রেখেছ সুশীল করে মানুষ করনি
লিখেছেন সাফওয়ানা জেরিন ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:২০ সন্ধ্যা
শামসুন্নাহার হলে খুব বেশীদিন থাকা হয়নি। যদিও নিজের হলই। কয়েকটা দুঃসহ শীতের রাত, নাক দিয়ে রক্ত পড়া পরীক্ষার সকাল, গণজাগরণ মঞ্চের কনসার্টে নির্ঘুম রজনী , শিশিরে পা বুলানো, এই সব টুকরো টুকরো স্মৃতিই হল জীবনের অর্জন। আরও কিছু সেকুলার, সমাজতন্ত্রী মানুষের সাথে পরিচয় এবং কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা।
হলে অবসর বিনোদন বা আত্মসাধনার যায়গা হল ৩ টি । টিভি রুম, নামাজ ঘর, আর রিডিং রুম। রিডিং রুমের...
ভালোবাসার সাতকাহন (ধারাবাহিক গল্পঃ পর্ব-১৮)
লিখেছেন মামুন ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:০২ সন্ধ্যা
অন্তরকে স্কুল থেকে নিয়ে এইমাত্র বাসায় ফিরেছে বিথী।
আসার পথে অন্তর অনেক দুষ্টুমি করেছে আজ। প্রতিদিনই করে। একটু শক্ত হয়ে শাসন করার কথা চিন্তা করলেও ছেলের মুখের দিকে তাকালে সব রাগ পানি হয়ে যায় বিথীর।
মায়া... ভালোবাসা... মায়ের স্নেহ এসব কিছুকে ছাপিয়ে ওর মাঝে কেমন নিজেকে পাবার অনুভূতি... একধরণের অধিকার সমস্ত হৃদয় জুড়ে বিস্তৃত হতে থাকে।
স্কুল থেকে এসে অন্তর নিজের রুমে চলে যায়।...
শ্বাশত ভালবাসা
লিখেছেন ঈগল ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৪:৪৯ বিকাল
রিতা ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু আমার কিছুতেই ঘুম আসছে না। এভাবে পালিয়ে বিয়ে করাটা কি ঠিক হলো? না আর পারছি না। চিন্তায় মাথা ভারি হয়ে উঠছে। মাকে খুব মনে পরছে। আমার এই আচারণে মা নিশ্চয়ই ভীষণ কষ্ট পেয়েছে। মায়ের সাথে প্রতিদিনই কথা বলি, কিন্তু গত দুইদিন থেকে কোন কথা বলি নাই। মনে হচ্ছে, কত দিন মার সাথে কোন কথা হয় না। মায়ের চাঁদ মাখা মুখখানি মনে পড়ে আমার বুক হাহাকার করের উঠলো। আর পারলাম না। ফোনটি...
তরুন প্রজন্ম বাঁচাতে মাদকের লাগাম টানুন
লিখেছেন রাজু আহমেদ ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:০৪ দুপুর
জীবনের শত ব্যস্ততার মধ্যে মাত্র দু’দিনের অবসর পেলেও জন্ম ভূমিতে ছুটে যাওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করি । কখনও সফল হই আবার কখনও যাওয়া হয়ে ওঠে না । বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল বলতে যা বোঝায় তেমনি একটি গ্রামে আমার জন্ম । তবুও সেই গ্রামটিই আমার সব, অতীত-ভবিষ্যত । সবুজ-শ্যামল প্রকৃতি, ছোট বেলায় দূরন্ত ছুটে চলার কথা স্মৃতির পাতায় কেবল ভেসে ওঠে এবং শিহরণ দেয় । সেই প্রিয় গ্রামটিতে ফিরে...
আপনার ছেলেও কি নিরাপদ?
লিখেছেন আকরামস ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৫০ সকাল
ছেলেটি ইদানীং ঘুমের ভেতর কেঁদে উঠছে। নিজেকে গুটিয়ে রাখে, বন্ধুদের সঙ্গে আগের মতো খেলে না। হঠাৎ করে রেগে যায়, মন খারাপ করে রাখে। ওর মা-বাবা দুজনেই যথেষ্ট সচেতন; তাঁরা ওকে নিয়ে গেলেন একজন মনোচিকিৎসকের কাছে। দীর্ঘক্ষণ ছেলেটির সঙ্গে আলাপ করে মনোচিকিৎসক জানতে পারলেন, ছেলেটি তাঁর কাছের আত্মীয় দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
মা-বাবার অজান্তে নানাভাবে নিপীড়নের শিকার...
ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনের উদাহরণ - উস্তাদ নুমান আলী খান
লিখেছেন বুদ্ধিবৃত্তিক সঞ্চারণ ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৪৫ সকাল
আপনি নতুন বিয়ে করেছেন, রাস্তা দিয়ে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ করে তিনি হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। আপনি দ্রুত গিয়ে তুললেন, সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, "আমি কখনই তোমার কিছুই হতে দেব না, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি!"
নতুন বিবাহের মধ্যে এরকম ভালোবাসাই থাকে.. .এরকম আবেগের মধ্য দিয়েই আমরা যাই... এভাবে আমাদের জীবনের অনেকগুলো স্তর থাকে... বিবাহের প্রাথমিক অবস্থা থেকে সন্তান-নাতি-নাতকুর বয়স পর্যন্ত।...
কিছু ভালবাসার মানুষঃ নাসের ভাই, নিজামী ভাই ও কামারুজ্জামান ভাই
লিখেছেন আবূসামীহা ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ০৯:৩২ সকাল
বড় সড় নেতাদের অথবা টাকা-পয়সা বা খ্যাতির মালিকদের থেকে দূরে থাকা আমার অভ্যাস। এটা সাধণা করে অর্জন করা কোন অভ্যাস না। ছোট বেলা থেকে প্রচণ্ড লাজুক থাকায় নিজের নিতান্তই পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ছাড়া অন্যদের সামনে মারাত্মক রকমের অন্তর্মূখী হয়ে থাকতাম আমি। এই চল্লিশের ঘরে এসেও এখনো অনেকের সাথে আচরণের ক্ষেত্রে লজ্জার প্রথম ধাক্কা সামলে বেরিয়ে আসা আমার জন্য কঠিন হয়ে যায়। আমার শিক্ষকতা...
ইউশা এবং পেঙ্গুইন - ২
লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ০৫ নভেম্বর, ২০১৪, ১২:১৬ রাত
শোনো, এটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বিশেষ কিছু মতা দিয়েছেন সে জন্য। আমাদের চামড়ার নিচে চর্বির মোটা ও পুরু একটা স্তর আছে। এই চর্বিই আমাদেরকে অতিরিক্ত ঠান্ডার মধ্যেও সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখে, যেটা অন্য অনেক প্রাণীর নাই। যখন শীত আসে তখন আমরা উপকূল বরাবর আরো দক্ষিণে চলে যাই।
ইউশার মনে পড়ল, তার মানে তোমরা তখন মাইগ্রেট করে অন্য জায়গায় চলে যাও? আচ্ছা, তোমাদের আর অন্য...
ভ্রষ্ট!
লিখেছেন প্রবাসী মজুমদার ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:০৮ রাত
আজ মুণ্ডুহীন দেহের বাকহীন আর্তনাদ দেখে
আমি এতটুকু বিস্মিত হই না। কারণ,
এটি তোমাদেরই ভ্রষ্ট রাজনীতির প্রসব করা
নিষ্ঠুর জারজ সন্তানেরা আমাকে শিখিয়েছে।
আজ যদি কোন অপহৃত নেতাকে হত্যা করে
চব্বিশটা ইঁট বেঁধে গভীর সমুদ্রে ফেলে দেয়,
আমার বিবেক একটি বারের জন্যও প্রশ্ন করেনা। কারণ,
হে যুবক তুমি যাচ্ছো কোথায়?
লিখেছেন সাগর কন্যা ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৮:৩০ রাত
প্রথমেই যুবকদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই!!
হে যুবক!তুমি তো অক্ষম নও তবে কেন আছ নিরব?তোমার শরীরে এখনউষ্ণ রক্ত আছে প্রবাহমান,তবে কেন দেখি সকল কাজে তোমার পিছুটান?তোমার বাহুতে কি নেই বল?কব্জিতে কি নেই শক্তি?তবে কেন কর তুমি দূর্বলদেরকে ভক্তি?তুমি কেন থাকবে পড়ে দূর্বলদের স্তরে?তুমি কি চাও না সম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে?তুমি কি চাও না মিথ্যার অবসান ঘটাতে?তুমি কি চাও...
শুভ্র মেঘ বিদূরিত করবে বিষাদের কালো ছায়া
লিখেছেন সন্ধাতারা ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০৬:৪৪ সন্ধ্যা
ক্ষমতা, ধনৈশ্বর্য, মসনদপ্রীতি আজ এতই প্রবল ও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, বাংলাদেশকে কেন জানি এখন মনে হয় ফেরাউনের দেশ। কৃত্রিমসুখ ও ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার মোহে বিভোর হয়ে ফেরাউন যেমন ইসলাম ধর্ম, শিক্ষা, আল্লাহ্র প্রতি ঈমাণী চেতনাকে ধংস করার জন্য হিংস্রতায় মেতে উঠেছিল ঠিক তেমনি আজ আবারও একটি চক্র ফেরাউনী কায়দায় সংঘবদ্ধভাবে অতি নিকৃষ্ট পন্থায় ইসলাম তথা মুসলিম নিধনে তৎপর। তারা...
তাপসীকে লেখা খোলা চিঠি
লিখেছেন মোস্তফা সোহলে ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২৭ দুপুর
তাপসী
তুই বলেছিলি এখন থেকে ভাল থাকার চেষ্টা করবেন।আচ্ছা তুই বল চেষ্টা করে কি ভাল থাকা যায়?ভাল থাকা না থাকা তো সম্পূৃর্ন মনের ব্যাপার তাইনা।ভাল থাকার চেষ্টা করে যদি ভাল থাকা যেত তাহলে এই জাগতিক বিশ্বে বেশির ভাগ মানুষই ভাল থাকতো।তার পরও তোর কথা মতই ভাল থাকার চেষ্টা করি।মন খারাপ হলেই বই পড়ি না হয় গান শুনি।
জানিস আমিনা ভাল থাকার ভাল একটা উপায় পেয়েছি। উপায়টা হল কঠিন স্বার্থপর...
শুদ্র দ্য গংরিড: বনরাজ্যের যুদ্ধপ্রস্তুতি
লিখেছেন মোস্তাফিজ ফরায়েজী জেরী ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২১ দুপুর
অবশেষে সেই দিন আসলো। যুদ্ধের দিন। রক্তের দিন। মানুষের জীবন নাশের দিন। নিকৃষ্ট দিন। রাজা আজাকার বাহিনী এগিয়ে চলছে যুদ্ধ ময়দানের দিকে।
‘আমরা কি করে সহযোগিতা করতে পারি? এটা যুদ্ধ, আমাদের কাছে অস্ত্র নেই। আমরা কিছুই করতে পারবো না। অসহায়ের মতো হয়তো বঙ্গরাজের পরাজয় দেখতে হবে আমাদের।’, বাঘ অতি দুঃখের সাথে বলে।
হ্যাঁ, বনের প্রাণীরা আজ আবার একত্রিত হয়েছে। এর আগে একত্রিত হলেও তারা...
মোবাইল বিড়ম্বনা:-
লিখেছেন মিকি মাউস ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:৪৯ সকাল
২০০৪ সালে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার করা শুরু করি। সে সময়কার কলরেট সম্পর্কে বলার কিছু নেই, যারা সে সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন তারা ভাল করেই জানেন। সারা মাসে ৩০০ টাকার একটা কার্ড শেষ হতো না। বেশিরভাগ সময়ই টাকা থেকে যেত। শুধুমাত্র ইনকামিং/আউটগোয়িংয়ের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রতিমাসে কার্ড রিচার্জ করতাম। মোবাইল ব্যবহারে বিড়ম্বনার শিকারের কয়েকটি ঘটনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি।
ঘটনা-১
২০০৫...
পাশবিক সুখ !!
লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৪ নভেম্বর, ২০১৪, ১০:৩৯ সকাল
বিশাল এক ময়দানে উলঙ্গ করে কিছু নারী-পুরুষকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
ভয় ও আতংকে তাদের মুখ বিকৃত হয়ে গেছে। তাদের ঠিক মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্য দাউ দাউ করে জ্বলছে। পিপাসায় তাদের বুক ফেটে যাচ্ছে। শরীরের ঘাম তাদের চিবুক পর্যন্ত ডুবিয়ে দিয়েছে। তাদের বিচার করা হবে।
বিচারক বিচার শুরু করলেন। তখন মাঠে জমায়েত হওয়া নারী-পুরুষরা বলল---
-- হে মহান বিচারক! আমাদের কেন এখানে নাজুক অবস্থায় দাঁড়...