৭ সকাল
জামাল ভাইয়ের ব্লগ সুবাদে (সিটিজি৪বিডি)
প্রতিনিয়ত যাত্রাপথে মেয়েদের যেমন হয়রানি শিকার হতে হয় সেটি কোন সুষ্ঠু বিবেকবান মানুষের কাছে কখনই গ্রহণ যোগ্য নয়। এসব কাজ কিন্তু করে থাকে ছোট বড় সকল বয়সী লোকেরা যেকিনা যৌবিক উত্তেজনায় উত্তেজিত হয়ে পরে মেয়ে দেখা মাত্রই। আমাদের সমস্য হল এই ব্যপারটা নিয়ে একশ্রেণী বলে দৃষ্টি সংযত রাখো; আরেক শ্রেণী বলে চাহিদাপূরনের স্বল্পতার কারনেই এসব করে থাকে। ইউরোপ আমেরিকার মত সব বাঁধা খুলে দিলে কিন্তু এসব থাকত না। হ্যাঁ, আমি এই পক্ষে; সববাঁধা খুলে দিলে নষ্টের সর্বশেষ পর্যায়ে পৌঁছালে আবার তখন মানুষ গোছাতে শুরু করে।
এই সকল কর্মজীবি মহিলাদের কিন্তু অধিকাংশই আর্থিক সংকটে নয় প্রতিপত্তি সংকটে। যাদের প্রয়োজন বাড়ী গাড়ী অঢেল অর্থ সম্পদ দেখতে তারা ভালবাসে। আর এই ভালবাসাবাদীদের জন্যই আমাদের দেশে বেকারত্বের অধিকতা এবং নারীকে নামতে হচ্ছেও কাজে কোন কোন পরিবারে। আমার এক সহকর্মী স্বামী স্ত্রী উভয়ই চাকুরী করে তাদের আর্থিক দৈনতায় নয় যদিও তারা সবার কাছে বলে বেড়ায় মেয়েদের পড়া লেখা করাতে পারি না বলেই চাকুরী করে। অথচ তাদের উত্তরাতেই নিজস্ব দুটি ফ্লাট। মেয়ে দুটি পড়ে মাইলস্টোনে। আমি যেখানে ভাড়া থাকি সেখানে স্বামী চাকুরী ইসপাহানি স্কুল এন্ড কলেজে বউ পরিবেশ অধিদপ্তরে। আমার পরিচিত একপরিবার আছে যেখানে তারা ৫টি ভাই সকলে চাকুরী করে এবং ৫টি বউও চাকুরী করে; চাকুরী করে তাদের একমাত্র বোন ও বোনের স্বামী এবং বাবা মা। এরকম হাজারো চাকুরে আছে যারা আর্থিক প্রতিপত্তির জন্যই ঘর থেকে বের হয়।
প্রসঙ্গ অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। আসলে আমাদের বের করতে হবে প্রথমে কেন তারা ঘর থেকে বের হচ্ছে; একজনার ভাষায় তারা কাজ করছে আর অধিকাংশেষর ভাষায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। সবাই চায় কষ্টহীন সুখের জীবন কাটাতে। আর নারীর ব্যপক কর্মক্ষেত্রায়নের ফলে ছেলে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে নারীর সেই সুখের জীবনে আর নারীরা নেমে আসছে রাস্তায় কাজের খোজে।
গর্মেন্টেস ট্রেডে দেখা যায় বিরাট একটা শ্রেণী যাদের স্বামীরা কাজ না করে ঘরে বসে বিড়ি সিগারেট খেয়ে জীবনযাপন করে আর বউয়েরা কাজ করে এনে স্বামীদেরকে খাওয়ায় এবং যে বউকে কিন্তু পেটায়ও। এদৃশ্যপট যে শুধু দেশে তা কিন্তু নয় নারী স্বাধীন দেশগুলোতেও। এর কারণ যে দেশে নারী যত বেশী সস্তা সেদেশে পুরুষেরা তত বেশী উগ্র আর নারী বদলায় আর নারীরাও আসে কেননা জৈবিক চাহিদা আছে নারী পুরুষ সকলেরই। আর নারী কিন্তু সস্তা নারী পরাধিন দেশ গুলোতে নয় বরং নারী স্বাধীন দেশগুলোতে।
আর যেখানে নারী সস্তা বা সহজে বিয়ে ছাড়া জৈবিক চাহিদা মেটানো সম্ভব সেখানে নারীর মূল্যয়ন কখনই সম্ভব নয়; কারণ হাত বাড়ালেই গোটা দশেক তো আর বিয়ে করে ভোরন পোষনের দায় দায়িত্ব কে নিতে চায়? আর আমাদের দেশেও এখন বেশ নারী সস্তা হয়ে যাচ্ছে আর নারীকে রাস্তায় নামতে হচ্ছে পেটের দায়ে কেননা সহজেই মিলে ব্যাভিচারের সুযোগ।
ফলে বাড়ছে অবিবাহিত মেয়ের সংখ্যা; রাস্তায়ও বের হতে হচ্ছে তাদের সংসারের হাল ধরতে অথবা নিজের আহারের খোজে।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৬ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরেকটু দারুণ বিষয় তুলে ধরেছেনঃ
গর্মেন্টেস ট্রেডে দেখা যায় বিরাট একটা শ্রেণী যাদের স্বামীরা কাজ না করে ঘরে বসে বিড়ি সিগারেট খেয়ে জীবনযাপন করে আর বউয়েরা কাজ করে এনে স্বামীদেরকে খাওয়ায় এবং যে বউকে কিন্তু পেটায়ও।
আপনার লেখায় ভারসাম্য আছে। নারীবিদ্বেষী এখন আর কেউ বলতে পারবেনা।
https://www.facebook.com/notes/rehnuma-bint-anis/এরাই-যদি-হয়-ইসলামের-ভবিষ্যত-তাহলে-পৃথিবী-ধ্বংস-হয়ে-যাওয়াই-ভাল/10152261683109495?comment
এখনও বাংলাদেশের ম্যাক্সিমাম চাকুরিজীবী ছেলেরা । তাই মেয়েদের চেয়ে তাদেরই বাসে বেশী ঠাসাঠাসি করে যেতে হয় ।
মেয়েদের জন্য তো আলাদা সিটের বরাদ্দ আছে আর আছে তাদেরকে মা-বোন জ্ঞান করা পুরুষও ( যদিও তারা এদেরকে ছেলে-ভাই কোন কালেও মনে করে না )। ছেলেদের জন্য তো এসব কিছুই নেই ।
একসাথে গাদাগাদি করে যেতে ধাক্কা লাগবেই । আর কোন মহিলা যদি বাসে/ট্রেনে দাড়িয়ে যায় তাহলে সে নিজেরটাসহ মোট পাঁচ জনের দাড়িয়ে থাকার জায়গা দখল করে ।
ফলে তার আশে পাশের পুরুষ যাত্রীদের অনেকটা রয়ে সয়ে দাঁড়াতে হয় । একটু টাচ লাগলেই তারা মনে করে যে এসব পুরুষ তাকে যৌন সুড়সুড়ি দিতেই এটা করেছে ।
আমারই দেখা ঘটনা , গত সপ্তাহে ট্রেনে চড়তে হয়েছে -
কমলাপুর হতে যে সব ট্রেন ছেড়ে যায় স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা যারা দৌড়ে এসে ট্রেন ধরে তারা সাধারনত শেষে বগিটাকেই টার্গেট করে ।
মাঝে মাঝে ট্রেন ছাড়ার পর একটু ব্রেকও করে । ঠিক এরকমই একটা সময়ে গেটের একযাত্রী গতি জড়তার কারনে এক মহিলা যাত্রীর সাথে ধাক্কা লাগে এবং তাল হারিয়ে সেই মহিলা যাত্রীর পা এসে লাগে আমার পায়ে । আমি ব্যাপারটাকে সহজ ভাবেই নিয়েছিলাম । কিন্তু মহিলাটি ছেলেটাকে বকা ঝকা শুরু করলেন । সাথে ছেলেটিও । কিন্তু ট্রেনের সবাই মহিলাটির পক্ষে কথা বলতে লাগলো ।
এটা আমাদের দেশে কেন সারা বিশ্বেই খুব হয় । মহিলারা কোন অভিযোগ করে নাঁকি সুরে কান্না শুরু দিলে সবাই ধরে নেয় যে মহিলাটি সত্যই বলছে । রিসার্সেও এই রকমই ফল পাওয়া গেছে ।
বাসে/ট্রেনে মহিলাদের এই সাফারিংস দূর করতে মহিলা বাস ও ট্রেনের বিকল্প নেই । কিন্তু গত ২ যুগ ধরে নারীবান্ধব সরকার থাকার পরেও নারীরা পারে নি তাদের এই সাফারিংস দূর করাতে । পারে নাই তাদেরই স্বগোত্রিয় দের কাছে দাবীগুলো আদায় করে নিতে । পারবেই বা কিভাবে ? তাদের দাবী তো সবসময়ে ছেলেদের কাছেই । মেয়েদের কাছে কি মেয়েরা কখনও দাবী করে ?
বাসে কোন খালি ছিট নেই এবং বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে । এই সময়ে একজন মায়ের বয়সী মহিলা উঠলেন । কে এগিয়ে আসে সেই মহিলাকে নিজের সিট ছেড়ে দিতে ? নিশ্চয়ই কোন মহিলা যাত্রী ?
আর আপনি এত সব জটিল বিষয় নিয়ে ব্ল তেন না কেন?
মাস্টার্স পাস করে উনি চাকরি করবে না!
তাহলে মাস্টার্স পাসের কি দরকার ছিল!....
এখানেই সমস্যা। উচ্চ শিক্ষিত হলেই কি চাকরি করতে হবে?
ভাইরে....ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর চ্রম ডেলিভারী দিলেন...
কিন্তু আমাদের উচ্চ শিক্ষিতা আপুদের আপনি বুঝাতে পারবেন কি না ! সন্দেহ!
মন্তব্য করতে লগইন করুন