কারণ তারা বিশ্বাস করে “বন্দুকের নল থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বেরিয়ে আসে”
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ০৮ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৬:৩২:০৯ সন্ধ্যা

ছবি: দি ডেইলি স্টার (০৭/০১/২০১৫)
ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম কিংবা প্রথম আলোর মতিউর রহমান, তারা উভয়েই বাংলাদেশের সাংবাদিকতার জগতে পরিচিত মাওসেতুংদের প্রেতাত্মা। আর তাই তারা ঘরে বাইরে কোথাও বন্দুকের নল ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না। তাদের আধ্যাত্মিত গুরু মাওসেতুং বলেছিলেন- “বন্দুকের নল থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বেরিয়ে আসে।” আর তারই দর্শনে বেড়ে ওঠা সাংবাদিকতার কলঙ্ক মাহফুজ-মতি গংরা সর্বত্রই জঙ্গিবাদের ধোঁয়া তুলতে চায়। ব্যবসায়িক স্বার্থে মাঝে মাঝে সত্য প্রকাশ করলেও, মিথ্যাচারই যে তাদের মজ্জাগত স্বভাব তা গতকালের পত্রিকার দিকে নজর দিলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। একই সাথে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে যুগান্তর, বাংলাদেশ প্রতিদিন সহ বেশ কয়েকটি হলুদাভ পত্রিকা গোল চিহ্নিত করে একই ছবি ছেপেছে। সারা বছর ভুরি ভুরি আঃ লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের অস্ত্রসহ ছবি তুলতে পারলেও একটি বারের জন্যও তাদের মুর্তিমান আতংক জামায়াত কিংবা ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অস্ত্র হাতে কোন ছবি ছাপতে পারেনি। আর এটাই তাদের যন্ত্রনার কারণ। অবশেষে তারা একযোগে সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বারস্থ হলো ফটোশপের। কারণ ছবি মোডিফাইয়ের জন্য বিশ্বে এর চেয়ে জনপ্রিয় হাতিয়ার এখন পর্যন্ত তৈরী হয়নি..! ক্লোন টুলের উপর্যপুরি ব্যবহার করে গতকাল তারা জন্ম দেয় একটি ফটো। যাতে দেখা যাচ্ছে পায়ের কাছে কুপোকাত হয়ে পড়ে আছে এক পুলিশ সদস্য, আর তারই পাশে এক আজব প্রকৃতির অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে শিবির কর্মী...!! হ্যাঁ, ঠিক এভাবেই তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের চরিত্র হননের ব্যর্থ চেষ্টা চালায়। কিন্তু বিধি বাম! মতি-মাহফুজ গংরা ভুলেই গিয়েছিল সত্য কখনো চাপা থাকে না। ঐ একই দিনের সম ঘরানার কালের কন্ঠ পত্রিকায় দেখা গেল ভিন্ন চিত্র..! সেখানেও ঐ একই এ্যাঙ্গেলের ছবি দেখা গেল সেই শিবির কর্মীর ছবি। সে ছবিতে তার হাতও ঠিক একই ভাবে মুষ্টিবদ্ধ আছে। পায়ের পজিশন ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য নেতা-কর্মীদের পজিশনও একই আছে। কিন্তু মতি-মাহফুজদের জুড়ে দেয়া সেই আজব প্রকৃতির অস্ত্রটি নেই...! তাহলে কোনটি সত্য?
ছবি: দৈনিক কালের কন্ঠ (০৭/০১/২০১৫)
কালের কন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কি শিবিরের সাথে আঁতাত করছেন? না সেটিও সম্ভব নয়। কারণ কালের কন্ঠের ওই ছবিতে কোন প্রকার ক্লোন টুলের ব্যবহার কিংবা অন্য কোন ঘষাঘষির আলামত দেখা যাচ্ছে না। বরঞ্চ মতি-মাহফুজদের কথিত অস্ত্রসহ ছবিটিই জুম করলে ঘষাঘষির চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। অর্থাৎ যার কিঞ্চিত বিবেক আছে সেই বুঝতে পারবে মতি-মাহফুজ গংরা ফটোশপ দিয়ে কি অত্যাচারই না চালিয়েছে এই ছবিটির উপরে..! যদিও তারা জানে, ছাত্রশিবিরের ক্ষমতা অস্ত্রের বলে নয়। বরং নৈতিকতা ও ঐক্যের বলে বলীয়ান হয়েই তারা আজ এতবড় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ভাবতে পারেন তারপরেও কেন মতি-আনামরা এ হীন কাজটি করতে গেল? উত্তরে বলব এসবের কারণও আছে, একদিকে যেমন তারা এই সুবৃহৎ সংগঠনটির চরিত্র হনন করতে চায়। অপরদিকে স্বৈরাচারী হাসিনার অপশাসনে তারাও আমজনতার মতই যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত। তাই হয়তোবা ফটোশপড এই ছবিটি প্রকাশ করে সরকারকে ভিন্নতর মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন। যে মেসেজ তাদের আধ্যাত্মিক গুরু মাওসেতুং দিয়েছিলেন - “বন্দুকের নল থেকেই রাজনৈতিক ক্ষমতা বেরিয়ে আসে...!”
বিষয়: রাজনীতি
১৭৬১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন