২০১৬ সালের যুদ্ধক্ষেত্র হবে যেসব মুসলিম দেশ ! এরই মধ্যে গৃহহীন জীবন যাপন করছে কয়েক কোটি লোকজন যাদের সবাই প্রায় মুসলিম জনগুষ্টি
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২০ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:০৮:৩৩ রাত
চলমান অস্থিরতা, রাজনৈতিক সঙ্কট, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ইস্যু নিয়ে প্রতিবছরই নতুন নতুন রাষ্ট্র যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশই এরই মধ্যে যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কোটি মানুষ গৃহহীন জীবন যাপন করছে। তবে নতুন বছরে যুদ্ধ থামার কোনো সুখবর নেই। বরং চলমান যুদ্ধ আরো বিস্তৃত হবে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
মার্কিন জরিপ প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর প্রি ভেন্টো অ্যাকশন সম্প্রতি এক গবেষণায় আগামী বছর যেসব রাষ্ট্রে যুদ্ধ বিরাজ করবে তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় দেখা গেছে চলমান যুদ্ধরত দেশগুলো ছাড়াও নতুন কয়েকটি দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে।
১: সিরিয়া
সিরিয়ায় গত চার বছর ধরে গৃহযুদ্ধ লেগে আছে। কিন্তু বিভিন্ন রাষ্ট্র এখানে যুদ্ধে জরিয়ে পড়ায় আগামী বছর দেশটির পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে। নতুন করে আরো কয়েকটি রাষ্ট্র এখানে যুদ্ধে জড়াতে পারে। ফলে ২০১৬ আগের তুলনায় আরো কঠিনতর হবে সিরিয়াবাসীর জন্য।
২: লিবিয়া
আপাতত দেশটিতে যুদ্ধের সম্ভাবনা না থাকলেও ২০১৬ সালে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে দেশটির সামনে। বিশেষ করে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতায় পৌঁছেছে। বিষয়টি নিয়ে দেশটি যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে এবং বাইরের অনেক দেশ এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
৩: ইসরাইল ও ফিলিস্তিন
দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলমান রয়েছে। পবিত্র বায়তুল আকসার দখল নিতে ইসরায়েল কদিন পর পরই এখানে হামলা চালায়। ২০১৬ সালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ জোড়ালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৪: তুরস্ক
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ নিয়ে রাশিয়াসহ কয়েকটি রাষ্ট্রের সঙ্গে তুরস্কের দহরম মহরম অবস্থার তৈরি হয়েছে। আগামী বছর নতুন করে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে দেশটি। তুর্কি নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যে যুদ্ধের ইচ্ছে প্রকাশ করেছে।
৫: মিসর
রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে দিনদিন। পাশাপাশি বেড়েছে জঙ্গিদের চোরাগোপ্তা হামলা। সিনাই উপত্যকায় এরই মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
৬: আফগানিস্তান
তালেবানের সংখ্যা দেশটিতে ক্রমেই ভারি হচ্ছে। রাজনৈতিক অবস্থাও স্থিতিশীল নয়। আইএস সদস্যরাও এখানে জড়ো হচ্ছে ধীরে ধীরে। এসব নিয়ে আগামী বছর কঠিন পরিস্থিতি বিরাজ করবে দেশটিতে।
৭: ইরাক
আইএসের জঙ্গি বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন ধর্মীয় মতবাদ বাড়তে থাকায় দেশটির অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০১৬ সাল দেশটির জন্য আরো কঠিন সময় বলে মনে করা হচ্ছে।
৮: পাকিস্তান
তালেবান ও ধর্মীয় বিভিন্ন গোষ্ঠীর মতবাদ এখানে আগের তুলনায় প্রকট। ফলে ২০১৬ সাল এ দেশটির জন্যও সমুহ বিপদ বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। -উর্দুনিউজ
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মুসলমানের জন্য এটা লজ্জার, কষ্টকর ও দুঃখের যে, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সঃ এই চেইন অব যুদ্ধ (মালহামা) নিয়ে মুসলমানদের সতর্ক করে বেশ কিছু আয়াত ও কয়েক ডজন হাদীস পেশ করার পর ও আমাদের মেইন স্ট্রীম আলেম ও ওলামারা - জনমানুষের সামনে সে আয়াত সমূহ ও হাদীস সমূহ সে ভাবে আনছেন না, ঐ আয়াত ও হাদীস সমূহ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছেন না কিংবা সমাজে প্রমোট করছেন না কিংবা মুসলিমকে সচেতন করছেন না কিংবা আজকের বিশ্বের সাথে সংযোগ করতে পারছেন না। স্বভাবতঃই আপনাকে আমাকে যারা এ যুদ্ধ সমূহের প্রবক্তা, এর এ্যাক্টর ও এ্যাক্ট্রেসদের জন্মদাতা - তাদের কাছ হতে ধার করা মতামত শুনতে হচ্ছে - যা ট্যেকনিক্যালী গনমানুষকে প্রতারিত করার জন্য আর এক প্রতারনার বীজ বপন এর নামান্তর মাত্র।
সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন । সত্যি আজকে মুসলিম বিশ্বের আলেমরা দায়ি থাকবে আজকের এই অশান্ত পরিবেশের কারনে।
হক কথা বলতে ওরা সব সময় ভয় পায়
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সহি দ্বিনের পথে চলার তওফিক দিন এবং ইসলামকে হেফাযত করার মনমানসিকতা তৈরী করুক
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন