আসুন ঘুষকে "না" বলি। দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি। (কাল্পনিক)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:১৫:০৪ সকাল
চরম এক্সপেরিয়েন্স!!!
আমাকে পিচ্ছি মনে কইরেন না।
আমি আপনেরে ঘুষ দিমু না, আপনি আমাকে উল্টো ঘুস দিবেন। মনে মনে এই কথাটা ভাবছি। আমাদের ছয় হাজার টাকা বাৎসরিক ট্যাক্স দিতে হয় ভূমি অফিসে। সেদিনই প্রথম, আমি ট্যাক্স পরিষোধ করতে ভূমি অফিসে যাচ্ছি। আমার কাছে ছয় হাজার পাঁচশ টাকা দিল। জিজ্ঞাসা করলাম অতিরিক্ত পাঁচশ টাকা কিসের। বলল পাঁচশ টাকা ঘুষ দিতে হয়, ওটা একটা ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমার কাছে তো হিডেন সিক্রেট! টাকা নিয়ে ভুমি অফিসের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়লাম। ভাবছি, আমার পকেটে বাড়তি যে টাকাটা একবার ঢুকছে তা কি আর বাহির হয়! সরকারি কর্মকর্তার বাপেরও সাধ্য নাই ঘুষের নামে আমার পকেট থেকে টাকা বের করার। আমি মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডারটা এক্টিভ করে এক হাতে টাকা আর এক হাতে মোবাইলটা নিয়ে রুমে ঢুকে পড়লাম।
আমিঃ টাকা আনছি। কাগজপত্র রেডি করেন।
স্টাফঃ আগে টাকা।
আমি ছয় হাজার টাকা দিলাম।
স্টাফঃ (টাকা গুনতে গুনতে) আর কো?
আমিঃ খাতায় লেখা ছয় হাজার। আমি দিলাম ছয় হাজার। আবার কিসের টাকা?
স্টাফঃ আর পাঁচশ টাকা। এটা সবাই দেয়।
আমিঃ কিন্তু কিসের টাকা? আপনে বৈধ কাজে পাঁচশ টাকা ঘুস চাইতেছেন কেন?
স্টাফঃ (একটু মেজাজ দিয়ে) এ টাকাটা সবাইকে দিতে হয়!
আমিঃ কিন্তু, আমি তো সবাই না!
স্টাফঃ সবাই না মানে?
আমি রেকর্ডিংটা প্লে করে টেবিলের উপর রেখে দিলাম। স্টাফ তাহার স্বীয় কার্যকলাপ শুনিয়া কাচুমাচু করিতে লাগিল। স্টাফ জোর গলায় আওয়াজ দিল "ওই জামাল! কই গেলি?"।
আই তো শ্যাষ। জামাল পালোয়ান আইয়া আম্রে মাইরালাইবো না কি?
জামাল এসে, সার কি হইছে?
ওই কড়া মিস্টি দিয়া দুইটা দুধ চা নিয়ায়।
আমি একটু নিচু গলায় বললাম, আমি চা পছন্দ করি না।
ওই দুইটা টাইগার আর একটা চকবার নিয়ায়।
আমিতো এখন ভি আই পি। কড়মড় করে চকবারে একটা কামড় দিয়ে বললাম কাগজ রেডি করেন।
কাগজপত্র দেওয়ার পর মোবাইলটা পকেটে ঢুকিয়ে বেরিয়ে আসছি। হঠাৎ পেছনে ফিরে, ও টাইগারটা নিতে ভুলে যাচ্ছিলাম তাই বলে টেবিলের উপর থেকে একটা টাইগার নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
আসুন ঘুষকে "না" বলি।
দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসি। (কাল্পনিক)
বিষয়: বিবিধ
১১৩৫ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন