পদ্মাসেতু নাই তাতে কি!
লিখেছেন লিখেছেন স্বপ্নচারী মাঝি ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:২৩:২১ সকাল
পদ্মাসেতু কবে নাগাদ শেষ হবে তা বলা বেশ মুশকিল। দুই পাড়ের কাজ বেশ এগিয়ে আসলেও মূল নদীতে কবে নাগাদ সেতুর কাজ শুরু হবে তা বলা সহজ নয়। আর কত অপেক্ষা করা যায় বলুন! তাই তো একজন জনপ্রতিনিধি চড়ে বসেছেন পদ্মাসেতুর রেপ্লিকায়। কপাল মন্দ যে, রেপ্লিকাটি তৈরী হয়েছে স্কুলের কিশোর ছাত্রদের শরীর দিয়ে। পিঠের ওপর দিয়ে হেঁটে জনপ্রতিনিধি পার হলেন ঠিক, কিন্তু বেরসিক ফেসবুকিয়ানদের তোপের মুখে পড়লেন নিজের অজান্তেই! ফেসবুক ছাড়িয়ে অনলাইন পত্রিকা। এমনকি অনলাইন পত্রিকা পেরিয়ে জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম হলেন তিনি।
জনগণ এত বেরসিক হলে কেমনে চলে। এদের জন্য কেউ ভ্যানেও উঠতে পারবে না। পদ্মাসেতুতেও উঠতে পারবে না। এটা কোন কথা হলো? ক্ষমতায় আরোহনের সুযোগ যেহেতু জনগণই দিয়েছে, সেহেতু জনগণের বাচ্চা-কাচ্চার পিঠে চড়ার সুযোগও দিতে হবে। এ নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে যে কোন বাহনে চড়ার সুযোগ আছে। প্রয়োজন মনে করলে ওসব বাহন জাদুঘরেও তুলে রাখা যাবে। বেশি কথা বললে ‘লাল ঘোড়া দাবড়াইয়া দেয়া’র সুযোগও আছে।
মিডিয়াগুলো বেশ রসিক হয়ে এসেছে। তারা এখন বেশ রাসালো খবর নির্মানে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। কিন্তু এই ফেসবুক-টুইটার ফুইটারের জন্য তারা কিছু নিউজ করতে বাধ্য হচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় এলে ইনশাআল্লাহ এইসব ফালতু বেরসিক ফেসবুকারদেরও রসিক বানানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। কথা না শুনলে তাদের নিয়ে মনিরুলকে ব্যবহার করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। কাজেই...বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। ঐ রাজাকারের দোসরদের ফাঁসির মঞ্চে তুলে ফেসবুক ব্যবহার শিখিয়ে দেয়া হবে...
বিষয়: রাজনীতি
২১৭৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বোঝাই গেল যে জনপ্রতিনিধির চেয়ে স্কুলের ছাত্র ও শিক্ষকরাই এরকমটা করেছে । উনারা নাকি এরকম 'পদ্মা সেতু' বানিয়ে এর উপর দিয়ে নেতাদেরকে হাটবার অনুরোধ করেন । নেতারা হাটলে উনারা খুবই পুলিকত হন ,কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন।
আমরা দেশের সাধারণ মানুষেরাও উনাদেরকে কৃতজ্ঞতাবোধে ভাসিয়ে দিতে চাই - উনারা সত্যিকারভাবে এরকম মানব সেতু তৈরি করবেন পদ্মার এক পাঁড় থেকে আরেক পাড় পর্যন্ত শুধু মানুষ পারাপারের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন