তারুণ্যের প্রেরণাশক্তিতে উদ্বেলিত চেতনা

লিখেছেন লিখেছেন কালজয়ী ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৬:২৫:৪৩ সন্ধ্যা

যারা তারুণ্যের উদ্যমী কূপমণ্ডূকটার ঊর্ধ্বগামী শক্তিতে বিশ্বাসী তারা কখনই হেরে যাওয়াকে জীবনের লক্ষ্য মনে করে না। তারা মনে করে প্রবল প্রানশক্তি আর দৃঢ় চেতনাই পারে সাফল্যের দুর্লভ্য শীর্ষকে আপন মহিমা দিয়ে জয় করতে। এই জয়ের পেছনে থাকে না কোন আপন স্বার্থ সম্প্রচারের উদ্যোগ, থাকে না মনের গহীনে সুপ্ত অভিসন্ধি পূরণের স্পৃহা। শুধুই থাকে সৃষ্টিশীল কর্মের দ্বারা ধরণীকে মানুষের জন্য আরও বেশি মহৎ, কল্যাণকর, সহজবোধ্য, সুউপযোগী ও সর্বসাধারণের উপকৃত হওয়ার ক্ষেত্রে পরিনত করার অদম্য বাসনা। এই বাসনাকে কবি-সাহিত্যিকেরা যেমন আখ্যায়িত করেছেন যৌবনের মাতৃরূপ হিসেবে তেমনি এ বয়সটাকে চিহ্নিত করেছেন দুর্দমনীয় কালের প্রেক্ষাপটে। এই বয়স, এই সময়কালে উর্ধগামী যৌবনের যে বিদগ্ধবিস্মৃত প্রেরণাশক্তি হৃদয় গভীরে জাগ্রত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাকে উপেক্ষা করা আদৌ সম্ভব নয়। এই শক্তিই পারে মানুষকে সম্পুর্ণ বদলে দিতে। মনে, মগজে, মননে নিহিত সুপ্ত দাসত্বের অঙ্কুরিত বীজকে ধ্বংস করে দিতে। কেননা মননের মাঝে বিদ্যমান দাসবৃত্তি সৃষ্টিশীল কর্মের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারে না। সৃষ্টিশীল কর্মই মহৎ, যখন তা হয়ে ওঠে মানবের স্বার্থে আত্মউৎসর্গীকৃত প্রেরণা হতে উদ্ভূত। ব্যক্তি তখনই পারে আপন মনের মেলবন্ধনে অপরকে বাঁধতে, যখন তার মনে বাস করে অপর মানুষকে আপন মহিমায় ভালোবাসার গভীর অনুভূতি। এই ভালবাসাই তৈরি করতে পারে প্রবল ভাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষাযুক্ত এক ভারসাম্যপুর্ণ সমাজ। মানুষের কাছে মানুষের জন্য এর চেয়ে বড় উপহার আর হতে পারে না।

বিষয়: সাহিত্য

১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File