এরা আসলেই হিজড়া নাকি হিজড়া সাজে?
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৪, ১১:১৫:১৫ সকাল
অনেক আগে হিজড়াদের নিয়ে একটা ফিচার পড়েছিলাম। যেখানে তাদের সুখ-দুঃখের অনেক কথা ছিলো।“আমরা কি করে খাবো? আমাদের কেউ কাজে নেয় না, সবাই নিন্দনীয় প্রকাশ করে”-ইত্যাদি ইত্যাদি। যেটা পড়ে যে কারো মনে হিজড়াদের প্রতি সহানুভূতি জাগবে, কিভাবে তাদের কর্মসংস্থান করা যায় এসব নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন।তবে বিরক্ত হবেন তখন, যখন সিগন্যালে আপনি দাঁড়িয়ে আছেন আর ওমনি বিচিত্র অঙ্গভঙ্গিতে কোনো হিজড়া এসে টাকা দাবি করে বসলো, কিংবা দোকানে বা বাসায় দলবল নিয়ে হাজিড় হলো, দাবিকৃত টাকা না পেলে বাড়ি ছাড়বে না। এদিকে এসবের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোনো লাভ নেই। কারণ, পুলিশও তাদের ভয় পায় বা বিপরীতভাবে বলতে পারি পুলিশের ছত্রছায়ায় এরা আছে। ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ‘হিজড়া কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ ও এর উপরের তলায় পুলিশের উপস্থিতি এমনই কিছুর আভাস দেয়। উল্লেখ্য, বিভিন্ন এলাকাভেদে হিজড়াদের সন্ত্রাসী সংগঠন রয়েছে। জানা যায়-লালবাগের সুমন অরফে ‘সুমনি’ নামে হিজড়ার অধীনে রয়েছে একটি বিরাট গ্রুপ। প্রায় ২০-২২ জন। এদিকে মিরপুর, শেওড়াপাড়া এলাকায় ‘পারুল’ হিজড়ার নেতৃত্বে রয়েছে আরো একটি চক্র।
সন্দেহ জাগে, দিন দিন রাস্তায় যেহারে হিজড়াদের সংখ্যা বাড়ছে- এরা আসলেই হিজড়া নাকি হিজড়া সেজে টাকা ছিনতাইয়ের ব্যবস্যায় নেমেছে। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন কু’রআনে মানুষ হিসাবে দুটি স্বত্তারই উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন জায়গায় সম্বোধন করেছেন নর বা নারী হিসাবে, কখনো উভয়কেই। কোথাও হিজড়ার উল্লেখ নেই। আর বাস্তবে মূলত হরমোন জনিত কারণে কিছু ছেলেদের মধ্যে মেয়েলি স্বভাব আবার কিছু মেয়েদের দাড়ি-গোফ গজাতে দেখা যায় (যদিও এদের সংখ্যা খুবই নগণ্য)। আবার কোনো কোনো শিশুর জন্মের পর যৌনাঙ্গে অসঙ্গতি তথা লিঙ্গ নির্ধারণজনিত জটিলতা দেখা দেয়। কিন্তু এর মানে এটা নয় যে তারা হিজড়া হয়ে জন্মেছে। বরং এই অসঙ্গতি জন্মের পর থেকে ছয় মাসের মধ্যেই অপারেশনের মাধ্যমে সমাধান করা যায়। যে ব্যাপারে মা-বাবাদের সচেতনতা প্রয়োজন। আমার নিকটাত্মীয় ডাক্তার আপু’র কাছ থেকে অনেক আগে এই সমাধান শুনেছি এবং সম্প্রতি একটি কলামে (লিঙ্কটি মন্তব্যে দেয়া হলো) এটার উল্লেখ পাই।
এদিকে সরকার সংবিধানে “থার্ড সেক্স” হিসাবে হিজড়াদের স্বীকৃতি দিয়ে মনে করছে এভাবে তাদের কল্যাণ হবে। কিন্তু না, পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন আশা করা যায় না। সাধারণ জনগণ যেভাবে বিরক্তির শিকার হবে তেমনি তারাও নিন্দার খোরাক হবে। সুতরাং- যারা হিজড়া সেজে অবৈধ ব্যবসা করছে তাদের চিহ্নিত করে আর হাসপাতাল- ক্লিনিক কিংবা দাইয়ের মাধ্যমে- যৌনাঙ্গে অসঙ্গতি নিয়ে জন্ম নেয়া শিশুদের, সুষ্ঠ চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এদের আচরন ই এদের প্রতি মানুষের ঘৃসার উদ্রেক করে। আমি সিঙ্গাপুরে-মালয়শিয়াতে দেখেছি এরা দোকানে স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। যদি স্থানিয় গাইড এদের বিষয়ে না বলত তাহলে বুঝতেই পারতামনা।
সীমান্ত এলাকায় চোরা চালানে সুবিধা পাবার জন্য অনেক পুরুষ চোরা কারবারীরা লিঙ্গ কেটে হিজড়াতে পরিনত হয় । হিজড়াদেরকে কেউ ঘাটাতে চায় না - এই থিওরীই চোরা কারবারীরা কাজে লাগায় ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন