রোজা রাখলে পুষ্টি শক্তির অবক্ষয় ঘটে ? (ওবায়দুল্লাহ সোহেল)
লিখেছেন লিখেছেন ওবায়েদ উল্লাহ সোহেল ১০ জুন, ২০১৬, ১০:৫৯:১৪ সকাল
রোজা রাখলে পুষ্টি শক্তির অবক্ষয় ঘঠে এবং সময় মত ওষুধ সেবন করা যায়না ।
এতে শরীরের কি ক্ষতি হতেপারে ?
অবশ্যই না ।
খিদে পাওয়া মানুষের জন্মগত অনুভুতি ।
তাই মানুষ খাদ্য চায় । যে খাদ্য শরীরকে যোগায় পুষ্টি আর শক্তি ।আমাদের মস্তিষ্কের এক বিশেষ অংশের নাম হাইপোথ্যালামাস ।
এখানে আছে ভোজন কেন্দ্র যা খিদের অনুভুতি জাগায় । অর্থাত্ খাদ্যের যখন প্রয়োজন হয় তখন হাইপোথ্যালামাস আমাদেরকে খাদ্য গ্রহণের নির্দেশণা দেয় এবং কতটা খাওয়া উচিত্ এটাও নিয়ন্ত্রণ করে ।
শরীরে খাবারের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায় যার ফলে হাইপোথ্যালামাস উত্তেজিত হয় । কিন্তু মানুষ যদি দৈনিক একটানা ১২থেকে ১৬ ঘন্টা পানাহার থেকে বিরত থাকে তাহলে ভোজন কেন্দ্রশরীরের বিস্তৃত স্নায়ু তন্তুকে প্রভাবিত করে যা হাইপোথ্যালামাস অঞ্চলকে উদ্দিপিত করে এবং আবেগ অনুভূতি জাগ্রত করে ।
এভাবে ত্রিশ দিন একটানা সিয়াম সাধনা করলে রোজাদারের অনুভূতি শক্তি লক্ষ্যনীয় যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হয় । ফলে মানুষের সুখ দুঃখ , আনন্দ বেদনা , দৈনন্দিন ঘঠনা প্রভৃতি অনুভব করা সহজ হয় । এজন্য রোজা রাখলে আমাদেরমধ্যে এমন একটি সহানুভূতির সৃষ্টি হয় যার ফলে আমরা আমাদের চারপাশকে উপলব্ধি করতে পারি । উপলব্ধি করতে পারি মানুষের সুখ দুঃখের কথা ।
মহান আল্লাহ তায়ালা বনী ইসরাইলের ৪৪ নং আয়াতে বলেছেন , এমন কোন বস্তু অবশিষ্ট নেই যা আল্লাহর মহিমা প্রচারকরেনা । অথচ তোমারা তা অনুধাবন করতে পারনা ।রমজান মাসে সবকিছুর জন্য একটা রুটিন তৈরি হয় যে রুটিন অনুসারে একজন অসুস্থ ব্যাক্তি নিয়মিত ওষুধসেবন করতে পারে এতে করে নিদির্ষ্ট সময়ে ওষুধ সেবনের জন্য ওষুধের কার্যকারীতা বেড়ে যায় ।
এতে করেপুষ্টি ও শক্তির কোনরুপ বিগ্ন ঘঠেনা ।মানুষের অনুভুতি শক্তি জাগ্রত করতে রোজা একটি প্রভাবশালী রোকন ।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন কোন পরিস্থিতিতে রোজা না রাখলে কি কি মিসাল তা আল্লাহ তায়ালা তার পবিত্র কালামে বলেই দিয়েছেন ।
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন