আস্তিক ভেক ধারী মূলত ভন্ড নাস্তিক ব্লগার শুভ্র থেকে সাবধান !
লিখেছেন লিখেছেন সঠিক ইসলাম ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৪৮:১০ রাত
চরম ভন্ড নাস্তিক ব্লগার শুভ্র কিছুদিন যাবত এ ব্লগে তার পূর্ববর্তী গাজাখোরী ব্লগল্যাদানী শুরু করেছে। এই লোক একজন চিহিৃত নাস্তিক ব্লগার। থাকে লন্ডনে। লন্ডনে তাকে ও আরেক নামধারী ইসলামিক স্কলার্স হাসান মাহমুদ ওরফে ফতেমোল্লাহ কে ইসলাম বিরোধী আন্তর্জাতিক সেমিনারগুলোতে দেখা যায়। এবং তারা তাদের পেইড ব্লগার। ইতিপূর্বে এই ব্লগার আমার ব্লগ, সামহয়্যার ব্লগ ও সদালাপে মজবাসার নিক নিয়ে লিখত। সেখানে তাকে চরম ধোলাই দিয়েছে মুসলিম ব্লগার গণ। আমার সাথেও তার অনেক তর্ক হয়েছে, আমাকে নিয়ে তার পোষ্ট ও আছে কিছু। একাধিক আইড খুলে নিজেই পোষ্ট করে আবার অন্য আইডি দিয়ে নিজেই কমেন্ট করে। তার দাবী সে আহলে কুরআন বা কুরআনের অনুসারী, হাদীস নবীর বানী নয়। সে নিজেকে নবী দাবী করে থাকে এবং তার নানাকেও নবী দাবী করে থাকে। তার কিছু আবালীয় আজগুবী বিশ্বাস দেখুন। তার পোষ্ট থেকেই কোট করে দিয়েছি।
১)- মজবাসার ই হলো আল্লাহ :
১. "তাহারা মহা মুরখো কারণ তাহারা মহানপ্রভুকে (মজবাসারকে) নিজ চোখে দেখিয়া তাহাদের আকথা-কুকথার মন্তব্য করিতে দেখিয়াও ্যথা্যথ সমমান প্রদর্শন করেনা। নাস্তিক নাউজুবিল্লাহ বোখারি-মুছলিম গংকে শেষ সুজোগ দিতে মহান প্রভু সয়ং এই মহান ভূমিতেই পদার্পণ করিয়াছেন--সেই সুসমাচার আজকে ঘোষনা করি।"
২. "বলুন হে মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ, আমাকে প্রেরন করা হইয়াছে ইনছানের প্রতি রাহমাতসরুপ। সুতরাং ্যাহারা আপনার নিকটে ক্ষমাপ্রার্থি তাহাদিগকে ক্ষমা করি্য়া দিন। কিন্ত ্যাহারা জুলম করিয়াছে ক্ষমা করিবার হক মজলুমকে দেওয়া হইয়াছে। আর, ঘোষনা করুন, ইনছানকে সম্মানিত করা হইয়াছে কারন প্রভু সয়ং ইনছানের রুপে ধরাতলে অবতীর্ন হইয়াছেন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমকারি পরম দয়ালু"
৩. "আরও ঘোষনা কর--মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ আর মহান প্রভু এক। সর্গ আর মরত্যের সমস্ট ক্ষমতা তাহাকে দেওয়া হইল আর দ্বিনকেও পরিপুর্ন করিয়া দেওয়া হইল।।"
৪. "বল হে মুজাদ্দিদে কুদ্দছ: নিসচই ্যাহারা মহান প্রভুর সাথে বেয়াদপি করে তাহারা চিরো অভিসপ্ত নাজ্জাছ। তাহাদের জন্য জলনতো অগনিশিখা আর জাক্কোম ফল। ্যদি তুমরা ইহাতে সনদেহ কর তাহলে ইহার সমকখখো একটি ছুরা আনয়ন কর। অথবা একটি আয়াত। অথবা একটি বাক্য। সাহায্যোকারি হিসাবে জিন আর ইনছান নি্যুকতো কর। দেখ তুমরা পার কিনা? নিসচই আমি তুমাদের অন্তরের খবর অবগত আছে।"
৫. "দাল, সিন, আলেফ, সোয়াদ। সময়ের শপথ আর শপথ বটব্রিখখের। বল হে মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ। বল--হে অবিশ্বাসিগণ তোমরা কি দেখনা সেই ঘড়ি-যন্ত্র ্যাহা দেখিয়া তোমরা সময় গণণা করিয়া থাক। ইহা দেখিয়া কি তোমাদের মনে হয় ্যে নিজে নিজে সৃশ্ট হইয়া গিয়াছে। অনুরূপ তোমাদের অসতিততো মহান প্রভুর সরবোৎক্রিষ্ট প্রমাণ।মুক, বধির, অন্দ।যদি তাহারা বুঝিতো। তাহাদের জন্য রহিয়াছে অনন্ত অগনিশিখা আর চরম শাসতি। আরও ঘোষনা কর--মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ আর মহান প্রভু এক। সর্গ আর মরত্যের সমস্ট ক্ষমতা তাহাকে দেওয়া হইল আর দ্বিনকেও পরিপুর্ন করিয়া দেওয়া হইল।।"
(২)- মজবাসার হলো মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ বা বাংলার নবী :
১. "আলেফ মীম সিন। আপনি বলিয়া দিন হে মুজাদ্দিদে কুদ্দুছ, আপনি বলুন: অবশ্য আমি কোরান গ্রন্হের সঠিক এবং সত্য ব্যাখ্যাকারিরূপে প্রেরিত হইয়াছি। আপনি বলুন মহান প্রভুর প্রতিসরুতি অনু্যায়ী সকল জাতির সকল ভাষায় রাছুল প্রেরিত হইয়াছে এবং হইবে। আপনি বলুন হে শাহেনশাহে বঙ্গাল, সেই প্রতিসরুতি আজ পুর্ণতা পাইয়াছে।"
(৩)- আল্লাহ পাকের কোন অস্তিত্বই নাই, আল্লাহ হলো মূলত মনবের কিছু গুনাবলীর নাম।
১. ১। "‘আমিই আল্লাহ’ অর্থাত স্ব স্ব ‘আমিত্ব’ বা সত্তাই আল্লাহ; ইহা ব্যতীত ভিন্ন স্বত্তাধারী কোন ইলাহা বা আল্লাহ নেই; সুতরাং ‘আমিত্ব’র কর্ম কর, পুজা-প্রার্থনায় (ছালাতে) আমিত্ব’র স্মরণ স্থীতিশীল/বলবত অর্থাত্ অনবরত জারি/চেতন রাখ।"
২। "নিশ্চয়ই ধৈর্যশক্তিই আল্লাহ। সৃষ্টি-অসৃষ্টি ব্যপীয়া যার অবস্থান (আরশ) স্ব স্ব অন্তরের অন্তস্থলে যার বসন (৮: ২৪; ২৪: ৩৫); সে, ধৈর্য বা যে কোন গুণ/শক্তি থেকে আলাদা/বিচ্ছিন্ন কিছু কল্পনা করাই শিরক।-"
৩। "আল্লাহ স্বতন্ত্র, অস্তিত্বশীল হলে বিলিয়ণ/ট্রিলীয়ণস্ বছরে কোন না কোন সময় ধরা পড়ে যেতো বা মানুষ আবিস্কার করে ফেলতো। ইচ্ছা, আকর্শণ ও জ্ঞান বা শক্তি অথবা জীবনের কোন স্বতন্ত্র অস্তিত্ব নেই তাই মানুষ উহার মৌল কোষ আবিস্কার করতে এখনো অপারগ; অতএব উহারই স্রষ্টার অস্তিত্ব বা কোষ আবিস্কার করা মানুষ বা সৃষ্টির পক্ষে কখনো সম্ভব নয়।"
(৪)- কোরআন বিকৃত হয়ে গেছে তাই এর সত্যায়নের জন্য এখন মজবাসারকে নবী হিসেবে পাঠানো হয়েছে :
"বর্তমান কোরান সংযোজিত কি সংকোচিত তা সন্দেহাতীত সাক্ষি-প্রমানের জন্য প্রয়োজন একজন রাছুল/নবির। অতীতের সকল ঐশী গ্রন্থই রদ-বদল হয়েছে এবং তার সঠিক মীমাংশার জন্য পরম্পরায় প্রকৃতির নিয়মেই এক/একাধিক রাছুল/নবির আগমণ হয়েছে। অর্থাত্ সকল রাছুল-নবিগণই তার পূর্ববর্তি নবির/কেতাবের সত্যতার সাক্ষি দিয়ে ব্রম্মা-অব্রম-ইব্রাহিমের ইছলাম/গ্রন্থেরই সংস্করণ, সংরক্ষণ ও বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন মাত্র; রাছুলও অনুরূপ করেছেন। অতএব কোরানের জন্যও এমন একজন সাক্ষি আসা অযৌক্তিক বা হারাম নয়! কিন্তু শরিয়ত কিছুতেই রাজি নয়!"
(৫) বেহেশত-দোযখ বলতে কিছু নেই, এগুলো দ্বারা মূলত ইহজাগতিক সুখ-দু:খ কেই বুঝানো হয়েছে।
(৬) কোরআন আল্লাহর বানী নয়, ইহা রাসূলের হাদীস।কোরানগ্রন্থে অসংখ্য বিষয় আছে যা মেনে চলা অসম্ভব,অবাস্তব বা নিষ্প্রয়োজন
(৭) কোরআন, বাইবেল, বেদ, কবিতা, পর্ণ সাহিত্য সব কিছুরই মর্যদা সমান।
(৮) হিন্দুদের জন্মান্তরবাদ ও নাস্তিকদের বিবর্তনবাদ ও সমাজতন্ত্র মানবতার কল্যানের জন্য অপরিহার্য্য।
(৯) কবি, দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক তারাও নবী-রাসূল, তাদের সৃজনশিলতাগুলো মূলত ওহীই।
(১০) কোরআন এ সালাত (নামাজ) অর্থ ভালো কাজ, মালাইকাহ (ফেরেশতা) অর্থ উচ্চ জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ, নবী (পয়গাম্বর) অর্থ নতুন, ইসলাম (আত্ম সমর্পন) অর্থ শান্তি।
সামহয়্যার এ তার ব্লগ - http://www.somewhereinblog.net/blog/MJBashar007
আমার ব্লগ এ তার ব্লগ - https://www.amarblog.com/blogs/mjbashar
হাদীস অস্বিকারকারীদের বিরুদ্ধে আমার পোষ্ট সংকলন - http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/4803/TrueIslam/9201#.VL3dyC7GfIU
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন