কী আবিস্কার করিয়া এই ৩ বিজ্ঞানী ২০১১ সনে মেডিসিনের উপর নোবেল বিজয়ী হলেন? রক্ত কী? শরীর এর জলীয় পদার্থের প্রকোষ্ঠ কী? ৪৩ (৩) তম পর্ব।
লিখেছেন লিখেছেন আঃ হাকিম চাকলাদার ৩০ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৬:০১:৫৬ সন্ধ্যা
এই ৩ বিজ্ঞানী শরীরের রোগ প্রতিরোধ এর কোন্ বিষয়টি আবিস্কার করিয়া ২০১১ সনে মেডিসিন এর উপর নোবেল বিজয়ী হয়েছিলেন, সেটা বুঝতে হলে তারপূর্বে একটু জানার দরকার আছে, শরীর কী ভাবে রোগ প্রতিরোধ করে?
আসুন তাই আমরা কিছুটা জেনে লই শরীরের রোগ প্রতিরোধ বলতে কী বুঝায়, আর এর গুরুত্বই বা আমাদের জীবনের উপর কতটুকু?
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় বলা হয় IMMUNITY.
IMMUNITY কে অন্য ভাবে বলা যায় শরীর এর বহিশত্রুর সংগে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে টিকে থাকার অদম্য প্রচেষ্টার ক্ষমতাকে।
তবে রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে আরো সম্মুখে বুঝতে গেলে তার পূর্বে আমাদের শরীরের রক্ত সম্পর্কে অন্ততঃ অতি সংক্ষিপ্তাকারে কিছুটা জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বিশেষ করে রক্তের
১। COMPOSITION (উপাদান)
২।FUNCTION (রক্ত কী কাজ করে)
৩) CIRCULATION ( রক্ত কী ভাবে সঞ্চালিত হয়)- হৃদপিন্ড ও ফুসফুস উভয়ে সম্মিলিত ভাবে কী পদ্ধতিতে আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন করে থাকে তা আপনারা ইতিপূর্বে পর্ব ৩২ হতে পর্ব ৩৯ পর্যন্ত বিস্তারিত জানতে পেরেছেন
(বিস্তারিত পূর্বের পর্বে দেখুন- হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠ ও ভালভ সমূহ, হৃদপিন্ড যখন সম্প্রসারিত বা সংকুচিত হয়, তখন হৃদপিন্ডে যা ঘটে, ফুসফুস এর সহযোগিতা,৩৫(৪) পর্ব
লিংক-https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181204
ও
হৃদপিন্ড যে ভাবে RHYTHMIC সংকোচন-সম্প্রসারনের মধ্য দিয়ে রক্তকে সঞ্চালন করিয়া থাকে। পর্ব ৩৬(৫ )
লিংক -https://www.amarblog.com/HAKIM-CHAKLADAR/posts/181324 দেখুন।)
কেন রোগ প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে তার পূর্বেই কিছুটা রক্ত সম্পর্কে জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন?
উত্তর-
জী,হ্যাঁ, কারণ রক্তই, আমাদের শরীরে কখনো বহিশত্রু ঢুকে পড়লে, তার বিভিন্ন ধরনের সৈন্য সামন্ত, অস্ত্র সস্ত্র, ও অত্যন্ত জটিল কলা কৌশল লয়ে, এই শত্রুর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের জীবন রক্ষা করে।
সত্যিই সে এক রীতিমত মহাযুদ্ধ, যেখানে রক্ত শুধু সরাসরি তার সৈনিকদেরই ব্যবহার করেনা, সেখানে রক্ত আরো অতিরিক্ত ব্যবহার করে থাকে, ক্ষেপনাস্ত্র, রাসায়নিক অস্ত্র, কম্পিউটার মেমরি, যুদ্ধ পরিচালনা সুবিধার জন্য প্রয়োজনে নিজেদের দুরবর্তী নিজ পক্ষীয় সৈনিকদের সংগে বেতার যোগাযোগ এর মত যোগাযোগের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান।
শরীর এর এসব জটিল কলা কৌশল এর কাহিনী আপনারা যতই জানবেন ততই মুগ্ধ ও অভিভূত হয়ে পড়বেন।
জী, হ্যাঁ, এরা পরস্পর বেতার যোগাযোগ এর মত যোগাযোগ টা বিভিন্ন ধরনের প্রোটীন ও রাসানিক দ্রব্যাদি পাঠিয়ে দূরবর্তী সৈনিক কোষকে পাঠানোর মাধ্যমে করে থাকে।
রক্তের কোষ সৈনিকদের এ সমস্ত অত্যাধুনিক সাজ সরঞ্জামাদি না থাকলে কী আর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ভয়ংকর অনুজীব শত্রুদের সংগে অহরহ মুকাবেলা করা কী কখনো সম্ভব হতো? কখোনোই না।
এই কারণে রক্তের এই ধরনের কাজ কাম বুঝার জন্য আপনাদেরই বুঝার সুবিধার্থে অগ্রেই রক্ত এর উপাদান ও কার্যাবলী সম্পর্কে অন্ততঃ কিছুটা হলেও জ্ঞ্যান থাকা আবশ্যক মনে করছি। একই কারণে রক্ত সঞ্চালন তন্ত্রের পাশাপাশি LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র নামে একটি তন্ত্র যা রক্তকে প্রতিরক্ষার কাজে SISTER ORGANIZATION এর ন্যায় প্রতিরক্ষার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতেছে তার সম্পর্কেও কিছু জ্ঞ্যান থাকা প্রয়োজন।
তাই মাঝখানে বিষয় বহির্ভূত হওয়া সত্বেও এই পর্বে রক্তের গঠন ও কাজ সম্পর্কে ও পরবর্তী পর্বে LYMPHATIC SYSTEM বা লিম্ফাটিক তন্ত্র কিছুটা বর্ণনা করা প্রয়োজন মনে করছি।
আসুন তাহলে, রক্ত সম্পর্কে কিছুটা জানুন-
রক্তের উপাদান
রক্ত বস্তু টা কী?
উত্তর- রক্ত হল শরীর এর এক ধরনের তরল টিসূ (LIQUID CONNECTIVE TISSUE).যেমন ধরুন আমাদের শরীরের হাড্ডি, চামড়া, মাংস ও টিসু, কিন্তু এরা শক্ত টিসু। সেক্ষেত্রে ওদের জায়গায় রক্তকে একটা তরল টিসু আকারে রাখা হয়েছে, শরীরের বিশেষ বিশেষ কার্য সমাধান করানোর জন্য। যা জানতে পারবেন একটু পরেই রক্তের কার্যাবলী বর্ণনা করার সময়।
রক্তের উপাদান প্রথমত: ২ ভাগে বিভক্ত-
১) কোষীয়-অর্থাৎ শুধু মাত্র কোষ।
২) প্লাজমা-এটা শুধু মাত্র তরল অংশ। (নীচের চিত্র- ১ দেখুন)(৫)।
চিত্র-১, উপরের সারিতে অ-জমাট বাধা রক্তের বাম টেষ্ট টিউবটায় রক্তের সব উপাদান একত্রে মিশ্রিত। ডান টেষ্ট টিউবটায় নীচের অংশে RBC. তার উপরে WBC ও PLATELETS ও তার উপরে রক্তের জলীয় অংস PLASMA দেখানো হয়েছে। নীচের টেষ্ট টিউবটার উপরি অংশে জমাট বাধা রক্তের SERUM দেখানো হয়েছে।(৭,৮)
১) কোষীয়
রক্তে ৩ প্রকার কোষ আছে, যথা-১) লোহিত কনিকা। ২) শ্বেত কনিকা। ৩) PLATELETS কনিকা।
১) লোহিত কনিকা (চিত্র-২) (RBC বা RED BLOOD CELL)- এই RBC ই রক্তের রং লাল বর্ণের করে থাকে। এর মধ্যে হেমোগ্লোবিন নামক পদার্থ ফুসফুস হতে অক্সিজেন বহন করে এনে রক্ত সঞ্চালন এর মাধ্যমে শরীর এর সমগ্র কোষে (১০০ট্রিলিয়ন) পৌছে দিয়ে প্রতি মুহূর্ত আমাদের জীবন রক্ষা করে।
চিত্র-২ দেখুন।
চিত্র-২, রক্তের লোহিত কনিকা, স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
লোহিত কনিকা জন্ম নেয় হাড্ডি মজ্জায় (BONE MARROW)এবং এদের জীবনকাল ১২০ দিন।
এদের মৃত্যুর পর এর থেকে BILIRUBIN নামক এক ধরণের হলুদ পদার্থ উৎপন্ন হয়, যার কিছুটা মল দিয়ে ও কিছুটা মূত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২) শ্বেত কনিকা (WBC বা WHITE BLOOD CELL)-শ্বেত কনিকা পাচ প্রকারের,যথা-
১) নিউট্রোফিল ২)ইওছিনোফিল ৩)বেছোফিল ৪) লিম্ফোছাইট (টি-লিম্ফোছাইট ও বি-লিম্ফোছাইট)৫)মনোছাইট।
চিত্র-৩, রক্তের পাচ প্রকারের শ্বেত কনিকা, স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
(১২)
WBC এর জন্ম- এদের সবারই জন্ম হয় হাড্ডি মজ্জা হতে। এছাড়াও লিম্ফোছাইট জন্মায় থাইমাছ গ্লান্ড, প্লীহা ও লিম্ফ নোড হতেও।
এদের মৃত কোষ গুলী মৃত কোষ বা PUS CELL আকারে মূত্র দিয়ে বেরিয়ে যায়।
জীবন কাল- এদের প্রায় সবার জীবন কাল কয়েক ঘন্টা হতে কয়েক দিন। তবে MEMORY B LYMPHOCYTE কোষ দীর্ঘ বছর বা আজীবন বেচে থাকে।(১২)
৩) PLATELETS কনিকা।
এরা টিসু পুনঃ নির্মানের সময় রক্ত জনাট বাধা আরম্ভ করে রক্তক্ষরন কমিয়ে টিসু পুনঃ নির্মানে সাহায্য করে।
রক্তক্ষরণ বন্ধ হওয়ার স্বাভাবিক সময় ১-৯ মিনিট।
এরা জন্ম লয় হাড্ডি মজ্জা হতে এবং এদের জীবন কাল ৮-৯ দিন।
চিত্র- ৪, রক্তের PLATELET কনিকা, তীর চিহ্নিত গুলী(অন্যেরা RBC), স্লাইডে স্টেইন করলে মাইক্রোস্কোপে যে ভাবে দেখা যায়।
২) প্লাজমা-
রক্ত জমাট বাধার পূর্বের তরল অংস, যার মধ্যে রক্তের কোষ RBC, WBC, PLATELET, PROTEIN, SALT, ENZYME, HORMONE, কার্বন ডাই অক্সাইড, রক্ত জমাট বাধার উপাদান, FIBRINOGEN ইত্যাদি থাকে। এটা দেখতে কিছুটা হালকা হলুদ (STRAW)রং এর। (চিত্র-১)
আর রক্ত জমাট বাধার পর উপর থেকে যে পরিস্কার তরল পদার্থটুকু পৃথক করা যায় তাকে SERUM বলে। SERUM এ রক্ত জমাট বাধানোর উপাদান ও কোষ থাকেনা।
PLASMA এর অন্য সমস্ত উপাদান বিদ্যমান থাকে।(চিত্র-১)
FLUID COMPARTMENTS OF BODY
শরীরের জলীয় তরল পদার্থের প্রকোষ্ঠ সমূহ।
শরীরের জলীয় অংস যে সব প্রকোষ্ঠে থাকে তাকে FLUID COMPARTMENTS(প্রকোষ্ঠ) বলে। কোন FLUID শরীরের কোন প্রকোষ্ঠে অবস্থান করে, কখন তারা এক প্রকোষ্ঠ হতে অন্য প্রকোষ্ঠে কীজন্য গমনাগমন করে, শরীর এর প্রতিরক্ষা পদ্ধতি বুঝার জন্য এটা জানা একান্ত প্রয়োজন।
আসুন তাহলে-
শরীরের জলীয় তরল পদার্থের অবস্থানের প্রকোষ্ঠ প্রথমতঃ ২টি
১)INTRACELLULAR (প্রতিটা কোষ এর প্রাচীরের অভ্যন্তরে)-এখানে শরীরের ৬০-৬৫ % তরল পদার্থ থাকে। কোসের CYTOPLASM এর মধ্যে এই জলীয় অংস টুকু থাকে।
২) EXTRACELLULAR- কোষের বাইরে। এখানে শরীরের ৩৫-৪০% তরল পদার্থ থাকে।
এটা দুই অংশে বিভাক্ত-
ক) INTRAVASCULAR- এটা রক্ত নালীর অভ্যন্তর। এখানে রক্তের সমগ্র প্লাজমা (PLASMA)অংশ টুকু থাকে।
খ ) INTERSTITIAL- রক্ত নালীর বাইরে এবং কোষ প্রাচীরের ও বাইরে, দু কোষের মধ্যবর্তী সূক্ষ্ম ফাকা জায়গায় এর অবস্থান। এই জায়গাতেই রক্তের প্লাজমা হতে CAPILLARY এর সূক্ষ্ম ছিদ্র দিয়ে প্লাজমা এর একটি অংশ (RBC বাদে) বেরিয়ে এসে LYMPH FLUID নামে এক ধরনের হালকা সাদা তরল পদার্থ অবস্থান করে। শরীরের প্রতিরক্ষার কাজে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।(১০,১১)
এ বিষয়ে আগামী পর্বে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এ ছাড়াও আর কিছু পৃথক ধরনের প্রকোষ্ঠ রয়েছে যেমন, INTRAPERICARDIAL, PLEURAL CAVITY, PERITONEAL CAVITY ইত্যাদি। এসব জায়গায় বিশেষ বিশেষ তরল পদার্থ থেকে বিশেষ বিশেষ কাজ ও করে থাকে। যা জায়গামত কিছু কিছু ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন। যেমন হার্ট এর পেরিকার্ডিয়ামে পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড থেকে ওটাকে পিচ্ছিল রেখে হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারনকে সহজ করায়।
মনে রাখবেন রক্তের ৩ প্রকার কোষের মধ্যে, একমাত্র শ্বেত কনিকাই (WBC) আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষাব্যুহ হিসাবে কাজ করে।
তাই আপনারা পরবর্তীতে প্রতিরোধ সম্পর্কে আলোচনার সময় রক্তের এই বিভিন্ন ধরনের শ্বেত কনিকা (WBC) এর একটা বড় ধরনের ভূমিকা দেখিতে পাইবেন।
তাই আগে ভাগে এই শ্বেত কনিকা সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দেওয়া হল।
শুধু মাত্র শ্বেত কনিকাই আমাদের প্রতিরক্ষাব্যূহে কাজ করেনা। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যূহে শ্বেত কনিকার সংগে সমন্বীত ভাবে আরো যারা কাজ করে থাকে,তারা হল, যেমন-
১) LYMPHATIC SYSTEM ও এর LYMPH NODE ও LYMPHOID ORGANS- যা পরবর্তী পর্বে বর্ণনা করা হবে।
২)MAST CELL- এই কোষ PRIMARY বা INNATE IMMUNITY তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে। এরা HISTAMINE নামক একটি রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে, ক্ষুদ্র রক্ত নালীকে প্রশস্ত করে দিয়ে সেখানে রক্ত সরবরাহ এবং WBC চলাচল বৃদ্ধি করে। এটা কোষের মাঝে মাঝে সর্বত্র বিশেষ করে চর্ম ও বিভিন্ন নালীর আভ্যন্তরীন গাত্রে থাকে। চিত্র-৫
চিত্র-৫, MAST CELL
৩) MACROPHAGE CELL-MONOCYTE রক্ত নালীর বাহিরে INTERSTITIAL COMPARTMENT এ এলে MACROPHAGE CELL এ পরিণত হয়। এদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটা হল এরা PHAGOCYTOSIS পদ্ধতিতে জীবানূ বা শরীরের কোন অনাকাংখিত বস্তুকে গিলে ফেলে অকেজো করে দেয় এবং একই সংগে ঐ জীবানুর গাত্র হতে বিশেষ সাংকেতিক প্রোটীন (ANTIGEN) টা সংগ্রহ করে ঐ জীবানুকুলের বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপের গ্রহন করার জন্য DENDRITIC কোষের হাতে তুলে দেয়। চিত্র-৬
চিত্র-৬ MACROPHAGE
৪) DENDRITIC CELL- এটা IMMUNE SYSTEM এর একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোষ। এটা MACROPHASE এর নিকট হতে জীবানুর গাত্রের বিশেষ ধরনের প্রোটীন (ANTIGEN)টা গ্রহন করে T- HELPER কোষকে দেয়। তখন T- HELPER কোষ, ঐ জীবানুর বিরুদ্ধে B- LYMPHOCYTE দ্বারা সঠিক ANTIBODY উৎপাদন করায় এবং B-MEMORY কোষ ও উৎপাদন করায়। আবার T-CYTOTOXIC KILLER কোষ ও উৎপাদন করায়। চিত্র-৭
টিত্র-৭, DENDRITIC CELL
৫) PLASMA CELL- T-HELPER কোষ B লিম্ফোছাইট কে CYTOKINE দ্বারা উত্তেজিত করে PLASMA CELL উৎপন্ন করে দেয়। এরা ANTIBODY উৎপাদন করে।
চিত্র-৮
চিত্র-, ৮
৬) PHAGOCYTE-যে সমস্ত কোষ যেমন, NEUTROPHIL, LYMPHOCYTE, MONOCYTE, MACROPHAGE ইত্যাদি যখন PHAGOCYTIC পদ্ধতিতে বহি বস্তুকে গিলে ফেলে, তখন এদের PHAGOCYTE বলা হয়।চিত্র-৯
চিত্র-৯-PHAGOCYTE
৭) ANTIBODY-PLASMA কোষ দ্বারা উৎপাদিত বিশেষ ধরনের প্রোটীন, যা বহিবস্তুকে আক্রমন করে পরাস্ত করে দেয়। চিত্র-১০
চিত্র-১০, ANTIBODY
৮) COMPLEMENT PROTEIN- রক্তের মধ্যে উৎপাদিত বিশেষ প্রোটীন যা ANTIBODY কে PHAGOCYTE এর সংগে সম্মিলিত ভাবে জীবানু মারতে সহায়তা করায়।
৯) CYTOKINE-বিভিন্ন কোষ হতে উৎপাদিত বিশেষ রাসায়নিক দ্রব্য যার মাধ্যমে একটি কোষ আর একটি কোষকে কী করতে হবে তার সংকেত পাঠায়।
১০) HISTAMINE-MAST কোষ হতে নির্গত এই রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীকে প্রশস্ত করে দিয়ে আক্রান্ত স্থানে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় ও সেখানে WBC এর সরবরাহ ও বাড়িয়ে দেয়।
১১) KININ-লিভার কোষ হতে উৎপন্ন এই রাসায়নিক পদার্থ রক্ত নালীর(CAPILLARIES) গাত্রের দুই কোষের মধ্যখানের ছিদ্রকে প্রশস্ত করে দিয়ে WBC কোষকে INTRAVASCULAR প্রকোষ্ঠ হতে INTERSTITIAL প্রকোষ্ঠে এনে জীবানুকে আক্রমন করতে সহযোগিতা করায়।
এরা এই কাজ না করলে WBC রক্তের মধ্য হতে কখনো বেরও হতে পারতোনা আর ওখানকার জীবানুর সংগে যুদ্ধ করার সুযোগ ও পাইতোনা।
১২) CYTOTOXIC T-CELL- এটা ক্যানসার কোষ, ভাইরাস আক্রান্ত কোষ, ও মৃত কোষকে পরিস্কার করে।
১৩) T- HELPER CELL- এটা একটা T- LYMPHOCYTE যা DENDRITIC কোষের নিকট থেকে জীবানুর বিশেষ কোডিং প্রোটীন (ANTIGEN) সংগ্রহ করে B-LYMPHOCYTE কে দেয়।এবং B-LYMPHOCYTE তখন PLASMA কোষ উৎপন্ন করায়। আর PLASMA কোষ তখন উক্ত জীবানু বিধংষী ANTIBODY উৎপাদন করে রক্তে ছেড়ে দেয়।চিত্র -১১
চিত্র-১১, DENDRITIC কোষ জীবানুর প্রোটীন (ANTIGEN) HELPER T LYMPHOCYTE কে দিচ্ছে। আর T- HELPER কোষ তখন CYTOKINE নিসরন করে B- LYMPHOCYTE ও T-CYTOTOXIC KILLER CELL কে সরবরাহ করে বিশেষ সংকেৎ দিচ্ছে।
তখন B- LYMPHOCYTE ঐ জীবানু বিধংশী ANTIBODY উৎপাদন করছে। আর T-CYTOTOXIC কোষ ক্যানসার কোষ,ভাইরাস আক্রান্ত কোষ, ও মৃত কোষকে পরিস্কার করে।
১৪) ANTIGEN- এটা একটা বহিবস্তু, হতে পারে CARBOHYDRATE, FAT, PROTEIN বা অন্য কিছু, যা শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যুহকে সাড়া জাগায়। এর পর শরীর এই পদার্থের বিরুদ্ধে ANTIBODY তৈরী করায়, এর পূর্বের ANTIBODY থাকলে তার দ্বারা আক্রান্ত হয়, অথবা T-HELPER কোষকে সমর্পন করে দেওয়া হয় পরবর্তী যথাযথ পদক্ষেপ লওয়ার জন্য।(১৩)
এছাড়া INFLAMMATION এর সময় একই সাথে DAMAGED TISSUE পুননির্মানের জন্য FIBROBLAST কোষ ও COAGULATION CASCADE ও কাজ করতে থাকে।
রক্তের কী কাজ?
নীচে সংক্ষিপ্তাকারে রক্তের কিছু কাজ এর তালিকা দেওয়া হল-
রক্ত ৩ ধরনের কাজ করে থাকে।.
১)পরিবহন
রক্ত নিম্ন লিখিত বস্তুগুলী পরিবহন করে-:
• অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড ফুসফুস হতে প্রতিটা কোষ পর্যন্ত।
• খাদ্য পুষ্টি-পরিপাক তন্ত্র হইতে শরীরের সর্বত্র।
• শরীরের বিষাক্ত পদার্থ নির্বিষ করতে লিভারে এবং বর্জ পদার্থ নিস্কাশনের জন্য কীডনী পর্যন্ত।
• গ্লান্ডে যে সব হরমোন উৎপাদন হয় সে গুলী তার লক্ষ্য বস্তু কোষ পর্যন্ত।
• শরীরের তাপ মাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য তাপ চামড়া পর্যন্ত।
২) প্রতিরক্ষা-
প্রদাহ বা INFLAMMATION এ কয়েক ভাবে ভূমিকা রাখে যেমন-
• WBC শরীরের জীবানু ও CANCER কোষকে ধংস করে।
• ANTIBODY এবং প্রোটীন জীবানুকে ধংস করে।
• PLATELET FACTORS রক্ত জমাট বাধানো আরম্ভ করে দিয়ে রক্তক্ষরণ কমিয়ে দেয়।
৩) নিয়ন্ত্রন-
রক্ত নিয়ন্ত্রন করে-
• Ph নিয়ন্ত্রন করে রাখতে, ACID এবং BASE পরশ্পর সমন্বীত কাজ করে।
• জলের সাম্যতা (WATER BALANCE) টিসুতে জল বাড়িয়ে কমিয়ে করে।(১)
BLOOD TRANSFUSION
একজনের শরীরের রক্ত আর একজনের শরীরে দেওয়া কে BLOOD TRANSFUSION
বলে। সাবধান!! এটা করার পূর্বে ঊভয়ের রক্তের গ্রুপ ল্যাবরেটরীতে ম্যাচ করিয়ে দিতে হইবে। অন্যথায় গ্রুপ ম্যাচিং সঠিক না হইলে প্রদান কৃত ব্যক্তি সাথে সাথে মারা যাইবে।
রক্ত পরীক্ষার স্বভাবিক ফলাফল।
রক্তে সাধারণতঃ যে সব বস্তু গুলী পরীক্ষা করা হয়, তার কিছু কিছুর স্বাভাবিক মাত্রা নীচে দেওয়া হল।(ল্যাবরেটরী ভেদে এর মাত্রা সামান্য কিছু কিছু পার্থক্য ধরে থাকে। এ ছাড়াও আরো অনেক কিছু রক্তের মধ্যে পরীক্ষা করার মত রয়েছে যা প্রয়োজন অনুসারে পরীক্ষা করা হয়)
হেমোগ্লোবিন (HgB)A1C----------- ৪ হতে ৫.৬%
মোট শ্বেত কনিকা (WBC)------- ৩.৮ হতে ১০.৮ হাজার প্রতি মাইক্রোলিটারে
মোট লোহিত কনিকা (RBC)--------- ৪.২০ হতে ৫.৮০ মিলিয়ন প্রতি মাইক্রোলিটারে
হেমোগ্লোবিন (HgB)---------------- ১৩.২ হতে ১৭.১ গ্রাম প্রতি ডি:এল
হেমাটক্রিট ------------------ ৩৮.৫ হতে ৫০%
MCV (Average Red Blood Cell Size) ৮০-১০ fL(femtoliter)
MCH(Hemoglobin amount per red blood cell) ২৭ হতে ৩১ Picogram/cell
MCHC--------------------------------------------------- ৩২ হতে ৩৬ GRAM/DL
RDW---------------------------------------------------- ১১ হতে ১৫%
PLATELET COUNT----------------- ১৪০ হতে ৪০০ হাজার /MICROLITER
MPV (Mean Platelet volume)--------- 7.4 to 11.5 fl (femtoliter)
Total Neutrophils---------------- 38 to 80%
Total Lymphocyte----------------- 15 to 49%
Monocyte ---------------------- 0 to 13%
Eosinophil -------------------- 0 to 8%
Basophil --------------------- 0 to 4%
Neutrophils absolute------------ 1500 to 1800 per mcl(microliter)
Lymphocytes absolute------------- 850 to 3900 per mcl(microliter)
Monocytes absolute ------------ 200 to 950 per mcl(microliter)
Eosinophil absolute --------------- 15 to 500 per mcl(microliter)
Basophil -------------------- 0 to 200 per mcl(microliter)
________________________________________
METABOLIC PANEL
Glucose--------------------- 65 to 139 mg /dl
Sodium------------------------ 135 to 146 mmol/Liter
Potassium-------------------- 3,5 to 5.3 mmol/Liter
Chloride--------------------- 98 to 11o mmol/Liter
Carbon Dioxide----------------- 19 to 30 mmol/Liter
Blood Urea Nitrogen (BUN)-------- 7 to 25 mg/dl
Creatinine----------------------- 0.6 to 1.39 mg/dl
Calcium ------------------------ 8.6 to 10.3 mg/dl
Protein total serum --------------- 6.1 to 8.1 gram/dl
Albumin --------------------- 3.6 to 5.1 gram/dl
Globulin --------------------- 1.9 to 3.7 gram/dl
Albumin/Globulin (A/G) ratio-------- 1 to 2.5
Bilirubin total ----------------- 0.2 to 1.2 mg/dl
Alkaline Phosphatase-------------- 40 to 150 U/L
AST -------------------------- 10 to 40 U/L
ALT -------------------------- 4 to 46 U/L
EFGR ---------------------- >60 ml/minute/ 1.73M square
________________________________________
LIPID PANEL
Cholesterol,Total------ 125 to 200 mg/dl
HDL Cholesterol-------------- >= 40 mg/dl
Cholesterol/Hdl ratio ----------- <= 5
LDL Cholesterol------- < 130 mg/dl
Triglycerides-------- >150 mg/dl
VLDL----------------------- 5 TO 40 mg/dl
PSA, total-------------- 4 ng/dl
________________________________________
TSH------- 0.40 to 4.50 mIU/ml
________________________________________
VitaminB12, serum------------ 200 to 1100 pg/ml
Vitamin D------------------- 32 t9 100 ng/ml
Folate, serum ----------- >5.4 ng/ml
টিকা-
CBC- Complete Blood Count Test
Femtolitre (fl)- (US femtoliter) is the metric unit of volume equal to 10−15 litres, or one thousand trillionth
DL = deciliter
Ng-Nanogram= One billionth (1/1,000,000,000) of a gram
Pg=picogram- One trillionth (10-12) of a gram.
MCHC- The amount of hemoglobin relative to the size of the cell (hemoglobin concentration) per red blood cell
RDW- Red cell distribution width or RDW is a parameter that measures variation in red blood cell size or red blood cell volume. A high RDW(over 14.5%) means that the red blood cells vary a lot in size.
HEMATOCRIT (হেমাটোক্রিট) -The ratio of the volume of red blood cells to the total volume of blood. an instrument for measuring this, typically by centrifugation.
EGFR-(Estimated Glomerular Filtration Rate)- >60
PSA- Prostate-Specific Antigen (PSA) Test - National Cancer ...
http://www.cancer.gov/cancertopics/factsheet/.../PSA
The PSA test measures the blood level of PSA, a protein that is produced by the prostate gland. The higher a man's PSA level, the more likely it is that he has prostate cancer. However, there are additional reasons for having an elevated PSA level, and some men who have prostate cancer do not have elevated PSA.
AST (SGOT) - Serum Glutamic-Oxaloacetic Transaminase; SGOT; GOT; Aspartate Transaminase
Formal name: Aspartate Aminotransferase
ALT (SGPT) - Serum Glutamic-Pyruvic Transaminase; SGPT; GPT; Alanine Transaminase
Formal name: Alanine Aminotransferase
>Means more than
< means Less than
HDL- High Density Cholesterol (Not harmful, rather useful)
LDL- Low density Cholesterol(Harmful)
VLDL- Very Low Density Cholesterol(Harmful)
TSH-Thyroid stimulating hormone
A1C-রক্তের গ্লুকোজ মাপের পদ্ধতি। এর দ্বারা বিগত ২-৩ মাসের রক্তের ছুগার এর গড় পাওয়া যায়।
রেঞ্জ-
< 6.7--------- normal (no risk for Diabetes)
5.7 to 6.4------- Increased Risk for Diabetes
=> 6.5 -------- Consistent with Diabetes
Blood Glucose Level-
The American DiabetesAssociation recommends a fasting plasma glucose level of 70–130 mg/dL (3.9-7.2 mmol/L) and after meals less than 180 mg/dL (10 mmol/L).
ESR-(Erythrocytic Sedimentation Rate)
Normal Results
For adults (Westergren method):
• Men under 50 years old: less than 15 mm/hr
• Men over 50 years old: less than 20 mm/hr
• Women under 50 years old: less than 20 mm/hr
• Women over 50 years old: less than 30 mm/hr
পূর্বের পর্ব সমূহ এখানে দেখুন-
http://WWW.CHKDR02.WORDPRESS.COM
৪৩ তম পর্বের সূত্র সমূহ-
1) BLOOD COMPOSITION/FUNCTION
http://www.myvmc.com/anatomy/blood-function-and-composition/#C2
2) Range
http://www.nlm.nih.gov/medlineplus/ency/article/003648.htm
3)Blood count-
http://en.wikipedia.org/wiki/Complete_blood_count
4) A1C
http://www.webmd.com/diabetes/guide/glycated-hemoglobin-test-hba1c
5) PLASMA
http://www.urmc.rochester.edu/encyclopedia/content.aspx?ContentTypeID=160&ContentID=37
6) PLASMA
http://en.wikipedia.org/wiki/Blood_plasma
7) SERUM
http://www.medicinenet.com/script/main/art.asp?articlekey=5470
8) SERUM
http://en.wikipedia.org/wiki/Serum_%28blood%29
9) FLUID CPMPARTMENTMENTS
http://en.wikipedia.org/wiki/Fluid_compartments
10. BODY FLUID COMPARTMENTS
http://en.wikipedia.org/wiki/Fluid_compartments
11. BODY FLUID COMPARTMENTS
http://www.anaesthesiamcq.com/FluidBook/fl2_1.php
12. DIFFERENTIAL COUNT.
http://en.wikipedia.org/wiki/White_blood_cell
13. ANTIGEN/ANTIBODY
http://www.biologyexams4u.com/2012/11/difference-between-antigen-and-antibody.html#.VMUPuf7F-gY
বিষয়: বিবিধ
১৭৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন