কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করতে মহাপরিকল্পনা সরকারের

লিখেছেন লিখেছেন ফারাবি রহমান ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:৪১:০৯ সন্ধ্যা

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত করতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। দুটি ধাপে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এর মধ্যে প্রায় ৫৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপের কাজ করা হবে। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকজন সেখানে গেছে। প্রাথমিক কাজও কিছুটা শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে শুধু কক্সবাজার নয় দেশের অভ্যন্তরীণ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এটি অবদান রাখবে। আমাদের সমুদ্রসম্পদ রক্ষায়ও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইতিমধ্যে বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের ভাঙা অংশে নতুন দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। মেরামত করা হয়েছে ভাঙাচোরা পুরনো দেয়াল। আনুষঙ্গিক কাজগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দরের রানওয়ে বর্ধিতকরণ এবং প্রশ্বস্তকরণের কাজ করা হবে। এর পাশাপাশি পিসিএন (পেভমেন্ট কাউন্টিং নাম্বার) বা রানওয়ের শক্তি বাড়ানো হবে। স্থাপন করা হবে নতুন ভিওআর, ডিএমই ও আইএসএল, এয়ার ফিল্ড গ্রাইন্ড ও লাইটিং সিস্টেমসহ যোগাযোগ স্থাপনের যাবতীয় যন্ত্রপাতি। ক্রয় করা হবে ফায়ার ফাইটিং ভেহিক্যাল (আগুন নির্বাপক গাড়ি)। আড়াই বছর মেয়াদি প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্বের কাজ সম্পন্ন হবে। আর প্রথম পর্বের কাজ শেষ হলেই আন্তর্জাতিক মানের বিমানগুলো কক্সবাজার বিমানবন্দরে ওঠা-নামা করতে পারবে। তবে বিমানবন্দরকে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে দ্বিতীয় ধাপে আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু অবকাঠামো নির্মাণের কাজ করা হবে। কাজ শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৯ হাজার ফুট। বর্তমানে ওই রানওয়ের দৈর্ঘ্য আছে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট। আর রানওয়ের প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে বাড়িয়ে ২০০ ফুট করা হবে। পিসিএন বাড়ানো হবে ১৯ থেকে ৮৫। এতে বর্তমানে সেখানে ‘ড্যাস-৮’ ধরনের মাঝারি আকৃতির বিমান চলাচল করলেও প্রকল্পেও কাজ শেষ হলে বি-৭৭৭-৩০০ ইআরসহ ভারী বড় আকৃতির বিমান ওঠা-নামা করতে পারবে। সৈকতের রানী কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর হলে পাল্টে যাবে পুরো চিত্র। শুধু কক্সবাজার নয় এর প্রভাব পড়বে গোটা দেশের অর্থনীতিতেই। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে পশ্চিমা মহাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপিত হবে পুরো বিশ্বের। এতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে দেশের পর্যটন খাতে। আর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে লাভবান হবে সরকার। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে পর্যটক ছাড়াও বিভিন্ন বাণিজ্যিক বড় বড় বিমান সহজে এ বন্দরে অবতরণ করতে পারবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজারের বাণিজ্যিক সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বিষয়: বিবিধ

৬৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File