আমি এ লোকটির সহজ মৃত্যু চাই না।

লিখেছেন লিখেছেন হুরপরী ০২ মে, ২০১৩, ১২:৫৭:০৯ রাত



আমি সব সময় মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। মৃত্যু, হত্যা, জখম, রক্ত, লাশ, নির্যাতন ........... এ জিনিস গুলো আমি পছন্দ করি না।

ধ্বংসস্তুপে আটকে থাকা শহিনার জন্য আমি পুরো একদিন ঘুমোতে পারিনি, সত্যি বলছি। মৃত্যুকুপে আটকে থাকা মানুষের বাঁচার আকুতি যে কতটা মর্মান্তিক হতে পারে রানা প্লাজার ধ্বংসযজ্ঞের আগে তা দেখার দুঃভাগ্য আমার কখনো হয় নি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশী লাইভ মিডিয়ায় বারবার দেখানো হয়েছে মানুষের বাঁচার আকুতি। কংক্রিটের অন্ধকার গহব্বরে আটকে থাকা একটি লোক ভাংগা গলায় বলছে, "ভাই আমার পা দুটো পিলারের মাঝে আটকে আছে, আপনারা কেউ এসে আমার পা কেটে এখান থেকে নিয়ে যান"। CBC নিউজে close camera য় দেখা গেল একটি ১৬/১৭ বছরের মেয়ে(ক্যামেরার ফ্লাসে আমি তার ডাগর চোখ দেখেছি) নিস্তেজ ক্ষিন কন্ঠে বলছে, "বাই, আমারে আপনারা চাসান(বাঁচান)"। আরেকটা মেয়ে বলছে, আমারে একটু পানি দেন, বুকটা ফাইট্টা গেল)"...............................

পৃথিবীতে প্রাচিন কাল থেকে এ পর্যন্ত অনেক রকমারী পৈচাশিক মৃত্যু দন্ডের নিয়ম-কৌশল ছিল/আছে। এক সময় মানুষ কে শুলে চড়িয়ে মারা হত। গিলোটিন, হেমলক বিষ, শিরছ্ছেদ, ফাঁসি, লিথাল ইনঞ্জেকশন, ফায়ারিং স্কোয়াড............. আর ছিল সবচেয়ে লোমহর্ষক ও পৈচাশিক পদ্ধতি ইসলাম ধর্মের রজম প্রথা। সামান্য জেনার অপরাধে মেয়েদের অর্ধেক মাটিতে পুতে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যার বিধান।

আগেই বলেছি, আমি মৃত্যুদন্ডের বিরোধী। কিন্তু তারপরও শুধুমাত্র শাহিনা আর সফুরার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমি শুধু সোহেল রানার দন্ড ইসলাম ধর্মের রজম পদ্ধতিতে দেখতে চাই। তবে তা হতে হবে একটু ভিন্ন ধরনের রজম। তাকে রানা প্লাজার সামনেই মাটির গর্তে আটকাতে হবে। এরপর রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে পাথর(বড় সাইজের) সংগ্রর করতে হবে। এরপর পাথর নিক্ষেপের পালা। কিন্তু নিয়ম হছ্ছে তাকে একদিনে শুধু একটি পাথর মারতে হবে। এ ভাবে যতদিন লাগে, তা চলতে থাকবে(no food, no water)।

কিন্তু কেন তাকে এ নির্মম দন্ড? কি তার অপরাধ?? তা জানতে এখানে ক্লিক করুন : Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৮১১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File