ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৩
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০১ জুন, ২০১৪, ১০:৪৭:০৫ সকাল
যখন সব পথ বন্ধ হয়ে যায়। যখন কোথাও একটুও আশার
আলো দেখতে পাওয়া যায় না। যখন চারদিক থেকে হতাশা আর মন খারাপের মেঘগুলো ঘিরে ধরে আর প্রবল বেগে তুফান হয়ে সব তছনছ করে দিতে চায়। যখন দুশ্চিন্তাগুলো জাল বুনে ঘিরে ধরে। যখন এক ফোটা সামর্থ্য থাকে না কিছু
করার।
যখন পরিচিত খুব প্রিয় মানুষগুলো মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। যখন অসহায়ত্ব ছাড়া আর কেউ সঙ্গী হয় না। যখন কষ্টে বুক
ফেটে যেতে চায়। যখন বুক ফাটা চিৎকার আর আর্তনাদ
করে আকাশ-বাতাস ভারি করে তুলতে ইচ্ছা করে...
তখন... হ্যাঁ... ঠিক তখন!! আমাদের প্রভু সবসময়ের মতই আমাদের সাথে থাকেন। তিনি আমাদের জন্য এক নতুন পথ খুলে দেন। আমাদের মনকে আশার আলোয় উদ্ভাসিত করেন। মন খারাপের মেঘগুলোকে রহমতের বৃষ্টি করে আমাদের উপর বর্ষণ করিয়ে দেন। ফলে সব ময়লা, অপবিত্রতা ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যায় আর তখন শুধুই
পবিত্রতা বিকিরণ ছড়ায়।
যিনি দুশ্চিন্তার জাল ছিঁড়ে আমাদের বের করে আনেন আর নিয়ে যান কাঙ্ক্ষিত শান্তির পানে। যিনি আমাদের মনে সাহসের সঞ্চার করেন, আমাদের শক্তি জোগান আর আমাদের সব কাজকে আমাদের জন্য সহজ করে দেন।
যিনি কখনো কোন অবস্থাতেই আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন না। বুক ফাটা কষ্টগুলোকে যিনি বহু ক্রোশ দূরে পাঠিয়ে দেন যেন তা আর কখনো আমাদের স্পর্শ না করে।
যিনি আমাদের মনকে করে দেন স্থির আর আমাদের চোখ
দুটোকে প্রশান্তির চাদরে ঢেকে দেন। আর কে আছে এত মহান? আর কে আছে আমাদের স্রষ্টা ছাড়া এত দয়ালু। আর
কে আছে এত ভালবাসার।
তিনি একমাত্র আমাদের রব, আমাদের প্রভু, মহান আল্লাহ্
তা'আলা।
সেই মহান প্রভুর উপর ভরসা করেই মা সহ অন্যদের ফ্লাটফ্রমে দাঁড়িয়ে রেখেই ছুটলাম টিকিট কাউন্টারে । গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম অন্য কোন স্টেশান থেকে এই ট্রেন ধরার সুযোগ আছে কিনা? না জবাব পাওয়াতে দিনের অন্য ট্রেনের টিকিট চাইলাম। বললেন অন্য কাউন্টারে খুজ নিতে। আমি বললাম অন্য কাউন্টারে না পেলে আপনার কাছে আসব। বললেন ঠিক আছে। মনে হয় একটু সদয় হলেন।
অন্য কাউন্টার খুঁজ করে টিকেট না পাওয়ায়। উনার নিকট পুনরায় আসলাম ভিতর দিয়েই। পরের দিন একই ট্রেনে চারটা টিকেট কাটলাম। বাসায় ফেরার গাড়ীতো দাঁড়িয়েই ছিল। ইতি মধ্যে ড্রাইভার ভাইটি ব্যাগ ব্যাগেজ গাড়ীতে উঠিয়ে ফেললেন। কিন্তু মা টাই দাঁড়িয়ে আছেন বৌকে নিয়ে ফ্লাটফ্রমেই। মনে হয় দারুন কষ্ট পেয়েছেন।
পরে আলোচনায় বুঝা গেল আমার বৌয়েই কষ্ট পেয়েছে বেশী। বেশী কষ্ট পাওয়ারই কথা কারন সে ভোর ৪:০০ টা হতে ব্যাগ গোছানো , ট্রেনে খাওয়ার জন্য বিরানী রান্না করে হট পটে উঠানো, ছেলে মেয়েদের রেডী করা, ইত্যকার কম ঝক্কিঝামেলার কষ্টকর সময় পার করে নতুন সমস্যা কে বা আসা করে।
যা হোক নতুন টিকিট কেটে কল দিলাম আমার খুবই আপন নজরুল ভাই ,যিনি প্রথম বারের টিকিট করে দিয়েছিলেন কাউন্টারের রইচ ভাইয়ের কাছ থেকে বেশ কয়দিন আগে রাতের বেলায় কষ্ট করে । উনি আমাকে শান্তনা দিলেন হয়ত আল্লাহ এতে কোন কল্যাণ রেখেছেন এই বলে । আমি বললাম আমার অবহেলায় মিচ করেছি এই জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিৎ । মনে মনে ভাবলাম আমার জন্য চারজন লোক যেতে পারেনি। টাকা ও অপচয় হল। সময়ের গুরুত্ব ও বেড়ে গেল নিজের কাছে।
এখন অফিসে যাওয়ার ও সুযোগ নেই , তাই সময় কাজে লাগানোর জন্য দ্বায়িত্ব শীলকে কল দিলাম , বললাম ট্রেন মিচ করেছি ,বাসায় আছি কোন কাজ আছে কিনা, তিনি সাইন ল্যাঙ্গুইয়েজে বললেন রান্না ঘরে আসুন ১০:৩০ টায় । কারন জামাত শিবির তো এখন জীবন বাঁচাতে গেরিলা জীবন যাপন শুরু করেছে। যা হোক মোটর সাইকেল নিয়ে বের হব এমন সম
এই ছেলেটি ধরেছে সাথে যাওয়ার জন্য , বৌয়ের মন ভাল করতে অনেক দিনের অবহেলায় না করা তার মোবাইলের স্ক্রিন পেপার পাল্টানোর জন্য আর আমার মোবাইলের হেড ফোন ক্রয় করতে ছেলেকে নিয়ে নর্থ টাওয়ার গেলাম। সময় খুব কম ১০:০০ টায় পৌছতে হবে এদিকে নিত্য নতুন মডেল চ্যাঞ্জ হওয়ায় স্যামসাং পকেট এর স্ক্রিন পেপার পাওয়া যাচ্ছে না , হেড ফোনের দাম চায় ৭০০ টাকা সু রুমে। অনেক খোজা খুঁজির পর এক দোখানে পেলাম ১৫০ টাকায় স্ক্রিন পেপার আর ৩০০ টাকায় হেড ফোন নিয়ে । একজনের মাধ্যমে ছেলেকে আর বৌয়ের মোবাইল বাসায় পাটিয়ে দিয়ে দ্রুত গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে রান্না ঘরের উদ্দ্যেশে রওয়ানা দিই যেন দেরি হয়ে না যায়। মনে মনে ভাবছি ট্রেন মিচ করার পর যদি আবার আমি দেরি করে পৌঁছাই তবে কিছু যদি বলে এই ভঁয়েই জুরে চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্টের কাছাকাছি চলে যাই, বুকের ভিতর অজানা আসংখায় বুক চ্যাত করে উঠে , নিজেকে সামলে নিই, পৌছে যাই রান্না ঘরে। তার পর দ্বায়িত্বশীলের গাড়ীতে চড়ে রওয়ানা দিই শিবিরের দশদিনের টি সি তে (প্রশিক্ষন কর্মশালায়) । যেখানে মেহমান দারসুল হাদিস পেশ করবেন। পরিচিত হলাম /দেখা হল বর্তমান সময়ে অনেক দুস্প্রাপ্য দ্বায়িত্বশীলের সাথে.......
চলবে....।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৬ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
রান এগেইন! চলতে থাকুক।
ঘুরে আসলাম কক্সবাজার .....................।৪
মন্তব্য করতে লগইন করুন