এখনো কি সময় হয় নি ?
লিখেছেন লিখেছেন শারিন সফি অদ্রিতা ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৯:৫৭:৪৭ সকাল
Autonomic Nervous System নিয়ে পড়া শুরু করার পর বেশ আশ্চর্য্য হয়ে খেয়াল করলাম যে, আমাদের দেহের বেশ বড় একটা অংশ পুরোপুরি আমাদের নিজেদের কন্ট্রোলের বাইরে !!! এটা নিয়ন্ত্রণ করে যে Structure তার নাম-ই Autonomic Nervous System. আর এজন্যেই এটার নাম “Autonomic” কারণ এটা Auto-ই কাজ করে। আমাদের conscious permission ছাড়াই... দেহের অন্যতম প্রধান ফাংশান গুলি এই সিস্টেমের আওতায় থাকে। যেমনঃ হার্ট, ব্লাড-প্রেশার, কিডনী, পাকস্থলির Digestion ইত্যাদি! সুবহানআল্লাহ্!
আমার প্রফেসর যে উদাহরণ টা দিয়েছিলেন বেশ মজার ছিল। তিনি বললেন, ধর আমরা যদি consciously সচেতনভাবে আমাদের Heart-beat কন্ট্রোল করতাম, তাহলে প্রতি মিলি-সেকেন্ড পর পর আমাদেরকে এই হার্ট টাকে বলতে হতো,
“হার্ট!! হ্যাঁ এখন বিট করো! আচ্ছা এখন, পাম্প করো! ঐ গেট দিয়ে দূষিত রক্ত লাংস-এ নিয়ে যাও, এই গেইট দিতে ভালো রক্ত শরীরের বাকি জায়গায় পৌঁছে দাও! সাবধান, একই চেম্বার থেকে গেলেও এই দুই রক্ত যেন আবার না মিশে সে জন্যে আরেকটা গেইট এদিকে লাগিয়ে দাও! আচ্ছা, এখন আবার পাম্প করো... !!!” ...
এটুকু বলার পরে আমার প্রফেসরের খুব করে হেসে বললেন, বলতো আমাদের Autonomic Nervous System এর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত তাই না ! সেকেন্ডে সেকেন্ডে নাহলে এই এক নিঃশ্বাস আনা-নেয়া করতেই দিন চলে যেত!!
সুবহানআল্লাহ্!!
কার প্রতি কৃতজ্ঞ হবো? এই নির্জীব সিস্টেমের প্রতি নাকি যিনি আমাকে এই সিস্টেম দিয়েছেন, সুস্থ ভাবে প্রতিদিন প্রতি মিলি-সেকেন্ড নির্বিগ্নে এই সিস্টেম উপভোগ করার তাওফিক দিয়েছেন তার কাছে?
কেউ আমাদেরকে কিছু দিলে আমরা কত খুশি হই। তাদেরকেও কিছু দিতে ইচ্ছা হয়। “Thank you” বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে, কেন আমাদের রবের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ হতে পারি না? কেন শয়তানের কাছে হার মেনে নেই? কেন যিনি একদিনের মধ্যে ৮৬ হাজার বার করে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস কন্ট্রোল করে সুস্থ রাখছেন, সেখানে কেবল ৫ টি বার মাথা নুয়িয়ে তাকে “Thank you” বলতে এত অজুহাত? কেন দেহের পূজায় মেতে উঠি যে দেহের অধিকাংশ-ই আমাদের নিজেদের কন্ট্রোলের বাইরে?
The King of all Kings is offering you the whole kingdom and you are begging for crumbs from His creations?
এখনো কি সময় হয়নি বিশ্বাসীদের আল্লাহ্র কাছে ফিরে আসার ??
বিষয়: বিবিধ
১২৫৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব ভাল্লাগ্লো।
এই ধরনের সুসম সৃষ্টি আপনা থেকেই হয়েছে এই বিশ্বাস টি কতটুক হাস্যকর হতে পারে অনেকেই কেন বুঝেনা।
আমরা কথা নাশুনলেও আল্লাহর আদেশ ঠিকই ওরা পালন করে আপপু। তাইতো কিয়ামতের দিনে ওরা আমাদের পক্ষ্যে অথবা বিপক্ষ্যে স্বাক্ষ্য দিবে।
জাজাকাল্লাহ।
সুবহানাল্লাহী ওয়াবি হামদীহি লা শারিকা লা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন