২১ ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবস
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৪২:২২ সকাল
আজ ২১ ফেব্রুয়ারী মহান ভাষা দিবস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষাও দিয়েছেন।যে অঞ্চলে আমরা সৃষ্টি হয়েছি সে অঞ্চলের ভাষাকেই মাতৃভাষা বলা হয়। আল্লাহর নির্ধারিত ভাষা হল আরবী, সুতরাং সবচেয়ে মাতৃভাষার গুরুত্ব মুসলমানদের। কারন, সর্বশেষ ঐশি গ্রন্থ আল-কোরআন আরবী ভাষায় নাজিল করা হয়েছে। এই ঐশি বানী
অর্থ বুঝতে হলে তার মর্ম উপলব্ধি করে জীনের সর্বক্ষেতে কোরআানকে ধারন করতে হলে নিজের মাতৃ ভাষায়ই বুঝে করতে হবে।নিজেরর মাতৃভাষা ছাড়া কোরআনের আসল মর্ম উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।তাই স্ব স্ব মাতৃভাষা প্রত্যেক মুসলমানের কাছে গুরত্ব পুর্ণ।আমাদের ভাষা বাংলা, তাই এই ভাষা আমাদের কাছে সব চাইতে মর্যদাবান, বিভিন্ন ভাষায় কথা আমরা শুনি এবং বই পড়ি কিন্তু বুঝতে হবে নিজ ভাষা বাংলার মাধ্যমে।তাই আজকের দিন আমাদের কাছে সবচাইতে স্বরনীয়। আমাদের উপর ভিন্ন একটি ভাষাকে জোরকরে চাপিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করা হয়েছিল তার প্রতিবাদে দীর্ঘ আন্দোলন করতে হয়েছে। সেই আন্দোনের ফসল আজকের দিন। আজকেরদিনে সেই আত্মত্যাগী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।কিন্তু দুঃখ হয় সব ভাষাসৈনিকে আমরা শ্রদ্ধাকরতে পারিনি এটা আমাদের অকৃতজ্ঞতার পরিচয়। তাঁদের পরিচয় দিতে আমরা চাই নি অথচ তৎকালিন সময়ে অগ্রনি ভুমিকা ছিল য়েব্যক্তিটির,যিনি ছিলেন তখন ডাকসুর নির্বাচিত জি এস,, যিনি এই বাংলাভাষার দাবিতে জনসভায় মানপত্র পাঠ করে ছিলেন জেলও খেটেছেন তাঁকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বাদদিয়ে কলঙ্কিত করা হল। সেই মহান ভাষা সৈনিক শেষ জীবন পর্যন্ত এইজাতীর কাছে কি পেলেন তা সবারই জানা, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে তাঁর কোন পরিচয়ই নাই, তুলে ধরা হয়নি।সেই মহান ব্যক্তি টি "অধ্যাপক গোলাম আজম"।তৎকালীন সময়ে যে একটি পোষ্টার লিখেছে দেয়াল লিখনে অংশ নিয়েছে সেও ভাষা সৈনিক কিন্তু যে ব্যক্তি অগ্রনি ভুমিকা করেছেন তাকে ইতিহাস থেকে বাদ দেওয়া হল এর চাইতে অকৃতজ্ঞ আমরা আরকি হতে পারি??পরিশেষে বলব আমাদের কাছে মাতৃভাষার মর্যাদা তখনি সার্থক হবে যখন এই ভাষাদিয়ে আল্লাহর নাজিলকৃত কোরআন কে বুঝে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহ হুকুম পালন করে আখেরাতের জীবনকে সফল করা যাবে।মাতৃভাষার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের কোরআনের মর্মার্থ বুঝার তৌফিক দিন এবং যারা এইভাষারজন্য আত্মত্যাগ করেছেন, প্রান দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তাদের আত্মত্যাগকে কবুল করুন।
বিষয়: বিবিধ
১২৬৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
এ মন্তব্যটি ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের।
কালের পরিক্রমায় সৃষ্ট ভাষা সৈনিকদের ভীড়ে আমরা ভুলে গেছি ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে হরতাল সফল করতে গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমের গ্রেফতার হওয়ার কথা। ইতিহাস
থেকে মুছে দিয়েছি ১৯৪৮ সালের ২৭ নভেম্বরে ডাকসুর জিএস অধ্যাপক গোলাম আজম ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে রাষ্টভাষা বাংলার দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক স্মারকলিপি পাঠ করার কথা।
ভুলে গেছি ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়ে অধ্যাপক গোলাম আজম রংপুর কারমাইকেল কলেজে অধ্যাপনা কালে, সেখানে রাজনৈতিক কর্মী ও ছাত্রদের নিয়ে সমাবেশের আয়োজন করায় তার পুনরায় গ্রেফতার হওয়ার কথা।
যাদের আত্নত্যাগ ও আত্নদানের মধ্যদিয়ে মায়ের ভাষায় কথা বলতে পারছি, আল্লাহ যেন তাদের এই অসামান্য আত্নত্যাগ ও আত্নদানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ মর্যাদা দান
করেন। আমীন।।
মন্তব্য করতে লগইন করুন