অদ্ভূত কিন্তু ভূত নই, আমি মানুষই বটে
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:৩৫:৩৩ সকাল
আমার ঘরে আসবাবপত্র হিসেবে যা লাগবে বা যা আমার জন্য যথেষ্ঠ-
একটা পাটি, শীতের জন্য ভারী কাথা, দুই একটা বালিশ, জামা কাপড় রাখার জন্য আলনা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখতে ট্রাংক, পানির জন্য কলসী মগ, খাওয়ার জন্য মাটির বাসন, ভাত তরকারির জন্য দুইচারটা পাতিল, দরজা জানালায় পর্দা, গরমে ফ্যান অথবা তালপাতার হাত পাখা.
আমার সুখ এমন সাদামাটা জীবনেই.
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৩ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আবূ উমামাহ ইয়াস ইবনে সা‘লাবাহ আনসারী হারেসী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগণ তাঁর নিকট দুনিয়ার কথা আলোচনা করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা কি শুনতে পাও না? তোমরা কি শুনতে পাও না? আড়ম্বরহীনতা ঈমানের অঙ্গ। আড়ম্বরহীনতা ঈমানের অঙ্গ।’’ অর্থাৎ বিলাসহীনতা। (আবূ দাউদ)
চলার জন্য আমাদের অনেক কিছুই দরকার, কিন্তু সমস্ত মনোযোগ যখন দরকারগুলোতেই নিবদ্ধ হয়ে যায়, তখন আল্লাহ্ ভীতি, রাসূলের আনুগত্যের জায়গাটা শিথিল হওয়া অস্বাভাবিক নয়, বরং এমনটাই হয়ে থাকে। আমার মাঝে সেই ভয়টাই কাজ করে।
জাযাকাল্লাহু খাইর।
অল্পতে তুষ্ট থাকা অনেক বিশাল ব্যাপার। এদের জন্যে আখিরাতে মহা পুরষ্কার। এর মানে তারা সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট।....কিন্তু সমস্যা হল এই বেশভূষায় বৌ পাওয়া কষ্টকর.....তারা হুজুর পাত্র পছন্দ করেনা কিন্তু স্বামীর চরিত্র হুজুরের মত আশা করে,তারা আলী(রাঃ)এর উদাহরন টানবে কিন্তু আলীর(রাঃ)আর্থিক অবস্থাটা পছন্দ করবে না
আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করব, এমন অবস্থায় যেন পড়তে না হয়, মানুষের কাছে অসহায় অবস্থায় হাত পাততে হবে। বরং আমি চাই, আমি যেন নিজে কমে খেয়ে কম্পড়ে অসহায় মানুষকে আমার থেকে দান করতে পারি।
আমি দুনিয়ার সম্পদ চাইবো, আমার জন্যো নয় বরং আমার আপনজন, আত্মীয় সজন, এবং সর্বোপরি সব মানুষের জন্য।
বিয়ে জীবনের অপরিহার্য বিষয়, কিন্তু বিয়ের মাধ্যমে যে স্ত্রী ঘরে আসবে, তাঁর অতি চাই চাই খাই খাই এর জন্য যদি আমার মাঝে থেকে স্মরণ কমে যায়, তবে আমি মনে করিনা পাত্রীর পাওয়ার অভাবে আমার অবস্থা সঙ্গীন হয়ে যাবে।
আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া।
তবে ছোট কালে এক তাবলীগের বাসায় গিয়েছিলাম তাদের বাসায় কোন ফার্নিচার ছিল সবাই মাদুর পেতে বসে তালিম নিচ্ছে , তবে মাথার উপর ফ্যান ঘুড়ছে ।
এক গ্লাস পানি খেতে চেয়েছিলাম ভদ্র মহিলা আমাকে একটা বাটিতে পানি দিয়েছিল ।
আন্টি আমি বাটিতে পানি খাব না গ্লাসে দেন ।
মা , আমার বাসায় গ্লাস নেই ,
কেন!!!! আমার নবীজী তো গ্লাসে পানি খান নাই তাই আমরা ও খাই না ।
ইয়া আল্লাহ !! আন্টি নবীজী তো ফ্যানের বাতাস খান নাই তাহলে আপনারা সবাই কেন ফ্যানের নীচে বসে আছেন !!
ছোট্ট কাল থেকেই ঠোঁট কাটাছিলাম !!
সাধারন জীবন যাপন করাতে পারলে ভাল তে সৎ থেকে সৎ উপার্জন করে যদি বিলাশ-বহুল জীবন যাপন করেন সেটা আরো ভাল ।
বিলাশ-বহুল জীবন যাপনের জন্য যেন আমারা যেন অসৎ পথ অবলম্বন না করি ।
আমাদের উপার্জন হালাল না হলে আমাদের কোন ইবাদতই কবুল হবে না আল্লাহর দরবারে ।
হ্যাঁ, আমি ঘুমিয়েছি অনেক পাটিতে। এই ঢাকার শহরেও মেচে বাসায়। খাট থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন শুয়েছি খালি ফ্লোরের উপর, কাথা ছাড়াই। যদিও তাতে মহৎ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না, বলতে পারেন অভ্যস্ততা।
আপনি যে তাবলীগের প্রসঙ্গ এনেছে, এটা একান্তই উনাদের ব্যাপার। আমি এতে মন্তব্যো করবোনা।
আমার বিষয়টা ঠিক ঐরকম নয়, কেননা যুগের কল্যাণে যা কিছু আসছে আমার সামনে, আমি সবই ব্যবহার করি, যদি না তা হারাম কিছু হয়।
আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছি, আজকে একটা ঘরে আসবাব পত্র, ফার্নিসারের জন্যই লক্ষ্য লক্ষ টাকা চলে যায়, এটা কি নিতান্তই প্রয়োজন নাকি বিলাসীতা? নাকি কথিত সামাজিক স্ট্যাটাসের সাথে তাল মিলিয়ে চলা? এই টাকার কিয়দংশ দিয়ে একজন গরীব মানুষের বছরের খোরাক চলে যাবে। এটাই! আমার বেশি বেশি চাই চাই, খাই খাই যখন গরীব মানুষের দুখ দুর্দশার কথা ভুলিয়ে দেয়, তাহলে তো সর্বনাশ!
আমি রাত দিন খেটে অনেক উপার্জন করব, কিন্তু নিজের প্রয়োজন মত রেখে বাকিটুকু বিলিয়ে দেব। এমনটাই কি হওয়া উচিৎ নয়? তাহলে তো আল্লাহ্ অনেক খুশি হবে।
বিলাশ-বহুল জীবন যাপনের জন্য যেন আমারা যেন অসৎ পথ অবলম্বন না করি ।
আশংকাটা এখানেই পনি!
আপনাকে ধন্যোবাদ না দিয়ে খুব পারতেছি!!!! কিন্তু জাযাকাল্লাহু খাইর।
আমি এখনো সংসার বাঁধিনি!
সুতরাং আরও একটু ভারি কিছু চিন্তায় রাখা উচিত হবে বলে মনে হয়।
বিঃদ্রঃ অনেক দিন পর ব্লগে লগইন করিলাম!!
তাকে সুখী করতে গিয়েই তো হালাল হারাম আবদারের কোনো করিনা! তাকে খুশি করা আমার দরকার, কিন্তু তাঁর চেয়ে বেশি দরকার আল্লাহ্কে। মাথায় রাইখেন কিন্তু।
আমি যা বলেছি, তা আমার মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। তাঁর শতভাগ প্রয়োগ করবই, এমন কিন্তু নয়।
একদিকে গেলে যদি আরেক দিক ভুলে যান, তাহলে কেমনে হবে ভাই। একটু ব্যালেন্স তো করতে হবে নাকি!
সাদামাটা জীবন আমার পছন্দ, কিন্তু আমার পরিবারের উপর আমার পছন্দ চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতি নই।
আজ আমরা প্রয়োজনের অজুহাত দেখিয়ে যেভাবে সাজ সজ্জা, ডেকোরেশনের পেছনে ব্যয় করছি!!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন