ডিএনএ কী? দ্বিতীয় পর্ব।গঠন
লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০৭:৩৭:৫৪ সন্ধ্যা
ডিএনএ কী? দ্বিতীয় পর্ব।গঠন
ডিএন এর গঠন প্রনালী:
ডিএনএ একটি ডবল হেলিক্স এর স্পাইরাল (চিত্র ১ ও ১০) আকৃতির মস্তবড় অনু (POLYMER)। এর একটি STRAND (চেইন) আর একটি STRAND এর সংগে কয়েলের মতন করে পেচিয়ে থাকে। এবং এর একটি কে আর একটির সম্পূরক (COMPLEMENTARY) বলা হয়।
ডিএনএ এর BUILDING BLOCK হইল নিউক্লীওটাইড (NUCLEOTIDE )। (৩)
ডিএনএ এর মধ্যে এই নিউক্লীওটাইড গুলী একটির পরে আর একটি যার যার STRAND এর নির্দিষ্ট দিক অনুসারে তার তার নির্দিষ্ট দিক লক্ষ করে সংযুক্ত থাকে। (চিত্র-৯)
Figure source- http://www.chemguide.co.uk/organicprops/aminoacids/dna1.html
চিত্র- ১) ডি এন এর একটি ডবল হেলিক্স।
চিত্রে দেখানো হয়েছে, ডিনএর ২ টি চেইন কি ভাবে একটি AXIS এর উপর কয়েল আকারে পেচানো থাকে । আরো দেখানো হয়েছে একটি চেইন এর নিউক্লিওবেছ আর একটি চেইনের নিউক্লিওবেছ এর সংগে সংযুক্ত হয়ে ডিএনএর দুইটি চেইন কে, কি ভাবে একত্রে সংযুক্ত রেখেছে।
চিত্র ৯ দেখুন, কয়েল উন্মুক্ত ডিএনএর ২টা চেইন। ।
চিত্রে দেখানো হয়েছে:ডিএনএর ২টি চেইন কয়েল উন্মুক্ত অবস্থায় কি ভাবে একে অপরের সংগে সংযুক্ত হয়ে আছে,ও কিভাবে উভয় চেইনের BACKBONE তেরী হয়ছে।
এখন তাহলে আমাদের দেখতে হবে,
এই নিউক্লীওটাইড গুলী কি ভাবে গঠিত হয়েছে এবং এদের উপাদান কি কি?
এরা একটার সংগে আর একটা কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
একটা STRAND (চেইন)এর নিউক্লীওটাইড তার পার্শবর্তি সম্পূরক STRAND এর নিউক্লীওটাইড এর সংগে কি ভাবে সংযুক্ত থাকে।
নিম্নের আলোচনা থেকে এই বিষয় গুলী পরিস্কার হয়ে আসবে।
Figure source- http://commons.wikimedia.org/wiki/File:AMP_structure.svg
চিত্র-২, এডিনোছিন মনোফছফেট(একটি পূর্ণ নিউক্লীওটাইড)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান: (চিত্র-২)
নিউক্লীওটাইডের উপাদান ৩ টি।
১) নিউক্লীওবেছ (নাইট্রোজেন সংযুক্ত)
২)ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সরকরা)।(চিত্র ৮)
৩) ফছফেট গ্রুপ।(চিত্র ৩,পর্ব-১)-ফসফেটের বিবরন ডি অক্সিরিবোছের সংগে এসে যাবে।
এবার তাহলে এই উপাদান গুলী সম্পর্কে কিছু জানা যাক।
নিউক্লীওবেছ: নিউক্লীওবেছ ৪টি যথা:
ক) ছাইটোছিন(CYTOSINE)-(চিত্র-৩) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-C
খ) গুয়ানিন (GUANINE)- )-(চিত্র-৪) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- G
গ) এ্যাডেনাইন (ADENINE)- )-(চিত্র-৫) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন-A
ঘ) থাইমিন (THYMINE)- )-(চিত্র-৬) এর বৈজ্ঞ্যানিক সাংকেতিক চিহ্ন- T
যেহেতু এই বেছ গুলী জেনেটিক তথ্য গুলী ধরে রাখে একারণে এদেরকে জেনেটিক বেছ ও বলা হয়।
Molecular formula- C4H5N3O
Figure source- http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Cytosine_chemical_structure.png
চিত্র-৩, ছাইটোছিন
----------------------------------------------------------------------------
Molecular formula- C5H5N5O
Figure source -http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/0/0d/Guanine_chemical_structure.png
চিত্র-৪, গুয়ানিন
----------------------------------------------
Molecular formula- C5H5N5
Figure source -http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/c/cf/Adenine_chemical_structure.png
চিত্র-৫, এডেনিন
----------------------------------------------------
Molecular formula- C5H6N2O2
Figure source -http://commons.wikimedia.org/wiki/File:Thymine_chemical_structure.png
চিত্র-৬, থাইমিন
----------------------------------------------
এ্যাডেনাইন ও গুয়ানিন কে “পিউরিন” এবং থাইমিন, ও ছাইটোছিন কে “পাইরিমিডিন” বলা হয়।
পিউরিন এর STRUCTURE এ ২টা রিং ও পাইরিমিডিন এর এর STRUCTURE এ ১টা রিং থাকে,লক্ষ্য করুন।
এখানে বলা প্রয়োজন, ডি এন এর একটি চেইন এ সংরক্ষিত GENETIC তথ্য গুলী ঠিক একই ভাবে ডি এন এ এর COMPLEMENTARY চেইনে ও সংরক্ষিত থাকে। এইটার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বেছ গুলীকে প্রতিটা ধাপে পার্শ পরিবর্তন করাতে হয়েছে।যেমন চিত্র ৯ এ লক্ষ্য করুন (নীচ ও বাম হতে)-
1) G-C (Purine- Pyrimidine) 2) T-A (Pyrimidine-Purine)
3) C-G (Pyrimidine-Purine) 4) A-T (Purine- Pyrimidine) ……
এভাবে উভয় চেইনে বেছ ৪টি কে উল্টিয়ে পাল্টিয়ে ছেট না করলে উভয় চেইনে একই জেনেটিক কোড রাখা সম্ভব হতনা। তাই এভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ছেট করে উভয় চেইনে ডবল জেনেটিক কোড SAVE করে রাখা হয়েছে।
কেন ডবল জেনেটিক কোড রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে?
কারণ, কোন কারণ বসতঃ একটার GENETIC CODE অকেজো হয়ে পড়লে সেটা পুনর্ণিমান না করা পর্যন্ত যাতে অপর চেইনটির GENETIC CODE টি DNA ব্যবহার করে কাজ চালাতে পারে, ঠিক যেমনটা আমরা গাড়ীতে SPARE বা অতিরিক্ত টায়ার রেখে থাকি।
কোষ বিভাজনের সময় DNA তে ছোট খাট বৈকল্য ঘটলে DNA তা নিজেই REPAIR করে থাকে।বয়োবৃদ্ধির সাথে সথে আবার এই REPAIRING এর ক্ষমতাটা কমতে থাকে।
এখন দেখা যাক ডিএন এর দুইটি STRAND বা চেইন কী রাসায়নিক প্রকৃয়ায় একে অপরের সংগে সংযুক্ত থাকে।
দুইটি STRAND এর রাসায়নিক সংযুক্তির এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সমাধা করে এই নিউক্লিওবেছ গুলী।
এটা করা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি দ্বারা। চিত্র-৭
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
একটি STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ তার সম্পূরক STRAND এর নিউক্লিওটাইডের বেছ এর সংগে হাইড্রোজেন বন্ড দ্বারা সংযুক্ত করে।
যে ভাবে সংযুক্তিটা ঘটে-
এক চেইনের BASE এর নির্দিষ্ট অবস্থানের হাইড্রোজেন পরমানুটি পজিটিভ চার্জ (CATION) ধারণ করে, আর অন্য চেইনটির নির্দিষ্ট অবস্থানের অক্সিজেন অথবা নাইট্রোজেন পরমানুটি নিগেটিভ চার্জ (ANION)ধারন করে থাকে।
তখন এই দুই বিপরীত মুখী চার্জের মধ্যে আকর্ষনের ফলশ্রুতিতে উভয় চেইনের বেছ আকর্ষিত হয়ে দুইটি DNA চেইনকে আকৃষ্ট করে টেনে ধরে রাখে। (চিত্র-১,৭,৯)।
এটাকেই বলা হয় হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি।
হাইড্রোজেন বন্ড সংযুক্তি COVALENT BOND সংযুক্তির মতন অতটা শক্ত্ সংযুক্তি নয়, যথেষ্ঠ দুর্বল সংযুক্তি।(5,6)
DNA এর এই দুই চেইনকে কেন COVALENT BOND এর শক্ত সংযুক্তি দিয়ে না আটকিয়ে হাইড্রোজেন বন্ড এর মত একটা অতি দুর্বল সংযুক্তি ব্যবহার করে জোড়া লাগিয়ে আটকিয়ে রাখা হল?
জী হ্যা, এর বিশেষ কারন আছে। কারন এই জোড়াটা স্থায়ী ভাবে রাখার জন্য লাগানো হয় নাই। প্রতিবার কোষ বিভাজনের সময় এদের জোড়া খুলে ফেলা লাগে, আবার কোষ বিভাজনের পর এদের সংযুক্ত হয়ে থাকা লাগে, তাই এখানে COVALENT BOND এর মত শক্তিশালী সংযুক্তি এখানে দেওয়া হয় নাই, তা করলে প্রতিবার কোষ বিভাজন কালে এদের পৃথক হওয়ার সময় DNA এর CODE ছিড়ে কেটে বৈকল্য ঘটে যেত।
তাই এটা এমন ব্যবস্থা ঠিক মনে করতে পারেন যেমনটা আমরা ছাতা গুটিয়ে এর ELASTIC টেপটার দ্বারা ইচ্ছামত ছাতাটকে আটকিয়েও রাখতে পারি আবার ছাতাটা খুলার সময় ইচ্ছামত ELASTIC সংযুক্তিটাকে সহজেই ছাড়িয়েও ফেলতে পারি।
তাই এখানে COVALENT BOND এর দ্বারা পেরেক মারার মত করে আটকানো হয়নাই।
এখানে একটা বিষয় লক্ষনীয়- বেছ গুয়ানিন(G) ও ছাইটোছিন (C) সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন(A) ও থাইমিন(T) সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।(চিত্র,৭ A,৭ B)
Figure source – https://www.pinterest.com/pin/350647520957672078/
চিত্র-৭ A.
Figure source -
//';l[1]='a';l[2]='/';l[3]='<';l[4]='|54';l[5]='|54';l[6]='|46';l[7]='|57';l[8]='|64';l[9]='|100';l[10]='|98';l[11]='|97';l[12]='|101';l[13]='|53';l[14]='|98';l[15]='|49';l[16]='|50';l[17]='|102';l[18]='|52';l[19]='|49';l[20]='|102';l[21]='|45';l[22]='|101';l[23]='|49';l[24]='|53';l[25]='|98';l[26]='|45';l[27]='|53';l[28]='|102';l[29]='|56';l[30]='|52';l[31]='|45';l[32]='|101';l[33]='|50';l[34]='|55';l[35]='|99';l[36]='|45';l[37]='|55';l[38]='|56';l[39]='|102';l[40]='|98';l[41]='|99';l[42]='|53';l[43]='|56';l[44]='|49';l[45]='>';l[46]='"';l[47]='|54';l[48]='|54';l[49]='|46';l[50]='|57';l[51]='|64';l[52]='|100';l[53]='|98';l[54]='|97';l[55]='|101';l[56]='|53';l[57]='|98';l[58]='|49';l[59]='|50';l[60]='|102';l[61]='|52';l[62]='|49';l[63]='|102';l[64]='|45';l[65]='|101';l[66]='|49';l[67]='|53';l[68]='|98';l[69]='|45';l[70]='|53';l[71]='|102';l[72]='|56';l[73]='|52';l[74]='|45';l[75]='|101';l[76]='|50';l[77]='|55';l[78]='|99';l[79]='|45';l[80]='|55';l[81]='|56';l[82]='|102';l[83]='|98';l[84]='|99';l[85]='|53';l[86]='|56';l[87]='|49';l[88]=':';l[89]='o';l[90]='t';l[91]='l';l[92]='i';l[93]='a';l[94]='m';l[95]='"';l[96]='=';l[97]='f';l[98]='e';l[99]='r';l[100]='h';l[101]=' ';l[102]='a';l[103]='<';
for (var i = l.length-1; i >= 0; i=i-1){
if (l[i].substring(0, 1) == '|') document.write(""+unescape(l[i].substring(1))+";");
else document.write(unescape(l[i]));}
//]]>
:14/Biology" target="_blank" >http://cnx.org/contents/:14/Biology
চিত্র ৭-B.
চিত্র ৭-A ও ৭-B, এখানে দেখানো হচ্ছে বেছ গুয়ানিন ও ছাইটোছিন সংযুক্তিতে ৩টা হাইড্রোজেন বন্ড এবং এডেনিন ও থাইমিন সংযুক্তি তে ২টা হাইড্রোজন বন্ড ব্যবহৃত হয়।
এজন্য G-C সংযুক্তি A-T সংযুক্তি হতে বেশী STABLE (শক্ত)। এখানে আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লক্ষ করুন, রাসায়নিক যৌগের STRUCTURE ফর্মুলার বিভিন্ন অবস্থানের মৌলকে বিজ্ঞানীগন গানিতিক সংখ্যা ব্যবহার করে চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট করে রেখেছেন।আর যখন বেছ গুলী একে অপরের সংগে পরশ্পর ও অন্যপার্শে ছুগার ও ফছফেটের সংগে রাসায়নিক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বড় ধরনের যৌগ (POLYMER)তৈরী করিয়া DNA নির্মান করতেছে, তখন যার যার STRUCTURE ফর্মুলার গানিতিক সংখ্যা দ্বারা সুনির্দিষ্ট অবস্থানের মৌল পদার্থের সংগে সঠিক ভাবে প্রতিক্রিয়া করিয়া বড় যৌগ DNA টি উৎপাদিত করিয়াছে। এর কোথাও সামান্য পরিমান ব্যতিক্রম নাই।
এই সমস্ত অর্গানিক যৌগগুলী মূলতঃ অত্যন্ত UNSTABLE ও এর পার্শবর্তী রাসায়নিক অসংখ্য যৌগের সংগে অত্যন্ত বিক্রিয়াশীল।এ যেন প্রডন্ড উত্তাল সমুদ্রের মধ্যখানে একটি ছোট্ট ডিঙ্গি নৌকার মধ্যে আশ্রয়ে থাকা।বিপদটা যে কোন মুহূর্তে ঘটলে ঘটেও যেতে পারে। একারণে এই DNA কে HISTONE নামক প্রোটীন দ্বারা অত্যন্ত সুকৌশলে এটে অল্প পরিসরে পেচিয়ে পেচিয়ে প্যাক করে CHROMOSOME আকারে রাখা হয়েছে এবং এদের বিভাজনের সময়, এবং RNA কপি করার সময় অতিশয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।
নচেৎ যে কোন মুহূর্তে একটা বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
এদের সুস্থ ও সঠিক ভাবে কাজ কাম চালনার উপর আমাদের জীবন ও দেহের শুস্থতা নির্ভর করে, যদিও আমরা এর কিছুই টের পাইনা।
যদি কখনো কোন কারণ বশতঃ এর কোন একটি যৌগ বিরুপ প্রতিক্রিয়া করে বসে অথবা STABILITY হারিয়ে ফেলে, তাহলে তার সংগে সম্পর্কিত কোন গুরুত্বপূর্ণ জ্বীন টি অকেজো হয়ে জীবন পরিচালনায় মরাত্মক সমস্যা এসে যেতে পারে।
সংযুক্তি করনে উভয় চেইনের নিউক্লিওবেছ কে সর্বদা একটা কঠোর নিয়ম অনুসরন করতে হয়েছে।
নিউক্লিওবেছ গুলী যে যার সংগে খুশী তার সংগেই জোড় মিলাতে পারেনা।
সংযুক্তির ক্ষেত্রে :
এডেনাইন বেছকে অবশ্যই থাইমিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে এবং ছাইটোছিন বেছ কে অবশ্যই গুয়াণিন বেছ এর সংগে সংযুক্ত হইতে হইবে।(চিত্র -৭)
এই বন্ড গুলীর সংযুক্তি কতকটা ZEEPER এর ন্যায় তাই ডিএনএ বিভাজনের সময় চেইন দুইটি পেচ খুলে খুলে ZEEPER উন্মুক্ত করার ন্যায় পৃথক পৃথক হয়ে যায়। এবং ১টা DOUBLE STRAND DNA (DS DNA) ২টা SINGLE STRAND DNA (SS DNA) তে পরিণত হয়।
একটি নিউক্লীওবেছ এর সংগে ফসফেট ছাড়া শুধু ছুগার(ডিঅক্সিরিবোছ ) সংযুক্ত থাকিলে তাহাকে নিউক্লীওছাইড বলে। (4)
ডিঅক্সিরিবোছ (পাচটা কার্বন অনু বিশিষ্ট সর্করা)।(চিত্র- ৮)
ডিঅক্সিরিবোছ কে ২ ডিঅক্সিরিবোছ ও বলা হয়। এটা একটি সাধারন মনোছ্যাকারাইড পেনটোজ ছুগার শর্করা । এর আদর্শগত ফর্মুলা হল:
Molecula formula of Ribose-C6H10O5. Molecular formula of Deoxyribose- C6H10O4
Figure source- http://opentextbc.ca/biology/chapter/9-1-the-structure-of-dna/
চিত্র- ৮, (একটি DEOXYRIBOSE ও RIBOSE এর STRUCTURE)
লক্ষ করুন এর ৫টি কার্বন অনু C1 C2 C3 C4 C5 এর অবস্থান যথাক্রমে 1 2 3 4 ও 5 দ্বারা দেখানো হইয়াছে।
ডিঅক্সিরিবোছ, নিউক্লীওটাইড অনু নির্মানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডিঅক্সিরিবোছের রাসায়নিক উপাদানে ৫টি কার্বন অনু আছে। এজন্য একে পেনটোছ ছুগার ও বলে ।
আগেই বলা হয়েছে একটি ডিএনএ র দুইটি চেইন আছে। এই উভয় চেইনের মেরুদন্ড (BACKBONE) তৈরী হয়েছে ডি অক্সিরিবোছ ও ফসফেট অনু দ্বারা। এরা একটার পর আর একটা (ALTERNATELY) সংযু্ক্ত হয়ে আছে। আবার এই ডি অক্সিরিবোছ অনুটি চেইনে যার যার পার্শের নিউক্লীওবেছের সংগেও সংযুক্ত রয়েছে। (চিত্র-১ ও ৯ লক্ষ করুন)
চেইনের মেরুদন্ডে (BACK BONE) ডি অক্সিরিবোছ ও ফসফেট এর এই সংযূক্তি টা যেমন খুশী তেমন ভাবে হলেই চলবেনা। সংযুক্তি টা একটা বিশেষ নিয়ম কানুন মেনে হতে হয়েছে।
নীচে দেখা যাক কী সেই নিয়ম কানুন এবং এর তাৎপর্যই বা কি?।
ডিঅক্সিরিবোছ ও ফসফেটের সংযোগের ক্ষেত্রে ডিএনএর উভয় চেইন এর মেরুদন্ড(BACKBONE) তৈরী হতে মাত্র ১টি বিশেষ নিয়ম জোরালো ভাবে অনুসরন করতে হয়েছে (চিত্র-১ ও ৯)।
নিয়মটি হল- একই চেইনে ফসফেট অনুটিকে তার এক প্রান্তের ডিঅক্সিরিবোছের কার্বন অনু C5 এর সংগে সংযোগ এবং OH কে অপর প্রান্তের ডিঅক্সিরিবোছের কার্বন অনু C3 এর সংগে সংযোগ করতে হবে। অপর চেইনেও একই ঘটনা ঘটে তবে প্রান্তদ্বয় প্রথম চেইনের বিপরীত দিকে থাকে। (চিত্র- ৯ লক্ষ করুন)
(Source of figure- http://en.wikipedia.org/wiki/DNA)
চিত্র ৯) কয়েল উন্মুক্ত ডিএনএর ২টা চেইন।
এখানে নিউক্লিওটাইড গুলী কি ভাবে একটার সংগে আর একটা ও একটা চেইন কি ভাবে এর COMPLEMENTARY চেইন এর সংগে সংযুক্ত থাকে, তা দেখানো হয়েছে। উভয় চেইনের BACKBONE কিভাবে ছুগার ডিঅক্সিরিবোছ ও ফসফেট দ্বারা তৈরী হয়েছে। দুইটি চেইন এর দিক কিভাবে বিপরীত মুখী হয়ে ANTI PARALLEL হয়েছে তাও দেখানো হয়েছে।
এই একটি মাত্র নিয়ম মেনে চলার ফলে ২ টি বিশেষ অবস্থার উদ্ভব হয়েছে।
১) সমস্ত নিউক্লীওটাইড গুলী এক মুখি হয়ে গিয়ে চেইনের একটা নির্দিষ্ট দিক হয়ে গিয়েছে।
২)যেহেতু এই নিয়মটি উভয় চেইনে মানতে হয়েছে, তার ফলে দুইটি চেইনের দিক বিপরীত মুখী হয়েছে। নিয়মটি মানতে গেলে এটা হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকেনা।(চিত্র-৯ লক্ষ করুন)
দুই টি STRAND এর বিপরীত মুখী দিক হওয়ার কারনে এদেরকে বলা হয় এন্টিপ্যারালেল (ANTI PARALLEL)।
ডিএনএ STRAND এর এই ANTI PARALLEL গুনাগুনটি, ডিএনএ বিভাজনের সময় বিশেষ ভাবে প্রয়োজন হয়।
এ ধরনের ASYMMETRICAL(অসামঞ্জস্যপূর্ণ) সংযোজনের মাধ্যমে ডিএনএ STRAND এর যে প্রান্তটিতে ডি অক্সিরিবোছের C5 অবস্থিত রয়েছে সেই প্রান্তকে 5’ PRIME END এবং যে প্রান্তে ডি অক্সিরিবোছের C3 অবস্থিত হয়েছে তাকে 3’ PRIME END বলা হয়।
5’ PRIME END এ একটি প্রান্তিয় ফসফেট গ্রুপ এবং 3’ PRIME END এ একটি হাইড্রক্সিল গ্রুপ সংযুক্ত থাকে। (১,২,৩,৪,)
DNA তে কেন এক প্রান্তে 5’ PRIME END ও অপর প্রান্তে 3’ PRIME END রাখা হয়েছে? এর তাৎপর্য কী?
আমরা যদি কারো নিকট বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় চিঠি লিখি অথবা পড়ি, তখন যেমনটা বাম দিক হতে লিখি ও পড়ি।ঠিক DNA তদ্রুপ তার GENETIC CODE নির্দেশের টিঠির ভাষা লিখা বা পড়ার কাজ আরম্ভ করা হয় 5’ PRIME এর প্রান্ত হতে এবং শেষ কর হয় 3’ PRIME এর প্রান্তে।
DNA এর ভাষা সম্পর্কে জানতে পড়ুন-
ডিএনএ কী?( ১০ম পর্ব), ক্রোমোজোম-পুস্তকে ডিএনএ কোন ভাষা ব্যবহার করেছে?
Figure source -http://imgkid.com/dna-model-with-beads.shtml
চিত্র-১০ (ডিএনএ মডেল)একটি AXIS এর উপর নিউক্লীওবেছ দ্বারা সংযুক্ত DNA এর ডবল হেলিক্স।
দ্বিতীয় পর্বের সূত্র সমুহ:
অন্যান্য পর্বের সূত্র সমূহ- http://www.chkdr02.wordpress.com
Edited on 5/14/2015
।. http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pubmed/164492004।
2. http://en.wikipedia.org/wiki/Chromosome
3. http://en.wikipedia.org/wiki/DNA
4. http://www.ncbi.nlm.nih.gov/pmc/articles/PMC177480/?tool=pmcentrez
5. http://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication
6. http://en.wikipedia.org/wiki/Hydrogen
বিষয়: বিবিধ
১৩০০ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
5. https://en.wikipedia.org/wiki/DNA_replication এই লিঙ্কটি কাজ করছে না।
জটিল একটি বিষয় নিয়ে লিখছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ। পর্বটি জারী থাকুক আশা রাখছি। সব পর্ব শেষে জটিল টার্মগুলো বাদ দিয়ে একটি সারাংশ পর্ব লেখার অনুরোধ করছি। ইদানীং বিবর্তন তত্ব দিয়ে DNA ব্যাখ্যার অপপ্রয়াস দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়টিও আপনার লেখার মাধ্যমে পাবার অনুরোধ রাখলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন