১৫~১৬ তে ভালোবাসা করা যাবে আর বিয়ে করা যাবে না?
লিখেছেন লিখেছেন FM97 ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৫:১৩:৫৭ বিকাল
আজ সকাল সকাল মোবাইলে মেসেজ। govt info- “Be careful! Girls and boys don’t marry before 18 and 21 yrs respectively. It is unlawful and harmful for physical and mental development”- M/O women and children affairs. মেসেজটা পড়ে সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে ইচ্ছে হলো- হ্যালো! Govt.আপনি যে কোন ধ্যানে আছেন….আল্লাহ মালুম! আজকাল যেখানে ১৫ বছরের মেয়ে আর ১৬ বছরের একটি ছেলে স্বাভাবিকভাবেই ভালোবাসা কি তা বুঝে গেছে, সেখানে তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে ১৮~২১ এর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন কেনো? হ্যা, বুঝেছি- স্বাস্থ্যঝুকির কথা বুঝাচ্ছেন তো….. সেটারও একটা সুষ্ঠ সমাধান আছে- তবে তার জন্য বিয়ে আটকে থাকবে কেনো? বিয়ের আসল উদ্দেশ্য কি? -এবার তাহলে বিশ্লেষণ করি।
বিয়ের আসল উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি। আর এটা পাওয়ার জন্যই মূলত ছেলে-মেয়ে বিয়ে করে। বিয়ের মাধ্যমে তারা শান্তি-স্বস্তির কামনা করে। অবিবাহিত যুবক-যুবতি বিয়ের আগে সন্তানের কথা ভাবে না, বিয়ের পরে ভাবে। যদিও যারা স্বাস্থ্যঝুকি, বাল্যবিবাহের প্রসঙ্গ তুলে কথা বলেন- তারা এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টাকেই বাদ দেন। আর বিয়ের উদ্দেশ্যটাকে শুধু বংশ বিস্তার হিসাবে দেখেন, আর সেটার ওপর ভিত্তি করে নিত্যনতুন স্লোগান প্রচার করেন।
যাই হোক, এবার চিকিৎসাবিজ্ঞান মতে, যদি স্বাস্থ্য ঝুকির কথা আমরা মেনেও নেই- তাহলেও বলবো বিয়ে আটকিয়ে রাখা উচিত নয়। বরং অল্প বয়সেই ছেলে-মেয়েরা যদি একে –অপরকে পছন্দ করে নেয়- সেক্ষেত্রে মা-বাবার উচিত নিজ দ্বায়িত্বে তার সন্তানের পছন্দকে পরখ করা- যদি ভালো লাগে তো সেক্ষেত্রে তাদের কাবিন করে দেয়া উত্তম। এরপর মেয়ের বয়স যখন ১৮ হবে তখন না হয় আনুষ্ঠানিকতার সাথে মেয়েকে ছেলের ঘরে উঠিয়ে দেয়া হবে। এতে সমাজে বিশৃংখলা ছড়াবে না। আর দুই জন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ থাকবে। এ প্রসঙ্গে এক আংকেলের কথা না তুললেই নয়। ছেলেটা সম্পর্কে মেয়ের ফুফাতো ভাই। মেয়েটাকে সে পছন্দ করেছে। আর মেয়ের বাবা তথা সেই আংকেল নিজেও ছেলেটাকে খুব পছন্দ করেন। তবে আংকেল দেখলেন- বিয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো মেয়ের বয়স। সে তো ১৮ এর নিচে। এখন তো সরকারী ভাবে নিকাহ নামা বের করাও যাবে না। তাই সেই আংকেল ভাবলেন- আজকাল যে যুগ পড়েছে শুধু যদি আংটি বদল করে রাখি তাহলে দেখা যাবে ছেলে-মেয়ে মোবাইলে/নেটে কথা বলছে- কিন্তু তা তো হতে দেয়া যায় না, কারণ আংটি বদল করা তো পারস্পারিক সম্পর্কের কোনো বৈধতা নয়, শুধুই একটা আনুষ্ঠানিকতা। বরং তার চেয়ে ভালো মসজিদে গিয়ে ইসলামিক পদ্ধতিতে কাবিন তথা বিয়ে পড়িয়ে দেই। পরে মেয়ের ১৮ বয়স হলে কাবিন নামা তুলে নেবো। এবার ছেলে-মেয়ে যত ইচ্ছা কথা বলুক, অন্তত তারা স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে থাকবে, আমিও গুনাহগার হবো না”।
আসলে ব্যাপারটা সেরকমই। নিত্যনতুন আইন হলেও এগুলো আমাদের সমাধান দিতে পারছে না। তাই সুস্থ জীবনের জন্য বিকল্প পদ্ধতি দেখতে হচ্ছে। তাই- সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে হয়- এসব অহেতুক-অবিবেচনাস্বরূপ বাধা-নিষেধ বাদ দিন। সামাজিক পরিস্থিতি আর যুব সমাজের মানসিকতা বুঝার চেষ্টা করুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৯ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাই হোক- আপনি চমৎকার কথা বলেছেন- যে, //মেয়েরা বিয়ের পর পড়াশুনা করতে পারে না//। এতে একটা জিনিস বুঝ গেলো আপনি পড়াশুনা করতে চান, তবে এমন অনেক মেয়েই আছে যাদের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ নেই- তাদের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণটা একটু ভিন্ন হবে। যাই হোক- সেটা নিয়ে ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত লিখবো।
যাই হোক- চমৎকার বিশ্লেষণ আপনার
দারুণ লিখেছেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন