প্রবাসী জীবন, মা তোমায় মনে পড়ে। পর্ব-২
লিখেছেন লিখেছেন আবু জান্নাত ১৬ জুন, ২০১৪, ১১:০৬:৫৬ রাত
টিকিটের জন্য কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি দেখা হলো, অবশেষে ফেনী হাই ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল থেকে টিকিট নিলাম ২০,০০০. বিশ হাজার টাকায়, ফ্লাইট তারিখ ছিল ১৫/০৭/২০১১, ফ্লাইটের ৪/৫ দিন আগে ঢাকা যাব ফিঙ্গার দেওয়ার জন্য, কিন্তু বিদেশে থেকে বলা হলো, আমার স্পন্সর মিসরী, আমি আসার পর সে নিজ দেশে যাবে, তাড়াতাড়ি আসতে হবে, দোকান আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবে ১ মাসের জন্য, এখন কি করা ? এদিকে ফিঙ্গারও দেওয়া হয়নি। ট্রাভেলস এ যোগাযোগ করলাম, তারা আশ্বস্ত করল ফিঙ্গার ছাড়াও যাওয়া যাবে, তবে মামু লাগবে। অতঃপর দেন-দরবার, বিশ হাজার টাকার টিকিট + মামু ২৭,০০০ সাতাইশ হাজার, মোট ৪৭,০০০ সাতচল্লিশ টাকা নগদে বুঝে নিল। তারিখ ঠিক করল ১০/০৭/২০১১। মাত্র পাঁচ দিন এগিয়ে আনা এবং ফিঙ্গার না করে বিমানবন্দর ক্রস করার জন্য ২৭,০০০ টাকা মামুদের দেওয়া হলো। ব্যস সময় মত ফ্লাইটে উঠলাম, উঠে দেখি একি? অর্ধ উলঙ্গ মহিলার চলাফেরা বিমানের ভিতরে। মনে অনেক ভয় হলো আল্লাহ তা'য়ালা যদি এদের উলঙ্গ হওয়ার কারণে আকাশে আমাদের ফ্লাইটটি ধ্বংস করে দেন। মনে মনে অনেক ইস্তেগফার করলাম, পাশের ভাইকে বললাম ভাই! এদের কাছে লজ্জা শরম নাই? উনি উত্তর দিলেন এদের চাকরিই এটা। বললাম কি চাকরি ? বললেন এরা এয়ার ক্রু (বিমান বালা) যাত্রীদের খাদেমা। দেশে থাকতে মাদরাসায়া লিখা পড়া অতঃপর মাদরাসা মক্তব মসজিদের দায়িত্য পালনে প্রায় ৫ বছর কাটালাম, এমন দৃশ্য এই প্রথম।
জিবনে প্রথম দেখা আমার, চাকরির জন্য অর্ধ উলঙ্গ হতে হয়। ফ্লাইট ছাড়ল, চার ঘন্টা পর ফ্লাইট অবতরণ করল রাস-আল-খাইমা এয়ারপোর্টে। পথে পথে নাস্তা ও খাবারের আয়োজন হলো, মাঝে মাঝে হারাম পানীয় বিক্রি করতে দেখলাম এক মহিলাকে। অবাক হয়ে গেলাম, কারণ যাচ্ছি আরব দেশে, দেখার ইচ্ছা অনেক কিছু, আরবদের জীবন যাপন, চলাফেরা, সামাজিক রিতিনীতি ইত্যদি। মনকে বুঝ দিতে লাগলাম এগুলো ওদের আয়ত্বের বাহিরে।
রাস-আল-খাইমা এয়ারপোর্ট থেকে বের হলাম ও আল্লাহ একি ? মুখমন্ডল যেন পুড়ে যাচ্ছে, সাথী ভাই বলল নতুন এমনই লাগে, তাছাড়া জুলাই মাসতো, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে, যাই হোক একটি ট্যাক্সি নিয়ে রাজধানী আবুধাবী ও আমার কর্মস্থল শহরে আসলাম প্রায় ৩ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে।
(চলবে)টিকিটের জন্য কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সি দেখা হলো, অবশেষে ফেনী হাই ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল থেকে টিকিট নিলাম ২০,০০০. বিশ হাজার টাকায়, ফ্লাইট তারিখ ছিল ১৫/০৭/২০১১, ফ্লাইটের ৪/৫ দিন আগে ঢাকা যাব ফিঙ্গার দেওয়ার জন্য, কিন্তু বিদেশে থেকে বলা হলো, আমার স্পন্সর মিসরী, আমি আসার পর সে নিজ দেশে যাবে, তাড়াতাড়ি আসতে হবে, দোকান আমাকে বুঝিয়ে দিয়ে যাবে ১ মাসের জন্য, এখন কি করা ? এদিকে ফিঙ্গারও দেওয়া হয়নি। ট্রাভেলস এ যোগাযোগ করলাম, তারা আশ্বস্ত করল ফিঙ্গার ছাড়াও যাওয়া যাবে, তবে মামু লাগবে। অতঃপর দেন-দরবার, বিশ হাজার টাকার টিকিট + মামু ২৭,০০০ সাতাইশ হাজার, মোট ৪৭,০০০ সাতচল্লিশ টাকা নগদে বুঝে নিল। তারিখ ঠিক করল ১০/০৭/২০১১। মাত্র পাঁচ দিন এগিয়ে আনা এবং ফিঙ্গার না করে বিমানবন্দর ক্রস করার জন্য ২৭,০০০ টাকা মামুদের দেওয়া হলো। ব্যস সময় মত ফ্লাইটে উঠলাম, উঠে দেখি একি? অর্ধ উলঙ্গ মহিলার চলাফেরা বিমানের ভিতরে। মনে অনেক ভয় হলো আল্লাহ তা'য়ালা যদি এদের উলঙ্গ হওয়ার কারণে আকাশে আমাদের ফ্লাইটটি ধ্বংস করে দেন। মনে মনে অনেক ইস্তেগফার করলাম, পাশের ভাইকে বললাম ভাই! এদের কাছে লজ্জা শরম নাই? উনি উত্তর দিলেন এদের চাকরিই এটা। বললাম কি চাকরি ? বললেন এরা এয়ার ক্রু (বিমান বালা) যাত্রীদের খাদেমা। দেশে থাকতে মাদরাসায়া লিখা পড়া অতঃপর মাদরাসা মক্তব মসজিদের দায়িত্য পালনে প্রায় ৫ বছর কাটালাম, এমন দৃশ্য এই প্রথম।
জিবনে প্রথম দেখা আমার, চাকরির জন্য অর্ধ উলঙ্গ হতে হয়। ফ্লাইট ছাড়ল, চার ঘন্টা পর ফ্লাইট অবতরণ করল রাস-আল-খাইমা এয়ারপোর্টে। পথে পথে নাস্তা ও খাবারের আয়োজন হলো, মাঝে মাঝে হারাম পানীয় বিক্রি করতে দেখলাম এক মহিলাকে। অবাক হয়ে গেলাম, কারণ যাচ্ছি আরব দেশে, দেখার ইচ্ছা অনেক কিছু, আরবদের জীবন যাপন, চলাফেরা, সামাজিক রিতিনীতি ইত্যদি। মনকে বুঝ দিতে লাগলাম এগুলো ওদের আয়ত্বের বাহিরে।
রাস-আল-খাইমা এয়ারপোর্ট থেকে বের হলাম ও আল্লাহ একি ? মুখমন্ডল যেন পুড়ে যাচ্ছে, সাথী ভাই বলল নতুন এমনই লাগে, তাছাড়া জুলাই মাসতো, আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে, যাই হোক একটি ট্যাক্সি নিয়ে রাজধানী আবুধাবী ও আমার কর্মস্থল শহরে আসলাম প্রায় ৩ ঘন্টা সময়ের ব্যবধানে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন