জামাত শিবিরের বিরোধিতা কারীদের উদেশ্যে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লিখেছেন লিখেছেন নয়ন ১০ মার্চ, ২০১৩, ১০:৩০:৩৬ রাত
সম্প্রতি নিজিদেরকে প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ দাবি কারি কিছু রাজনৈতিক সংগঠন এবং কিছু ডিজিটাল দেশ প্রেমিক দাবী তুলেছে জামাত শিবির এর রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এই কথা তারাই বলতে পারে যারা জন বিচ্ছিন্ন যারা গণতন্ত্র বোঝেনা এবং যারা জীবনে রাজনীতি করেনি। জামাতকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে আওয়ামীলীগ এখনি করতে পারে তাদের সংসদে দুই তৃতীয় অংশের ও বেশি আসন রয়েছে। এবং নাকি জামাতের দলীয় সংবিধান আমাদের জাতীয় সংবিধান এর সাথে সাংঘর্ষিক সুতরং এখানে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু আওয়ামীলীগ এত দেরী করসে কেন। কারণ আওয়ামীলীগ একটি বৃহত রাজনৈতিক দল তারা মাঠের রাজনীতির সাথে জড়িত লম্বা সময় এবং তারা জামাতকে ও ভালো করে চেনে এবং জামাতের সাংগঠনিক কাঠামো সম্পর্কে ভালো করে জানে। জামাত বাংলাদেশর স্বাধীনতার পরে ও নিষিদ্ধ ছিল। পরে তারা আবার ফিরে আসছে। আবার ও যদি নিষিদ্ধ হয় এবং যদি বলা হয় জামাত আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেনা। তাহলে তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও শাহবাগী ডিজিটাল দেশ প্রেমিকরা খুব খুশি হবেন আওয়ামীলীগের হানিফ কামরুলরা ও মিডিয়ার সামনে গলাবাজি করবেন কিন্তু যারা রাজনীতি বোঝে তারা বাহিরে লোক দেখানো খুশি হলেও ভিতরে বুঝবেন কোনো লাভ হই নাই। কেন লাভ হবে না তার কারন গুলো সাধারণ পাঠকদের বুঝার জন্য তুলে ধরসি। জামাত হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের ভীতির কোনো দলীয় কোন্দল নাই। ওয়ান ইলেভেনের পরে আমরা দেখেছি আওয়ামীলীগের ও বিএনপির কি অবস্থা হয়ে ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ দেখাতে পারবেনা বা বলতে পারবেনা যে জামাতের বা শিবিরের ভিতর কোনো দলীয় কোন্দল হয়েছে। জামাত বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের ভিতর গণতন্ত্র আছে যাদের প্রতেকটি নেতা ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়। বর্তমানে তাদের দলের শীর্ষ সকল নেতা জেলে তারপরও তাদের দল কত সুসংগঠিত কোনো দলীয় বিস্সৃখলা নাই। এই অবস্তা যদি আওয়ামীলীগ বা বিএনপির হত তাহলে তাদের দল ভেঙ্গে ২০/২৫ টুকরা হয়ে যেত। জামাতের সাংগঠনিক ভিত্তি বাংলাদেশের অন্য যে কোনো রাজনৈতিক দলের চেও অনেক গুন বেশি মজবুত। বাংলাদেশের সব থেকে বড় ছাত্র রাজনৈতিক সংগঠণন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির। ছাত্র শিবির যারা করে তারা অনেক মেধাবী ছাত্র তারা রাজনীতি ও করে পড়াশুনাও করে। অন্য ছাত্র সংগঠনের নেতাদের মত টেন্ডার বাজি ইভ টিজিং চাদা বাজি ধর্ষণ করে না। ধর্ষণ তো দুরের কথা আজ পর্যন্ত একটি মেয়েও বলতে পারবেনাযে ছাত্র শিবিরের কোনো নেতা বা কর্মী তার সাথে খারাপ আচরণ করেছে বা ইভ টিজিং এর শিকার হয়েছে। আমি দেখেছি কিভাবে শিবির এর ছেলেরা কলেজ বা ভার্সিটিতে গরিব ছাত্রদের সাহায্য করে। অনেকে বলবেল এটা তাদের দলীয় কৌশল, কৌশল সব দোল করে। আজকে রেটিনা কোচিং সেন্টারে হামলা হচ্ছে ইসলামী ব্যাঙ্ক হাসপাতালে হামলা চালানো হচ্ছে ইবনে সিনা তে হামলা চালানো হচ্ছে। রেটিনা কি করছে ছাত্র ছাত্রী দের বিভিন্ন ভার্সিটিতে ভর্তি হতে সহযোগিতা করছে। এটা করা কি অপরাধ। আর ছাত্রলীগ বা ছাত্র দল কেন এইরকম কোনো কোচিং চালায় না। ইসলামী ব্যাঙ্ক হাসপাতাল ইবনে সিনা কম খরচে চিকিত্সা সেবা প্রদান করছে। বাংলাদেশে ফেইসবুক ব্যবহার কারীর সংখা ৫/৬ লক্ষ। ফেইসবুক এ অনেক ধরনের গ্রুপ পেজ আছে যেমন আছে বিভিন্ন দল বা সংগঠনের তেমন আছে ১৮+ পাতা বা বিভিন্ন মডেল দের পাতা সাথে এখনকার প্রজন্ম চত্বর এর পেজ। সব কিছু ছাপিয়ে সরকারের অনেক বাধার পর ও বাসের কেল্লার ফ্যান বা ফলোয়ার ১ লক্ষ ২৬ হাজার। সরকার কয়েকবার বাশের কেল্লা বন্ধ করে দিয়েছিল তার পরও।
সবশেষে বলবো জামাত শিবির নিষিদ্ধ করেন তাতে আপনাদের কোনো লাভ হবেনা এবং জামাতের ও কোনো ক্ষতি হবেনা।কারণ আপনারা দল নিষিদ্ধ করতে পারেন দলের নেতা কর্মী সমর্থকদের ভোটাধিকার তো কেড়ে নিতে পারবেন না। ওরা আবার অন্য নামে ফিরে আসবে আরো শক্তিশালী হয়ে। গণতন্ত্রে মূল হচ্ছে ভোট জামাত শিবির যতদিন বাংলাদেশে ভোট পাবে ততদিন দল টিকে থাকবে ভোটার বা জনগণ ভোট না দিলে সাপোর্ট না করলে দল থাকবে না। যেমন বাংলাদেশের তথাকথিত প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল জনগনের ভোটে প্রত্যাখাত হয়ে হারিয়ে যেতে বসেছে। জামাত শিবির কে আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করুন যুক্তি তর্ক দিয়ে করুন গায়ের জোরে নয়।
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন