বাংলাদেশে কুইসলিং-দের উদয় হয়েছে আর অনেকে মানষিকভাবে বিকারগ্রস্হ হয়েছে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৯:৩৪:২৬ রাত
ফেসবুকে দেখলাম অনেক জামায়াতী ও হেফাজতী মানষিক বিকারগ্রস্হ হয়ে পড়েছেন । কারণ তাদের অনেকে ধর্মনিরোপেক্ষ হওয়ার জন্য চেষ্টাই করছেন না শুধু অনেকে ইসলাম ধর্ম পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হিসেবে নিজের নামও পরিবর্তন করেছেন ( যেমন : রহমত আলী নিজেকে পরিচয় দেওয়া শুরু করেছেন রবি চৌধুরী ) । এর কারণও অনেক । যেমন :
১। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিবেশের পর অনেক জামায়াতীদের রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ।
২। আগে তাদের উপর আক্রমন হলেও তারা নিজেরা নিহত (আমার মতে তারা শহীদ হয় না ) ও আহত হতো । কিন্তু ইদানিং নিকাবী সম্প্রদায়ের উপর ধর্ষণ নামক এক অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে । তা খুবই বিবৎস ও ভয়ংকর ।
দযা করে বলুন, তারা অপঘাতে মারা গেছেন কি ? না শহীদ হয়েছে ?
মৃত্যুর পর তাদের পরিনতি কি ?
সবাইকে আদবের সাথে আলোচনা করার জন্য অনুরোদ করছি ।
আমার অভিমত : কথায় আছে না । মরার আবার জাত কি ? ছবিটা এই কথাটাকেই প্রমান করছে । ইন্তেকালের আগে তারা ছিল পরস্পর দুই মেরুর রাজনৈতিক দলের কর্মী । আর মরার পর পাশাপাশি শুয়ে আছে । হয়ত তারা একই কবরস্হানে দাফন হবে । এই হুজুর হয়তো তাদের জানাজার নামাজ পড়াবে । হাশরের মাঠেও সম্ভবত একই সাথে তারা উঠবে । আমি ভাবি : হায় ! হাশরের মাঠে তারা আল্লাহর দরবারে কি জবাব দিবে ? কেনই বা তারা এভাবে বেঘোড়ে প্রাণ দিলো - তার জবাবই বা তারা কি দিবে ? ........কথায় আছে না : রাজা রাজায় যুদ্ধ করে উলু খগড়ার প্রাণ শুধু যায় । .... যাদের বিন্দুমাত্র আল্লাহর ভয় আছে তাদের এই ছবিটা হতে শিক্ষা নেওয়া উচিত । আর যাদের আল্লাহর ভয় নেই । তাদের এই ছবিটা নিয়ে বার বার ভাবনা চিন্তা করা উচিত । মুসলিমদের কাছে দুনিয়াটাই শেষ নয় । মৃত্যুর পর তাদের ঠিকানা জান্নাত । আর সেই জান্নাতে যাওয়ার পথে আমাদের থাকতে হবে ।
https://fbcdn-sphotos-h-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/1606985_560676147352571_243003177_n.jpg
মাওলানা নুরে আলম হামিদী ব্রিটিশ নাগরিক যিনি
ডিবি অফিসে কিভাবে চল্লিশটারও বেশি পুলিশ নরপশু একজন হিজাব পরিহিতা ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে, তার চাক্ষুষ স্বাক্ষী তিনি। দেখুন : https://www.facebook.com/photo.php?v=488215021252162 এই ব্রিটিশ নাগরিক মৌলভীবাজারের বিখ্যাত কৃতি সন্তান । তিনি মৌলভীবাজারের স্কুল হতে বিসমিল্লাহ নিষিদ্ধ করার বিরোদ্ধে একাই বিসমিল্লাহ হেফাজত কমিটি গঠণ করে আন্দোলন শুরু করেছিলেন । বেশ কিছু হিন্দু শিক্ষক বিসমিল্লাহ নাম ফলক ভেঙ্গে মনু নদীতে ফেলে দেয় । তার প্রতিবাদে তিনি সোচ্চার হয়েছিলেন । তার পরিনতি কিন্তু ভাল হয়নি ।
৩। তাদের নেতাদের কুকর্ম ও মুনাফেকি হাতে নাতে ধরা পড়ায় তারা নেতাদের মতো ও মানষিক বিকারগ্রস্হতায় আক্রন্ত হচ্ছেন । অনেকের মতিভ্রমও ঘটেছে ।
যাদের মতিভ্রম ঘটেছে তাদের উদ্দেশ্যে আমার ছোট্ট লেখা :
" বাংলাদেশে কুইসলিংদের উদয় হয়েছে "
কুইসলিং শব্দের ব্যবহার কেন হয় :
In contemporary usage, quisling is synonymous with traitor, and particularly applied to politicians who appear to favour the interests of other nations or cultures over their own.
ইংরেজি কুইসলিং শব্দের অর্থ দালাল, দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি।
কুইসলিং কি কোন ব্যক্তি :
তিনি একজন ব্যক্তি । তার পুরো নাম ভিডকুন কুইসলিং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক খলনায়ক ভিডকুন কুইসলিং। তিনিএকজন নরোয়েজিয়ান আর্মী অফিসার এবং রাজনীতিবিদ । জার্মানদের নরওয়ে দখলের জন্য যাবতীয় সামরিক তথ্য হিটলারের কাছে পাচার করেন , অনেক ইহুদীদের অবস্থান নাৎসিদের হাতে তুলে দেন । পুরস্কার হিসেবে হিটলার তাকে দখলকৃত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী বানান । ১৯৪৫ সালে জার্মানদের আত্মসমর্পণের পরে নরওয়ের জনগণ তাকে বিচারের সম্মুখীন করে এবং তার ফাঁসি হয়। কুইসলিং –এর তুলনা বাংলাদেশে মীর জাফরের সাথে হতে পারে । তবে কুইসলিং তার চেয়েও মারাত্মক ।
পোস্টের এই ছবিটা কুইসলিং - এর ।
বিশ্বের ইতিহাসের কুখ্যাত বিশ্বাসঘাতক হলো কুইসলিং :
মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতার পরিণতিতে একটি উপমহাদেশ অর্থাৎ একটি স্বাধীন জাতিকে দীর্ঘ ১৯০ বছর বিদেশিদের নাগপাশে পরাধীন জীবন কাটাতে হয়। তাই ইতিহাসের পাতায় সর্বকালের কুখ্যাত বিশ্বাসঘাতক এবং এর প্রতিশব্দ হিসেবে ঘৃণাভরে উচ্চারিত হয় তার নাম। নিজেদের সংগঠন, দল কিংবা গোত্র সব মিলিয়ে দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার লজ্জাজনক কিংবা ভয়াবহ উদাহরণ আরো রয়েছে।
পৃথিবীর সেরা কয়েকজন কুখ্যাত বিশ্বাসঘাতকদের একজন হলেন
ভিদকুন কুইজলিং । তার জন্মস্হান নরওয়ে । পৃথিবীর ইতিহাসে এমন মানুষ হয়তো খুব বেশি নেই যার নাম অভিধান বা ডিকশনারিতে স্থান পেয়েছে বিশ্বাসঘাতকদের প্রতিশব্দ হিসেবে। তেমনি একজন মানুষ নরওয়ের ভিদকুন কুইজলিং। আর ইংরেজি কুইসলিং শব্দের অর্থ দালাল, দেশদ্রোহী, বিশ্বাসঘাতক ইত্যাদি। যাকে নিয়ে এই বিতর্কিত শব্দ, তার পুরো নাম ভিদকুন আব্রাহাম লাউরিটজ জনসন কুইজলিং। তবে কুইজলিং নামেই তার ব্যাপক পরিচিতি।
১৮৮৭ সালের ১৮ জুলাই তার জন্ম। লেখাপড়া শেষে যোগ দেন নরওয়ের সেনাবাহিনীতে। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ছিলেন রাশিয়া এবং আশপাশের বেশ কটি দেশে। দীর্ঘ নয় বছরের প্রবাস জীবন শেষে কুইজলিং নিজ দেশে ফেরেন ১৯২৯ সালে। এরপর সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির আদলে নরওয়েতে নতুনভাবে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে তিনি নরওয়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করেন এবং একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদে পরিণত হন। জার্মানির কুখ্যাত শাসক এডলফ হিটলারের ৫০তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার দৃষ্টি কাড়েন কুইজলিং। পরবর্তীতে হিটলারের সঙ্গে দেখা করে মিত্রবাহিনী তথা ব্রিটিশদের দ্বারা নরওয়ে আক্রমণের শিকার হলে হিটলারের সাহায্য পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিশ্বব্যাপী জার্মানিদের করুণ পরাজয় এবং ১৯৪৫ সালে ৩০ এপ্রিল হিটলারের আত্মহত্যার পর কুইজলিং বুঝতে পারেন দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে তার দিন। যুদ্ধ শেষে নতুন সরকার কুইজলিং এবং তার মন্ত্রীদের বন্দী করে। বন্দি অবস্থায় কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুইজলিং। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর বিচারের রায় অনুসারে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাকে। তার মৃতদেহ পুড়িয়ে ছাই করে চিরবিদায় জানানো হয়।
http://www.manobkantha.com/2013/09/10/138031.html#sthash.uC99fQUU.dpuf
http://www.manobkantha.com/2013/09/10/138031.html
http://www.somewhereinblog.net/blog/express007rocks/29752691
কুইসলিং – এর সমগোত্রীয় আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে আছে । যেমন : সিকিমের লেন্দুপ দর্জি ।
উপসংহার :
বাংলাদেশের জনগণকে কুইসলিং-দের সম্পর্কেই শুধু সচেতন হলেই হবে না , বরং ইসলামের নাম ব্যবহারকারী লোকদের ব্যাপারেও সতর্ক হতে হবে । যেমন : ভারতের মুসলিমরা অনেক লাথি গুতা খাওয়ার পর দেওবন্দ সম্পর্কে তাদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে । আমাদের দেশের লোকদেরও অদুর ভবিষ্যতে ইসলামের নাম ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে জনগন সচেতন হবে ।
ফেসবুক ও বিভিন্ন ব্লগ সাইট হতে জানলে পারলাম : জামায়াতী বিশেষত নিকাবী মেয়েদের এবং বিএনপি-র সাথে সম্পৃত্ত পরিবারের মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে । ফেসবুকে এমন এক নিকাবী পড়া ধর্যিতা মেয়ের চিঠিও পড়লাম ।
আমি মনে করি , ধর্ষিতা মেয়েরা এই দুই লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত হতে পারে : http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440 http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/aynashah/27049
আমি ধর্ষিকা জামায়াতী বা নিকাবী বোনদের উদ্দেশ্যে বলছি :
বোন ! উঠে দাড়াও । জোড় গলায় বলো :" আমি ধর্ষিতা । আমাকে অমুক তুমুকে ধর্ষণ করেছে ।" তুমি নিজেই এর প্রতিকার খুজে বের করো । নিকাব তোকাকে সুরক্ষা দিবে না । এসব মিথ্যা কথা তুমি ঝেড়ে ফেলো । তোমরা মুওদুদী দর্শন, ওহাবী মতবাদ ও দেওবন্দী মতবাদ পরিত্যাগ করো । এসব মতবাদ তোমাদের যৌনদাসী বানিয়ে রেখেছে । তোমাদের ঘরকুনো করে রেখেছে । তোমাদের বিবেকহীন বস্তু বা নাকেসুল আকল বানিয়ে রেছেছে এসব মতবাদ । তেতুল হুজুরদের কথা মেনে তোমরা নিজেদের ক্ষেত বানিয়ে রেখো না । তোমরা বেগম রোকেয়ার মতো নিকাব ছেড়ে ঘরের বাহিরে বেড়িয়ে এসো । আমরা তোমাদের উঠে দাড়াতে সাহায্য করবো ।
পুণচ : যে বা যারা ইংরেজীতে বা ইংরেজী অক্ষর ব্যবহার করে মন্তব্য লিখবে তাদের মন্তব্য মুছে দেওয়া হবে।
লেখার কোন অংশ মুছে ফেলার অনুরোদ কোনভাবেই গ্রহণ করবো না । কারণ জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারের এবং দেশের অস্তিত্ববিনাশী তৎপড়তার বিরোদ্ধে আমি লিখেই যাবো ।
কারণ আমি মনে করি, রাজনৈতিক স্বৈরাচার ও ধর্মীয় স্বৈরাচার দুইটাই এক জনগোষ্ঠীর উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতি-শান্তির জন্য ক্ষতিকর । তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর ধর্মীয় স্বৈরাচার ।
বিষয়: বিবিধ
২৯৪৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পযযবেক্ষনে যদি এমন রেজাল্ট পাওয়া যায় – তাতে তো নির্দ্বিধায় বলা যায় ঘর থেকে যেসব মেয়েরা বের হয় – তারাই এর শিকার বেশী হয়।
এরপর আসেন নিকাবী আর নিকাব ছাড়া – সেখানেও দেখবেন অন্তত ৯৫% কিংবা তার চাইতেও বেশী ধর্ষিত হয়েছে নিকাব ছাড়াগুলো। এ থেকে কি বোঝা যায়?
এবার আসেন সারা বিশ্বেই এরকম চিত্র। আপনারা কিভাবে নারীদের এগিয়ে নিবেন? পুরুষের চরিত্র বদলিয়ে? তা সম্ভব না বিধায় ওমর(রাঃ) পর্দার রিকোয়েষ্ট করছিলেন নবীকে তাও শুধুই মেয়েদের জন্য।
নারীর যদি সত্যিকারের নিরাপত্তা দিতে চান – তবে বলেন বিনা প্রয়োজনে নারী-কে ঘর থেকে না বের হতে। আর যদি বলেন না – প্রয়োজন না থাকলেও আমরা নারীদের টেনে হিচড়ে এগিয়ে নিয়ে যাবো রাস্তা-ঘাটে, অফিসে-আদালতে – তবে ফিরিয়ে রাখেন ধর্ষন পারলে; আরও বেড়ে যাবে ধর্ষনের এ রেট এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ছিনালীপনা বেড়েই যাবে নারীদের – তাতো এগিয়ে যাওয়া মাধ্যমের রিপোর্টকৃত তথ্য-উপাত্তই বলে দেয়।
" নারীর যদি সত্যিকারের নিরাপত্তা দিতে চান – তবে বলেন বিনা প্রয়োজনে নারী-কে ঘর থেকে না বের হতে। আর যদি বলেন না – প্রয়োজন না থাকলেও আমরা নারীদের টেনে হিচড়ে এগিয়ে নিয়ে যাবো রাস্তা-ঘাটে, অফিসে-আদালতে – তবে ফিরিয়ে রাখেন ধর্ষন পারলে; আরও বেড়ে যাবে ধর্ষনের এ রেট এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ছিনালীপনা বেড়েই যাবে নারীদের – তাতো এগিয়ে যাওয়া মাধ্যমের রিপোর্টকৃত তথ্য-উপাত্তই বলে দেয়। "
নারীরাই নারীদের নিরাপত্তার ব্যবস্হা খুজে নিবে :https://www.facebook.com/SelfdefenseTechniquesForFemales এই পেজে এক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হযেছে ।
আপনি একটা বাক্যাংশ "ইচ্ছাকৃতভাবে ছিনালীপনা বেড়েই যাবে নারীদের" ব্যবহার করেছেন । এগুলো কোন ধরণের শব্দ রে ভাই !
নারীকে শুধুমাত্র মানুষ ভাবুন ।
নারীকে কেহ টেনে হিচড়ে বাহিরে আনছে না । তারা তাদের প্রয়োজনেই ঘরের বাহিরে যায় এবং আরো বেশী যাবে ।
ওমর ( রা )-এর যুগ আর বর্তমান যুগ এক না । তখনকার সমস্যা আর এখনকার সমস্যা ভিন্ন । আর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিও পাল্টেছে ।
দয়া করে আপনি এই দুই লেখা পড়ুন :
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440 http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/aynashah/27049
মুসলিম মেয়েদের ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী করার ইতিহাসও বেশী দিনের নয় । ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম সমাজে ওহাবী মতবাদ ও দেওবন্দি মতবাদ ও মওদুদী দর্শন এবং তালেবানী দৃষ্টিভঙ্গি প্রবলতর হওয়ার পর নারীদের ঘরের মধ্যে বন্দী করার বিষয়টি আনুষ্ঠানিক রূপ লাভ করে ।
আপনি মন্তব্যে আর যে সব কথা বলেছেন তা আমি :" নিকাবী মেয়েরা কীভাবে ধর্ষণ হতে রক্ষা পাবে " -শিরোনামের এক ধারাবাহিক নিবন্ধে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবো ।
কারণ আমাদের সমাজে বিদ্যমান ওহাবী ও মওদুদি দৃষ্টিভঙ্গি এক দিনে দূরীভুত হবে না ।
নারীকে নারীই ভাবতে হবে এবং পুরুষকে পুরুষই, এর বাইরে কিছু ভাবার অবকাশ কখনও ছিলনা, কখনও হবেও না, যারা ভাবতে চায় – ভাবতে থাকুক – কোন লাভ নাই!
যাক নারী আরো বেশী বাইরে, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষনে আমরাও আগাম বলে দিতে পারি ধর্ষনও হবে আরও বেশী!
মানুষের চরিত্র সর্বযুগেই একই! তাইতো শেষ নবীর যুগে চরিত্রের উদাহরণ দিছে আল্লাহ আদমের, নূহের, হুদ, সালেহ এরকম অনেকের। এ চরিত্র সম্পর্কে আপনি বেশী বিজ্ঞ হন নাই! এখানে এ যুগে শুধু অবকাঠামো, অবলম্বনের পার্থক্য – চরিত্র যা – তাই আছে, থাকবেও তাই, দৃষ্টিভঙ্গীর দোহাই দিয়ে লাভ নাই, বুঝতে ভুল করলেও কিছুই করার নাই!
এসব ওহাবী-তোহাবী দিয়ে কিছু করার নাই, আপনারাও তাদের চাইতে কম না!
বাংলাদেশের ছেলেরা অন্য সব দেশের চেয়ে অনেক গুণ ভদ্র ও অমায়িক যা বিদেশ অনেক গবেষণা ও জড়িপে প্রমাণিত হয়েছে ।
এশিয়ায় বাংলাদেশের পুরুষই সবচেয়ে ভালো
নতুন বার্তা ডেস্ক
লন্ডন: এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের পুরুষের চরিত্রই সবচেয়ে ভালো। কারণ, বাংলাদেশী পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে ধর্ষক মাত্র একজন। অন্যদেশগুলোতে যেখানে এই হার ৬০ শতাংশেরও বেশি। এশিয়ার ছয়টি দেশের দশ হাজার পুরুষের ওপর চালানো এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘ল্যানচেট গ্লোবাল হেলথ’-এ প্রকাশিত জরিপের বরাত দিয়ে বিবিসি এ খবর দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এটিই হচ্ছে একাধিক দেশে একই সঙ্গে চালানো জরিপ, যে জরিপে উঠে এসেছে নারীদের ওপর কিভাবে নির্যাতন চালানো হয় এবং এর পেছনের কারণগুলো কি কি? তবে, জরিপের আংশিক তথ্য প্রকাশ করেছে ল্যানচেট ম্যাগাজিন।
ধর্ষণের এই প্রবণতা দেশ ও অঞ্চলবেধে ভিন্ন হয়ে থাকে। জরিপে পাপুয়া নিউগিনির পুরুষরা সবচেয়ে এগিয়ে। দেশটির প্রতি দশজন পুরুষের মধ্যে ছয়জনই নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালায়।
তালিকার ছয় দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। তবে, বাংলাদেশের পুরুষরা যথেষ্ট ভালো বলেই উঠে এসেছে জরিপে। তালিকায় সবার ওপরে থাকা পাপুয়া নিউগিনির পুরুষদের ধর্ষণ প্রবণতা ৬২ শতাংশ। এরপর আছে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশ (৪৮ দশমিত ছয় শতাংশ), ইন্দোনেশিয়ার শহর অঞ্চল (২৬ দশমিক দুই শতাংশ), চীন (২২ দশমিক দুই শতাংশ), কম্বোডিয়া (২০ দশমিক দুই শতাংশ), ইন্দোনেশিয়ার গ্রামীণ অঞ্চল(১৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ), শ্রীলংকা (১৪ দশমিক পাঁচ শতাংশ)। আর তালিকার সবশেষের দুটি হচ্ছে, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকা(১৪ দশমিক এক শতাংশ), শহর ( ৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ)।
তবে বিশ্বে ধর্ষণের জন্য বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত দেশ ভারতকে জরিপের বাইরে রাখা হয়েছে। দেশটিতে ধর্ষণ যখন অন্যতম প্রধান সমস্যা হয়ে উঠছে, তখন সেখানে কোনো জরিপ চালানো হয়নি। ভারতে প্রতি ২০ মিনিটে একজন নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। ভারতের দ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (এনএসআরবি) এক সমীক্ষায় এই ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি দেশটির গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যায় মেডিকেল ছাত্রী থেকে শুরু সাংবাদিক, বিদেশী পর্যটক থেকে শুরু করে গ্রামের সাধারণ বধূ কেউই ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ধর্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছেন ধর্মগুরু থেকে শুরু করে নিরাপত্তা কর্মীরাও।
নতুন বার্তা/এসএমএ/এমএমএ
http://www.natunbarta.com/national/2013/09/10/44313/0ca3f688aad6d3530e6056827915316b
আমাদের মতো ভদ্র লোকরা তেতুল হুজুরের কাছে যেতে পারে না । তেতুলপ্রিয়রাই তেতুল হুজুরদের কাছে যেতে পারে । যেমন : লেজেহুমোএরশাদ । তেতুল হুজুর আর সৌদি আরব মেয়েদের যৌনদাসী মনে করে । সৌদি আরব সারা বিশ্বের মেয়েদের সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের জন্য বেশ্যা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য পাঠিয়েছে। তেতুল হুজুরও মেয়েদের বেশ্যা ছাড়া আর কিছু মনে করে না । তেতুল হুজুরের সংগঠণ ২০১০ সালে সৃষ্টি হয়েছে নারী অধিকার ক্ষুন্ন করার লক্ষ্য নিয়েই । বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েই বাবার সম্পত্তির কোন অংশই পায় না । এর পেছনে দায়ি তেতুল হুজুরের চামচারা । এই লেখায় সৌদি আরব আর তেতুল হুজুরদের যৌন জিহাদ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আছে :
সৌদী ফতোয়ায় সিরিয়ায় তিউনিশিয়ান মেয়েদের যৌন জিহাদ -- একটি দীর্ঘ অনুসন্ধানী পোষ্ট
http://www.bdtomorrow.com/blog/blogdetail/detail/6252/amin20002000us/27827
কই পাইছেন এ ইতিহাস?
আমরাতো কুর’আনে যুদ্ধের কোন এক আয়াতে দেখি যে আল্লাহ মুনাফিকদের বলেছেন তারা পছন্দ করে অন্তঃপুরবাসিনীদের সাথে থাকতে। অন্তঃপুরবাসী মানে বুঝেছেন তো? নাকি নতুন করে ডিফাইন করবেন?
আরও তো দেখি আয়েশা(রাঃ) যখন পুরুষদের কোন বর্ণনা শোনাতো তখন পর্দার আড়াল থেকে শোনাতো সেসব – এসব ইতিহাস আমরা যেখানে পড়ি সেখানে কি শোনাতে চান? যে তারা পর্দার আড়ালে থেকে বয়ান করতো ঠিকই কিন্তু উদাম হয়ে রাস্তা দিয়ে নেচে বেড়াতো? আর সব পুরুষ তাদের চক্ষু দ্বারা উপভোগ করতো?
আকল বলে কিছু থাকলে – মুসলিম নারীদের বিষয়ে এসব ফালতু কথা বলতেন না!
নারীদের ব্যাপারে বর্তমানে যে দৃষ্টিভঙ্গি আমরা দেখতে পাই তা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় । এই বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গিকে ইসলাম হিসাবে চালিয়ে দেওয়ার কারণে পশ্চিমা প্রভাবাধীন গণমাধ্যমগুলি অপপ্রচার চালাচ্ছে যে ইসলাম নারীদের অবরুদ্ধ করে রাখে, মানুষের বাক-স্বাধীনতায়, চিন্তার স্বাধীনতায়, চলাফেরার স্বাধীনতায় বিঘ্ন ঘটায় । তাই যে কোনভাবেই হোক এসলামের উত্থানকে রোধ করতে হবে।
ইসলামের নারী অবলা নয় । তারাও প্রচণ্ড দুর্ধর্ষ চরিত্রের অধিকারী। পর্দাপ্রথা ছাড়াও আরও হাজারো রকম ফতোয়ার বেড়াজালে নারীদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। এইসব ভ্রান্ত বিষয় কিছু আলেমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন এবং প্রচার করেন, যার দ্বারা ইসলাম-বিদ্বেষীদের অপপ্রচারের পালে আরও হাওয়া লাগে। তার দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিকার ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি নয় ।
ইসলামের নারীদের অবস্হান কেমন ছিল তা ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা আছে। যেমন :
১. নারীরা রাসুল (সা) -এর সামনা সামনি বসে আলোচনা শুনতেন, এ সময় মহানবী ও মেয়েদের মাঝে কোনো কাপড় টাঙ্গানো ছিল এই ব্যপারে কেউ কোনো দলিল দেখাতে পারবে না।
২. নারীরা রাসুল (সা) -এর সাথে থেকে যুদ্ধ করেছেন । শত্রুদের হামলা করেছেন । আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন । নিহতদের দাফনে সহায়তা করেছেন। যে যোদ্ধাদেরকে তারা চিকিৎসা ও সেবা দিয়েছেন তারা কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন এসব আলেমদের ভাষায় “বেগানা পুরুষ”।
৩. নারীরা রাসুল (সা) -এর সময় যুদ্ধ চলাকালীন সৈন্যদের খাবার, পানীয় ও অন্যান্য রসদ সরবরাহ করেছেন।
৪. মেয়েরা মসজিদের পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে, জুমা’র সালাতে, দুই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতেন।
৫. তারা পুরুষের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও হজ্জ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন যা এখনও চালু আছে।
৬. তারা কৃষিকাজে, শিল্পকাজে অংশগ্রহণ করেছেন, রসুলাল্লাহর প্রথম স্ত্রী আম্মা খাদিজা (রা) সে সময়ের একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ছিলেন।
মূল কথা হোচ্ছে, যেখানে সবচাইতে বিপদ সংকুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হচ্ছে শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, সেই যুদ্ধে মেয়েরা পুরুষের সঙ্গে সমানতালে অংশগ্রহণ করে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে । সেখানে চাকুরী, শিক্ষা, ব্যবসায়, বৈষয়িক অন্যান্য কাজে কর্মে নারীদের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ তো সাধারণ ব্যপার।
রাসুল (সা.) –এর যুগ হতেই মেয়েরা যুদ্ধ করে আসছে । যুগে যুগে মুসলিম নারীরা বিভিন্ন যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে । ঠিক তেমনিভাবে সৌদি আরবে ১৮০৫ হতে ১৮১১ সালে পর্যন্ত গালিয়্যা আল ওয়াহ্হাবিয়াহ নামক নারীর নেতৃত্বে মক্কানগরীকে সুরক্ষিত রাখার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো ওহাবী মতাদর্শে বিশ্বাসী পুরুষরাই । আমরা সেসব ইতিহাস ভুলে গেছি ।
উহুদের যুদ্ধে রাসুল (সা.) – কে আগালে রাখেন যে নারী :
নুসাইবা বিনতে কা'ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.) (৬৩০-৬৯০ খৃষ্টাব্দ ):
নুসাইবা বিনতে কা'ব আল আনসারিয়াহ (রা.) ওরফে উম্মে আমারা (রা.)
ইসলামের প্রথম যুগেই মুসলিম হয়েছিলেন। উম্মে আমারা (রা.) । তিনি তার স্বামীর সাথে আকাবার বায়াতে অংশ নেন । ইতিহাসে উল্লেখ আছে ৭৩ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা এই বায়াতে অংশ নেন । উম্মে আমারা সেই দলে ছিলেন ।
তিনিই প্রথম নারী যিনি ইসলামের জন্য যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন। প্রথমদিকে যুদ্ধরত সাহাবীদের সেবা-শুশ্রষা করলেও ওহুদের যুদ্ধে যখন পরিস্থিতি পরাজয়ের দিকে চলে যাচ্ছিল, এবং মহানবী (সা)-এর চারপাশে কেউ ছিল না, তখন এই নুসাইবা (রা)ই রাসূল (সা)-কে ঘিরে ধরেন এবং বিপরীত পক্ষের তীরের আঘাত হতে নবীজিকে রক্ষা করেন।
এছাড়াও তিনি হুনায়নের যুদ্ধ, ইয়ামাহার যুদ্ধ, বায়আতে রিদওয়ান, খায়বার, মক্কা বিজয়
এবং হুদায়বিয়ার সন্ধির সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিনিই প্রথম মুসলিম নারীর অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন। তিনিই সেই নারী যিনি রাসূল(সা)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, কুরআনে কেন সবসময়ে পুরুষদের প্রতি আহবান করে কথা বলা হয়? নারীদেরকে কেন সম্বোধন করা হয় না? এরপরেই আল্লাহতাআলা নাজিল করেন সূরা আল আহযাবের ৩৬ নং আয়াত,
"নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।"
আরো জানতে দেখুন :
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/1440
http://www.bdtomorrow.net/blog/blogdetail/detail/1864/aynashah/27049
দেওবন্দী আর ওহাবী কিতাবগুলো সমাজে জনপ্রিয় । আর এসব বইয়ে কয়েকটি হাদিস ও ইতিহাসের অনেক ঘটনাকে নিজেদের মতো উপস্হাপন করা হয়েছে । আর জামায়াতের লিডার মওদুদীও একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন ।
কিন্তু অবাদ তথ্য প্রবাহের যুগে এখন আর কোন্ তথ্যই লুকানো যাচ্ছে না ।
কি ভাই । নিকাবী বোনরা যে ধর্ষিতা হচ্ছে - এসম্পর্কে তো একটা কথাও বল্লেন না ।
তবে এক দেওবন্দী বলেছেন, ধর্ষনের কোন শাস্তির কথা কুরআন - হাদিসে নেই । আর এটাও বলেছেন যে : তিরমিজি শরীফে একটা হাদিস আছে যাতে নাকি বলা হয়েছে এক লোক এক মহিলা ধর্ষণ করেছিলো । রাসুল সা -এর কাছে সেই মহিলা অভিযোগ করেছিলেন, কিন্তু তিনি নাকি বিচার করেননি (নাউজুবিল্লাহ । রাসুল সা সম্পর্কে কত বড় দৃষ্টতাপূর্ণ কথা ! ) এই ব্যাপারে এই টিউবে একটা ভিডিও দেখলাম : http://www.youtube.com/watch?v=eQTyadZ7Gpc&hd=1 যাতে একটা হাদিস উল্লেখ করা হয়েছে যাতে ধর্ষণ করলে ধর্ষককে শাস্তি দেওয়ার কথা নেই । অনেক জামায়াতী তার ধর্ষিতা নিকাবী মেয়েকে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হচ্ছেন বলে জানতে পারছি । এই বিষয়টি একটি মেয়ের জন্য কতটা অপমানকর ও গ্লানিকর - তা কোন মেয়ে মাত্রই তো দুরে থাক, সাধারণ বিবেকবান লোক পর্যন্ত ভেবে শিউড়ে উঠে ।
খালিদের(রাঃ) বায়জান্টাইনের কোন এক যুদ্ধেও কোন এক অবলা-অবিবাহিত নারী বীর দর্পে যুদ্ধ করে অনেককে হত্যা করেছেন। সে যে নারী ছিল – তা শুধু তার কন্ঠের কারনে ধরা গিয়েছিল, তার চেহারা-সুরত,গঠন কিচ্ছু বোঝা যায়নি – যেখান থেকে পড়েছি সে কোন দেওবন্দী বা যাদের কথা বলেছেন তারা না!
খন্দকের অবরোধে রাসূলের কোন এক আত্নীয়া বা এরকম কেউ একজন একজন মুসলমান পুরুষকে অনুরোধ জানিয়েছিল ইহুদীদের গুপ্তচরকে হত্যা করার জন্য – মুসলিম পুরুষ অপারগতা প্রকাশ করেছেন বিধায় তিনি নিজে গিয়ে হত্যা করেছেন এবং সে পারগ-পুরুষকে বলেছেন তার দেহ থেকে সব খুলে নিতে – পর্দা করেন নাই বলে জানা যায় না! কিন্তু আকামের মুসলিম পুরুষের চরিত্র ফুটে উঠেছে! – এটাও যেখান থেকে পড়েছি তিনি আরববিশ্বের নামী ইতিহাসবিদ।
এরকম অনেক ইতিহাসই আছে যেখানে পর্দা করছেন কি করেন নাই তার বর্ণনা না থাকলেও বোঝাই যায় তারা তা করেছিলেনই! কেননা তারা যেখানে জীবন উতসর্গ করতে প্রস্তুত ছিলেন হুকুম পালনে আর পর্দার হুকুম খেলাপ করবেন সেখানে? উপস্থাপন করলেই হলো – যে তারা করেছেন আর সেখানে পর্দা ছিলো না? রাসূলের জন্য পর্দার ব্যাপারে ওমর দু’আ করতে বলেন নাই, বলেছেন অন্য পুরুষের কারণেই – তাই এখানে সবাই রাসূলের ভাব ধরেই পার পাওয়ার কোন চান্স নেই!
উপরে যে খন্দকের সময় আকামের পুরুষের কথা উল্লেখ করলাম – সেরকম আকামের পুরুষ হয়ে নারীদের বাধ্য করে নামাবেন? আর যাদের কথা উল্লেখ করেছেন – কি আর বলা যাবে – অবশ্যই এরকম আকামের পুরুষদের কারণে তারা বাধ্য হয়েছে অথবা ব্যাপারটা এমন – “আজ থেকে ১০০ বছর পড়ে দেখা যাবে আপনার মতো আরেকজন চিল্লাবে আমাদের মুসলিম ইতিহাসে বাংলাদেশের মহান মুসলিম নেত্রী হাসিনা-খালেদা দেশ শাসন করেছেন ইসলামিক পন্থায় এ কি অস্বীকার করবেন? – তারা কি মুসলিম ছিলো না! আর এরা আমাদের পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়!”
কে কি ছিলো আর কি করেছে – সমসাময়িকরাই তার স্বাক্ষী; আদেশ নিয়ে চিন্তা করেন – যার তার ইতিহাস গ্রহণ করার কেউ নাই!
আর দেওবন্দী-মওদূদীরা আমাদের গড়ে তুলেন নাই, কথায় কথায় ওদের দোষ দিয়ে কোন লাভ নাই – হতে পারে তারা আপনার চাইতে ভালো।
আর পশ্চিমা মিডিয়া কি বললো তা নিয়ে এতো মাথাব্যাথা কেন? যুদ্ধ করেন গিয়া ওদের সাথে – ঐটাই তো ফাইনাল আদেশ – না পালন করলে যে অভিশপ্ত আপনি জানেন না সেটা? ওদের বিরোধিতা করা আদেশ হয়ে থাকলে – নারীকে এবার ঘর থেকে নিয়ে কূপে বন্দী করেন! নাকি ওদের সাথেই হাশর কাম্য?
যুদ্ধ এবং আসল কর্ম বাদ দিয়ে, থাকতে চানতো রং-তামাশা নিয়ে, তাই নারীদের জন্য এতো মায়াকান্না? চিন্তারইতো সময় পাওয়ার কথা ছিলো না ওদের অধিকারের ব্যাপারে – আরও লাগলে ওদেরকে যুদ্ধের ফিল্ডে নিতেন – আদেশ পালনার্থে। - নবীর সময়ে যাদের কথা বলেছেন তারা এরকম পরিস্থিতিতেই গিয়েছেন, আপনাদের মতন রং-ঢং এর অধিকারের জন্য না!
আপনারা আসলে একপক্ষীয় সুবিধাবাদীদের চাইতেও খারাপ! সেইসব নারীরা কি উদ্দেশ্যে কি করছেন তার অপব্যাখ্যা করে আপনারা উস্কে দিচ্ছেন মূর্খদের!
মন্তব্য করতে লগইন করুন