Rose Good Luck একজন রোবট মানবের গল্প Rose Good Luck Music ৩০০ তম পোষ্ট Music

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৩৪:৪৭ সকাল



এ গল্প একজন মধ্যবয়স্কের।

এই আমার মত কেউ একজনের।

আমার কথাই ধরা যাক। যে জীবিকার প্রয়োজনে এখন ‘বিবাহিত ব্যাচেলর জীবনযাপন’ করছে। নিজের প্রতি আত্মসম্মানবোধ প্রবল থাকলে লিখতে হতো ‘জীবনযাপন করছেন’।

আত্মসম্মানবোধ আমার কতটুকু? এ কি পরিমাপযোগ্য?

সে অন্য প্রসঙ্গ।

ঘড়ির কাটার সাথে পাল্লা দিয়ে ‘কোয়ালিটি সময়গুলো’ আমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। উপভোগ করতে পারছি কি? সাপ্তাহিক জীবনচক্রের ১৬৮ ঘন্টার ১৩২ ঘন্টা পরিবার থেকে আলাদা একটি জগতে বসবাসের অনুভূতি কেমন?

বিচ্ছিন্ন... একেলা? আলাদা এক জগত?

অনেক কিছু থেকেও নাই অনুভূতিতে বিলীন কিছু প্রগলভ... অবাহ্নিত ১৩২ ঘন্টার মাঝে ডুবে আছি এই আমি।

এক মধ্যবয়স্ক রোবট মানব।

এখন অনুভূতিগুলো সব যেন গাছের পাতায় পাতায় ছুঁয়ে আছে। আর যেখান থেকে এর উৎপত্তি, সেই অদৃশ্য স্থানটি গাছের মগডাল থেকে মাটির বহু নীচে শেকড়ের সূচ-বিন্দুতে আসা যাওয়া করছে। থেকে থেকে 'ইলেক্ট্রিক ব্লু' বেদনাকে জাগিয়ে তোলা... সসীমের ভিতরে অসীমকে ধারণ করা... ক্ষুদ্র বীজের ক্রোশ বিস্তৃত বটবৃক্ষকে ডিসপ্লে করার এক চিরন্তন অতিমানবীয় কর্মকান্ডে ইর্ষনীয় নির্লিপ্ততায় ডুবে থাকা।

অতঃপর পেছনে ফিরে দেখা।

নস্টালজিক অতীত কষ্টকর বর্তমানকে ডিঙিয়ে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তাপূর্ণ ছানিপড়া দৃষ্টির ঝাপসা দৃশ্যপটকেও হাজির করাতে ব্যর্থ। অতীত নিয়ে পড়ে থাকা। কত কিছু মনে পড়ে! সাদা-কালো ফ্রেমে কিছু জীবন্ত রঙিন ছবি! বুকের গভীর থেকে বেরিয়ে আসা কিছু মায়াবী দীর্ঘশ্বাস, সোনালী সময়গুলোর প্রতিনিধি হয়ে উঠে।

সেই কবে কোন তন্দ্রালু মুহুর্তকে ঘিরে নেত্র চতুষ্ঠয়ের মিলনমেলা! দুরুদুরু বক্ষে অপার বেদনা জাগিয়ে ক্ষণিকের প্রগলভতায় নেই হবার অনুভূতি লাভ। সাময়িক বিচ্ছেদ... পুড়ে ক্ষয় হওয়া হৃদয়ের কার্ণিস... আর সেখানে ঝুলে থাকা ভালোবাসা- নিখাদ ভালোবাসা! একে একে সব মনের চোখে ভেসে বেড়ায়।

মনে পড়ে সবুজ ব্যান্ড মাথার সেই অষ্টাদশীর কথা!

আমার দ্বিতীয় জগত যাকে ঘিরে। যে হাজারো ভিড়ের ভিতরে দৃষ্টিকে সহস্র সূর্যের রশ্মিতে অন্ধ করে দিয়ে আলো জ্বেলেছিল। দীপ জ্বালানোর প্রত্যয় নিয়ে সাথে থাকার লিখিত এক অঙ্গীকারে আবদ্ধ হয়ে চেনা-অচেনার পুলসিরাত একসাথে পার হবে বলেছিল। সেই আলোর অমোঘ আকর্ষণে বারবার নিজেকে ধ্বংস করার এক মহোৎসবে মেতে উঠেছিলাম। এরই মাঝে সুসময়গুলো পংখীরাজে সওয়ার হয়ে রুক্ষ্ণ প্রান্তরকে পেরিয়ে এনে দেয় দুঃসময়! পরিচিত মুখগুলো অচেনা হয়ে উঠে... নাকি নিজেই অচেনা মুখ হয়ে আবির্ভূত হই পরিচিত চোখগুলোর সামনে?

মনে পড়ে... প্রথম স্পর্শ!... মরণের উপত্যকায় জীবনের স্বাদ লাভ! এরপর বারবার মরে যাওয়া... ডুবন্ত মানুষের খড়-কুটো আঁকড়ে ধরে তীব্র স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া নয়... সোনার শিকলে দৃঢ় ধাতব আলিঙ্গনে দমবন্ধ হয়ে খাবি খাওয়া।

এখন চলার পথে কখনো পুষ্প পড়ে থাকেনা। থাকলেও তাতে জীবনের রুপ-রস-গন্ধ পাওয়া যায় না। বর্ণহীন নির্জীবতাকে পায়ে দলে নিজেকে সামনে বাড়ানো। দৃষ্টিপথে ভাংগা ব্লেড, ক্লেদাক্ত কফ আর সুয়ারেজ লাইনের ডাইরেক্ট প্রবাহ। এগুলোকে এড়িয়ে যেতে যেতে শ্রান্তিতে দৃষ্টির অবনমন। এরই মাঝে রাত নামে... নতুন সূর্য উঠে... কিন্তু পথের শেষ আর হয় না। একই পথে বারংবার ফিরে আসা! জীবনের গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খাওয়া। কি, কেন,‌ কিভাবে, কোথায়- মুহুর্মুহু কিছু কোশ্চেন মার্ক অনুভূতির মগজে করাত চালায়। জীবনের ওয়ান ওয়ে ট্রাকে এখন দুর্বিষহ ট্রাফিক জ্যাম...ভ্যাপসা গরমে দমবন্ধ হওয়া... নাগরিক ঝাঁঝে দেহ-মন জ্বালা করা... আর এর থেকে মুক্তি পেতে চেয়ে চেতনায় দ্রুত ধাবমান কোনো দানব ট্রাকের সামনে দু'হাত মেলে দাঁড়ানো।

এতোটা ডিস্টারবড হয়েও কেউ বেঁচে থাকতে পারে?

দুই রাজকন্যা আমার তৃতীয় জগত। ওদের মাকে নিয়ে এক নিরবচ্ছিন্ন ‘বাবা বিহীন’ জগতের একচ্ছত্র অধিপতি যেন ওরা। তারবিহীন এক যন্ত্র থেকে কদাচিৎ ওদেরকে কাছে পাওয়া। দিনের বার ঘন্টা একটানা গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ থেকে আমার তৃতীয় জগতের এই দুই প্রিয় মুখকে সেভাবে সময় দিতে পারি না। এজন্য ওদের নিজেদের মত করেই ওরা বেড়ে উঠছে। বছরগুলো ঝরাপাতার মত এভাবেই বয়োঃপ্রাপ্ত হয়ে ঝরে যায়। তাই দুই কন্যার ঐ জগতটিতে আমি আপাতদৃষ্টে একজন ‘আউটসাইডার’ও বটে। সপ্তাহান্তে আমি বাসায় ফিরে আমার দুই জগতকে পাশে রেখেই কেমন এক অবসাদে এলিয়ে পড়ি। দিনভর অসহ্য অলসতায় ওদের মাঝে নিজেকে আর খুঁজে ফেরা হয়ে উঠে না। ওরাও এভাবে দেখে দেখে নিজেদের জগতকে সাজিয়ে নিয়েছে... নিজেদের মত। সেখানে আমি দৃশ্যমান কিন্তু ঝাপসা অবয়ব নিয়ে অতটা প্রকট হতে পারি না। আমার হৃদায়াকাশে আশাগুলো অর্ধেক কালো মেঘে ঢেকে থাকে।

সব আশার সর্বশেষ বিন্দুটা যখন বাঁকা হতে হতে দ্রুত কম্পমান ভঙ্গুরতার শতভাগ কাছে পৌঁছায়... অতীতের সেই সবুজ ব্যান্ড মাথার অষ্টাদশী 'ইলেক্ট্রিক ব্লু' চেতনাকে সরিয়ে সময়ের আঁধার ফুঁড়ে দীপ জ্বালাতে আবারো এগিয়ে আসে... নতুনভাবে! চেতনার বহ্নিশিখায় 'ক্রিসমাস রেড' কেঁপে উঠে পান্নার সবুজাভ তরল বর্ণময়তায়। যদিও সেই অষ্টাদশী ইতোমধ্যে পার করেছে আরো পঞ্চদশ বর্ষ।

সপ্তাহান্তে এক নির্জন পায়ে চলা পথের শেষ মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে সে আলোকবর্তিকা হয়ে। ক্লান্ত-বিধবস্ত আমি ভারী দেহটিকে টেনে নিয়ে সেই আলোর প্রতি পতঙ্গের অমোঘ আকর্ষণের মতো ছুটে চলি। তবে বাসায় ফিরে আসার সময়টুকুও এখন চরম এক বিড়ম্বনা এবং ভীতিকর অনুভূতি নিয়ে সামনে আসে। ভীতিকর হল যে কোন সময় চলার পথে পেট্রোল বোমায় ঝলসে যাবার নিশ্চয়তা। আর বিড়ম্বনা? সেতো আমাদের মত নিম্নবিত্তদের চলার পথের সাথী।

রাস্তায় বের হলে দুই ধরণের মানুষ দেখা যায়। একদল নিজের গাড়িতে চলাফেরা করে আর অন্যরা পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করে। প্রাইভেট কারের ভিতরে যারা থাকে তারা ট্রাফিক জ্যামের বিড়ম্বনাটুকু এসির ভিতরে বসে উপভোগ করা ছাড়া আর তেমন কিছু অনুভব করে কি? যত কষ্ট সব তো পাবলিক পরিবহনের যাত্রীদের। একটা রিক্সা নিয়ে হাইওয়ে দিয়ে যেতে থাকি।বাম-ডান দু'পাশ দিয়েই বাস-ট্রাক আর ম্যাক্সির ভীড়। যে যেভাবে পারছে ফাঁকা পেলেই নিজের গাড়িটি ঢুকিয়ে দিয়ে অলস বসে থাকছে। রিক্সাগুলো পথচারীদেরকে হঠাৎ চমকে দিয়ে বেল বাজিয়ে ফুটপাথের সংকীর্ণ যায়গাটুকুও দখল করে নিচ্ছে। পথচারি এরা সবাই পোশাক শ্রমিক। সারাদিনের পরিশ্রান্ত দেহটিকে একটু আরাম দেবার জন্য হাতে হটপট নিয়ে বাসায় ফিরছে। আমার খুব ভালো লাগে এই বাড়ি ফেরা মানুষগুলোকে দেখতে।

একটা ব্যাংকের সামনে রিক্সা থামে। অনেকগুলো ফলের দোকান অবৈধভাবে চলাচলের পথে গড়ে উঠেছে। সেখান থেকে পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের পাতি নেতারা টাকা খায়। এরা খায় না কি তা-ই ভাবি আমি। পাঁচ বছর ক্ষমতায় আসে সবাই। তাই যত পারে খেয়ে নিতে চায়। সপ্তাহের শেষ দিনে বাড়ি ফেরা মানুষের ভীড়টা অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু বেশী-ই থাকে। বাসের ছাদে মানুষ, ভীতরে বাদুড় ঝোলা হয়ে ঝুলছে। তারপরও সবাই উঠতে চায়। গেটে কয়েকজন ঝুলে ঝুলে চলছে। একটা ইঞ্জিন চালিত অটো এসে থামতেই মিছিল করে সবাই কে কার আগে উঠবে সেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। আমি অপেক্ষা করতে থাকি একটু অপেক্ষাকৃত কম ভীড়ওয়ালা বাহনের।

অবশেষে একটা ম্যাক্সীর সামনে ড্রাইভারের পাশে একজনের যায়গায় দুজন বসে রওয়ানা হই। চাপাচাপি এবং দুর্ঘটনার শিকার হলে একেবারে নেই হয়ে যাবার শঙ্কাকে বুকে নিয়ে পথ চলা। এক ধরণের থ্রীলও অনুভব করি। তবে ড্রাইভার ব্যাটার বকবকানি কানকে এবং তার ধরানো সিগ্রেটের ধোয়া পরোক্ষভাবে ফুসফুসকে ঝালাপালা করে দেয়। কিন্তু কিছুই করার নেই। যে দেশে আইন হলেও বিধিমালার অভাবে আইন এক্সিকিউট হয়না, সেখানে এইটুকু নাগরিক টর্চার তো সহ্য করতেই হয়।

ম্যাক্সী থেকে নেমে কিছুটা হাঁটতে হয়। এসময় তলপেটে চাপ অনুভব করি। কিন্তু রাস্তার পাশে তো আর ভারমুক্ত হওয়া যায় না। তাই মনের দুঃখ মনেই চেপে রেখে পরবর্তী রুটের বাহনের খোঁজে রাস্তায় ভীড় করা 'পাবলিকে'র সাথে মিশে অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকি।

এভাবে আরো দুবার বাহন পরিবর্তন... সেই একই বিড়ম্বনা... প্রচন্ড ভীড়ে মানুষের ঘামের দুর্গন্ধে শরীর গুলিয়ে ওঠা... বিড়ি-সিগ্রেটের ধোঁয়ায় জ্বালা করা চোখের রক্তবর্ণ লাভ ... স্বল্প পরিসর যায়গায় কোনো যুবতীর পাশে বসে তার শরীরের সাথে লেপ্টে থেকে ওর অসহায়ত্বটুকু অনুভব করে ম্রিয়মান হওয়া... আর অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়া নিয়ে যাত্রী এবং কন্ডাক্টরের ভিতরের বচসা শুনে ক্লান্ত হতে হতে একসময় নিজের বাড়ির পথের প্রান্তসীমায় পৌঁছানো। নিজের অজান্তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস বেরিয়ে আসা। এ যেন প্রচন্ড একটা উত্তেজনামুখর স্টেডিয়ামের ভিতর থেকে বের হয়ে একটি সাউন্ডপ্রুফ রুমে প্রবেশ করা।

দেড় ঘন্টার পথ পৌনে তিনঘণ্টায় অতিক্রম করাতে বাড়ির রাস্তাটি একদম নীরব... স্তব্ধ... কোথায়ও কেউ নেই। রাস্তার কুকুরগুলোকেও দেখা যায়না। দুপাশে গাছ নিয়ে অন্ধকারে একটা সোজা রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে আমি বাড়ির পরিচিত রাস্তাটিতে এসে পৌছাই। এমন সময় মোবাইল বেজে উঠে। যে মেয়েটি সপ্তাহ ধরে আমার জন্য আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছে সে খুব মোলায়ে স্বরে জানতে চায়, 'তুমি কোথায়?' এতোক্ষনের জ্বালা-যন্ত্রণা টেনশন-হতাশা মুহুর্তেই উধাও হয়ে সেখানে আসন্ন এক ভালোলাগার সুখানুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে ওঠে মন। হাঁটার গতি কিছুটা বেড়ে যায়। অন্ধকারে মিশে থাকা গাছগুলোকে এতোক্ষণ অশরিরী'র মতো মনে হচ্ছিল। এখন ওদেরকে কত চেনা পরম বন্ধু মনে হয়। ওরাও পথের দুপাশে পরম হিতৈষীর মতো ডাল নুইয়ে পাতা দুলিয়ে স্নেহের পরশ বইয়ে দিয়ে যায়। তাতে আমার হৃদয়মন দুই-ই শান্ত হয়।

লাইফ ইজ বিউটিফুল! আদতেই কি আমার জীবন এমন?

হাজার বছর ধরে পথ চলেছি যেন!

একজন বনলতা সেন হয়ে সে আমাকে রিসিভ করে পরম উষ্ণতায়! একজন ডিজিটাল বনলতা সেন হয়েও আটপৌরে বসনে পল্লীর নির্জন এক রাস্তায় আমার ক্লান্তিকে ভালবাসার শীতল জলে সে ধুয়ে দিতে চায়। হৃদয়ের গহীন কোনো এক কোণ থেকে একটা প্রচন্ড চীৎকার আমার ঠোঁটে এসে থেমে যায়... 'আমি আর পারছি না... বেঁচে থাকাটা অনেক কষ্টের এখন... আমি মুক্তি চাই'- কথাগুলো চীৎকারে রূপ নিতে চেয়েও না পেরে দু'ফোটা চোখের জল হয়ে গড়িয়ে পড়তে উদ্যত হয়। শেষ মুহুর্তে সেই উষ্ণজল আমার বনলতা সেনের করতলে আশ্রয় পায়। পরম মমতায় আমার হাত ধরে আমাকে সে জীবনের দিকে টেনে নিয়ে যায়!

লম্বা সেই আলো-আঁধারির রাস্তায় আমাদের দু'জনের একত্রীত ছায়া ক্রমেই দীর্ঘতর হয়ে উঠে। ফেলে আসা দীর্ঘশ্বাসগুলো পাক খেতে খেতে অনেক উঁচুতে উঠে যায়। আশার নিঃশ্বাসগুলো যে নীচের অংশটাকে ঘিরে রেখেছে। মৃত্যুও বোধকরি সহসা সেই লক্ষণ রেখা পার হতে চাইবে না।

একা একা কি পথ হাঁটা যায়?

সেখানে সবুজ ব্যান্ড মাথার একজন অষ্টাদশীর বড্ড প্রয়োজন!!

আমি আমার নিজের জগতে বসে আমার অষ্টাদশীর জগতে বিচরণ করি... কল্পনায়-অনুভবে! সবুজ ব্যান্ড মাথার একজনকে কেন্দ্র করে আমার নিউরণে বেজে চলে কিছু শাব্দিক কাব্যময় অনুভূতি... ...

I’ve been alone

With you inside my mind

And in my dreams

I’ve kissed your lips a thousand times

I sometimes see you pass outside my door

Hello, is it me you’re looking for?

I can see it in your eyes

I can see it in your smile

You’re all I’ve ever wanted

And my arms are open wide

Cause you know just what to say

And you know just what to do

And I want to tell you so much

I love you…

হ্যা! ভালবাসাই অবশিষ্ট এখন আমার।

কানায় কানায় পূর্ণ হয়েই বেঁচে আছি। আর কিছুই নেই। আমার জগতে বিচ্ছিন্ন এই আমি।

একজন মধ্যবয়স্ক রোবট মানব।।

[Lionel Richie’র কালজয়ী গান ‘Hello’ ]

Star Star Star Star Star Star Star

Good Luck এই ব্লগে অনেকগুলো দিন কাটিয়ে দিলাম। আজ ৩০০ তম পোষ্ট হয়ে গেল আমার। লেখার ধার কমে গেছে এখন। আগের মত লিখতে পারি না। পাঠকেরও স্বতস্ফুর্ত বিচরণ দেখিনা আমার ব্লগ বাড়িতে। তাই নিজেই নিজের লেখায় নিজেকে অভিনন্দন জানালাম। আমার নিজেকে নিয়ে ছিল এই লেখাটি। ছবিটাও আমার। আমার রোবটিক জীবনের এই আমি এভাবেই সময় পার করছি। অনেক ঝামেলা মনে হচ্ছে এখন লেখালেখির জীবন। নিজের করে নিজেকে নিজের ছায়ায় আড়াল করে রাখা হলনা এই ব্লগগুলোতে আমার বিচরণের কারণে। ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে আনা শুরু করেছি। অনেক লিখলাম। এবার বিশ্রাম নিতে হবে। সকল ব্লগার ও পাঠক ভালো থাকুন। সবার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। Good Luck

বিষয়: সাহিত্য

১৩৫৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

305158
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:৩০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪০
246884
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।Good Luck Good Luck
305167
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
কাহাফ লিখেছেন :
অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা শ্রদ্ধেয় মামুন ভাই!
অল্প দিনেই বিশালতা নিয়েই উপস্হিত হলেন!
অভিনন্দন অভিনন্দন ও অভিনন্দন!!!
তৃতীয় জীবনের মিষ্টি ছবির প্রত্যাশা ছিল!!
Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:৪১
246885
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও সব সময় প্রতিটি পোষ্টে সাথে থেকে অনুভূতি জানিয়ে যাবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা প্রিয় কাহাফ ভাই। ভালো থাকুন সবসময়।
জাজাকাল্লাহু খাইর।Good Luck Good Luck
305183
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০০
আবু জান্নাত লিখেছেন : "পাঠকেরও স্বতস্ফুর্ত বিচরণ দেখিনা আমার ব্লগ বাড়িতে।"
আমার মনে হয় রাজনীতির উত্তপ্ত পরিবেশে পাঠকগণ আজ বড়ই ক্লান্ত, নিউজ পড়তে পড়তে ব্লগে আসার সময়ই পাইনা, লিখতে থাকুন হতাশ হবেন না। ধন্যবাদ ভাই।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:২৫
246895
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহ দেবার জন্য।
আপনার ভাবনাটা অমূলক নয়। আসলেই সবাই বড্ড অস্থির সময় পার করছে।
ভালো থাকুন আপনি। শুভেচ্ছা রইলো।Good Luck Good Luck
305192
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:১৭
আফরা লিখেছেন : অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা ভাইয়া । ব্লগটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে দিন দিন ।

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:২৭
246896
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ আফরা। সবই হয়তো সময়ের প্রয়োজনে হচ্ছে। ধন্যবাদ অনুভূতি রেখে যাবার জন্য।Good Luck Good Luck
305199
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
বাকপ্রবাস লিখেছেন : মামুন ভাই সালাম নেবেন (আসসালামুআলাইকুম) অপিসে আছি তাই ভাসা ভাসা পড়লাম, আবার পড়েতে হবে। আপনার লিখার ধরনটা ইর্শনিয় রোবটিক, আমরা একটা ছোট্র ছড়া লিখতে রাত পার করে ফেলি আপনে সেই সময় গল্ফ শেষ করে দেন, এমন প্রচুর লিখা আর লিখার উপকরণ আপনার আছে বা থাকে। আমিও রোবটিক হবার দরুুণ কমেন্ট বা পড়ার সময় করে উঠতে পারিনা, তবে কাউকে কাউকে আমি টু মাচ শ্রদ্ধা করি, তেমন কথাবার্তা হয়তো হয়না তবে খুব আপন করে দেখি, কিছু কিছু ব্যাপার বা বিষয় আছে কাছে না থাকাটায় যেন ভাল, তাই আমি অনেক প্রিয় মানুষকে এভয়েড করে চলি, মনের যে মনিকোঠায় রাখা থাকে বা আছে সেখানে একটা জগত বানিয়ে ইচ্ছেমতন ভেবে নিই, আপনাকে আমার সেই ধাচে রেখে চিন্তা করতে ভাললাগে
আম যানিনা আপনি ব্লগ থেকে দূরে সরে যাবার চিন্তা করছেন কিনা, আমি যানিনা নদীর স্রোতে ভাসমান কোন খড়কুটার মতো ক্রমশ দূরে সরে যাবেন কিনা, তবে আপনাকে অনেক মিস করব তেমনটা হলে, তবুও আমার আকাশে আপনি একটা তারকা, সেটা খুব বেশী জলুক আর কম জলুক, মিটি মিটি করুক আর শান্ত থাকুক, আপনাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা আর ধন্যবাদ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩১
246897
মামুন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম গুরু!
এই অতিরিক্ত উপকরণ থাকাতেই আমি আমার নিরবচ্ছিন্ন পারিবারিক জীবনকে উপভোগ করতে পারছিনা। আপনিও একজন ব্লগার, একজন লেখক। নিজের মাথায় প্লট এলে তাঁকে অক্ষরে রূপ না দেয়া পর্যন্ত স্বস্তি যে আসেনা ভালোই বোঝেন।
আমি আপাতত কিছুদিন স্রেফ বিশ্রাম নিতে চাচ্ছি। টুডে ব্লগের দ্বারা আমি ব্লগ সেটা চিনেছি, একটা নতুন প্ল্যাটফর্মে পা রাখতে পেরেছি। আমি আছি সবসময়েই।
আপনার সুন্দর অনুভূতি আমাকে অনেক ভালোলাগায় সিক্ত করেছে।
ভালো থাকুন আপনিও সবসময়। একদিন ইনশা আল্লাহ আমাদের দেখা হবে।Good Luck Good Luck
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
246910
বাকপ্রবাস লিখেছেন : হুম একটু রেষ্ট নেন, আমিও এমনটা করি, ডুব মেরে আসিGood Luck Good Luck
305201
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় সুহৃদ মামুন ভাইয়া। আপনার তিনশত পোষ্টে অনেক অনেক অভিনন্দন। অনেক সুন্দর অনুভূতি। বারাকাল্লাহু ফিক।
ভালো থাকবেন খুব ভালো সবসময়। দোয়া রইলো।
Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer Cheer Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck Good Luck
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:৩২
246898
মামুন লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম আপুজি!
অসাধারণ অনুভূতি রেখে গেলেন! আমি বিমুগ্ধ হলাম। অনেক অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।Good Luck Good Luck
305247
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : মানুষ পরিবার এর জন্য পরিশ্রম করতে গিয়ে রোবট হয়ে যায় যেখানে তার পরিবার এর কাছে আর কোন মুল্য থাকেনা।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০৮
246936
মামুন লিখেছেন : খুব সুন্দর করে বলেছেন সবুজ ভাই। অনেক ধন্যবাদ।
শুভ রাত্রি।Good Luck Good Luck
305252
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৩৫
এবেলা ওবেলা লিখেছেন : ভাই আপনাকে স্যলুট আপনার সময় কে ধার দিয়ে এই ব্লগটাকে জীবন্ত রেখে আমার মত খুদে পাঠক কে এই ব্লগের প্রতিদিন একবার হলেও চোখ বুলানোর দৃষ্টি গোচর করার জন্য-- প্লিজ আপনার কলম থামাবেন না -- এই কামনা থাকল--
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:১০
246937
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমার গুরুজী বাকপ্রবাস ভাইয়ের কথামত একটু ডুব মেরে বিশ্রাম নিয়ে আসি। এরপর নবউদ্যমে আবারো !
সাথে থাকার জন্য অনেক শুভেচ্ছা। ভালোলাগা নিরন্তর।Good Luck Good Luck
305457
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৭
মোস্তফা সোহলে লিখেছেন : ভাইয়া এসব কি কথা?
লিখবেন অবশ্যই,
আপনি হয়তো জানেন না কেউ কেউ হয়তো আপনার সুন্দর লেখার অপেক্ষায় থাকে।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:২৯
247243
মামুন লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ তোমায়। সুন্দর অনুভূতি রেখে গেলে, অনেক ভালো লাগা ভাই।
শুভ সন্ধ্যা।Good Luck Good Luck
১০
305468
২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০১
প্রবাসী মজুমদার লিখেছেন : পড়ে অনেক কিছু জানা হল। আপনার জীবন, অনুভূতি, বিবাহিত ব্যচেলর, সন্তানদের নিয়ে কথা ইত্যাদি। ভাল লাগল। এজন্যইতো ভাবি, এ মানুষটি নিয়মিত লিখার এত সময় কোথায় পায়। আজ বুঝলাম। ধন্যবাদ।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৮:৩২
247246
মামুন লিখেছেন : সাথে থেকে সময় নিয়ে পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও এখন অনিয়মিত। আগের অনেকেই এখন আসছেন না। এরপর ব্লগে সহজে ঢোকা যায় না (আমি এই পোষ্টের পর আজ সহজে ঢুকতে পারলাম। বুঝলাম না, শুধু আমিওই কি এরকম সমস্যা ফেস করছি, না অন্যরাও।
আপনাকে সুন্দর অনুভূতি রেখে যাবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়।Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File