নিশ্চুপ ক্রন্দন
লিখেছেন লিখেছেন গাজী সালাউদ্দিন ১৭ মে, ২০১৫, ০৭:০৬:৪৫ সন্ধ্যা
‘আমি সুখী পুরুষ’, বন্ধুরা তাই বলে। তারা শুধু দেখে আমার হাসিমাখা মুখখানি, দেখে না নীরবে গোমড়ে মরা স্তূপীকৃত বেদনারাশি, যারা অবিরত করে যায় নিশ্চুপ ক্রন্দন। নিজের সম্পর্কে লিখতে বরাবরই অস্বস্তি বোধ হয়, তবুও লিখছি, লিখতে হচ্ছে, কারণ বোন আমার পাগল, কোলের শিশুকে দূরে ছুঁড়ে মারে! ছোট বোনের সন্তান হয় না বলে সুখের ঘরে দুঃখের আগুন নিরবধি জ্বলছে, আমার ভেরিফিকেইইশন আর বাবাকে ধরতে দুই তিন গাড়ি পুলিশের বাড়িতে উপস্থিতি, দুলাভাইয়ের কোমর ভেঙ্গে যাওয়া, জ্যাঠাতো বোনের অন্ধত্ব বরণের পরেও কিভাবে আত্মকথন চেপে রাখি? সহানুভূতি পাওয়ার জন্য নয়, দোয়া চাওয়ার উদ্দেশ্যেই আজকের লেখা।
চলতে ফিরতে কত শত পাগল দেখে থমকে দাঁড়িয়েছি, তাদের ব্যথায় ব্যথিত হয়েছি, ভাবনায় বুদ হয়ে প্রভূর দরবারে শোকরিয়া জ্ঞাপন করেছি, তিনি আমাকে অন্তত পাগল বানান নি! উলঙ্গ, অর্ধ উলঙ্গ পাগল দেখে চোখ বন্ধ করেছি, এড়িয়ে গেছি। আজ নিজের বোন যখন পাগলামি করছে, কেমন করে চোখ বন্ধ করি, এড়িয়ে যাই? ভাবতে পারছি না, কষ্টগুলো দুমরে মুচড়ে ওঠে! পাশের বাড়ির নানী এসেছেন আমার মাকে সান্ত্বনা দিতে, তিনিও আরেক দুঃখী, তাঁর মেয়ে অনেক বছর ধরেই পাগল, এখন নাকি গায়ে একদম কাপড় রাখে না! ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে!
এক সময় তার চেহারা এতো সুশ্রী ছিল, একবার তাকালে চোখ ফেরানো দায় ছিল, চেয়েই থাকতে ইচ্ছে হতো, গর্বে বুক ফুলে উঠত, এমন সুন্দর রূপসী বোনের ভাই আমি! আজ তাকালে চোখের কোণে ধেয়ে আসা অশ্রুর বান নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, এ যে শুকিয়ে হাড্ডিসার এক কঙ্কাল যেনো! সবাই তখন মাথায় করে রাখতো, ছিল সবার আদরণীয় অথচ আজ তার অবিরাম বকবকানি, যখন তখন উত্তেজিত হয়ে কথা বলা অথবা মেয়েগুলর উপর মারের প্রচন্ডতা দেখে তার থেকে সবাই পালিয়ে বেড়ায়! সবার কাছে এখন সে এক নিদারুণ যন্ত্রণা উপদ্রবের নাম! যন্ত্রণার উপশম করতে বোনের পায়ে শিকল বাঁধা! ভাইয়ের নিকট এর চেয়ে কষ্টের, ভারী সংবাদ আর কি হতে পারে?
বোনকে পাগলামি পেয়েছে, ভালো করার চেষ্টা চলছে। ভাবি, ভাবলে বোবা কান্না পায়, তিন ভাগ্নির কি পরিণতি হবে? মায়ের আদর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হলে শিশুরা সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। পাগলামি বেড়ে গেলে মেয়েগুলোকে হাতের কাছে পেয়ে যেমন নির্দয়ভাবে মারে, এমন কি কোলের শিশুকে যখন কোল থেকে শক্ত মাটি কিংবা চকির উপর ছুঁড়ে মারে, মৃতপ্রায় শিশুটি যখন চোখ উলটে ফেলে, বারবার দুধের শিশুটার গলা টিপে ধরে! ভাবতে পারছি না, মাছুম বাচ্চাটা কি কষ্টটাই না পাচ্ছে! ভাগ্নিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি দারুণভাবেই ভীত শঙ্কিত!
কথিত পীর, দরবেশ, কবিরাজদের কেরামতিতে উনার চরম অন্ধ বিশ্বাস! সামান্য সর্দি, কাশি, জ্বর অথবা মাথা ব্যথা হলেই কবিরাজের শরণাপন্ন হতো, রোগের বর্ণনা শুনে কবিরাজ ভুলচুল শুনিয়ে দিতো যেমনঃ “আপনি মোক্ষম সময়ে এসেছেন, আর একদিন দেরি করলে কি সর্বনাশটাই না হয়ে যেতো! আপনার অনেক শত্রু, তারা ক্ষতি করতে উঠে পড়ে লেগেছে, আপনার জন্য তাবিজ করেছে, ক’দিন পর পর আমার কাছে আসবেন, শত্রুর তাবিজের প্রভাবে আপনার শরীরে আছর করা জ্বিন তাড়াতে হবে” ইত্যাদি!
আমাকেও একদিন কবিরাজ ফিতা দিয়ে মেপে বলল, “তোমার জন্য বাড়িতে এক লোক তাবিজ করেছে”! এমন কথাই গুরুত্বই দেই নি, কেউ তাবিজ করে নি, করলে ক্ষতি হতো, কেননা আমি কবিরাজি চিকিৎসা নেই নি। কবিরাজ যা বলতো, বোন আমার বিনা বাক্যে বিশ্বাস করতো। শরীরের রোগ ডাক্তার সারাতে পারে, মনঃচিকিৎসক পারে মনের রোগ সারাতে, বিশ্বাসে যদি রোগ থাকে, সে রোগ সারাবে কে?
কবিরাজরা চিকিৎসার বিনিময়ে যতো টাকা ডিমান্ড করেছে, দুহাতে টাকা ঢেলেছে। জীবনভর কথিত কবিরাজ, দরবেশদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছি অথচ আমার বোনকেই ফেরাতে পারি নি, এ কষ্ট কোথায় রাখি! বিশ্বাস তার মনে এতো বেশি গ্রথিত হয়েছে যে, সমস্যা অনুভব করলে ধরেই নেয় কেউ শত্রুতা বা জ্বিনে আছর করেছে। ভালো হয়ে গেলে সবি কবিরাজের কল্যাণে!
দুলাভাই চোখ আর পেটের সমস্যা নিয়ে দেশে এসেছেন, তবুও সন্তা হলো! দরবেশ হুজুরের তাবিজের গুনে! তাই সন্তানহীনা মেয়েদের কবিরাজের তাবিজ গায়ে লাগিয়ে পানি পড়া নিয়ে সন্তানসম্ভবা করে দেয়ার জন্য বোনের চেষ্টার ত্রুটি নেই! অন্ধ বিশ্বাসে নিজের ইমান আমল অনেক আগেই নষ্ট করেছে এখন অন্যদের আমল নষ্ট করার চেষ্টায় আছে, কিন্তু তাঁকে এ কথা কে বুঝাবে, পাগলামি এতো বেড়ে গেছে, কারও কথা শুনলেইতো! তাঁর বিশ্বাস, কবিরাজই তাঁর রোগ সারাতে পারে!
সবার বড় তিনি, আমাদের প্রতি উনার অবদান অনস্বীকার্য, তবুও পাগলামি সহ্য করতে না পারলে আমরা অনেক কটু কথা বলে ফেলি, কিন্তু রাতের আধারে সেসব মনে করে ঘুমাতে পারি না, নীরবে কেঁদে যাই, কেন, কি অপরাধে তার এমন করুন পরিণতি? না সে ভালো থাকতে পারছে, না পারছি আমরা!
মা হওয়ার বাসনা কি এতোই তীব্র যে, সব দিক থেকে সুখী হলেও ‘সন্তানহীনা অসুখ’ সব সুখকে নস্যাত করে দেয়? গর্ভকালীন মায়ের সন্তান গর্ভধারণ এবং ভূমিষ্ঠকালীন সময়কার সীমাহীন বেদনা দেখা বা জানার সুযোগ মেয়েদেরই হয়ে থাকে, পুরুষ তেমন বুঝতে পারে না। ছোটবেলায় মাওলানা যখন মোনাজাতে বলতো,”হে খোদা, আমাকে ভূমিষ্ঠকালে মা বারকয়েক বেহুশ হলেন, চোখ মেলে প্রথম শব্দটি, ‘আমার বাবু কোথায়?’ প্রতিবেশিনী মহিলারা বলে, “যে সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রায় মরেই যাচ্ছিল, তাঁকে কোলে নেয়ার জন্য এতো ব্যস্ত কেন?”
“তোমরা বুঝবানা, সন্তানের মুখ দেখা মাত্রই সব কষ্ট মুহুর্তেই ভুলে গেছি”। তখন থেকে বুঝতে পারি, গর্ভধারণ, ভূমিষ্ঠকালীন কি কষ্ট এবং সন্তানের প্রতি মায়ের অকৃত্তিম ভালোবাসা! ছোট বোনের হাহাকার বুঝতে পারি, তাই লজ্জা সংকোচ ভুলে প্রসঙ্গটা সরাসরি তুলে সান্ত্বনা দেই, ধৈর্যের পরামর্শ দেই যেনো আল্লাহ্ প্রতি পূর্ণ আস্থা থাকে।
স্বামী ছাড়া সন্তান দিয়ে ধন্য করেছেন হজরত মরিয়াম (আ) কে, বার্ধক্যে উপনীত হওয়া সত্ত্বেও সন্তান দিয়ে বিবি হাজেরার কোল আলোকিত করেছেন, হজরত জাকারিয়া ছিলেন বৃদ্ধ, তাঁর স্ত্রী ছিল বন্ধা, তবুও আল্লাহ্ তাঁকে ইয়াহিয়াদানে ধন্য করেছেন, তোর তো বিয়ে হলো সবেমাত্র ৫বছর। ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা কর, উপরঅলার কাছে বল, কোন মানুষের উপর ভরসা করে সন্তান কামনা করলে আল্লাহ্ নারাজ হবেন! কখনো কবিরাজ, দরবেশ, পীর অথবা বেদুঈন মহিলাদের গাঁজাখুরি চিকিৎসার খপ্পরে পরিস না!
বোন শান্ত হয় কিন্তু মহিলারা খোঁচা মেরে কথা বলে সন্তানহীনা দুঃখিনীর দুঃখ আরো বাড়িয়ে তুলে যেমনঃ আটখোড়া, রোগীলা মেয়ে, রোগ গোপন রেখে পার করে দিয়েছে! টিউমার অপারেশনের সময় তাদের মেয়েকে বাঁচানোর জন্য গর্ভের লাইন কেটে দিয়েছে! দেশে আর মেয়ে পাইলিনা, আটখোড়া মেয়েকে বিয়ে করতে গেলি! হজমের অযোগ্য এসব কথা শুনে বোন কিভাবে শান্ত থাকে? এক দুঃখ সন্তান না হওয়ার, আরেক দুঃখ মানুষের খোঁচা মেরে কথা বলা! যারা এখনো সন্তানের মা হতে পারেন নি অথবা দেরিতে হয়েছেন, তারা আমার কথার রুঢ় বাস্তবতা সহজেই বুঝতে পারবেন! বোনের এমন কষ্টে ভাই কি ভালো থাকতে পারি?
বাহরাইনে থাকতেন আমার এক দুলাভাই। মোটামুটি ভালো বেতনে কাজ করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনছিলেন প্রায়। তখনি আরব বসন্তের ঢেউ বাহরাইনেও এসে পড়ে, আন্দোলনকারীরা দুলাভাই যে ফার্মে কাজ করতেন, সে ফার্মে আগুন ধরিয়ে দেয়, তাতে সমস্ত ফার্ম পুড়ে ছারখার হয়ে যায়, ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ার আগেই দুলাভাইকে দেশে ফিরে আসতে হয়। দেশে এসে অভাবের সংসারে সচ্ছলতা আনতে কায়িক পরিশ্রম শুরু করেন, এক ভাবে দিন চলে যাচ্ছিল, হঠাৎ একদিন গাছ থেকে পড়ে কোমরটাই ভেঙ্গে ফেলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, ডাক্তার জানালেন, ১৫দিন বিছানায় সব করতে হবে, আগামী তিন মাস কোনো কাজই করতে পারবে না! স্বামী সন্তান নিয়ে বোনের অভাবের গ্লানি টেনে নিয়ে যাওয়া দেখে আমি ভাই হয়ে কি করে ভালো থাকি?
গ্রামে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার সময় সকাল ৮টা, তখন আমি আর বাবা নরসিংদী, দুপুরে ছিলাম সায়েদাবাদ বাস স্ট্যান্ডে, গাড়ির অপেক্ষায়। অথচ মামলায় বাবা এক নম্বর আসামী! বাবা সকাল ৮টায় নরসিংদী অবস্থান করে আবার একই দিনে সকাল ৮টায় কুমিল্লায় কিভাবে ঘটনার সময় সামনে উপস্থিত থাকেন? বাবাকে ধরার জন্য দুইগাড়ি পুলিশ পাঠায়, একই দিনে আমার মামলার ভেরিফিকেইশনের জন্য বাড়িতে পুলিশ আসে! মা ছোটবোনের নাওয়া খাওয়া বন্ধ! আমারে নিয়ে বাবা মা বোন ভাইয়ের টেনশনের শেষ নেই, তারওপর বারবার পুলিশের আগমন অসুস্থ মাকে আরো দূর্বল করে দেয়!
আমার জন্য ভাবি না, কিন্তু আপনজনের চেহারা দেখলে সহ্য করতে পারি না, নিজেকে বড় অপরাধী মনে হয়! মামলার জন্য ডিপার্ট্মেন্টে রেজাল্ট খারাপ হলো, এখন মামলাগুলো শেষের দিকে, কে জানে কি রায় অপেক্ষা করছে! বাড়িতে পুলিশ বাবার কাছে ২০হাজার টাকা দাবী করেছে, বলে দিয়েছি একটাকাও যেন না দেয়। মাঝে মাঝে মনে হয়,আমরা আফগানিস্তান, ফিলিস্তিনের মত কোনো দেশে বাস করছি! চোরের মত জীবন যাপন আর কতকাল!
মা অসুস্থ, বাবা থাকেন সারাদিন বাহিরে, অসুখে পড়লে সেবা করা দূরে থাক, ভাত রান্না করে খাওয়ানোর মত লোকও নেই! বোনেরা মাঝে মাঝে এসে দেখভাল করে কিন্তু পরের বাড়ি থেকে যখন তখন আসাও যায় না! খুব ইচ্ছে করে মায়ের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখি কিন্তু প্রতি সপ্তাহে ঢাকার আর বাড়ি আসা যাওয়া তো চাট্টিখানি কথা নয়! মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে হাঁ হুতাশ আর আল্লাহর কাছে সুস্থতা কামনা ছাড়া আর যে কিছু করার থাকে না!
জ্যাঠাতো বোন বিশ বছর ধরে স্বামী সন্তানদের নিয়ে সুখেই দিনাতিপাত করছেন, মাথায় টিউমারের কারণে দুচোখ নষ্ট হয়ে যায়! দুজন ধরে তাঁকে গোসল করাতে নিয়ে যাচ্ছিল, আমি দেখে সালাম দিলাম, সালাউদ্দিন বলে হাত বাড়িয়ে দিলেন, “সালাউদ্দিন, কেমন আছিস? তুইতো পড়াশোনা করেছিস, তুই দোয়া করলে আল্লাহ্ কবুল করবেন, আমার জন্য দোয়া করে দে না ভাই!” ঘরের রানী অন্ধ হয়ে এখন বোঝা! বর গলগ্রহটাকে বাপের বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে গেলেন! ভাবতেই কষ্ট হয়! এই বুঝি স্বামী-স্ত্রীর সুদৃঢ় বন্ধন! সুসময়ের কোকিল!
পাশের বাড়ির চাচি, স্ট্রোক করলে ঢাকা পিজি হাসপাতালে নিয়ে যায়, এক মাস উনার সেবা করেছি। সারাজীবন স্বামী, সন্তানদের জন্য খেটেছেন, এখন সবার বিরক্তির কারণ! মাথায় সমস্যা বলে একটু ঘন কথা বলেন, স্বামী অভিসম্পাত করেন ‘তুই মর’! আমার কাছে কেঁদে কেঁদে বলেন, স্বামী যদি স্ত্রীকে সহ্য করতে না পারেন, এই বেঁচে থাকার চেয়ে মরণই ভালো। আমার গায়ে হাত বুলিয়ে বলেন, “তুমি আমার আপন কেউ নও, তবুও আমার জন্য যা করেছ, আপন ছেলেরাও তা করে নি, প্রাণ ভরে দোয়া করি, আল্লাহ্ তোমার মঙ্গল করুন।
প্রতিনিয়ত অসংখ্য কষ্ট বুকে নিয়ে বয়ে বেড়াই, যা লিখলে পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা শেষ হবে কিন্তু লেখা শেষ হবে না! আমি মাঝে মাঝে হতাশ হই, কিন্তু চূড়ান্ত হতাশ নই বরং আশাবাদী! আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন, ‘কষ্টের সাথেইতো স্বস্তি আছে’। আরো বলেছেন, ‘নামায ও ধৈর্যের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো’, আমিও তাই করি।
শুনলেন অনেক কথা, এখন উপরে বর্ণিত মানুষগুলোর জন্য এবং আমার জন্য দোয়া করার অনুরোধ রইল। আপনাদের জন্যও অনেক অনেক দোয়া!
বিষয়: বিবিধ
২৬৭৪ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি সহ উপরে বর্ণিত সবার জন্য দুয়া রইল আল্লাহর সবার সমস্যা দুর করে দেহ ও মনের সুস্থ্যতা ও মানসিক প্রশান্তি দান করুন । আমীন ।
জীবন তো এক বহতা নদী, তা থাম্বার নয়, চলে যায়, ভালো অথবা মন্দ যেমনিভাবে হোক।
অনেকের তুলনায় হয়তো আমার কষ্ট কিছুই নয়, কিন্তু আমার কাছে যে তা অনেক বেশি।
জী, আল্লাহর সিদ্ধান্ত মনে করেই সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ্।
আমাদের জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কবুল করুন। আমিন। ছুম্মা আমিন।
আমি প্রকাশ করেছি দোয়া পাবার জন্য, কায়মনোবাক্যে দোয়া করবেন।
আল্লাহ্ আপনারও সহায় হোন। আমিন ছুম্মা আমিন।
আমি এসব কে আল্লাহর পরীক্ষা ছাড়া আর কিছুই ভাবি না, ভাবতে পারি না!
আমি তাঁর কাছেই ধর্ণা দেই, বিপদ দিয়েছেন, নিশ্চয় তিনিই সে বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন।
আপনার সুরেই বলব, আল্লাহ তুমি আমাদের সকল পরীক্ষা সহজ করে দাও৷ আর আমাদের তোমার পথে অবিচল রাখো৷
আমিন।
আমিন ছুম্মা আমিন। আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
দোয়া করবেন আল্লাহ্ যেনো আমার পরীক্ষা সহজ করে দেন, কেননা পরীক্ষায় ধৈর্য ধরতে না পেরে যদি নাফরমানি করে ফেলি! আল্লাহ্ মাফ করুন।
আমিন, ছুম্মা আমিন।
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন ভাই।
আপনার খারাপ লাগা স্বাভাবিক। মুমিনের বৈশিষ্ট্য তাই।
আপনার জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ্ ভালো রাখুন।
আল্লাহ তুমি তোমার গোনাহগার বান্দাদের মাফ করে দেও আর তাঁদের কোন ভাল কাজের বিনিময়ে কবুল করে নেও। আমিন।
আমিন ছুম্মা আমিন।
আল্লাহ তুমি তোমার গোনাহগার বান্দাদের মাফ করে দেও আর তাঁদের কোন ভাল কাজের বিনিময়ে কবুল করে নেও। আমিন।
ছুম্মা আমিন।
আল্লাহ্ আপনার মঙ্গল করুন।
জীবনের কঠিন পরীক্ষায় আপনি দিনাতিপাত করছেন! সবর আর সলাতের মাধ্যমেই আপনার সান্তনা রয়েছে ভাই! বিপদ যতোই কঠিন হোক না কেন তারপরেই আনন্দ আসবে ইনশা আল্লাহ! ইন্না মা'আল উছরি ইউছরা! ফাইন্না মা'আল উছরি ইউছরা!সুতারাং প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব
নিশ্চয়ই,প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব। কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।
আপনাদের সবার জন্য আন্তর থেকে দোআ রইলো প্রতিপালকের নিকট তিনি আপনাদের সকল সমস্যার উত্তম সমাধান দান করুন! আপনাদের সবরু জামীল দান করুন! এর উত্তম বিনিময় দুনিয়া ও আখিরাতে দান করুন!
চমৎকার একটি বানী মনে পড়ছে-
“মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে নানান ধরণের কঠিন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে এবং বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে তাদের সংগ্রামী ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলেন। ফলে, আরামপ্রিয় ও সুবিধাবাদী লোকদের বিপরীতে এ ধরণের মানুষ কখনো অহংকারী হন না। বরং আল্লাহর প্রতি সবসময় নতজানু থাকেন তারা। ওইসব দুঃখ-কষ্ট ও বেদনার মধ্যে দিয়েই তাদের উপর আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ বিস্তৃত হয়।” - হযরত আলী (রা)
জাযাকাল্লাহু খাইর! অনেক অনেক দোআ রইলো!
আমাদের সবার জন্য আপনার অকৃত্তিম দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন। আমিন।
হজরত আলীর (আ) বাণীটি খুব সান্ত্বনা দিয়েছে, তাই যেনো হয়।
আপনার জন্যও ভাইয়ের পক্ষ থেকে প্রাণভরে দোয়া রইল।
আপনার কষ্টময় উপাখ্যান পড়ে মন্তব্য কী আর করবো! আল্লাহর কাছে একান্ত আর্জি জানাই- হে আল্লাহ! আমরা অতিশয় দুর্বল বান্দা! ধৈর্য্যের পরীক্ষায় পাশ করার মত শক্তি দান করো আমাদের! প্রিয় ভাই উল্লেখিতজনদের ভাল কর তুমি! সর্বশক্তিমান তোমার কুদরতি হাতে সকল সমস্যার সমাধান করে দাও! আমিন ছুম্মা আমিন!!
এক মুমিন ভাইয়ের জন্য আরেক মুমিন ভাইয়ের দোয়ায় আল্লাহ্ নিশ্চয় অনেক খুশি হবেন।
আপনার জন্যও আল্লাহর নিকট দোয়া করছি, তিনি যেনো আপনাকে সকল অবস্থায় শান্তি সুখে রাখেন।
অকৃত্তিম দোয়া সমেত হৃদয়গ্রাহী মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সাদিয়া মুকিম লিখেছেনঃ
জীবনের কঠিন পরীক্ষায় আপনি দিনাতিপাত করছেন! সবর আর সলাতের মাধ্যমেই আপনার সান্তনা রয়েছে ভাই! বিপদ যতোই কঠিন হোক না কেন তারপরেই আনন্দ আসবে ইনশা আল্লাহ! ইন্না মা'আল উছরি ইউছরা! ফাইন্না মা'আল উছরি ইউছরা!সুতারাং প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব
নিশ্চয়ই,প্রতিটি কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব। কষ্টের সাথে অবশ্যই আছে যন্ত্রণার লাঘব।
আপনাদের সবার জন্য আন্তর থেকে দোআ রইলো প্রতিপালকের নিকট তিনি আপনাদের সকল সমস্যার উত্তম সমাধান দান করুন! আপনাদের সবরু জামীল দান করুন! এর উত্তম বিনিময় দুনিয়া ও আখিরাতে দান করুন!
চমৎকার একটি বানী মনে পড়ছে-
“মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে নানান ধরণের কঠিন দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়ে এবং বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে তাদের সংগ্রামী ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলেন। ফলে, আরামপ্রিয় ও সুবিধাবাদী লোকদের বিপরীতে এ ধরণের মানুষ কখনো অহংকারী হন না। বরং আল্লাহর প্রতি সবসময় নতজানু থাকেন তারা। ওইসব দুঃখ-কষ্ট ও বেদনার মধ্যে দিয়েই তাদের উপর আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহ বিস্তৃত হয়।” - হযরত আলী (রা)
জাযাকাল্লাহু খাইর! অনেক অনেক দোআ রইলো! সহমত প্রকাশ করছি!
আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কবুল করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বোন।
কিছু না বললেও অনেক কিছুই বুঝে নিয়েছি। আমার জন্য আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন, আমিন। ছুম্মা আমিন।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক দোয়া এবং ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক ধরেছেন বোন, আমি ছাত্র, অনার্স শেষ করে এখন মাস্টারস ফার্স্ট সেমিস্টার চলছে, আগামী ২৪ই মে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা, দোয়া করবেন।
জী বাবাই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এখন পর্যন্ত। ভাই সবে মাত্র এম বিএ শেষ করে ছোট একটা দিয়ে স্ট্রাগ্লিং শুরু করেছেন, ফ্যামিলিতে দেওয়ার মত অবস্থা এখনো আসে নি।
আমরা সাত ভাই বোন, চার বোন বড়, তারপর আমি আমার ভাই আর ছোট বোন। বোনেরা বড় হওয়াতে বাবাই এখন পর্যন্ত উপার্জনক্ষম অথবা বলতে পারেন বৃদ্ধ বেকার, উনার বয়স ৭০য়াপ! বেশিরভাগ সময় বাবার কাছ থেকে টাকা নিলেও নিজেও টুকটাক কিছু করেছি, এইভাবে চলছে! আমার বোনে দুলাভাইয়েরা অনেক ভালো, সবসময় বিপদে আপদে সহযোগিতায় আমাদের পাশে থেকেছেন, আমাদের পড়ালেখার অনেক খরচ ও তারা জোগান দিয়েছেন। আমার মা বাবাতো অসাধারণ ব্যক্তিত্ব! অভাব অনটনে আমাদের পড়াশোনার খরচ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন নি! বাবা শিক্ষিত হলেও মা মাত্র এক ক্লাস পাস! তবুও ছেলে মেয়েকে শিক্ষিত করে তুলতে মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বোন কে বড় ডাক্তার দেখানো হয়েছিল, কিছুদিন ভালই ছিলেন, কিছুদিন আগে উনার সন্তান হওয়ার পর থেকেই পাগলামি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, আমার ভয় কখন না জানি আমার ভাগ্নিটা.।.।.।
আপনি যেমন হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি অবাক হওয়ার মত ভাই বোন আছেন এই ক্যাম্পাসে, যাদের অবস্থা আরো শোচনীয়, তাদের কষ্ট দেখে আরো অনেক বেশি বিস্মিত হয়েছি বোন।
আপনার শেষের কথাগুলো যেনো আমার জীবনে প্রতিফলিত করতে পারি সে জন্য আল্লাহ্র কাছে সাহায্য কামনা করছি।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল। আপ্নিসহ আপনার পরিবারের সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এই কামনা।
আপনার কথাই যেনো ঠিক হয়, আল্লাহ্ চাহেতো আমি একদিন নিশ্চয় স্বাভাবিক হয়ে যাবো।
আমার জন্য আপনার প্রাণখোলা দোয়া আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন কবুল করুন। আমিন।
আপনার জন্যও অনেক অনেক দোয়া, আমার জন্য যে দোয়া করেছেন, আল্লাহ্ আপনাকে তেমনি নেয়ামত দিয়ে ধন্যো করুক এই কামনা।
আমি নগন্য ব্লগার, আমার পাড়ায় আপনার উপস্থিতি খুব খুব ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আপনি না বলতে পারলেও আমি অনেক কিছুই বুঝে নিয়েছি। আমিও বলব আল্লাহ্ আপনার মনে থাকা যাবতীয় কষ্ট দূর করে দিন। আমিন
প্রায় প্রতিটি ঘরেই নানা রকম সমস্যা রয়েছে, যা প্রকাশ করার যোগ্যতা রাখেনা বা সুযোগ পায় না।
দোয়া রইলো- আল্লাহ আপনাদের সকলের অসুবিধা দূরে করে দিন।
আমাকে নিয়ে আপনার মূল্যায়নের জন্য অনেক অনেক শোক্রিয়া।
আমার জন্যও আপনার দোয়া আল্লাহ্ কবুল করুন। আপনার প্রতিও অনেক দোয়া রইল।
এটা দেখেন হয়ত কিছুটা মন শান্ত হবে।
মন্তব্যের জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ও দোয়া করবেন।
ইনশা আল্লাহ্ দোয়া করবো।
মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমিও প্রীত হলাম।
আমিন আমিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন