==>জরুরী বার্তা শেষ পর্ব<== অবশ্যই পড়বেন শেষ পর্ব :--
লিখেছেন লিখেছেন হানিফ খান ১০ আগস্ট, ২০১৩, ০১:২৫:৫৫ দুপুর
দখলদার নেটো বাহিনীর উদ্দেশ্য,
দখলদার-হানাদার দেশগুলোর উচিত গত
১২বছরের তিক্ত
অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া।
দখলদারিত্ব আরো দীর্ঘায়িত
করে অথবা স্থায়ী ক্যাম্প করে তাদের
ভাগ্যকে আর পরীক্ষা করা তাদের আর
উচিত নয়। অনুরূপভাবে কাবুল
প্রশাসনের ভিত্তিহীন ও ক্ষমতাহীন
প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে তারা যেন
নিজেদেরকে আর প্রতারিত না করে।
এইসব তাঁবেদার চামচাগুলোই একসময়
আফগানিস্তানকে একটুকরো নরম
পাওয়ারুটির মতো সহজ বলে তাদের
কাছে বর্ণনা করেছিল। এতদিন
পরে পশ্চিমারা বুঝতে পেরেছে যে,
আফগান জনগণ কখনই
বিদেশি দখলদারিত্ব বা তাদের পুতুল
সরকারকে সহ্য করতে পারে না।
আফগান মুজাহিদ এবং জনগণকে বিভক্ত
করার জন্য তারা যত চমকপ্রদ
মিথ্যা চালচতুরির আশ্রয় নিক না কেন
তারা একজন বিদেশি সৈন্যকেও আফগান
মাটিতে সহ্য করবেনা। তাদের
জেনে রাখা উচিত সকল মুজাহিদই
হলো ইসলামের একনিষ্ট সেবক, তাদের
আছে ঐক্যবদ্ধ,
ন্যায়বাহী এবং পরিষ্কার নীতিমালা।
"এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে ন্যায়বাহ
সম্প্রদায়
করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হ
মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল
সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের
জন্য।" (2:143)
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি,
রাজনৈতিক বা গুপ্তচরবৃত্তির
উদ্দেশ্যে পরিচালিত নয় এমন সকল
মানবাধিকার
সংস্থাগুলোকে আমি আহ্বান
জানাবো আমাদের অধিনে যেসব
এলাকাগুলো আছে সেগুলোতে এসে তাদের
কার্যক্রম চালিয়ে যেতে। তাদের
সহযোগিতা করার জন্য বিভিন্ন
সেক্টরে কমিশন ঘঠন করা হয়েছে।
সবশেষে, আমি বিশ্ব জনগণকে, বিশেষ
করে মুসলিম দেশগুলোর
জনগণকে যারা ন্যায় বিচার পছন্দ
করে এবং আন্তর্জাতিক ও ইসলামিক
সংস্থা গুলোর উদ্দেশ্যে বলব ,
আপনারা নির্যাতিত আফগান জনগনের
পাশে এসে দাঁড়ান এবং তাদের
স্বাধীনতার জন্য আপনাদের
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন।
হে মুজাহিদিনগণ,
আমি আপনাদের মনে করিয়ে দিতে চাই
যে, আপনারা ইসলামিক অনুশাসনের
প্রতি আরো মননিবেশ করুন, নেতৃত্ব
মেনে চলুন, ঐক্যবদ্ধ কাজ করুন।
যেসব এলাকা গুলোকে শত্রুমুক্ত
করা হয়েছে সেগুলোতে বিদ্যমান
বিষয়গুলো শরিয়া কাউন্সিল এবং লোকাল
মুরুব্বীদের সাথে পরামর্শ করে সমাধান
করুন। সাথে সাথে যারা মুজাহিদদের নাম
করে বেসামরিক লোকদের
ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার
হোন, এবং বেসামরিক
ক্ষয়ক্ষতি কমানোর সর্বোচ্চ
চেষ্টা করুন।
উল্লেখ্য , যে, শত্রুপক্ষ বেসামরিক
ক্ষয়ক্ষতির ব্যপারে ভুল তথ্য প্রকাশ
করছে। সত্যিকার অর্থে তাদের ধারাই
বেসামরিক
ক্ষয়ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হচ্ছে।
মাঝেমধ্যে কখনও যদি কোন
মুজাহিদকে বেসামরিক লোকদের
ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে অসচেতন
দেখা যায় তাহলে তাকে অতিসত্বর তার
নেতার মাধ্যমে বিচারিক আদালত
সম্মুখীন হতে হবে ।
মুজাহিদিনদের উচিত "দাওয়া কমিশন"
এর পলিসি অনুসারে আমাদের
প্রতিপক্ষকে সত্যের পথে দাওয়াত
দেওয়া। অনুরূপভাবে বন্ধি ও আহতদের
প্রতি আরো অধিক সদয় হওয়া।
পাশাপাশী আমাদের নতুন প্রজন্মের
শিক্ষার জন্য "শিক্ষা কমিশন" এর
নীতিমালা অনুযায়ী মুজাহিদিনদের বিশেষ
মনযোগী হওয়া উচিত,
যাতে করে ওরা ধর্মীয় ও আধুনিক
শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও দেশের
জনগণের সেবা করতে পারে।
ইসলামিক দাতব্য
সংস্থাগুলো এবং ধনী ব্যক্তিদের
অনুরোধ করবো তারা যেন আমাদের
"অর্থ কমিশন" কে সাহায্য করে।
এবং আসছে ঈদে তারা যেন আমাদের
শহিদ, বন্দী এবং গরিব
পরিবারগুলোকে ভুলে না যায়।
সবশেষে, আমি সকল
মুসলিমদেরকে যারা আমাদের
মুজাহিদিনকে বিভিন্নভাবে সাহায্য
করেছেন এবং আমাদের জন্য
দোয়া করেছেন তাদের প্রতি আন্তরিক
ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সবাইকে আবারো পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর
এর শুভেচ্ছা।
(আমিরুল মোমিনীন )
মোল্লা মুহাম্মদ উমর মুজাহিদ
বিষয়: বিবিধ
১২৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন