আইএস কী পৃথিবীর সুপার পাওয়ার হতে যাচ্ছে?
লিখেছেন লিখেছেন ইসলামী দুনিয়া ০৮ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:১৯:৪৩ সকাল
বিষয়টাকে পুরোপুরি হাসির খোরাক বানালে চলবে না। কারণ আমরা যদি পুরো বিষয়টা লক্ষ করি তাহলে দেখা যাবে বিষয়টা কতটা সিরিয়াস। আই্এস এর গোড়াপত্তন কিন্তু খুব তারাতারি হয়নি। অনেক চড়ায উত্তায় পাড় করে দলটি এতদুর এগিয়েছে। যতদুর জানা যায় দলটি প্রথমে ইরাকে আনসার আল সুন্না নামে পরিচিত ছিল, তখণ এর প্রধান আবু মুসআব আল জারকাবি, যনি আল কায়দার খুব ঘনিষ্ট, জারকাবি ২০০৬ এর আমেরিকার বিমান হামলায় নিহত হয় এবং পরবর্তীতে আবু হামজা আল মিসরী নামে একজন, অতপর আবু বকর আল বাগদাদির হস্তগত হয় দলটির ভার। এর গোড়া খুবই শক্ত মনে হয়। সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ তারা অনকেদিন ধরেই নিয়ন্ত্রন করে আসছিল, অতপর জানুয়ারীতে ইরাকের আনবার প্রদেশ দখলে নেয়। অতপর একই বছরের জুন মাসে নিনোভা ও সালাউদ্দিন প্রদেশের বেশিরভাগ দখল নেয়। নিনোভায় প্রদেেশের রাজধানী মসুল থেকে ৩০/৬০ হাজার সৈন্য অস্ত্রগুদাম, ব্যাংক, সেনাক্যম্প ও চেকপযেন্টগুলো ছেড়ে পালিয়ে যায়। শেষপযর্ন্ত রাজধানী বাগদাদের ৬০ কিমি কাছাকাছি পৌছে যায় দলটির যোদ্ধাগণ। কিন্তু দলটি কৌশল করে বাগদাদের দিকে না এগিয়ে ঝটিকা আক্রমনে কুর্দিস্থান ইরবিল ও মসুলের বড় বাধ দখলে নেয়। এতে আমেরিকা দলটির উপর আক্রমন শুরুর ঘোষনা দেয় এবং কয়েকঘন্টার মধ্যে আক্রমন শুরু করে। এতে মসুলের বাধ থেকে আইএসকে হটানো সম্ভব হয়। এদিকে দলটি সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশে আসাদ বাহিনীর শক্তিশালি বিমানঘাটি দখলে নেয়। এতে ২৫০জন সিরিয়া সৈন্যকে আটক করে হত্যা করে দলটি। রাক্কা প্রদেশ পুরোপুরি আসাদবাহিনী মুক্ত হয়। এদিকে আমেরিকা সিরিয়ায় আক্রমন বিস্তার করে। এতকিছুর পরেও দলটি শেষপর্যন্ত তুরস্ক সীমান্তর্বী শহর কোবান দখল নিল। আমেরিকার সাথে জোট বেধেছে আরবের কয়েকটি দেশ, সৌদি, কাতার, বাহরাইন, আরবআমিরাত। আমরা দলটি থেকে দেখেছি তারাও শত্রুর কৌশলের উপর ভিত্তি করে কৌশল পরিবর্তন করে। ২০১৩ সালের প্রথম দিক যখন সিরিয়া সরকার পরাজয়ের মুখোমুখি তখন লেবাননের হিজবুল্লাহ ৬০ হাজার যোদ্ধা সিরিয়ায পাঠায় আসাদ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে এতে সিরিয়া যুদ্ধের মোড় কিছুটা পাল্টে যেতে শুরু করে সিরিয়া সরকারের হাতছাড়া শহরগুলো আবার দখল করতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামী ষ্টেট লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইরানী দুতাবাসসহ কয়কটি স্থানে আক্রমন করে হিজবুল্লাহ ও লেবাবনন সরকারকে হতভম্বিত করে। আমার মনে হয় ইসলামী ষ্টেট এবারো সেই কৌশলটিই করবে। তারা এবার সৌদি, কাতার তথা বিরোধী জোটভুক্ত দেশগুলোতে আক্রমন করবে। যেমনটি করা হয়েছে পশ্চিমা দেশগুলোর ক্ষেত্রে, আমেরিকা ও বিট্রেনের কয়েকজনকে শিরচ্ছেদ করেছে, আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের একজনকে শিরচ্ছেদ করছে একটি জংগি দল , ফিলিপাইনে জার্মান নাগরিকদে আটক করছে আল কায়দা সমর্থিত একটি গোষ্টি। সিরিয়ায় মধ্যমপন্থি একটি বিদ্রোহী দল ফ্রি সিরিয়ান আর্মি যারা ইসলামী ষ্টেটের কাছে টিকতে পারেনি। পারেনি নুসরাহ ফ্রন্ট, আস শামসহ অন্যান্য ব্রিগেডগুলো। তাই মনে করা হচ্ছে এর হতে পৃথিবীর পরাশক্তি।
বিষয়: বিবিধ
১৫০৬ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"জিহাদ কিয়ামত অবধি জারী থাকবে" প্রিয় নবী সাঃ এর অমীয় এই বানী কি 'আইএস'দের উপরও প্রযোজ্য.......? জিহাদের ব্যাখ্যা নিয়ে কৌশলী আলোচনা চলছে বর্তমানে, স্পষ্টতার আশ্রয় কেউ নিচ্ছে না.....!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন