যুদ্ধাপরাধী সাঈদী ! বনাম কিছু খণ্ড গল্প!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২৩ এপ্রিল, ২০১৪, ১০:৩৫:৪৫ সকাল

গল্প ১ "আলু চুরি করার অপরাধে এক বাবাকে জুতা গলায় পরিয়ে অপমান করা হচ্ছিল। তার বিবাহ উপযুক্ত মেয়েরা বাবার এমন অবস্থা দেখে কান্না করছিল। বাবা সান্ত্বনা দিয়ে বলছে, কান্নার কী আছে? এত বড় আলুর বস্তা নিতে পারলাম, আর জুতার ওজন বা ই কতটুকু?'
বাস্তবতাঃ সরকার একটা মানুষকে ফাঁসি দেয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতে পারে, ৭২ সালের ইব্রাহিম কুট্টির মামলার চার্জশীট সংগ্রহ করতে তাদের কতোটুকই বা কষ্ট হতো?
গল্প ২ “সুমনঃ স্যার, রবিন আমাকে প্রথমে একটা ঘুষি মেরেছে, তিন নম্বরে আরেকটা ঘুষি মেরেছে
স্যারঃ দুই নম্বরটা যে বলনি?
সুমনঃ স্যার, ওটাতো আমি মেরেছি !
বাস্তবতাঃ ৭২ সালের চার্জশীটএ যদি সাঈদীর নাম আসলেই থাকতো, তাহলে আপনি কি মনে করেন সরকার তা আদালতে পেশ না করে থাকতো?
গল্প ৩ “সরকার পক্ষ বলেছে, আসামি পক্ষ জাল চার্জশীট দাখিল করেছে
বাস্তবতাঃ তাহলে সরকার মুল কপি নিয়ে এসে আসামি পক্ষের প্রতারণা! জাতির সামনে পেশ করে দিলেইতো পারেন ! আমি হাজার বার বিশ্বাস করি ৭২ সালের চার্জশীটএ উনার নাম নাই, যদি থাকত তাহলে মাহবুব নাচতে নাচতে তা আদালতে দাখিল করত। সে সুমনের মত দুই নম্বর ঘুষি গোপন রেখেছে।
গল্প ৪ “এক সিংহ উজানে, আর গাধা ভাটিতে পানি খাচ্ছিল ।
সিংহঃ এ গাধা পানি ঘোলা করছিস কেন?
গাধাঃ কই পানি ঘোলা করলাম? তাছাড়া আমি ঘোলা করলেও তো আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না, কারণ আমি ভাটিতে ।
সিংহঃ চুপ কর বেয়াদব, তোর বাবাও এমন করত !
গাধাঃ আমি দাদার কাছে শুনেছি, বাবা কখনো এ ঘাটে আসেনি
সিংহঃ ও মনে পড়ছে, তোর দাদা এমন করেছে !
বাস্তবতাঃ সিংহের টার্গেট হল যে করেই হোক, গাধাকে জীবন নাশ করা!
মূলত বিচার নয়, যে করেই হোক ফাঁসি দেয়াই হল টার্গেট! তা দিনের আলোর মতই পরিষ্কার !
শেষ কথাঃ জানি “চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী” তবে সাবধান করে দিচ্ছি, এ বিচার শেষ বিচার নয়, বিচারপতিরও হবে একদিন বিচার !
কুরানের বানি, ” আল্লাহ কি সব বিচারকের বিচারক নয়? (সূরা তীণঃ ৮)
বিষয়: বিবিধ
১৫৭৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
জামায়াত শহীদ কাদের মোল্লার মত নিরীহ প্রতিক্রিয়া দেখালে চরম ভুল করবে। অন্যায় রায় দেয়ার সাথে সাথে .....যাতে দিল্লীর মসনদও কেঁপে ওঠে।
হুম অবশ্যই তিনিই সেরা বিচারক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন