শুভ জন্মদিন প্রধান মন্ত্রী

লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:০৮:৪৬ দুপুর

শুভ জন্মদিন প্রধান মন্ত্রী



আচ্ছা আপনাকে কেমন করে শুভেচ্ছা জানানো উচিত তা আমার যানা নেই। তাই কাছের মানুষ জনদের যে ভাবে শুভেচ্ছা জানায় তেমনি করে আপনাকে শুভেচ্ছা জানালাম।

>>>h b d dear P.M S.H

এই ভাবেই বর্তমান ডিজিটাল শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকি আমি অন্তত। তাই সেই চিরায়ত ভাবেই আপনাকে অন্তরেরঅন্তস্থল হতে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা। সেই সঙ্গে আপনার শতায়ু কামনা করি এবং সুস্থ সবল থেকে দেশের সেবা করে যান এই কামনা করি মহান সৃষ্টি কর্তার কাছে।

ব্লগে কেও আপনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কি না আমি জানি না। তাই একটু দেরিতে হলেও সকল ব্লগারদের পক্ষ হয়ে অনন্ত শুভেচ্ছা আপনাকে।

তার সম্পর্কে একটু

---------------------------

>রোববার ২৮ সেপ্টেম্বর ৬৮ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়।

>১৯৬৮ সালে পরমাণু বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ হাসিনার। এক ছেলে (সজীব আহমেদ ওয়াজেদ) ও এক মেয়ের (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) জননী তিনি।

>ষাটের দশকে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

>মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় শেখ হাসিনা তার মা, বোন শেখ রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ঢাকায় বন্দী ছিলেন।

>১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার সময় হাসিনা দেশে ছিলেন না। সেসময় তিনি স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন।

>১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। এর পর থেকে ৩২ বছর ধরে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

>>তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক জোট ও দল ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ।

>>গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে তার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে প্রথমে ১৪ দলীয় জোট এবং পরে মহা ঐক্যজোট গড়ে ওঠে। ১৪ দল ও মহা ঐক্যজোটের তীব্র আন্দোলনের মুখে অধ্যাপক ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২২ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

>>২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে ওই বছরের ১৬ জুলাই গ্রেফতার হন শেখ হাসিনা। ওই সময় সংসদ ভবন চত্বরের বিশেষ কারাগারে দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস বন্দি ছিলেন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে এর আগেও কয়েক দফা গৃহবন্দি হন তিনি।

>>শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দলটি। ওই বছরের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন সরকার গঠন করে তারা। এর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।

>>চলতি বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরপর দ্বিতীয় মেয়াদের মহাজোট সরকার গঠিত হয়েছে। এ ছাড়া ১৯৮৬ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের ষষ্ঠ এবং ২০০১ সালের অষ্টম সংসদে, অর্থাৎ মোট তিন দফা বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

>>১৯৯৬-২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি ও গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি তার সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে নিয়োজিত আছে। এ অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি।

>>গত পাঁচ বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক গেছেন তিনি। ২ অক্টোবর দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।বিভিন্ন দল ও সংগঠন >>বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন পালন করবে। কর্মসূচিতে আছে কেক কাটা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।

>>দিনটি উপলক্ষে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ, দোয়া মাহফিল, বস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা করবে। দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং প্যাগোডা, গির্জাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন এতিমখানাসহ দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।

>>আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে শেখ হাসিনার ৬৮তম জন্মদিন পালনের জন্য দলের সব শাখা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভান্যুধায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

সুত্র ----পত্রিকা

বিষয়: বিবিধ

৯৯৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

269799
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
ফেরারী মন লিখেছেন : শুভ জন্মদিন দেশনেত্রী। Rose Rose
269803
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:১০
আদি মানব লিখেছেন : শুভ, অবশ্যই শুভ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File