ধারাবাহিক প্রকাশনা #মওদূদীবাদের_স্বরূপ* ১ম পর্ব *
লিখেছেন লিখেছেন অপ্রিয় সত্য কথা ০৩ মে, ২০১৪, ০৭:৫৫:৪৭ সন্ধ্যা
# > মওদূদীবাদ > #
মওদূদীবাদ হচ্ছে পাকিস্তানের আবুল আ' লা মওদূদী প্রবর্তিত একটিমতবাদ । মওদূদী কোন আলিম নন তিনি লেখা পড়া করেছেন সামান্যই. যা ছিলকোন অফিসের কেরানী হওয়ার পর্যায়ের । জামাতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্বাস আলীখাঁন লিখেন . "কোন অফিসে কিরানীগিরি করা অথবা কারো অধীনে চাকরি করা ছিল তার প্রকৃতি বিরুদ্ধ । অতএব তার লেখনি শক্তিকেই তিনি একমাত্র অবলম্বন মনে করলেন ।( মাওলানা মওদুদী একটি জীবন একটি ইতিহাস . আব্বাস আলী খাঁন পৃষ্ঠা - ৩৮ প্রকাশকাল : জুন ২০১১ , প্রকাশনা বিভাগ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি)
আর এ লেখালেখির কাজ তিনি নিয়ায ফতেহ্পুরীর কাছ থেকে শিখেছিলেন যিনি ছিলেন একজন নাস্তিক , আল্লাহও আখেরাতে অবিশ্বাসী । ( ইনকেশাফাত , প্ ষ্ঠা - ৮ )
জীবিকা নির্বাহের জন্য লেখালেখির ব্যবস্যা কয়েক বছর চালানোর পর খুব সূক্ষ্মভাবে একটা দল গঠন করেন ঐ দলের নাম রাখেন : জামাতে ইসলামী যা শুনতে খুব শ্রুতিমধুর ও আকর্ষণীয় । কিন্তু তার আকাইদ মুসলমানের আকাইদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা । এজন্য জামাতে ইসলামি গঠনের পর মওদূদী যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেছিলেন , জামাতে ইসলামিতে প্রবেশের পূর্বে সবাইকে নতুনভাবে কালিমা পড়তে হবে আর জামাতে ইসলামী থেকে ফিরে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে মুরতাদ ( ধর্মদ্রোহী) হয়ে যাওয়া । ( রোদাদে জামাতে ইসলামী )
জামাতে ইসলামী সম্পর্কে মওদুদী বলেন , আমাদের বিশ্বাস এইযে, ইহা একটি দাওয়াত এবং কর্মপন্থা যা ব্যতিত অন্যান্য সকল দাওয়াত এবং কর্মপন্থা একেবারে ভ্রান্ত । ( তরজমানুল কোরআন , পৃষ্ঠা - ১১১,খন্ড -২৬ , সংখ্যা-৩ ) আর্থাৎ জামাতে ইসলামী ছাড়া বাকি সব বাতিল ও ভুল ।
মওদুদী আরো বলেন,মানুষের মনে ইসলামের যে রুপরেখা প্রচলিত রয়েছে তা পরোপুরি ধ্বংস না করে নতুন নকশা পেশ করা একান্তই মূর্খতা ।( তরজমানুল কোরআন , পৃষ্ঠা-১৩৪ , খন্ড -১৪ , সংখ্যা - ২)
এজন্য তিনি ইসলামের মেীলিক বিষয়সমুহ ধ্বংস করার জন্য একে একে সবগুলোরউপর তার ধারালো কলম দিয়ে আক্রমণ চালান ।
#চলবে#
**শুধু মাত্র সঠিক দিনের পথে ফিরে এসে সঠিক দ্বীনের উপর চলার জন্যই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৭২ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর তার আপত্তি কর বিষয়গুলো ছোটকরে দেখার কোন সুযোগ নাই।
এই জন্যই আলেমগন আমাদেরকে বার বার এই ব্যাপারে লিখনী বক্তৃতা বা ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে সতর্ক করেছে।
উদ্দেশ্য ভাল তবে কারও দোষ বিচার করতে নিযের যোগ্যতার বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে৷ সমালোচনা (গিবত) বাদ দিয়ে পারলে সঠিক দ্বীনের সন্ধান দিন এবং তা অবশ্যই কোরআনের আলোকে৷
ইহা গিবত নয়,সতর্ক করা ওয়াজিব মনে করে করে থাকি।
আজ মউদুদীর অনুসরন করতে গিয়ে জামাত-শিবিরের হাজার হাজার অনুসারি ইসলামের নামে গোমাড়াহীতে ডুবে আছে।আপনি কি এই মুসলমান গুলির ব্যাপারে একবারও চিন্তা করেছেন???
আল্লাহ সর্ব শ্রেস্ঠ বিচারক।
মূল বক্তব্য বাদ দিয়ে মাঝখান হতে খন্ডিত বক্তব্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যমূলক কুৎসা ছাড়া এটা আর কিছু নয়।
যেমন কোরআনে শুকরের মাংশ খাওয়া হালাল করা হয়েছে। কিন্তু কি পরিপেক্ষিতে হালল করা হয়েছে সেটা যদি না বলি তাহলে সাধারণ ভাবে বোঝা যাবে শুকরের গোশত খাওয়া হালাল। আসলেকি শুকরের গোশত খাওয়া হালাল।
আপনি একটা বিষয় কি খেয়াল করেছেন আগে কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রচন্ড জামায়াত বিরোধী ছিল। তারই মাওলানা মওদুদী ও জামায়াতের বড় সমালোচক। কিন্তু আল হামদুলিল্লাহ দিনে দিনে সেই সংখ্যাটা কমে আসছে।
সংখ্যা মোটেই কমেনাই।বরং বারছে।
মউদুদীর ব্যাপারে আজগুবি খবর পাইলাম আপনার কাছে।আমার মনে হয় আপনি যে খবর দিয়েছেন,তার খাস অনুসারিরাও তা বিশ্বাস করবে না।
আমি উনাকে কেরানি বানাইনি,বরং উনার উত্তরসূরি আব্বাস আলীর উনার ব্যাপারে একটা মন্তব্য তুলে দরলাম।
বিঃদ্রঃ আমার ভাই ফকিরতন্ত্রে বিশ্বাসী।
আল্লাহ যাকে বুঝ দেন ,কে তাকে গোমড়া করবে।আর যাকে গোমড়া করেন কে তাকে বুঝ দান করবেন।
এ দুনিয়ায় আর কোন সমস্যা নাই? মওদুদীই কি একমাত্র সমস্যা?
মওদুদীর বিরুদ্ধে ৫০ বছর ধরে লেখা হচ্ছে, তাতে মওদুদীর জামায়াত কি কমছে না বাড়ছে?
আজ বিশ্বে মুসলমানরা অস্তত্বেের সংকটে ভুগছে । কাফের, মোনাফেক, মোশরেক সব আজ একাট্টা হয়েছে মুসলমানদের অস্তিত্ব মিটিয়ে দিতে । কিন্তু এ চক্ষুষ্মান অন্ধরা তা দেখছেনা । ওদের জন্যই কি আল্লাহ নাযিল করেছের এ আয়াত
وَلَقَدْ ذَرَأْنَا لِجَهَنَّمَ كَثِيرًا مِّنَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ ۖ لَهُمْ قُلُوبٌ لَّا يَفْقَهُونَ بِهَا وَلَهُمْ أَعْيُنٌ لَّا يُبْصِرُونَ بِهَا وَلَهُمْ آذَانٌ لَّا يَسْمَعُونَ بِهَا ۚ أُولَـٰئِكَ كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ ۚ أُولَـٰئِكَ هُمُ الْغَافِلُونَ
আর আমি সৃষ্টি করেছি দোযখের জন্য বহু জ্বিন ও মানুষ। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না, তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না, আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, শৈথিল্যপরায়ণ।(সূরা আরাফ-১৭৯)
কিন্তু ওদের যে কি হল?আল্লাহ মালুম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন