কোথায়, কিভাবে, কেন আমরা প্রতারিত হইঃ স্বরূপ উন্মোচনের ব্যার্থ চেষ্টা - 2

লিখেছেন লিখেছেন সাদাচোখে ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:২৩:১২ সকাল

বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহীম

আসসালামুআলাইকুম

Part - 1

কনফিউজড ম্যাক্রো ইস্যু সমূহ - যা প্রায় ই আলাপ আলোচনায় আসে সে সব হল ইসলামিক রাজনীতি, ইসলামিক গনতন্ত্র, ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা, ইসলামি নির্বাচন প্রক্রিয়া, ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা, ইসলামী মিডিয়া, ইত্যাদি ইত্যাদি। লিটারেলী আজকের দুনিয়ার মেকানিজম এ যা কিছু 'ঐশ্বরিক ইসলামে'র, রাসুল সঃ এর ইসলামের বিরুদ্ধে, ডিভাইন ইসলামকে ম্যালাইন করতে, দূর্বল দেখাতে, ব্যাকডেটেড হিসাবে তুলে ধরতে কাজ করছে - সে সব মেকানিজম, আইডিয়োলজী, সিস্টেম, প্রতিষ্টান কে ধরে ধরে এনে মুসলিম প্রধান দেশে তার আগে কিংবা পেছনে ইসলাম নামক একটা ওয়ার্ড জড়িয়ে ইসলামিক বলে দেয়া হয়েছে। যার জন্যই আমরা উপরে অমন সব ইসলামিক জিনিসের ছড়াছড়ি দেখি।

আল্লাহ আমাকে মাফ করুন এতটা রসকষহীন ভাবে বলছি বলে। সম্ভবতঃ সাধারন মানুষ এর চোখে ধরা পড়বে বলে হয়তো আমরা এখনো শুনি নি (হয়তো শুনবে অচিরেই) ইসলামী সুদ, ইসলামী শুকর, ইসলামী মদ, ইসলামী পতিতালয়, ইসলামী ঘুষ ইত্যাদি, ইত্যাদি। কিন্তু তাকে আনা বাদ যায় নি - তবে এসেছে বা এখনো আছে অরিজিনাল টার্মে। এই যেমন ইন্টারেস্ট, লিজিং, কমিশন, খাবারের ক্ষেত্রে ই কোড (মূলতঃ শুকর), জিএমও / উন্নত জাত, মডেলিং, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, স্পীড মানি ইত্যাদি।

যা বলছিলাম, এন্টি ইসলামিক ঐ সব স্যেকুলার তন্ত্র মন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানকে ইসলামিক করতে গিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ, কর্মী সমর্থক রা একযোগে ফর্ম করেছে বিভিন্ন নামের ইসলামী পলিটিক্যাল পার্টি, দাওয়াহ পার্টি, তাবলীগ পার্টি, সুশীল সমাজ, পত্রপত্রিকা, ব্যাংক বীমা, ব্যবসা, স্কুল-কলেজ, সিলেবাস সমৃদ্ধ অর্গানাইজড পলিটক্যাল কার্যক্রম, দিবস উদযাপন, নাট্য ও সিনেমা প্রডাকশান, রিয়েল স্টেইট বিজনেস, ফান্ড কালেকশান, এনজিও ও ম্যানেজমেন্ট ফার্ম সহ আরো কত কি।

আর এই কার্যক্রম সমূহের কোরান ও হাদীসের সাথে কন্ট্রাডিকশান, লিমিটেশান, বাস্তবতা বিবর্জিত ফলাফল, অপরিপক্কতা, অসামন্জস্যতা ইত্যাদিকে কখনো আড়াল করতে আবার কখনো বৈধতা দিতে আশ্রয় নেয়া হয়েছে টুইস্টেড কিংবা পার্টলী কিংবা প্রেক্ষিত অনলী ফোকাস কোরানের আয়াতের, হাদীসের, সিরাহ ও সলফে সালেহীন এর। সেই সাথে বাংলাদেশের মাটিতে আর একটি শব্দও ইচ্ছামত ব্যবহার হয়ে চলেছে - আর তা হল 'হেকমাহ'। আল্লাহর রাসুলের সঃ এর পবিত্র এই উম্মাহর জন্য গিফট টিকে - আজ বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় ভাইবোনদের কাছে লিটারেলী 'পরশ পাথর' টাইপের কিছু একটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোরান হাদীস এর বিপরীতে কিংবা কন্ট্রাডিক্টরী কিছু ধরিয়ে দিলে 'হেকমাহ' নামক এই শব্দটি ব্যবহার করে অবলীলায় আমাদের ভাইবোনরা কোরান হাদীসের উপর দিয়ে সাঁতরে চলে যান। এ্যাজ ইফ হেকমাহর প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে কোরানের আয়াত ও হাদীসের আদেশ নিষেধকে হ্রদ করা যায়, ঘুম পাড়িয়ে রাখা যায় - অনেকটা সেনাবাহিনী যেমন মার্শাল ল জারি করে সাময়িকভাবে সিভিল ল'কে স্থগিত করে।

মূলতঃ আমাদের বুঝা দরকার ছিল এবং আছে, এভরী নাউ এন্ড দ্যান যখন ই কোন ইস্যু সামনে আসে আমাদের ম্যাক্রো ইস্যু সমূহ যা অনেক মুসলমানের উপর ইম্পেক্ট তৈরী করে তার তাৎক্ষনিক ইনভেস্টিগেশান করা, তার ডায়াগনোসিস করা। তাহলেই সম্ভব হত আজকের এই তথাকথিত রাজনীতি, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক মেকানিজম, নির্বাচন, সংসদ, গনতন্ত্র, সুশীল সমাজ, তথা কথিত রাইটস্‌ বেইজড অর্গানাইজেশান ও রাইটস্‌ এ্যাক্টিভিস্ট, মিডিয়ার স্বাধীনতা ইত্যাদি কোন টার সাথে আসলে ইসলামের সম্পর্ক কতটুকু আর সেই সম্পর্ক থাকায় আসলে কি তা ইসলামিক, তা ইসলামিক্যালী আদৌ বৈধ?

আসলে এই সব ইমপোর্টেড কিছুর সাথে ডিভাইন ইসলামের, রাসুলের ইসলামের কিংবা আর্লি ইসলামের কোন সম্পর্ক আদৌ আছে কিনা? না কি আমরা এ সব আকড়ে ধরেছি বলে আজকের লাইফটি এমন হাঁসফাঁস লেভেল এ পৌছেছে? বরং যে দু চারজন কষ্ট করে পশ্চিম হতে ইমপোর্ট করা এই তন্ত্রমন্ত্র ও প্রতিষ্ঠান এর জংগল এ ইসলামের রিলেশান খুঁজেছে - তারা এর মধ্যে ইসলামের কিছুই খুঁজে পায়নি - যাকে ইসলামিক্যালী এক্সেপ্ট করা যায়। যা পেয়েছে তা হল - এক বালতি মদের মধ্যে এক ফোটা দুধের ন্যায় ইসলামের অস্তিত্ব। কেন আমাদের আপনজন রা কর্মী সমর্থক ও স্কলার রা অপভ্রংশের আশ্রয় নেই। যেখানে আর্লি ইসলামে, আর্লি ইসলামিক লিটারেচার এ - এই শব্দসমূহের কোন উল্লেখ কিংবা ব্যাবহার নেই - সেখানে কেন আমি আয়াতকে, হাদীসকে, সিরাহকে টুইস্ট করছি? এবং এই সব তন্ত্র মন্ত্র, সিস্টেমকে ইসলামাইজেশানে উঠে পড়ে লেগেছি।

কারন একটাই আমরা চাই দুনিয়াকে পেতে। ঠিক যেমন ব্যাক্তি জীবনে দুনিয়ার সাকসেস কে আমরা বড় করে দেখি এবং আউট অব কনটেক্স এ সেই বড় করাকে যতটুকু এ্যাম্পাসাইস দেবার কথা তার চেয়ে অধিক পরিমানে এ্যাম্পাসাইজ দিয়ে ফেলি এবং আল্লাহর কাছে নিগৃহিত হই। অর্থাৎ বিজনেস মিটিং এর জন্য নামাজ কাজা করি, দেরী করি।

ঠিক তেমনি রাজনীতিকে মূখ্য করে খেলাফতের অতি প্রয়োজনীয় বিষয়সমূহকে ইগনোর করি, মিথ্যা বলি, ডিসিপশানের আশ্রয় নিই, শত্রু তৈরী করি এবং শত্রু হই, খুন করি কিংবা খুন হই - কিংবা আলোচনাকে মাটি ছাপা দিতে আউট অব কনটেক্স এ স্কলারের কোটেশান এর আশ্রয় নিয়ে বলি এসব পাবলিক আলোচনার বিষয় নয়। মুসলিম ভাইরা জেনাহ, ব্যাভিচার, হতে শুরু করে সমকামিতা সহ হেন ইস্যু নেই যা নিয়ে না আলোচনা করছেন - কিন্তু যেই না আপনি এই সব ভাইদের আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনুযায়ী খেলাফতের জন্য আন্দোলন, গনতন্ত্র, সুদ, ভোট, জাতীয়তাবাদ, দেশপ্রেম ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন - কেন যেন তা কার্পেটের নিচে চলে যায়।

অথচ যে কেউ বেসিক পড়ালিখা করলেই দেখবে - অধুনা এই সব ম্যাক্রো টার্মস্‌, মেকানিজম, সিস্টেম - এর জন্ম, বিকাশ ও বিস্তৃতি ও বহিঃপ্রকাশ - ইসলামের একটা পার্টিকুলার কোর শত্রু র দ্বারা হয়েছে, হচ্ছে এবং আগামীতে ও হবে। এই সব টার্মস্‌, মেকানিজম, সিস্টেম খেলাফতের বিকল্প হিসাবে, রাজতন্ত্রের বিকল্প হিসাবে, সমাজতন্ত্রের বিকল্প হিসাবে বিশ্বময় একটা পার্টিকুলার শক্তির হাত ধরে হয়েছে এবং একই সাথে মুসলিম প্রধান দেশ সমূহে ও ছড়িয়েছে। এ কাজ করেছে একটা নির্দিষ্ট টাইপের, নির্দিষ্ট ভাষাভাষি, নির্দিষ্ট রং ধারী পতাকার মানুষ, নির্দিষ্ট রূট এর মানুষ, নির্দিষ্ট দ্বীপ এর মানুষ। যারা কখনো জোর করে পংগপাল মারার মত করে (যেমন এ্যাবোরিজিনাল, রেড ইন্ডিয়ান), কখনো প্রতারিত করে (যেমন ভারতীয় উপমহাদেশ), মানুষকে সাপ্রেস করে (ইজিপ্ট), কখনো মানুষকে গনহারে মেরে, মানুষের মধ্যে বিবেদ বিসংবাদ লাগিয়ে, কলোনাইজেশানের নামে এ তন্ত্র, মন্ত্র ও প্রতিষ্ঠানকে ছড়িয়েছে এবং বিশ্বময় লেবাস পাল্টে পাল্টে ধরে রেখেছে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে কখনো প্রক্সি দিয়ে কখনো স্পাই তথা জাসাসা র ব্যাবহার করে। পরবর্তীতে তারা ঐ সেইম আইডিয়োলজীকে এক্সপোর্ট করেছে এবং ছড়িয়েছে - চ্যারিটির নামে, এইড এর নামে, সুশীল এজেন্ট এর মাধ্যমে, মিডিয়া ও খেতাব ও উপাধী বিক্রি করে, আর্টিফিশিয়াল হুজুর সেজে কিংবা সাজিয়ে। সম্প্রতি তারা এই আইডিয়োলজী সমূহ ইরাক, আফগানিস্থান, লিবিয়া, তিউনিশিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনে রক্তের বন্যা বইয়ে, ড্রোন, যুদ্ধবিমান, আলজাজিরা, আল কায়েদা, আই সিস ইত্যাদি দিয়ে বিস্তার করছে।

মূলতঃ আমাদের গভীর ভাবে চিন্তা করা দরকার, বুঝার চেষ্টা করা দরকার যে - খেলাফত এর একটা রোল মূলতঃ সমাজ কাঠামো বিনির্মানে ডিভাইন মেকানিজম এর প্রয়োগ ও প্রসার। আর আধুনা রাজনীতির আড়ালে গনতন্ত্রের টুলস সমূহ ও তেমনি সমাজ বিনির্মানের মানুষ্য (আপাততঃ বললাম) - একটা মেকানিজম মাত্র।

বুঝা দরকার রাজনীতির আওতাধীন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যা কিছু আছে সব কিছুর ই একটা টার্গেট হল সমাজ কাঠামো ভাংগা ও গড়ার মাধ্যমে নতুন করে বিনির্মান ও নিউ মেনেজমেন্ট নিশ্চিত করা। এটা একটা সদা পরিবর্তনশীল অপুরচুনিস্ট মডেল, একটা ফ্রেম, একটা ব্যবস্থাপনার বাস্তবায়ন। যার কোন ইউনিফরমিটি নেই, মিশরের সিসির গনতন্ত্র যেমন এক্সেপটেবল, হাসিনার কেয়ার টেকার আছে - কেয়ার টেকার নেই গনতন্ত্র ও এক্সেপটেবল আবার ওবামার নতজানু গনতন্ত্র ও এক্সেপটেবল, বুশের ৯/১১ স্টাইল গনতন্ত্র ও এ্যাক্সেপটেবল।

কিন্তু ইসলামের সমাজ ব্যবস্থার জন্য যে খেলাফত মেকানিজম - তা ডিভাইন - তা অপরিবর্তনীয় ইন প্রিন্সিপাল এন্ড ইন এ্যাপ্লিকেশান - সো এর প্রয়োগ ইউনিভার্সালী ইউনিক। তা সে ইউরোপে হোক, ইন্ডিয়ায় হোক, মদীনায় হোক কিংবা আফ্রিকার গহীন জংগলে হোক।

সো আপনি যদি কোন সমাজে খেলাফত ব্যবস্থা চ্যুজ করেন কিংবা চালু করেন (যেখানে স্রষ্টা মূখ্য, মানুষ গৌন) - তবে সেই খেলাফত ফ্রেম কিংবা মডেল কিংবা ব্যবস্থাপনার অপর প্রান্ত দিয়ে একটা সুসভ্য কৃতজ্ঞ জাতিগোষ্টিকে বের হতে দেখবেন - যারা অন্যায়ের প্রতিকার ও শাস্তি চাইবে, ন্যায়ের জয় ও পুরুষ্কার নিশ্চিত করবে।

কিন্তু আপনি যদি কোন সমাজে রাজনীতি চ্যুজ করেন কিংবা চালু করেন তা ইসলামী রাজনীতি বলুন আর যাই বলুন (যেখানে মানুষ মূখ্য, মানুষের ভোট, মানুষে কনসালটেশান, চাওয়া পাওয়া ইত্যাদি - স্রষ্টা গৌন কিংবা বইতে আছে বা মনে আছে ঠিক যেমনটা কোরায়ইশদের ছিল এবং আমাদের হাসিনা ও খালেদার ও আছে) - তবে সে রাজনীতির ফ্রেম কিংবা মডেল কিংবা ব্যবস্থাপনার অপর প্রান্ত দিয়ে একটা অসভ্য, অকৃতজ্ঞ, চোর-বাটপার, প্রতারক জাতিগোষ্টিকে বের হতে দেখবেন - যারা অন্যায়ের জয় ও পুরুষ্কার নিশ্চিত করবে এবং ন্যায়ের প্রতিকার ও শাস্তি চাইবে। এর উদাহরন আপনি যেমন বাংলাদেশে পাবেন ঠিক তেমনি আমেরিকার মাটিতে ও পাবেন আবার ইউরোপের ও।

স্বভাবতঃই আমরা জেনে না জেনে ইসলামের আবরনে ইসলামিক রাজনীতি, ইসলামিক গনতন্ত্র, ইসলামিক মিডিয়া ইত্যাদি ইত্যাদি দিয়ে আজ মুসলিম বিশ্বে ঐ রাজনীতির মডেল এক্সেপ্ট করায় - অসভ্য, অকৃতজ্ঞ, চোর-বাটপার, প্রতারক জাতিগোষ্টিকে বের হতে দেখছি - যারা অন্যায়ের জয় ও পুরুষ্কার নিশ্চিত করছে এবং ন্যায়ের প্রতিকার ও শাস্তি চাইছে।

মুক্তি চাইলে পৃথিবীর সাকসেস কে গৌন করতে হবে, ধরতে হবে কোরান ও হাদীসকে। ইন্টারপ্রিটেশান করতে হলে তা করতে হবে কোরান ও হাদীস দিয়েই - স্যেকুলার আন্ডারস্ট্যান্ডিং দিয়ে নয়, রুপার্টমারডক এর মিডিয়া কিংবা ক্যামব্রিজ অক্সফোর্ড কিংবা হার্ভার্ড এর নবেল লরিয়েটের কথায় নয়, কাজে নয়। তাহলেই আলটিমেট আখেরাতের সাকসেস নিশ্চিত হবে আর খেলাফত এর উদ্দেশ্য ও বাস্তবায়ন হবে তথা বেহেস্ত পাওয়া যাবে।

(এ লিখায় কোন ভাই বোন এ্যাক্টিভিস্ট, নেতা কিংবা স্কলারকে ছোট করার কোন ইচ্ছা প্রসূত নয়, কাউকে মিন ও করা হয়নি - কারো কাছে কোন শব্দ খারাপ লাগলে কিংবা বাক্য খারাপ লাগলে - তা আসলেই আমার লিখার লিমিটেশান - কারন আমি প্রফেশনালী লিখছি না, একান্তই নিজের আন্ডারস্ট্যান্ডিং প্রসূত লিখা - শুধু এই উদ্দেশ্যে যে - যদি তাতে আমাদের সেন্স সমূহ কারেক্ট হয় সামহাউ এবং আলটিমেটলী আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাহ তে স্থান পাই।)

সমাপ্ত।

বিষয়: বিবিধ

১৪৭১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355970
০২ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০২:১৫
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসলে এই সব ইমপোর্টেড কিছুর সাথে ডিভাইন ইসলামের, রাসুলের ইসলামের কিংবা আর্লি ইসলামের কোন সম্পর্ক আদৌ আছে কিনা?

বিষয়টা স্পর্ষকাতর। এক কোরআন এর আজ বহু তাফসীর, সবাই সঠিক হওয়ার দাবী করেন, সহীহ পথে আছেন বিশ্বাস করেন । প্রচলিত দীর্ঘমেয়াদী আচরণ, বিশ্বাস , তামদ্দুনিক ব্যবস্থায় মানুষ অভ্যস্থ । এখানে নতুন কিছু প্রবেশ করতে সময় , শ্রম ও অধ্যবসায় প্রয়োজন।

০২ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০২:৫৬
295609
সাদাচোখে লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম। আপনি ঠিকই বলেছেন। সময়, শ্রম ও অধ্যাবসায় প্রয়োজন।
মাওলানা আবুল কালাম আযাদ ভাই ঘন্টা ৫/৬ আগে খুব সুন্দর করে, ঘুছিয়ে, এক্সাম্পল সেট করে বিনয়ের সাথে কিছু ৫০ উর্দ্ধ ব্যাক্তিবর্গকে বোঝালেন - যেহেতু রাসুল সঃ বিবিরা, সাহাবীরা, এবং তারপরের জেনারেশানের আলেম ওলামারা রাসুল সঃ কে আমাদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী ভালবাসা স্বত্তেও - কোথাও রাসুল সঃ এর বার্থডে করেনি - সো আমরা তা না করে ও তো ভালবাসা দেখাতে পারি, এ্যাটলিস্ট তাতে আমরা সাহাবীদের নিকটতর লেভেল এ থাকলাম ইত্যাদি। কিন্তু নেতৃস্থানীয় ভাইটি জানালেন তারা আলেম ওলামাদের বক্তব্য হতে জেনেছেন, বাপ দাদাকে করতে দেখেছেন, এটা তাদের বিশ্বাস এবং তারা এতেই অভ্যস্থ ----

সো কি আর করা?

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File