মসজিদ নির্মাণে হিন্দু সম্প্রদায়ের(!?) তথা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বাধাঃ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পথে আরেক পদক্ষেপ!!

লিখেছেন লিখেছেন মুহামমাদ সামি ২৬ জুন, ২০১৬, ০৭:০৬:৪৭ সন্ধ্যা



বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বহু বছর ধরে হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতির কথা আমরা জানতে পারি।,,,আমরা সব বিদেশী শত্রুর মোকাবিলা এক সাথেই করে আসছি এতদিন। কই কখনোতো এক ধর্ম আরেক ধর্মের উপর আক্রমণ করেনি। কখনোতো কোন হিন্দু মসজিদ অথবা কোন মুসলিম মন্দির তৈরিতে বাধা দেয়নি। যে যার যার ধর্মমত পালন করে আসছিল শান্তিতে।। আর হিন্দু সম্প্রদায়কে কোনদিন সংখ্যালঘু হিসেবেও বিবেচনা করা হয়নি। কারণ, বাংলাদেশের বিভক্তি পাকিস্তান বা ভারতের মত কোন ধর্মের কারণে ছিলনা, ছিল ভাষার কারণে।। সুতরাং, বাংলা ভাষাভাষী যে কেউ যেই ধর্মেরই হোক না কেন এবং তাদের সংখ্যা যত স্বল্পই হোকনা কেন তারা সংখ্যালঘু বলে বিবেচিত হবে না।। বরং তারাও সংখ্যাগুরু।। বাংলাদেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যারাই বাংলায় কথা বলে তাদের পরিচিতি হল বাংগালী।

আমাদের দেশের একমাত্র সংখ্যালঘু জাতি হল উর্দুভাষী বিহারী(যদিও তারা মুসলিম) এবং পাহাড়ী জনগোষ্ঠী। যারা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলে।।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নামক সংগঠনটি কোন ভিনদেশী শক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে ব্যস্ত। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণ নয়, বরং বাংগালী জাতির মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে হাজার বছরের একতার বন্ধনে ফাটল সৃষ্টি করা।। আমার মনে হয় দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর যেসব গুপ্ত হত্যা হচ্ছে এর পিছনেও এ সংগঠনটির কালো হাত রয়েছে। সবার উচিত দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বে আঘাতহানী(দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনা) এ সংগঠনটি বয়কট করা!!

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373204
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : ভাষার ভিত্তিতে আমরা যদি আলাদা হয়ে থাকি তবে পশ্চিম বঙ্গের সাথে আমাদের মিশে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু তা নয় আমরা মুসলীম বঞ্চিতের কারণে মুসলীমদের থেকেই আলাদা হয়েছি। আমরা মুসলীম হয়েই থাকতে চাই। আর মুসলীমদের আওতায় অন্য ধর্মের নিরাপত্তা সব চাইতে বেশী। ধন্যবাদ।
373206
২৬ জুন ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
হতভাগা লিখেছেন : হিন্দুরা কখনই বাংলাদেশের ভাল চায় নি । এরা মুসলমানদের সব সময়ই হিংসা করে এসেছে । আমরা মুসলমানেরা নিজেদের ধর্মকে পেছনে রেখে তাদের পূঁজোতে গিয়ে প্রসাদ খেয়ে এলেও ওরা কিন্তু ক্বুরবানীর সময়ে মুসলমান বন্ধুদের বাসায় গিয়ে গরুর গোস্ত ভুলেও খেতে যায় না ।

কট্টরহিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ভারতে ক্ষমতায় আসায় এবং সাথে হিন্দুপ্রেমী দল আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা মিনিমাম আরও ৩ বছর নিশ্চিত হয়ে যাওয়াটা হিন্দুদেরকে অনূকুল পরিবেশ পাইয়ে দিয়েছে ।

এদের পূর্ব পুরুষেরা কিন্তু ১৯০৫ সালের বঙ্গ ভঙ্গের তীব্র বিরোধীতা করেছিল । কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল যে আলাদা হয়ে গেলে এ অন্চলের মুসলমানেরা শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে আসবে ,যেটা তারা মোটেই মেনে নিতে পারে নি কখনই , এখনও না । ইংরেজদের প্রতি এদের চামচাগিরির কারণেই উপ মহাদেশ ২০০ বছর পরাধীন থেকেছে । এ কারণেই Divide and rule এর প্রনেতারা হিন্দুদেরকেই প্রাধান্য দিয়েছে মুসলমানদের উপর।

এরা সুযোগ পেলেই মুসলমানদের উপর আঘাত হেনেছে ।
373218
২৬ জুন ২০১৬ রাত ০৮:৪৭
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ১৯০৫ সালের বঙ্গ ভঙ্গের তীব্র বিরোধীতা করেছিল । কারণ তারা বুঝে গিয়েছিল যে আলাদা হয়ে গেলে এ অন্চলের মুসলমানেরা শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে আসবে ,যেটা তারা মোটেই মেনে নিতে পারে নি কখনই ভালো লাগলো ধন্যবাদ
373225
২৬ জুন ২০১৬ রাত ১০:২৪
জুনাইদ হোসেন সবুজ লিখেছেন : বাংলাদেশে থাকা মালুর বাচ্চাদের ভারত পাঠানোই একমাত্র সমাধান।
373229
২৭ জুন ২০১৬ রাত ১২:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : স্পেন এর পরিনতির পথেই আমরা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File