জিব হত্যা মহাপাপ এবং কুরবানি

লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৩৭:১২ দুপুর

আমি শান্তিকামি। আমি নিরিহ পশুগুলোকে এভাবে নির্মম ভাবে হত্যা বিরোধি। জিব হত্যা মহাপাপ। আমি নিরামিষাসি।



উপরের কথা গুলো শুনতে খুবই ভাল লাগে। তবে, গাছ এবং লতা, পাতারও জিবন আছে। তারা ব্যাথা পায়। হাসি বা কান্নাও করে। একজন বন কর্মকর্তার কাছে শুনেছিলাম, একবার এক বিদেশি বিশেষজ্ঞ তাদের বাগান করার উপর একটি ক্লাসে বলেছিলেন, “বাগান করার সময় বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটবেন, গাছ গুলোর মরা পাতা হাত দিয়ে ফেলবেন, গাঁয়ে হাত রাখবেন কারন গাছেরও অনুভূতি আছে। এমন করলে গাছেরা তারাতারি বাড়ে। তাদের এই ব্যাথা, হাসি, কান্না আমাদের শ্রবন ক্ষমতার বাইরে। এখন আপনি শুনতে পান না এজন্য হত্যা করতে পারবেন এটা- কোনভাবেই যোক্তিকও না মানবিকও। এটা পুরোপুরি অনৈতিক চিন্তা। অর্থাৎ যে নিরামিষাসিগন প্রচার করেন জিব হত্যা মহাপাপ তারা হয় মূর্খ না হলে প্রতারক। মূর্খ বলার কারন তারা জানে না যে গাছ, শাক-সজবিরও জিবন এবং অনুভূতি আছে। আর যদি জেনেও এটা প্রচার করে তারা নিঃসন্দেহে প্রতারক।

এবার শরিরবিতিৃয় দিক থেকে দেখার চেষ্টা করি- মাংসাশি প্রানিদের দাঁত সুচালো এবং পাকস্থলি ও হজম প্রণালি শুধুমাত্র মাংস জাতিয় খাবারই প্রক্রিয়া করতে পারে। অন্যদিকে তৃণভোজির প্রানির দাঁত সমান শুধুমাত্র পাকস্থলি ও হজম প্রণালি শুধুমাত্র শাকসবজি জাতিয় খাবারই প্রক্রিয়া করতে পারে। কিছু বছর আগে অ্যামেরিকাতে গরুকে ভেড়ার মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, তার ফলাফল ছিল ভয়াবহ। ম্যাটকাউ রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। হাজার হাজার নিরিহ গরু হত্যা করতে হয়। আমাদের মানুষের দাঁত দুই ধরনেরই আছে। সুচালো আবার সমান। আমাদের পাকস্থলি ও হজম প্রণালি শাকসবজি এবং মাংস উভয় খাবারই প্রক্রিয়া করতে পারে। এখন আমাদের সৃষ্টিকর্তা {নাস্তিকরা ভাবুন প্রকৃতি} যদি চাইতেন আমরা শুধু শাকসবজি খাবো তাহলে আমাদের এমন দাঁত বা পাকস্থলি দিবেন কেন?

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,

"তিনি পশু সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য পোশাক, খাদ্য এবং অন্যান্য নানাবিধ উপকারিতাও।তাদের মধ্যে রয়েছে তোমাদের জন্য সৌন্দর্য যখন সকালে তোমরা তাদেরকে চারণভূমিতে পাঠাও এবং সন্ধ্যায় তাদেরকে ফিরিয়ে আনো।তারা তোমাদের জন্য বোঝা বহন করে এমন সব জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে তোমরা কঠোর প্রাণান্ত পরিশ্রম না করে পৌঁছতে পারো না। আসলে তোমার রব বড়ই স্নেহশীল ও করুণাময়।তোমাদের আরোহণ করার এবং তোমাদের জিবনের শোভা-সৌন্দর্য সৃষ্টির জন্য তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। তিনি (তোমাদের উপকারার্থে) আরো অনেক জিনিস সৃষ্টি করেছেন, যেগুলো তোমরা জানোই না"। [সুরাহ নাহলঃ ৫-৮]

ইসলাম মাংস খাওয়ার অনুমতি দেয়। তবে জবেহ যথাস্মভব মানবিক করার নির্দেশ দেয়

জবেহ করার নিয়মঃ

জবেহ করার সাধারন নিয়মগুলো হচ্ছে

• একটি ধারালো ছুরি একক একটানা পিছনে গতির সাথে প্রাণীর শ্বাসনালী, অন্ননালী এবং গলার পাশের দুটি রক্তনালীসমূহ কেটে ফেলতে হবে।

• স্পাইনাল কড এ কোন রুপ আঘাত করা যাবে না।

• সমস্ত রক্ত প্রবাহিত হতে দিতে হবে।

এভাবে জবেহ করলে পশুর স্নায়ুতে আঘাত লাগে না এবং বেশি ব্যাথা পায় না। রক্ত বের হওয়ার সময় পশু ছটফট করে কারন রক্ত শরির থেকে বের হয়ে যাচ্ছে এজন্য, ব্যাথার জন্য না। এছাড়া পশুর সামনে ছুরি ধার দেওয়া কিংবা একপশুর সামনে অন্যপশুকে জবেহ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি জানি এই নিয়মটা বাংলাদেশে সেভাবে অনুসরণ করা হয় না। এটা মুসলমানদের সমস্যা। ইসলামের না।

ইসলাম মাংস খাওয়ার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি পশুপাখির সাথে মানবিক ব্যবহার নির্দেশও দিয়েছে।

প্রাচীন আরবে পশু-পাখিদের প্রতি চরম অমানবিক আচরণ করা হত। জিবিত উটের কুঁজ, মেষের পাছার বাড়তি অংশ কেটে খেয়ে ফেলা হত। কেউ মারা গেলে তার কবরের ওপর জিবিত একটা উট বেঁধে রাখা হত। উটটি সেখানে অনাহারে ধুঁকে ধুঁকে মারা যেত। তাছাড়াও আরবরা কিছু দিন পর পরই উট জবাইয়ের প্রতিযোগিতা দিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব অমানবিক কুপ্রথা উচ্ছেদ করে বাকশক্তিহিন প্রানির ব্যাপারে মহান আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করার উপদেশ দেন। জিবনের প্রতি হুমকি না হলে তিনি অকারণে কিট পতঙ্গও হত্যা করতে নিষেধ করেছেন।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন করেন, ‘দয়া ও অনুগ্রহকারিদের প্রতি দয়াময় রহমান অনুগ্রহ করে থাকেন। অতএব তোমরা জমিনবাসির ওপর দয়া কর আসমানবাসিরা তোমাদের ওপর দয়া করবেন।’ (আবু দাউদ)

একদিন মদিনা দিয়ে যাওয়ার সময় মহানবি সাঃ দেখেন একটি উটকে ঠিকমত না খেতে না দেওয়ায় জন্য কষ্ট পাচ্ছে। তখন তিনি বলেন, “আল্লাহকে ভয় করো সে সমস্ত প্রানির সাথে আচরণের সময় যারা কথা বলতে পারে না। যদি তুমি তাদের পরিবহনে লাগাতে চাও তাহলে তাকে সেভাবে লালন করো। যদি মাংস খেতে চাও তাহলেও তাকে সেভাবে লালন করো। (আবু দাউদ)

মহানবি সাঃ অন্য এক প্রসঙ্গে বলেন, ‘এক মহিলাকে একটি বিড়ালের কারণে আজাব দেয়া হয়েছিল। কারণ কোনো প্রকার খাবার না দিয়ে মহিলা বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল। তাকে সে কোনো খাবার এমনকি পানিও দেয়নি। ছেড়ে দিলে সে জমিনে পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকতে পারত। কিন্তু বিড়ালটি মারা গেল। এই জন্যই মহিলা জাহান্নামে যায়। (বুখারি) পক্ষান্তরে জৈনক ব্যভিচারিনি একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে জান্নাতে যায়।

‘আল্লাহর অভিশাপ সেই ব্যক্তির উপর, যে (অকারণে) পশুর অঙ্গহানি ঘটায় [নাসাঈ/৪৪৪২ ; ইবনে হিব্বান ,বাইহাকি]।

'সেই ব্যক্তির উপর অভিশাপ করেছেন, যে কোন এমন জিনিসকে (তার তির খেলার) লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, যার মধ্যে প্রাণ আছে’ [বুখারি মুসলিম]

‘আল্লাহর নিকট সব চাইতে বড় পাপিষ্ট ব্যক্তির একজন হল সেই ব্যক্তি, যে বিনাকারনে পশুহত্যা করে’ [দ্রঃ হাকেম, বাইহাকি,সহিহুল জামে’/১৫৬৭]।

‘যে ব্যক্তি অধিকার ছাড়া (অযথা) একটি বা তার বেশি চড়ুই হত্যা করবে, কিয়ামাতের দিন আল্লাহ সেই চডুই সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন’। বলা হল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! অধিকারটা কি (যে অধিকারে তাকে হত্যা করা বৈধ হবে)?’ তিনি বললেন, ‘অধিকার হল এই যে, তা জবাই করে খাওয়া হবে এবং মাথা কেটে (হত্যা করে) ফেলে দেওয়া হবেনা’ [নাসাঈ; তারগিব/২২৬৬]। এই হাদিস থেকে বোঝা যায় শুধু মাত্র খাওয়ার উদ্দেশ্যেই হত্যা করা যাবে।

একবার একটি গাছের নিচে একজন নবিকে পিঁপড়ে কামড়ে দিলে তিনি গর্তসহ পিঁপড়ের দল পুড়িয়ে ফেললেন। আল্লাহ তাঁকে অহি করে বললেন, ‘তোমাকে একটি পিঁপড়ে কামড়ে দিলে তুমি এমন একটি জাতিকে পুড়িয়ে মারলে, যে(আমার) তসবিহ পাঠ করত? তুমি মারলেতো একটিই মারলে না কেন, (যে তোমাকে কামড়ে দিয়েছিল)?’ [বুখারী মুসলিম/২২৪১]।

অর্থাৎ, ইসলাম শুধু পশু পাখি নয়, একটা পিপড়ারও অধিকার নিশ্চিত করেছে।

বিষয়: বিবিধ

১৯০৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343066
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
হতভাগা লিখেছেন :
কিন্তু বিড়ালটি মারা গেল। এই জন্যই মহিলা জাহান্নামে যায়। (বুখারি)

পক্ষান্তরে জৈনক ব্যভিচারিনি একটি পিপাসার্ত কুকুরকে পানি পান করানোর কারণে জান্নাতে যায়।


০ এখনও তো কিয়ামত আসে নি , হাশরের ময়দানে বিচার কার্যও সম্পন্ন নয় নি যাতে কে জান্নাতে ও কে জাহান্নামে গিয়েছে বলে দেওয়া যায় না ।

উনাদের বিচার কি আগে হয়ে গেছে ?

সানি লিওনি যদি এরকম একটা পিপাসার্ত পশুকে পানি পান করায় তাহলে এই উসিলাতে কি সে জান্নাতে চলে যাবে ?

মাদার তেরেসা অনেক ভাল কাজ করেছেন , কিন্তু তিনি খৃষ্টান । ঈসা(আঃ)কে আল্লাহর পুত্র মানেন (নাউজুবিল্লাহ) বা তাকেই আল্লাহ বলে থাকেন (নাউজুবিল্লাহ) । পশু নয় , হাজার হাজার মানুষকে সেবা করার উসিলায় আল্লাহর সাথে শিরক করেও কি উনি জান্নাতে যাবেন ?

হলিউডি অভিনেত্রী এন্জেলিনা জোলি জনা কয়েক আফ্রিকান পিচ্চিকে দত্তক নিয়েছেন , মানে তাদেরকে আপন সন্তানের মতই ভরণ পোষন করবে । এই উসিলায় একজন মুশরিক হয়েও কি সে জান্নাতে যাবে ?

একই হিসাব কি সুস্মিতা সেনের জন্যও প্রযোজ্য হবে ?
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:০১
284439
কাহাফ লিখেছেন : 'তাওহিদের ঘোষণা দানকারী বেহেশ্তে যাবে'
এমন মর্মার্থের একটা হাদিস আছে!
অর্থাৎ পাপের সাজা ভোগ করার পর বিন্দুমাত্র ঈমানের অধিকারী ব্যক্তিরাই জান্নাতে যাবে!
জান্নাতে যাওয়ার মুল বিষয় হল-ঈমান।
যদি ঈমান না থাকে তাহলে যত ভাল কাজই করুক,ফায়দা নাই!
তাই আপনার উদৃত ব্যক্তিবর্গ তাওহিদে সাক্ষ্য না দিলে কোন কাজে আসবে না ভাল কাজগুলো!
২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৩০
284515
চিলেকোঠার সেপাই লিখেছেন : হাশরের ময়দান এবং বিচার সম্পর্কে আল্লাহ রাসুল সা কে কিছু জ্ঞান দিয়েছিলেন আমরা তা থেকে জানি। আর এরা কোথায় যাবে তা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমার মনে হয় না আল্লাহ আমাকে হাশরের দিন প্রশ্ন করবেন, আঞ্জেলিনা জোলি/ তেরেজা কি বেহেস্তে যাবে না দোজখে যাবে? তোমার কি মনে হয়? । তাই এটা নিয়ে ফালতু সময় নষ্ট করার মানে হয় না।
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:১২
284904
হতভাগা লিখেছেন : @কাহাফ ভাইজান :

অর্থাৎ পাপের সাজা ভোগ করার পর বিন্দুমাত্র ঈমানের অধিকারী ব্যক্তিরাই জান্নাতে যাবে!


০ যার পাপের বোঝা বেশী হবে সে জাহান্নামী হবে এবং সেখানে সে থাকবে চিরকাল ।

আর যার পূন্যের বোঝা বেশী হবে সে জান্নাতে যাবে , সেখানে সে থাকবে চিরকাল ।

এরকম কথাই আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র ক্বুরআনে বলেছেন ।

এটা কি বলেছেন যে সাজা ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে ? দয়া করে এ ব্যাপারে ক্বুরআনের রেফারেন্স দিলে খুশী হব ।


@চিলেকোঠার সেপাই :

তোমার মাথাব্যথা নেই , তবে ব্যভিচারিনীর কথা আলাদা । এখনও কিয়ামত হয় নি , তাহলে ঐ ব্যভিচারিনী জান্নাতে গেল কিভাবে ?

আর ব্যভিচারী ও ব্যাভিচারিনীর জন্য আল্লাহ তো শাস্তির কথা বলেই রেখেছেন । পাথর মারার শাস্তি / মহিলাদের গৃহে বন্দি রাখার শাস্তি যতদিন না মৃত্যু হয় বা আল্লাহ অন্য কোন ব্যবস্থা স্থির করেন ।

যে ব্যভিচার করলো সে আল্লাহর নাফরমানী করলো , শুধুমাত্র একটা কুকুরকে পানি পান করালেই যদি একজন আল্লাহর নাফরমানের বেহেশত লাভ হয় , তাহলে একই চরিত্রের জোলি , সানিরা যদি একই কাজ করে বেহেশতে যেতে পারবে ?

আপনার কথার সূত্র ধরেই কথা টেনেছিলাম । যোগ্যতা থাকলে উত্তর দিবেন আশা করি ।

পিঁপড়ে নিয়ে যে কথা বললেন হাদিসের, ক্বুরআনে সুলাইমান (আঃ) এর বাহিনী যাতে অজ্ঞাতসারে পিঁপড়ের দলকে পিষে যেতে না পারে সেরকম একটা সতর্ক পিঁপড়ের সর্দার বলেছিল বলে আমরা জানতে পারি ।

আর যে সমস্ত হালাল পশু আল্লাহর নামে জবাই করে খাওয়া যায় সেগুলো তো আর অন্যায় হত্যা হতে পারে না ।

আল্লাহ এদেরকে বানিয়েছেন মানুষের উপকারার্থে যাদের পিঠে চড়ে দূর-দুরান্তে যাওয়া যায় , কাজ করানো যায় । তাদের উদরস্থিত দূধ পান করা যায় এবং তাদের চামড়া থেকে শীত নিবারক ও পোশাক বানানো যায় এবং যাদেরকে আল্লাহর নামে জবাহ করে খাওয়া যায় ।
343080
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
343109
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : যারা পশু হত্যার বিরোধি তারা কোনদিন এন্টিবায়োটিক অবশ্যই খাবেন না। কিন্তু তবুও আমাদের রক্তের এন্টিবডি প্রতিমূহুর্তেই হাজারহাজার জিবানু হত্যা(!) করছে।
343124
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৫৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : সুন্দর বলেছেন খুবি ভাল লাগলো পড়ে । অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File