একই সাথে দুই বিষয়ে আন্দোলন করতে হবে।
লিখেছেন লিখেছেন শাজিদ ২২ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:২৯:০৭ সন্ধ্যা
আসলে আগামী নির্বাচন হবে কি হবে না তাহা নিয়ে অনেক কথা আছে। নির্বাচন হলে তাহা কিভাবে কার অধীনে হবে বা হতে হবে এই নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে এখনও চুড়ান্ত সিদ্দান্তে আসে নাই কোনো পক্ষ। আর নির্বাচন না হলে দেশের অবস্থা কেমন হবে, রাজনীতির কি হবে কিংবা রাষ্ট্র ক্ষমতায় কে বা কারা থাকবে এই বিষয়ে শুধু অস্থিরতার ভয় আঁতঙ্ক দেখানো হচ্ছে।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করলে প্রধানতঃ উন্নয়ন কর্মকান্ড স্তবীর হয়ে যায়, ব্যবসা বানিজ্যের বারটা বাজে, জনগন আঁতঙ্কে থাকে, রাজনীতিকেরা পয় পরিবারে মোটামুটি নিরাপদ থাকিলেও তাদের কর্মীরা গনহারে প্রাণ দিতে হয়। বহিঃবিশ্বের ওকালতী বুদ্ধি পায়, তৃতীয় শুবিধাবাদী শক্তির উদ্ভব হয় এবং গ্রামগঞ্জেও মারামরি খুনা খুনির অরাজতা ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাত দেশ ও জাতী একধাপ এগিয়ে যাওয়ার স্থলে ১০ ধাপ পিছিয়ে যায়।
আগত নির্বাচন বিষয়ে গ্রহনযোগ্য সিদ্দান্তে আসতে হবে সরকার থেকেই, অন্যন্যরা সরকারকে এই ব্যপারে সহযোগীতা করতে পারে মাত্র। এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সরকার কি চায়! গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন চায়? নাকি যেই কোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকতে চায়।
বিশ্লেষকেরা ভাবছেন, সরকার গ্রহনযোগ্য নির্বাচন করলে কি হবে বা হতে পারে এবং নির্বাচন না হলে বা না করলে পরিস্থিতি কত ভয়াবহ হবে। বিশ্লেষকেরা কখনও বলছেন না যে, সরকার কেন নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেনা বা নির্বাচন করতে চাচ্ছে না তাদের লক্ষ্য উদ্দিশ্য কি বা কি হতে পারে, অপর দিকে বিরোধী পক্ষও সরকারের এহেন আচরনে আতঙ্কিত কেন বা তারা কি প্রস্তুতি নিচ্ছে।
-----------------
যারা বিশ্লেষক জাতীর জ্ঞান ভান্ডার বলে পরিচিত তারা আসলে সবই বুঝেন কিন্ত বলেন না আর যতটুকু বলেন তাহাও বিচ্ছিন্ন অপরি পূর্ণ ভাবেই বলেন যার ফলে জনগন বিভ্রান্ত হয় বেশী আর এর ফায়দা লুটে দলীয়, গৃহপালিত বুদ্ধিজীবীরা।
আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের যেই গড়িমিশি দেখা যাচ্ছে একেক নেতা একেক ধরণের আবুল তাবুল বকছেন সেই থেকে আগামীতে কি হতে পারে তাহা বুঝার আগে বুঝতে হবে সরকার বা সরকারী দল এমনটি করছে কেন।
সকলেই জানে আওয়ামী লীগ একটি গনতান্ত্রিক ও নির্বাচন মূখী রাজনৈতিক দল। আগামীতে যদি গ্রহনযোগ্য নির্বাচন না হয় তাহলে এর দায় দায়ীত্ব একমাত্র সরকারের উপরই বার্তাবে এবং জনগনের কাছে প্রতিষ্টিত হবে যে গনতান্ত্রিক ও নির্বাচন মূখী রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচিত আওয়ামী লীগ আপামর জনগন তো বটেই এমনকি নিজেদের নেতা কর্মীদের সাথেও ভাওতাবাজী প্রতারনা করেছে গনতন্ত্রের নামে।
আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পড়া সাবেক কিছু সংখ্যক দ্বীতিয় এবং তৃতীয় ও চতুর্থ সারির নেতাদের প্রকাশ্য বক্তব্যে অভীযোগ, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং তাদের কলমের কালি থেকে যাহা স্পষ্ট তাহা হচ্ছে তাদের প্রিয় আওয়ামী লীগ হাইজাক হয়ে গেছে। এখন আওয়ামী লীগ হাইজাকারের গৃহ পালিত দল ছাড়া আর কিছুই নয়।
উনাদের কখা যদি আংশিক সত্যও হয় তাহলে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সর্বজন গ্রহনযোগ্য আগামী নির্বাচন না হাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। উনাদের কথা, কলম থেকে এটিও স্পষ্ট যে, দলে যারা আছেন তারা হাইজাকারের দিক নির্দেশনার বাহিরে কদম দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। সূতরাং উনাদের ভাষ্য মতে এখন যাহা দৃশ্যমান তাহা হচ্ছে গ্রহন যোগ্য নির্বাচন দিয়ে দেশ ও গনতন্ত্র বাঁচাও আন্দোলনের পাশাপাশি হাইজাক হয়ে যাওয়া দেশের বুহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বাঁচাও আন্দোলনও করেতে হবে।
হাইজকারেরা জন বিচ্ছিন্ন দল, নির্বাচন করে জামানত বায়যাপ্ত ছাড়া কোনো ফল তাদের থলিতে আসে নাই। তারাও নিশ্চ্যিত যে কেয়ামত পর্যন্ত রাজনীতি করে বাংলার মাটিতে তারা কখনও ক্ষমতশীন হতে পারবেন না। সূতরাং যারা ঘুরে ফিরে ক্ষমতায় যায় তাদের কাউকে যদি হাইজাক করা সম্ভব হয় তাহলে সেই নামে হলেও ক্ষমতায় আসা সম্ভব।
ফখরুদ্দীন মইসউদ্ধীনের যাযাবর সরকারের পরিকল্পিত নির্বাচনের মাধ্যমে হাইজাকারেরা সফল্য অর্জন করেছে। এখন সাখাওয়ত সাহেবেরা যাহাই বলুক না কেন মূলত সেই সমযে তারাই ছিলেন হাইজাকারের হাতিয়ার, মহাশক্তি।
গত সাড়ে চার বছরে নামে মাত্র আওয়ামী লীগ সারাদেশে যাহা করেছে তাহা প্রকৃত আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সাথে সমঞ্জস্য নয়, তাহলে কথা কথিত ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ এমনটি কেন করেছে? এবং বর্তমানে আগত নির্বাচন নিয়েও এতো গড়িমিশি কেন? বিশ্লেষকেরা তাহা ভাল ভাবেই জানেন বুঝেন কিন্ত বলেন না।
যারা কেয়ামত পর্যন্ত রাষ্ট্র ক্ষমতার স্বাধ পাবেনা নিশ্চ্যিত তারা ৪০ বছর সাধনার ফসল হাইজাক করার মাধ্যমে পাওয়া রাষ্ট্র ক্ষমতা ছাড়তে চাইবে বা ছাড়বে বিশ্বাস করা যায় কি?
হাইজাকারের নিরবতা দেখে দুষ্ট লোকেরা বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ এখন রাজনীতি করেনা এরা এখন হাইজাকারদের চামচা গীরি করে। সূতারং আগামীতে একাধারে দুইটি আন্দোলন ১. গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিয়ে দেশ ও জাতী বাঁচাও এবং ২. একই সাথে হাইজাক হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ বাঁচাও।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন