গাজার হাসপাতালে শুধুই কান্না
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ২০ জুলাই, ২০১৪, ০৪:০৩:০৮ বিকাল

গুরুতর আহত একজন রোগী নিয়ে উত্তর গাজার প্রধান হাসপাতাল কামাল আদওয়ানের বাইরে একটি অ্যাম্বুলেন্স দাড়িয়ে হর্ন দিচ্ছে। একটু উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার উদ্দেশ্যে অ্যাম্বুলেন্সটি প্রস্তুত। কিন্তু ব্যথিত কয়েকজন নারী পথ আগলে দাড়িয়ে আছেন। এদেরই একজন নারী জোর করে অ্যাম্বুলেন্সে উঠতে চাইছেন।
যাহোক এক পর্যায়ে নারীটি যখন তার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করলেন, তখন অ্যাম্বুলেন্সটি চলে গেল।
হাসপাতালের চিত্র
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক ফারিস আকরাম ও আনি বারনার্ড গাজার হাসপাতালগুলোর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেছেন। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে শনিবার বিকেলের প্রথমভাগে স্রোতের মতো রোগী আসতে লাগল। হাসপাতালের সেবকরা এমন একজন রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে লাগলেন, যার শরীরে ছোট ছোট অনেক গোলার আঘাত রয়েছে। আর রোগীর শ্বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য তার মুখে দেওয়া হয়েছে একটি ভেনটিলেটর।
এছাড়া, হাসপাতলের জরুরি বিভাগের একটি কক্ষের বাইরে ৬ জন পুলিশ দাড়িয়ে আছেন। আহত রোগীদের আতঙ্কিত স্বজনরা যাতে জরুরি বিভাগের কক্ষে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
গাজার হাসপাতালগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে ঔষধ ও প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের সংকট লেগেই থাকে। আর যুদ্ধের সময় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটে। ডাক্তারদের দু:শ্চিন্তা বাড়তে থাকে।
নিউইর্য়ক টামসের খবরে বলা হয়, গুরুতর আহত রোগীদের গাজার প্রধান হাসপাতল 'আল-শেফা'তে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। কিন্তু এই হাসপাতলটিতে ইতোমধ্যে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। কোনো রোগী মোটামুটি সুস্থ হলেই তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এমনটি করা হচ্ছে, যাতে গুরুতর আহত রোগীদের চিকিৎসা করা যায়।
কী ভাবছে কর্তৃপক্ষ
ডা. সাঈদ সালাহ উত্তর গাজার জরুরি স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে ৩টি হাসপাতালে ৪ ঘন্টায় ৪০ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। স্থল অভিযান শুরুর আগে ২৪ ঘন্টায় যত জন রোগী ভর্তি হতো, এখন ৪ ঘন্টায় সেই পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়েছে।
তিনি আশংঙ্কা প্রকাশ করে আরো বলেন, "অনেকে গুরুতর আহত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়বে।"
ডা. সাঈদ সালাহ জানান, গাজার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বাইত হানুনের একটি হাসপাতালে পূর্বের চেয়ে বেশি সংখ্যায় মৃত দেহ জড়ো করা হচ্ছে। যারা মারা গেছে তারা ট্যাংক ও কামানের গোলার আঘাতে মারা গেছে। উল্লেখ্য, বাইত হানুনে প্রচণ্ড স্থল হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/18910#sthash.5lm5OdAO.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১০০১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন