শান্তিচুক্তির নামে পার্বত্য কালাচুক্তিঃ সবার ওপর উপজাতিদের সুবিধা! তবুও আর কত চাই?
লিখেছেন লিখেছেন রাহমান বিপ্লব ১৪ মার্চ, ২০১৫, ০১:৪৭:৪২ দুপুর
যুগে যুগে এ দেশের শোষক শ্রেণীর লুটের শিকার আমরা সবাই!
অপসংস্কৃতির চূড়ান্ত আগ্রাষণ তথা ধর্ষনের মত নোংরা ঘটনা গোটা দেশ জুড়েই হয়!
শত্রুতার চূড়ান্ত রুপ তথা বসত ঘরে আগুন গোটা দেশেই লাগে!
এদেশে আজ হত্যা-খুন নিত্য ঘটনা!
...
জুলুম নীপিড়ন সারাটা দেশেই হয়!
কিন্তু যখন তা আমার গায়ে পড়ে তখন তাতে কারোও কোন বিশেষ দায় নেই! কারন- সংখ্যাগুরু হিসেবে আমার বাঙ্গালিত্বই আমার সবচেয়ে বড় অপরাধ!
ঠিক সেই একই অপচ্ছায়া যখন তোমার গায়ে তখন তা বিরাট মূল্যধারী 'উপজাতি নির্যাতনের' বিশেষণ পায়। কেউ কেউ "আদিবাসী নির্যাতন" বলত্যেও দ্বিধা করেনা। তুমুল মিডিয়া কাভারেজে অঞ্চল ছাড়িয়ে গোটা দেশ, দেশ থেকে গোটা বিশ্বজুড়েই অপচ্ছায়া নেমে আসে! তর্জন গর্জন ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশের খোদ স্বাধীনতার গলা টিপে ধরবার!
* অবাক লাগে! কোন ঘটনা ঘটলেই এত এত কান্নার আওয়াজ তোল এই তোমারাই! অথচ 'সমধিকার' প্রশ্নে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে পড় কি করে? তোমরা নিজেদেরকে 'বিশেষ শ্রেণীকরনের' চেষ্টা করছ! কিন্তু কেন? তা-ও এমন স্বৈরাচারী দাবি!- যা পূরণ করা না হলে বিচ্ছিন্নতাবাদের হুমকি দেয়া হবে?
একটি আদর্শ নাগরিক রাষ্ট্রের সংবিধান সকল মানুষের সাম্য প্রতীষ্ঠার হাতিয়ার। নিজেদের ক্ষুদ্র জাতিত্বের বলে বিশেষ সুবিধার আড়ালে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অন্যকে ছোট কিংবা বঞ্চিত করার কোন অধিকার কারো থাকে না।
অত্যাধিক চাহিদা! ছোট্ট দেশের স্বল্প ব্যবস্থাপনার শিক্ষাপ্রতীষ্ঠানে, চাকরি ক্ষেত্রে '১৬ কোটির শতকরা ৫ ভাগের' অকল্পনীয় কোটার ভাগিদার তোমরা মাত্র ১৬ লাখ উপজাতি! ভাবা যায়, ১৬ কোটির শতকরা ৫ ভাগ মাত্র ১৬ লাখের জন্য নির্দিষ্ট!!?
ফলাফল, আজ খোদ সংখ্যাগুরু জাতিটির মাত্র ৪২ ভাগ শিক্ষা স্ট্যাটাসের বিপরীতে, শতকরা ৯৫ ভাগ শিক্ষিত হয়েছে তথাকথিত ক্ষুদ্র জাতীসত্বার নামে 'সর্বহারা' হটকেক রাজনীতির প্রচন্ড প্রতাবশালী চাকমারা! সরকারী চাকরীর পাশাপাশি ধনশালী মিশনারী এবং পশ্চিমাদের হাত খোলা সাহায্য ও একতরফা চাকরির বাজার তোমাদের জন্য অপেক্ষায় থাকে!
আজকের বাংলাদেশে, এককালের বহিরাগত জনগোষ্ঠী এই তোমরা, নিজেদের বানিয়ে নিচ্ছ "আদিবাসী"!
পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার হয়ে দরিদ্র এই ছোট্ট দেশটাকে আর কত ভাবে ধর্ষণ করবে তোমরা? এই অকল্পনীয় সুবিধায় ভেসে থেকেও এদেশের জন্য কানা পরিমান ভালোবাসা তোমাদের হয়না! টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বিস্তৃত ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিঃ মিঃ এর দরিদ্র দেশেটির প্রতি সারাদিন তোমাদের বেহিসেবি দাবি- এই পাইনি , ঐ পাইনি, এই দাও, ঐ দাও, কেন দিলেনা, কেন পেলামনা, কম কেন, ভরে দাও, খালি কেন..., শুনলে মনে হয় বাংলাদেশ তার স্বাধীনতাটাকে তোমাদের বিনোদনের মাদক কেনায় ব্যয় করেও, বিশেষভাবে তোমাদের প্রাপ্য কোন এক বিরাট ঋণ পরিশোধ করতে পারেনি!
আসলে, মায়ের প্রতি ভালোবাসা থাকে আপন সন্তানের! অন্যের সন্তান তো হাঁফিয়ে ওঠা মায়ের ঘামে নিজের পায়ের ময়লা পরিস্কারের নিমিত্তে খেদোক্তি করে! বাংলা মায়ের সন্তানেরা কষ্টের ভারে যে হাঁফিয়ে উঠেছে! এই গরীবেরা যাদের নিজ ভাই ভাবতে গিয়ে ভাইয়ের অধিকার দিতে চাইল, সেই তারাই যখন গরীবের ভাই হতে পারল না...
বিষয়: বিবিধ
১৩৩১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
কারন-
১- পার্বত্য ষড়যন্ত্রের পেছনে যারা রয়েছে তারা 'ল্যান্ড লকড'(ভূমি দ্বারা আবদ্ধ দেশ) কান্ট্রি গঠনের জন্য কাজ করছেনা। বরং আরেকটু এগিয়ে কক্সবাজার কিংবা চিটাগাং পোর্টের দখল নিয়েয় (যেহেতু কক্সবাজার ও চিটাগাং পোর্টের আশপাশে বিপুল উপজাতির বসবাস রয়েছে) কাজটি করতে চায়।
২- পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীনতা দেয়ার ক্ষেত্রে একটাই যুক্তি সেটা হল "আদিবাসী মেনে নিয়ে তাদের স্বাধীনতা দেয়া"। এক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকতায় গোটা দেশ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যাবে। কারন সারা দেশের উপজাতিরাই তখন স্বাধীনতা চাইবে।
৩- আপনি কি জানেন আপনি কি বলছেন!! প্রায়ই আপনি না জেনে এমন একটা কমেন্ট করেন। দয়াকরে স্বার্বিক অবস্থা ও দেশের নিরাপত্তার দিক না জেনে এমন কথা বলবেন না। বাংলাদেশ নামক এই ভূখন্ডে বাঙ্গালীদের বসবাস ইতিহাস অন্তত সাড়ে ৪ হাজার বছরের। কারন এর আগে ইতিহাসবিদরা ইতিহাস নির্নয় করতে পারেননি । এককথায় স্মরনাতীত কালের ভূমিপুত্র হল বাঙ্গালীরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশের উপজাতিরা ভিন্ন বংশোদ্ভূত লোক তথা মঙ্গলীয় জনগোষ্ঠী। যারা স্পষ্ট ইতিহাসের আলোকে সর্বোচ্চ ৫০০ বছর ও সর্বনিম্ন ১৫০ বছর আগে এ ভূখন্ডে প্রবেশ করেছে।
ঠিক যখন আমাদের আত্মভোলা অবস্থার কারনে আমাদের ভূমি প্রচন্ড ষড়যন্ত্রের শিকার, তখন আপনার উপরোক্ত মন্তব্য কতটা বিরক্তিকর, তা আপনিই যাচাই করুন প্লিজ!
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই উপজাতিদের একটা উচ্চাভিলাষী অংশ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সাধারন উপজাতিদের এরা জাতীয়তাবাদের বলয়ে নিজেদের পক্ষে কাজ করতে সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে বাধ্য করেছে।
এক্ষেত্রে আমাদের তরফে সবচেয়ে বড় গ্যাপ হচ্ছে, আমরা সাধারন উপজাতিদের শক্তিশালী যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনে ব্যার্থ হয়েছি। মূলত জাতীসত্ত্বা, চেহেরা ও আকৃতি দিয়ে একটা প্রচন্ড উগ্রতা সৃষ্টি করা হয়েছে সিন্ডিকেট গ্রুপিং দ্বারা।
সেজন্য শুধু যোগাযোগের অভাবেই উপজাতিরা বাধ্য হয়ে যে নিন্দনীয় কাজগুলো করছে সেক্ষেত্রে আমরা যেমন তাদের বোঝাতে স্বক্ষম নই, ঠিক তারাও আমাদেরকে বিশ্বাস করতে সমর্থ নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন