মেডিকেল পরীক্ষাকে কি আমরা ধর্ষিতা নারীর ২য় বার ধর্ষন বলতে পারি না ? ----------------------------ফাতেমা সুলতানা শুভ্রার লেখা থেকে নেয়া।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২১ অক্টোবর, ২০১৩, ০৫:৩৪:৪১ বিকাল

["ধর্ষণ পরীক্ষার নীতিমালা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট"এই শিরোনামে সাম্প্রতিককালে একটি খবর এসেছে। নৃবিজ্ঞানের একজন গবেষক হিসেবে আমার জন্য এই নির্দেশ একটি ভীষণ রকমের আনন্দের সংবাদ নিয়ে এসেছে। যারা রিট করেছেন, রিটের পক্ষে ওকালতি করেছেন, বিশেষ করে আইনজীবি সারা হোসেনকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ধর্ষণ মামলার নারী অভিজ্ঞতার যে নৃংশস ছবিগুলো আমি দেখে এসেছি, আশা করি এই নীতিমালার মধ্য দিয়ে টু ফিঙ্গার টেস্ট/দুই আঙ্গুলে যোনি পরীক্ষারও পরিসমাপ্তি ঘটবে।
আজকে আমার নিজের লেখা "বির্তকিত অসম্মতি" **এর খানিকটা অংশ পাঠকদের জন্য দিলাম। টু ফিঙ্গার টেস্ট-এই পরীক্ষণ যে একটি সহিংসতাবিশেষ এবং এই মেডিকেল পরীক্ষা যে স্বয়ং একটি নারী বিদ্বেষী এমনকি যেকোন পরিচয়ের মানুষের বিপক্ষেই স্থান নেয় তার একটি বয়ান এই লেখায় পাবেন। এই মেডিকেল পরীক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো একটি ভীষণ রাজনৈতিক লড়াইয়েরই অংশ।]
‘অভিজ্ঞতায় ধর্ষণ’ শীর্ষক গবেষণা কাজটি করবার সময় নিপীড়িত নারীদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘসময় নিয়ে তাদের ধর্ষণের পরে কৃত মেডিকেল পরীক্ষার অভিজ্ঞতার কথা ‘নিপীড়ন’, ‘অস্বস্তি’ হিসেবে হাজির করেছিলেন। একজন ‘বিজ্ঞানমনস্ক সামাজিক গবেষক’ হিসেবে বিজ্ঞানের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাসে গবেষণা কাজ করবার সময় আমার মনে হতো, ধর্ষণের ট্রমার কারণে আসলে নিপীড়িত নারীরা মেডিকেল পরীক্ষার মতো একটি ‘বস্তুনিষ্ঠ’ পরীক্ষাকেও ঠিক সহজে গ্রহণ করতে পারছে না। অর্থাৎ তাদের এই অস্বস্তির কারণ মোটাদাগে মেডিকেল পরীক্ষা নয় বরং ধর্ষণের ট্রমা, আমি নিজের ভেতর গবেষক হিসেবে এটিই শনাক্ত করে গেছি। ধর্ষণের সময়কার সাক্ষী উপস্থিত করবার চাইতে নিঃসন্দেহে মেডিকেল পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাওয়া আমার জন্য বাংলাদেশের নারীবাদী লড়াইয়ের একটি উন্নততর অর্জনও বটে। ‘আপনি খুন হলেও তো আপনার পোস্টমর্টেম হবে’ তাই আপনি ধর্ষণের সার্ভাইভার আপনার মেডিকেল পরীক্ষা করাটাও জরুরি, মেডিকেল পরীক্ষাকে আমি একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মূল্যমানের বাইরের কিছু হিসেবে উপলব্ধি করে এসেছি। ধর্ষণকেন্দ্রিক মেডিকেল পরীক্ষার মধ্যে নারীর বয়ানে আমি কোনো নিপীড়নের চেহারা ‘যৌক্তিক’ বলে নিজে ঠিক মেনে নিতে পারতাম না।
সিএমএম কোর্টে ভিকির সেই শিক্ষার্থীর ১১ জন উকিলের বক্তব্য গবেষক আমাকে বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠতার জগৎ থেকে এক ধাক্কায় বাস্তবে নিয়ে আসে। প্রথমবারের মতো আমার মনে পড়ে যায়, গবেষিত পলা'র (ছদ্মনাম) কথা, যিনি আমাকে বারবারই বলতেন, ‘আপনি যেই অপারেশনে যান, শরীরে ডাক্তাররা কোনো না কোনো পোশাক পরায়ে দিবো। আমগো মতো ধর্ষিতাকে পরীক্ষার সময় পুরা নেংটা কইরা দাঁড় করায়। ডাক্তারের সামনে দাই শরীরের নানান অংশ টিপ্পা দেখে। আমার পরীক্ষার সময় পুরুষ ডাক্তারই সব করছে, কোনো মহিলা কইলাম ছিলো না’।
এই প্রসঙ্গেই গত ১৬ এপ্রিল ২০১৩ সালে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘নারীর জন্য এ কেমন ব্যবস্থা?’ শীর্ষক প্রতিবেদন ছাপা হয়। এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে কোনো নারী চিকিৎসক, কোনো নারী নার্স এমনকি আয়াও নেই। এই প্রতিবেদন আরো উল্লেখ করে, ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে শারীরিক পরীক্ষার জন্য কোনো পৃথক কক্ষ নেই। চিকিৎসকদের বসার কক্ষের সামনের বারান্দায় একটি টেবিল রাখা। পুরুষ চিকিৎসক পুরুষ ওয়ার্ডবয়ের সহযোগিতায় সেই টেবিলের ওপর ধর্ষণের শিকার নারীকে রেখে তাঁর পরিধেয় কাপড় খুলে শারীরিক পরীক্ষা করেন। সবুজবাগ থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক বিকাশ কুমার ঘোষ আদালতের নির্দেশে বয়স নির্ধারণের জন্য একটি মেয়েকে ফরেনসিক বিভাগে আনলে খোলা বারান্দার টেবিলের ওপর পুরুষ ওয়ার্ডবয় আগত নারীর কাপড় খুলতে শুরু করলেই তিনি চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন (সূত্র প্রথম আলো, ১৬ এপ্রিল ২০১৩)।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের সাথে আমার গবেষণার বয়ানকৃত নারীদের অভিজ্ঞতায় তেমন কোনো ব্যবধান পাওয়া যায় না। ধর্ষণের মেডিকেল পরীক্ষা করার সময় শর্ত হিসেবে আবশ্যিকভাবে যে চিকিৎসক পরীক্ষা করছেন, তিনি নারী হোন বা পুরুষ, তার সাথে অবশ্যই একজন নারী নার্স বা আয়া থাকতে হবে। গবেষণায় ৯ জন ধর্ষণের সার্ভাইভার নারী বলেন যে, তাদের মেডিকেল পরীক্ষার সময় কোনো আয়া বা নারী নার্স ছিল না, বরং পুরুষ চিকিৎসক একলাই মেডিকেল পরীক্ষা করিয়েছেন, অনেকসময় ওয়ার্ডবয় উপস্থিত ছিল। কারো কারো বেলায় নার্স না-থাকলেও পরীক্ষা শেষে নার্স তার উপস্থিতিজ্ঞাপক স্বাক্ষর দিয়ে গেছেন। সার্ভাইভার নারীদের সম্মতিও আসলে মেডিকেল পরীক্ষা কীভাবে করা হবে সে প্রসঙ্গে কোনো পরিষ্কার কথা না-বলেই লিখিতাকারে গ্রহণ করা হয়। নমুনা হিসেবে ব্লাস্টের অধীনে রেকর্ডকৃত ২৫টি মামলার মেডিকেল এভিডেন্সের মধ্যে ১১টি মেডিকেল এভিডেন্সের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, পরীক্ষক চিকিৎসকের সাথে সহকারী হিসেবে কোনো নারী নার্স বা আয়ার নাম উল্লেখ করা নেই।
বিরাজমান এই নারীবিদ্বেষী মেডিকেল পরীক্ষণের ব্যবস্থাপনার সাথে সাথে ধর্ষণের মেডিকেল পরীক্ষার ফরমেট নিজেই একটি পুরুষালি মতাদর্শিক উৎপাদন। ব্যবহৃত টু ফিঙ্গার টেস্ট ধর্ষণের সার্ভাইভার নারীর যোনিপথের ঘনত্ব পরিমাপ করে, তার হাইমেনের উপস্থিতি-অনুপস্থিতি নির্দিষ্ট করে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকৃত চিকিৎসক জানান, পরীক্ষার সময় নারীর হাইমেনকে একটি গোলাকার ঘড়ির ফ্রেম হিসেবে দেখা হয়। ঘড়ির কাঁটার ৩ বা ১০-এর অবস্থানে যদি ধর্ষিতার হাইমেন ছেঁড়া থাকে, তবে চিকিৎসক ধরে নেন এখানে জোরাজুরি বা অসম্মতির সেক্স হয় নি। আর যদি হাইমেন নিচের দিকে অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার ৫ অথবা ৮-এর দিকে ছিঁড়ে, তবে চিকিৎসক এটা ঘোষণা করেন যে এই হাইমেন ছেঁড়ায় জোরারোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি টু ফিঙ্গার টেস্টে ব্যবহৃত চিকিৎসকের হাতের আঙুল তাঁর শরীরের আকার, গড়ন, ইত্যাদির ভেদে যেমন বিভিন্ন হয়, তেমনি একজন চিকিৎসক তাঁর আঙুলের বেড়ের সাপেক্ষে নিজস্ব অনুভূতিতে অনুভব করেন যে আঙুল কত সহজে বা কঠিনে যোনিপথে প্রবেশ করল। ফলে এই ভীষণ সাবজেকটিভ পরীক্ষণ পদ্ধতি কখনোই নারীর শরীরের ভিন্নতর গঠন বাস্তবতাকে নির্ণয় করবার কোনো ক্ষমতা রাখে না। বরং নারী শরীরের এই মাপজোকের সাথে নারীর যৌনসম্পর্কে অসম্মতি আছে কি নেই তার যতটা না সম্পর্ক রয়েছে, তার চাইতে ‘সত্যিকারের ধর্ষণের’ ধারণা এই মাপজোকের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণভাবে বৈজ্ঞানিক যৌক্তিকতায় প্রতিষ্ঠা পেতে থাকে। মেডিকেল পরীক্ষার সময় আমরা ধরেই নেই, ধর্ষণ হতে পারে রাতের আঁধারে, অস্ত্রের মুখে, অচেনা মানুষ কর্তৃক এবং ‘হাইমেন অক্ষত থাকা’ সমাজের ‘কুমারী’ নারীর সাথে, যা কিনা নিচের দিকে, নতুন করে হাইমেন ছিঁড়লে এবং যোনিপথ শক্তপোক্ত হলেই কেবল ঘটতে পারে। ফলে যে নারীর হাইমেন আগে ছিঁড়েছে, সে যে কারণেই হোক, যে নারী বিবাহিত, যার যোনিপথ সমাজ অনুমোদিত ‘স্বামীসঙ্গের’ কারণেও ঢিলেঢালা হয়ে পড়েছে, মেডিকেল এভিডেন্স তাঁর প্রসঙ্গে ‘হাইমেন অল্ড রেপচার’, ‘হেবিচুয়েট টু সেক্স’ এই বিশেষণগুলো ব্যবহার করবে। আর কোর্টে মেডিকেল পরীক্ষার এই অল্ড রেপচার, হেবিচুয়েট টু সেক্স বিশেষণগুলো নারীর পূর্বেকার যৌন ইতিহাসের বয়ান উপস্থিত করে, বিচারকক্ষে ধরে নেয়া হয় নারীটি পূর্বেও যৌনকাজে লিপ্ত হয়েছে। ফলে তাঁর ‘সতীত্ব’ নেই, পুরুষালি আইনি পরিসর ধর্ষকের তরফ থেকে নারীর ধর্ষণকেন্দ্রিক অসম্মতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার সুযোগ তৈরি করে দেয় এবং এই সামাজিক ধারণাতেই বিচার প্রক্রিয়া চলতে শুরু করে ‘যে নারী কুমারী না, তার ধর্ষণ হয় কীভাবে?’ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বিশেষণ কোনো বিশেষ বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, টু ফিঙ্গার টেস্ট কোনো বয়সের ধর্ষিতা নারীর সাথে সম্পাদন করা যাবে এ নিয়ে কোোন নীতিমালা প্রণীত হয় নি, আর তাই মেডিকেল পরীক্ষার সনদে ৮, ৬ এমনকি ৫ বছরের মেয়েশিশুও (টু ফিঙ্গার টেস্টের পরে) ‘হাইমেন ওল্ড রেপচার’, হেবিচুয়েট টু সেক্স’ এই বিশেষণে বিশেষায়িত হতে পারেন।
ধর্ষণ মানুষের একটি শারীরিক-মানসিক কর্মকাজের অসম্মতি। নারীকে এই অসম্মতি প্রকাশের ক্ষমতা ব্যক্তিকভাবে, এমনকি সামষ্টিকভাবে পুরুষালি সমাজ কখনোই অবাধে ধারণ, পোষণ ও প্রকাশ করতে দেয় না। নারীর অসম্মতি তাই সমাজ কাঙ্খিত পন্থায়, সমাজ কাঙ্খিত নারী চরিত্রের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করতে হয়। নারী হিসেবে আপনার ধর্ষণ তখনই মেডিকেল প্রমাণ করতে ও কোর্টে প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে, যখন ধর্ষক আপনার চেনা না হয়। আপনি তখনই ধর্ষণের শিকার হতে পারেন, যখন আপনার হাইমেন ও যোনীর ঘনত্ব অটুট থাকে। আপনি তখনই ধর্ষিতা হতে পারেন, যখন আপনার পরীক্ষিত স্তন ঝুলে না-পড়ে, অর্থাৎ আপনি শারীরিকভাবে বহু ব্যবহারের সামাজিক অর্থ নিজের স্তনে বহন না-করে থাকেন। আপনি যদি বেশ্যা না-হয়ে থাকেন কিংবা বিচার প্রক্রিয়ায় যদি কোনোভাবে অভিযুক্ত ধর্ষকপক্ষ আপনাকে বহুগামী যৌনসম্পর্কে সম্পর্কিত ‘মন্দ নারী’ বা ‘বেশ্যা’ হিসেবে প্রমাণ করতে না-পারে, কেবল তখনই আপনি নারী হিসেবে ধর্ষিত একথা প্রতিষ্ঠা করবার সুযোগ বিচারকক্ষে পেলেও পেতে পারেন। বিবাহিত নারীর ধর্ষণ, পায়ুধর্ষণ, শিশুধর্ষণ এই বিষয়গুলো সমাজের কাঙ্খিত ধর্ষণের চেহারার মধ্যে নেই। আর তাই ধর্ষণের মতো একটি রাজনৈতিক আইনি বিষয় ৬ বছরের শিশু, ৮ বছরের শিশুর মেডিকেল সনদের পরিপত্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠতার মোড়কে ‘হেবিচুয়েট টু সেক্স’ মন্তব্য নিয়ে হরদম হাজির হয়। সমাজের কাঙ্খিত ধর্ষিতার চেহারা, তার সাথে সাথে বিতর্কিত ধর্ষণকেও, মেডিকেল এভিডেন্স বৈজ্ঞানিক পন্থায় টু ফিঙ্গার টেস্ট ও তার পরীক্ষিত শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মধ্য দিয়ে বারবার সমাজকাক্সিক্ষত চেহারায় আকৃতি দেয়, উপস্থিত করে এবং প্রতিষ্ঠা করে চলে।
মোদ্দাকথা দাঁড়ায়, ধর্ষণ মামলার মেডিকেল সনদের সামগ্রিক পদ্ধতিগুলো ধর্ষিতা নারীর অতীত যৌন আক্রমণ, হয়রানি এবং নির্যাতনের ইতিহাস নয়, বরং নারীর অতীত যৌন ইতিহাস দেখতে আগ্রহী। নারীর যৌনজীবন ও চর্চার প্রতি ভীষণরকমভাবে পুরুষালি দৃষ্টিসম্পন্ন এই বিজ্ঞান বিচারের পরিসরে ভিকটিম নারীর চরিত্র বিশ্লেষণের একটি রাষ্ট্রীয় আইনগত কৌশল হিসেবে কাজ করে; এবং নারী তার অভিজ্ঞতার বিরুদ্ধে তার বিদীর্ণতার বিরুদ্ধে আইনি চর্চাকে কার্যকর হতে দেখে। নারীর ধর্ষণ অভিজ্ঞতার অবমূল্যায়ন, তার অসম্মতিকে সম্মতিতে নির্ধারণ, অসম্মতিকে বিতর্কিত করে তোলা, এ সবকিছুই নারী শরীরের পবিত্রতা-অপবিত্রতার ধারণা প্রতিষ্ঠার একটি সামাজিক পদ্ধতি ও কৌশল হিসেবে কাজ করতে থাকে। নিশ্চুপকৃত হয় নারীর স্বর। এই বৈজ্ঞানিক জ্ঞান তার ক্ষমতার মাধ্যমে নারীর যৌনতার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে চলে। আর সর্বোপরি এটি পুরুষালি মতাদর্শ উৎপাদন ও পুনরুৎপাদনে কাজ করে চলে।
এই ভীষণ নারীবিদ্বেষী মেডিকো-আইনি বাস্তবতায় একজন নারী হিসেবে এবং একজন নৃবিজ্ঞানী হিসেবে আমি আসলে সেদিনটার জন্য অপেক্ষা করছি, যেদিন বিচারকক্ষে মেডিকেল এভিডেন্স হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে] ধর্ষণের সার্ভাইভার নারী জোর গলায় এই প্রশ্ন করতে পারবে আমার ছেঁড়া হাইমেন আর ঢিলা যোনিপথ থাকার সাথে যৌনকাজে অসম্মতি প্রকাশের সম্পর্কটা কী?
ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা
শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
বিষয়: বিবিধ
২৪৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন