ছাগুদের দাওয়াতি কাজের নমুনা দেখুন
লিখেছেন লিখেছেন সত্য কন্ঠ ১৩ মে, ২০১৪, ০২:৫০:২৯ রাত
শিবিরের ভাইদের দাওয়াতের নমুনাঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল ।
একটি ছেলে বাইরে থেকে টলতে টলতে রুমে এল। এসেই বিছানায় পড়ে গেল। জুতা পায়েই ছিল। পাশে টেবিলে একজন গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ছিল। তিনি দেখলেন। উঠে এসে ছেলেটির পায়ের জুতা খুলে দিলেন। এর পর ঠিক ভাবে শুইয়ে দিলেন। কিন্তু দেখলেন কোন হুশ নেই। চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিতেই ছেলেটি ছেলেটির সম্বিত ফিরে এল। ছেলেটিকে ধরে উঠালেন অপর ভাইটি। উঠিয়ে বুকের সাথে ধরে রাখলেন। দেখলেন চোখ মুখ লাল-ঠিক রক্তজবার মত। বুঝতে বাকি রইল না ছেলেটির কি হয়েছে। বুঝে উঠে সারতে না সারতেই ছেলেটি বমি করে দিল।
অপর ছেলেটির পোশাকও কিছুটা নষ্ট হয়ে গেল সাথে বিছানারও কিছু অংশ। ছেলেটি নিজ হাতে সব পরিস্কার করল। এর পর ছেলেটিকে পানি পান করিয়ে ওরও জামা কাপড় চেইঞ্জ করতে সাহায্য করল। তারপর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে ভাই?
বলে রাখা ভাল, ভিকটিম ছেলেটি ফাস্ট ইয়ারের। মেট্রিক ইন্টারে দুটোতেই মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছিল। বাবা সচিব মাও বড় সরকারি কর্মকর্তা। আর অন্য ছেলেটি থার্ড ইয়ারে পড়ে। সেও তুখোর মেধাবি। ছেলেটির এই অবস্থা দেখে অন্য ভাইটি ধরেই নিয়েছিল লাভ কেইস! ছেলেটি অন্য ভাইটিকেজড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল। ভাইটি শুধু বলতে লাগলো, কি হয়েছে ভাইয়া? আমাকে বল। যা বলল, তা শুনতে ভাইটি একটুও প্রস্তুত ছিলনা। ছেলেটির বাবা মা দুজনেই চাকুরী করে ফলে ছোট বেলা থেকেই তাদের সাহচর্য কম পেয়েছে সে। তবু তার ভালোবাসা বলতে এই বাবা মাকে ঘিরেই। একমাত্র সন্তান তাদের। ইদানিং কি একটা ঝগড়ায় সূত্র ধরে তার বাবামা ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছেলেটি অনেক চেষ্টা করেও কিছু করতে না পেরে হলে চলে এসেছে এবং শেষে নেশার পথ ধরেছে।
এর পর টানা পনের দিন অন্য ভাইটি ছেলেটিকে সব সময় সাথে সাথেই রাখতে শুরু করলেন। বিকেলে নানা স্থানে ঘুরতে গেলেন। অল্প অল্প করে নেশা করতেও সুযোগ দিলেন। শেষে ছেলেটি পারল নেশা ছেড়ে দিতে। এরই মধ্যে কেটে গেছে প্রায় মাস খানেক। এই মাসখানেকের মধ্যে ছেলেটির বাসার ঠিকানা নিয়ে অন্য ভাইটি অনেক বার গিয়েছে তার বাসায় যা ছেলেটি জানতেও পারেনি। একদিন বিকেলে কলা ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে দুজন কথা বলছিল। এর মাঝেই গাড়ি থেকে নামল ছেলেটির বাবা মা একসাথে। ছেলেটি তো অবাক! মা এসে জড়িয়ে ধরলেন ছেলেকে। বাবাও পাশে। ক্ষমা চাইলেন ছেলের কাছে। পাশে দাঁড়িয়ে হাসছে ওর সিনিয়র সেই ভাইটি।
সেদিন ছেলেটিকে সাথে করে নিয়ে গেলেও দুদিন পরেই আবার তারা সাথে করে নিয়ে এসে ছেলেটিকে তুলে দিলেন সেই সিনয়র ভাইটির হাতে। মা বললেন, বাবা, তুমি এখে দেখে রেখ! আমরা নিশ্চিন্তে থাকব।
এই সিনিয়র ভাইটি ছিল শিবিরের একজন সদস্য। অবশেষে এই ছেলেটিও একদিন গ্রহণ করেছিল শিবিরে দাওয়াত। আর শিবিরের দাওয়াত এরকমই হয়!
(লিখেছেন, সালাহউদ্দিন নাসিম)
বিষয়: বিবিধ
১৩২৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ওম মা ! শিবিরের পোলাপান এত ভাল !
আহহারে ! আমরা তাদেরকে কত খারাপই না জানি !
মন্তব্য করতে লগইন করুন