বিচার করা হোক জঙ্গীসহ মদদ দাতাদের। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান থাকতে পারে না

লিখেছেন লিখেছেন আবডুল রহমান ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৫:৪৭:২১ বিকাল

মাসাধিককাল ধরে নাশকতা চালাচ্ছে যে শক্তিটি সেটি যে বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে বিশ্বাসী নয়, এটা প্রমাণ হয়ে গেছে। লাগাতার অবরোধের ডাক দিয়ে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট সারাদেশে পেট্রোলবোমার সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছে। বিগত ৩৯ দিনের ভেতর দুয়েকটি দিন বাদে প্রতিদিনই তারা পেট্রোলবোমা ছুড়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। পেট্রোলবোমার লাগাতার সন্ত্রাস এর আগে দেখেনি বাংলাদেশ। গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে এমন নির্মম অগণতান্ত্রিক পৈশাচিকতাও প্রত্যক্ষ করেনি মানুষ। সাধারণ মানুষকেই টার্গেট করে পেট্রোলবোমা ছোড়া হচ্ছে। সেই বোমার আগুনে পুড়ে বহু মানুষ কয়লা হয়ে গেছেন। যারা তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হননি, তাদের স্থান হয়ে উঠেছে বার্ন ইউনিট। সেখানে তীব্র অসহ্য যন্ত্রণার ভেতর সময় যাচ্ছে তাদের। মানুষকে এমন বীভৎস উপায়ে কষ্ট দেয়ার নাম কি রাজনীতি? এটা রাজনীতি নয়, এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এটা নিশ্চিতভাবেই মানবতাবিরোধী অপরাধ। বিশ্বের মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর দিকে তাকালে আমরা দেখব প্রায় সব ক’টি দেশকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অশান্ত করে তোলা হয়েছে। জঙ্গীবাদ তথা সন্ত্রাসবাদের ছায়া হুমকিস্বরূপ বিরাজ করছে প্রায় সর্বত্র। বাংলাদেশকে সেই একই ধারায় নেয়ার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টায় এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজনীতির পোশাক পরিহিত নব্য ও পুরনো সন্ত্রাসী দুটি দল। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের ওপরেই ন্যস্ত। দেশবাসী সরকারের কাছে দৃঢ়তা আশা করে পেট্রোলবোমার আতঙ্কের অবসান চায়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য মানুষের মনে তাই আশার সঞ্চার করেছে। যত তাড়াতাড়ি জঙ্গীদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে জঙ্গীবাদের কোন স্থান থাকতে পারে না। বর্তমান সরকার এদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

বিষয়: বিবিধ

৪৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File