শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি ফিরিয়ে নেয়া হয় ? ইতিহাসের পাতা থেকে নেয়া তথ্থ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫৭:৪৮ বিকাল
ঐতিহাসিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ ধরনের খেতাব অযৌক্তিক বলেই প্রমানিত হয়।
বঙ্গবন্ধু উপাধি এবং তার আজীজন ডাকসুর সদস্যপদও বাতিল করা হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই।
৩রা জানুষারী পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন আয়োজিত এক সভায় ইউনিয়নের নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ঘোষনা করেন , দরকার হলে রক্ত দেব তবুও সাম্রাজ্যবাদের লেজুড় সরকারকে উতখাত করে সমাজতন্ত্র কায়েম করবই।
ঐ সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় ছাত্র সংসদের ডাকসু সহ-সভাপতি সেলিম ডাকসুর আজীবন সদপদ থেকে শেখ মুজিবর রহমানকে বহিস্কারের কথা ঘোষনা করেন এবং সদস্যপদ বই থেকে সংশ্লিষ্ট পাতাটি জনসভায় ছিড়ে কুটি কুটি করে ফেলেন।
রাজনীতির পরিহাস ১৯৭২ সালের ৬ই মে এই ছাত্রনেতাই শেখ মুজিবর রহমানকে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ দেবার গেীরব অর্জন করেছিলেন।
জনাব সেলিম ডাকসুর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবর রহমানকে প্রদত্ত বঙ্গবন্ধু উপাধিও প্রত্যাহার করে সাবধান বানী উচ্ছারন করেন। সংবাদ টিভি ও বেতারে শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু উপাধি ব্যাবহার করা চলবেনা।
তিনি বাড়িতে অফিস-আদালতে ও দোকানে টানানো শেখ মুজিবর রহমানের ছবি নামিয়ে ফেলারও আহবান জানান।
একই দিনে বাংলাদেশ কম্যুনিষ্ট পার্টির নেতা মনি সং বলেন বর্তমান সরকার সম্পুর্ন অযোগ্য।
২রা জানুয়ারী শেখ মুজিবর রহমানের ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি এক বিবৃতিতে বলেন পুলিশী হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ আওয়ামী যুবলীগ ও বহু দেশপ্রেমিক গ্রুপ সহ জনগনের অনুভুতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছে।
সেই সময়টা কি আমাদের সামনে আবার ফিরে আসবে যখন দেখব যে শেখ মুজিবরের উত্তরসুরীর বাড়াবাড়ী ফলটা তার মুখের উপর জনগন নিক্ষেপ করবে।
শেখ মুজিবরের ছবিগুলি শেখ হাসিনার ছবিগুলি টাঙ্গানো থেকে নামিয়ে ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতো তবে মনে হয় দেশের ৮০ ভাগ লোক খুশি হতো যেমন টা ১৯৭৫র ১৫ই আগস্ট হয়েছিল।
বিষয়: বিবিধ
১২৫১ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
প্রমান দিয়েই বলতে পারবো। সুযোগ থাকলে পড়ে নিয়েন http://www.majordalim.com
মন্তব্য করতে লগইন করুন