সাংস্কৃতিক বিপ্লবঃযুগ পরিক্রমা ও ইসলামী আন্দোলনে এর প্রয়োজনীয়তা
লিখেছেন লিখেছেন এহসান সাবরী ০৩ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৩৫:০২ সন্ধ্যা
পৃথিবীর প্রতিটি মতাদর্শের বিজয়ের জন্য প্রয়োজন মানুষের মন ,মনন, চিন্তাধারা সর্বোপরি মানসিকতার আমূল পরিবর্তন। সংস্কৃতি হল কোনো মানুষের জীবন প্রক্রিয়া। আমাদের এই যুগে যেখানে নাস্তিক্যবাদ ও ভোগবাদ তার সমস্ত শক্তি ও উপকরণ জড়ো করেছে ইসলামের বিনাশ সাধনে সে তূলনায় ইসলামী আন্দোলনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ ও এর জন্য নিজেদের মননকে উৎসর্গ করার প্রবণতা খুব একটা নেই। এখন আসা যাক, যুগে যুগে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের প্রায়োগিক সাফল্যের উপর। মহানবীর (সাঃ) যুগে সমগ্র আরব যে অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতায় আকণ্ঠ নিমজ্জিত ছিল তখন তিনি সর্বপ্রথম একত্ববাদের দাওয়াত পেশ করে তাদের সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের মূলে কুঠারাঘাত করেন। অন্ধকারের মানুষগুলোর চিন্তা জগতের ক্ষেত্রে তিনি এক বিপ্লব সাধন করেন। মদীনায় যখন আল্লাহর রাসূল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেন তখন বাতিলী শক্তির সাহিত্যিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য হাসান বিন সাবিত (রাঃ) ,আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা(রাঃ) প্রমূখের মত শক্তিমান কবিদের তিনি নিয়োজিত করেন। এরপর খিলাফতে রাশেদার সময়েও এই ধারা অব্যাহত ছিল।সবচেয়ে লক্ষনীয় বিষয় যখন মুসলমানদের মাঝে সাহিত্যের জগতে বিপর্যয় আসল তখন মুসলিম সাম্রাজ্যও হুমকির মাঝে পড়ল। মুসলিম সুলতান ও রাজা বাদশাহ দের দরবারের চাটুকার ও তোষামোদকারীরা তাদের পতনের কারণ হয়ে দাড়িয়েছিল। এক্ষেত্রে সবচাইতে বড় উদাহরণ বাগদাদের আব্বাসীয় খিলাফাত।
পরবর্তী যুগে দেখা যায়,মুসলিম কবি ও সাহিত্যিকরা যখন গর্জে উঠেছেন স্বীয় চেতনা ও ঈমানী শক্তিতে কেবলমাত্র তখনি তাদের জনপদের মানুষের মাঝে উদ্ভব হয়েছে এক স্ফুলিঙ্গের। নির্যাতিত জনপদের মুসলিম কবিদের সাহসী ও বিপ্লবী কবিতা আজো সেসব অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ফেরে। যেমন ফিলিস্তিনী কবি মাহমুদ দারবিশ,উজবেক কবি আলবী বালাপকী। আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক জগতে ইসলামী চেতনাধারী একদল কলম সৈনিকের আবির্ভাব অতীব জরুরী। যাদের অন্তরে থাকবে দ্বীনের নুর, কলম আরেক হাতে কুরান। আমাদের সংস্কৃতি ও সাহিত্য জগতে এরকম সৈনিকের অভাবেই আমাদের দেশে আজ অশ্লীলতার সয়লাব পরিলক্ষিত হয়। ভারতীয় নগ্ন সংস্কৃতির করাল গ্রাসের সামনে আমাদের দাড় করাতে হবে এক শক্তিমান সাহিত্যধারা যার উৎস হবে খোদায়ী নূর। এজন্য আমাদের ব্যবহার করতে হবে তথ্য প্রযুক্তির সকল হাতিয়ারকে। ব্লগ, টুইটার, ফেসবুক প্রভৃতি। আমাদের মাঝেও আসবে হাসান বিন সাবিতের মত কবি। ইসলামী বিপ্লবের জন্য এই
সাহিত্যের ধারাকে এগিয়ে আসতে হবে সদর্পে!
বিষয়: বিবিধ
১০৬৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন