হযরত খুবাইবের ফাঁসী আর জামায়াত নেতাদের শিক্ষা!" =========================================

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৫৪:৪২ দুপুর



হজরত খুবাইব (রাঃ) ছিলেন ইসলামের একজন শ্রেষ্ঠ শহীদ এবং সাহাবী।

নির্যাতনের সর্বপ্রকার ভয়াবহতা,

নির্মমতা সহ্য করে যিনি ঈমানের ওপর ছিলেন অটল।

কুরাইশরা খুবাইবের নির্যাতন এবং ফাঁসির দৃশ্য দেখানোর জন্য

মানুষদেরকে ডাকা হলো।

প্রথমে তাকে হাত পা শিকলে বেঁধে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ফাঁসীর মঞ্চে নিয়ে যেতে লাগল।।

তখন উপস্থিত দর্শকেরা হাত তালি দিয়ে এই নির্মমতাকে উৎসাহ দিচ্ছিল।

ঠিক এমনি মূহুর্তে তিনি অনুমতি চাইলেন,

ফাঁসির পূর্বে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়তে।

দুই রাকাত নামাজের জন্য অনুমতি দেয়া হল এবং তিনি নামাজও শেষ

করলেন।

নামাজ শেষে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে খুবাইব (রাঃ) বললেনঃ

আল্লাহর শপথ"

"আমি মৃত্যুর ভয়ে নামাজ লম্বা করছি তোমরা এ ধারণা; করবে বলে মনে না হলে, আমি নামাজ আরো দীর্ঘ করতাম"

তারপরেই ফাঁসীর মঞ্চ থেকে খুবাইবের কন্ঠে ভেসে আসলো

নিচের কবিতাটিঃ

কবিতার দুইটি শ্লোক নিম্নরূপঃ

“আমাকে যখন মুসলিম হবার কারণে হত্যা করা হচ্ছে।

তখন মৃত্যুকালে আমি যে যাতনাই ভোগ করি তাতে আমার কিছুই

আসে যায় না"

কবিতার শ্লোকটি দ্বীপ্ত কন্ঠে ঘোষণার পরেই কাফিররা তার ওপর

সেই পৈশাচিক ও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে দিলো।

ইবনে হারেস মুবাইয়া আবদী খুবাইব (রাঃ) এর গলায় ফাঁসীর রশি পরিয়ে দিল।

মানুষ তো দূরের কথা একটি নিরেট পশুকেও জীবিত অবস্থায়, তার দেহ থেকে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একের পর এক কেটে বিচ্ছিন্ন করার মতো নির্মমতা প্রদর্শন করতে পারে না।

অথচ মানুষরূপী জালেমরা জীবিত অবস্থায়ই খুবাইব (রাঃ)-এর

শরীর থেকে তার অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলো কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।

হজরত খুবাইব (রাঃ) এর শরীর থেকে তখন ভীষণভাবে রক্তপাত হচ্ছিল।

শত নির্যাতন-নিপীড়ন সত্ত্বেও আল্লাহর নির্ভীক সৈনিক খুবাইব (রাঃ)

বলিষ্ঠ ঈমানী চেতনায় অটল।

কিছুক্ষণ পরেই সত্যের এ মহান সৈনিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে,

শাহাদাতের পেয়ালা পান করেন।

অহির মাধ্যমে রাসূলে করীম (সাঃ) প্রিয় সাহাবী খুবাইবের শাহাদাতের

ঘটনা জেনে বললেনঃ

খুবাইব তোমার প্রতি সালাম।

রাসূল (সাঃ) আমর ইবন উমাইয়া দাসরীকে শহীদের লাশের খোঁজে

মক্কায় পাঠালেন।

আমর রাতের অন্ধকারে শঙ্কিত চিত্রে ফাঁসীর মঞ্চে যান এবং অতি

গোপনে ফাঁসির রশিটি কেটে দেন।

শহীদ খুবাইব (রাঃ) পবিত্র দেহ মাটিতে পড়ে যায়।

আমর ইচ্ছা করছিলেনঃ

লাশটি কাঁধে করে ফিরবেন,

কিন্তু মঞ্চ থেকে নেমে লাশের কোনো চিহ্ন পেলেন না।

কারণ কাফেররা খুবাইবের দেহকে আঘাতে আঘাতে খন্ড বিখন্ড

করে দেয় যার কারণে তিনি লাশটি কাঁধে নিতে পারলেন না।

খুবাইবের এ শিক্ষা থেকে

জামায়াতের নেতারাও আজ একই পরিক্ষায় উত্তীর্ন।

যার প্রমান শহীদ মোল্লা ভাই এবং প্রিয় কামরূজ্জামান ভাই।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকেও শহীদি মৃত্যু দান করূন।

___________আমীন-------------------------------------

বিষয়: বিবিধ

১০৭৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

336659
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:০১
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি ভালো লাগলো
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:২৯
278464
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
336667
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪১
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

জাযাকাল্লাহ..


“আমাকে যখন মুসলিম হবার কারণে হত্যা করা হচ্ছে-
তখন মৃত্যুকালে আমি যে যাতনাই ভোগ করি তাতে আমার কিছুই আসে যায় না"
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
278468
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ওয়ালাইকুম সালাম
আল্লাহ আপনাকে প্রতিদান দিক
336668
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
মুিনর লিখেছেন : আমাদের প্রেরণার উৎসই হল সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এবং যুগে যুগে নির্যাতিত মানুষগুলো। এ লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
১৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৬
278470
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
336704
১৮ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৯
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভয় বলেন আর আতংক বলেন এই দৃঢ় ঈমান ওয়ালারাই ফ্যাক্ট...আল্লাহ জ্বালিয়ে পুড়িয়েইত খাটি সোনা বাহির করবেন... ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
১৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:৫১
278487
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনার সাথে সহমত
আনপাকে অনেক ধন্যবাদ
336738
১৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
ইসলামী দুনিয়া লিখেছেন : একটা কথা বলি যদি্ও জামাত ভাইদের কষ্ট হবে। সেই খুবাইব রা:এর ঘটনা আর জামাত নেতাদের ঘটনা আসমান জমিন পার্থক্য।
১৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:০৩
278496
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : জানি সেই পার্থক্য
উনি ছিলেন সাহাবী আর জামায়াত হলো মুহাম্মদ (স) উম্মত
আরো জানী এরা চর্মনাই এমন লোকদেরকে ভাল বাসে না বাজে কথা বলার কারনে
যাই হউক আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File