তাবলিগ

লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার ২২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৪৪:১৪ রাত

আমরা অনেকে "তাবলিগ জামাত" "তাবলিগওয়ালা" কিংবা তাবলিগী বলে থাকি ৷

আসলে তাবলিগ জামাত বলতে কোনো জামাত মানে দলের অস্তিত্ব নেই, "তাবলিগ" মানে পৌছায়ে দেয়া বা দাওয়াত দেয়া এটা ইসলামের একটা অতি গুরুত্বপূর্ন আমল, আলেমদের কারো মতে এটা ফরজে আইন আবর কারো কারো মতে ফরজে কেফায়া ৷

তবে এটা পালনে ইসলামে সুনির্দিস্ট কোনো পন্থা বা নিয়ম নেই ৷ আল্লাহর নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়াতী জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আমল করে গেছে, কখনো তিনী নিজে পায়ে হেটে গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন যেমন আবু বকর (রাHappy এর কাছে, ঘরে দাওয়াত দিয়েছেন খাদিজা (রাHappy কাছে সর্বপরি মক্কাবাসীর কাছে ৷

আবর কখনো জামাত পাঠিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন হাবসায়, মদিনায়, আবিসিনিয়ায়, আবার কখনো নিজে হিজরত করে দাওয়াতি কাজ করেছেন যেমন তায়েফ ও মদিনায় ৷

এক কথায় নবুয়াতী জিন্দেগীর পুরাটা সময় তাবলীগের কাজ করেছেন আল্লাহর আল্লাহর নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, কারন উনার দুনিয়াতে আসর উদ্দেশ্যই ছিল মানুষকে আল্লহর দিকে ডাকা মানে তাবলিগ করা ৷

সাহাবা আজমাইন (রাHappy সারা জীবন তাবলীগের মেহনত করে গেছেন তিনাদের মাধ্যমেই আজ আমরা ইসলামে প্রবেশ করতে পরেছি ৷ আল্লাহর নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওফাতের সময় মক্কায় এক লক্ষর অধিক সাহাবী থাকলেও দশ হাজার সাহাবীর কবরও আরবে পাওয়া যায়না, কারন তিনারা তাবলীগের কাজে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পরেছিলেন ৷

সাহাবা আজমাইনের পরে যুগে যুগে মুসলমানগন এই কাজ করে গেছেন, কখনো জোরালো ভাবে আবার কখনো একটু শিথিল ভাবে ৷ তবে কোনো যুগেই এই কাজ বন্ধ ছিলনা ৷

বর্তমানে যেটা চলছে সেটাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ, এখানে নতুন কিছু নেই নতুন কোনো আমলও নেই সব পুরানো ৷

হ্যাঁ আমলটা করার জন্য যুগের চাহিদা অনুযায়ী কিছু পদ্দতি অবলম্ভন করা হয়, এইটা আল্লহর নবীর যুগেও হয়েছে এখনো হচ্ছে ৷ তাই এক্সট্রা করে তাবলিগ জামাত" "তাবলিগয়ালা" এইসব বলার কোনো যুকিক্তা নেই, বরং এগুলা আর দ্বারা ফিতনা তৈরী হয় ৷

তাবলিগ সব মাজহাবের, সকল মতের, জন্য সকল দলের জন্য সর্বপরি সকল মুসলমানের জন্য একটি জরুরী আমল ৷ আল্লাহ আমাদের সকলকে এই আমলটি পালন করার তাওফিক দান করুন আমিন ৷

বিষয়: বিবিধ

১১৩৭ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

165964
২২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৫১
ইমরান ভাই লিখেছেন : হ‍্যা, এটাকে ইলিয়াসি তাবলীগ জামাত বলা হয়।
রসুল (সা) এর দেয়া ইসলামের তাবলীগ নয়।
২২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৭
120135
বিন হারুন লিখেছেন : হুম! আপনি যদি কাউকে দ্বীনের দাওয়াত দেন, তাহলে বলতে ইমরানী তাবলীগ
২২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৫
120152
বড়মামা লিখেছেন : ৭৫%ঠিক বলেছেন
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৭:৫৫
120248
ইমরান ভাই লিখেছেন : @বিন হারুন,
আমি জদি আল্লাহ ও তার রসুল (সা) (কলাল্লাহ অথবা কলার রসুল) এর কথা পৌছায়ে দেই তাহলে তা হবে ইসলামের তাবলিগ। আর জদি আমার কথা পৌছায়ে দেই তাহলে আপনার কথা ঠিকই তা হবে ইমরানী তাবলীগ।
যেমনটা, ইলিয়াসী তাবলীগের বেলায় হয়েছে।
165982
২২ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:১৭
বিন হারুন লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ।
166247
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার লিখেছেন : জনাব ইমরান; বর্তমানের তাবলীগের লোকেরা কি ইসিযাসের কথা প্রচার করে ?? তারা স্বাধারনত ৬ টি বিষয় বলে, ঈমান, নামাজ, এলেম ও জিকির, ইকরামুল মুসলিমিন, তাবলিগ ৷ এখন আপনি বলুন এখানে ইলিয়াসী কথা কোনটা ??
২৩ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:২২
120368
ইমরান ভাই লিখেছেন : ভাই, কিছু কথাতো আছে আল্লাহ ও তার রসুল (সা) থেকে কিন্তু অনেক কথাই আছে যা ইলিয়াস সাহেব ও তার জামাতা জাকারিয়া সাহেবের থেকে।

বিস্তারিত জানতে এখানে আসুন Click this link

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File