বলতে গেলে গলা টিপে ধরবে!!!!!!! তাই কেউ বলে না!!!
লিখেছেন লিখেছেন প্রিন্সিপাল ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:৫৩:১৫ দুপুর
আমাদের সমাজ আজ এমন ডিজিটাল হয়েছে, সঠিক ইতিহাস বলতে গেলে আর রক্ষা নেই। নিম্নে কিছু উদারণ দেয়া হলো:
@ স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় আসলে কতজন লোক শহীদ হয়েছিল?
আমরা সবাই সংখ্যাটি জানি, কিন্তু কেন বলি না?
বলতে গেলে গলা টিপে ধরবে।
শুনুন:
শহীদ হয়েছিল, তিন লক্ষ্য মানুষ।
আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি ভাষন দিতে গিয়ে মাত্র একটি শূণ্য বাড়িয়ে বলেন বা পড়েন। কেননা তিনি ছিলেন বড় শিক্ষিতি, তাই হয়ত তিন লক্ষকে ত্রিশ লক্ষ পড়েছেন।
আবার তার অনুসারীরা এই মিথ্যাটাকে সত্যে পরিণত করার জন্য বলে থাকে যে, স্বাধীনতার সম্মান বাড়ানোর জন্য তিনি একটি শূণ্য বা জিরো বাড়িয়ে বলেছেন বা পড়েছেন।
এবার বলুন: মিথ্যা বলে কি স্বাধীনার সম্মান বাড়ানো সম্ভব?
আবার আসুন, সেই তিন লক্ষ শহীদকে কারা হত্যা করেছে?
সত্য বললে বলতে হবে, পাকিস্তানী বাহিনী বা রাজাকাররা ২৫%ও হত্যা করেনি।
তবে বলতে পারেন কারা হত্যা করেছে?
তাদের হত্যা করেছে, বিভিন্নজন:
৳ অস্ত্র হাতে পেয়েছে, সর্ব প্রথম নিজের প্রতিশোধ।
৳ অস্ত্র হাতে পেয়েছে, সর্ব প্রথম নিজের কামাই অর্থাৎ ডাকাতি।
৳ অস্ত্র হাতে পেয়েছে, সর্ব প্রথম কার সুন্দরী কন্যা আছে, তা ভোগ করার জন্য যদি তার পিতাকে হত্যা করতে হয়, করেছে।
৳ নেতাকে খুশী করার জন্য নিরীহজনকে হত্যা করে, নিজের খাতায় অংক ভর্তি করেছে।
৳ কারো বাড়ী বা কোন সম্পদ দখল করতে হবে, পন্থা একটাই তাকে হত্যা করা।
এভাবেই তিন লক্ষের সংখ্যা পূরণ করা হয়।
গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন, যারা স্বাধীনতা দেখেছেন, তারা অবশ্যই এ স্বাক্ষ্যই প্রদান করবে।
আজ যারা নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা বলে প্রচার করছে, তারা বেশীর ভাগই মুক্তিযোদ্ধা ছিল না।
তাদের অনেকেই:
৳ সেটাকে ভাঙ্গিয়ে কামিয়েছে।
৳ বিদেশ থেকে টাকা কামিয়ে হোটেলে ফুর্তি করেছে।
৳ ঘা ঢাকা দিয়ে কলিকাতায় গিয়ে হোটেলে দিনাতিপাত করেছে।
৳ পাকিস্তান বাহিনীকে সহায়তা করেছে, আবার দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে।
৳
৳
৳
আজকে যারা মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবী করে, বিশেষ করে বর্তমান ক্ষমতাশীন দলে, তাদের ৭৫%ই মুক্তিযোদ্ধা না।
আমার আব্বাজন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি কেন মুক্তিযুদ্ধের সনদ গ্রহণ করেননি?
তিনি উত্তর দিতেন:
বাবা দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার জন্য যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলাম, সনদ নেওয়ার জন্য না।
আবার বলেন: আমি অনেককে সনদ গ্রহণ করতে দেখেছি, যারা ছিল আমাদের বিরোধী।
তাকে জিজ্ঞেস করলাম: তাহলে কিভাবে তারা সনদ পেল?
তিনি উত্তরে বলেন: তখন টাকার বিনিময় সনদ বিক্রি হত।
(বর্তমানেও পাওয়া যায়)
তিনি বলেন: আমাদের সাথে যারা যুদ্ধ করেছেন, তাদের অনেকেই সনদ নিতে গিয়েও পায়নি। কেননা তাদেরকে বলা হয়েছে, টাকা দিলে সনদ পাবেন, নইলে না।
স্বাধীনতাই যখন বিয়াল্লিশ বছর ধরে অশ্রু ঝরাচ্ছে, আর আমরা কেন অশ্রু ঝরাব না।
যারা প্রকৃত পক্ষে দেশকে স্বাধীন করেছেন, তারা স্বাধীনতা সুখ পাইনি, যারা যুদ্ধ করেনি অথবা মুক্তিবাহিনীকে যারা মেরেছে তারাই স্বাধীনতাকে ভোগ করছে, এ দুঃখ রাখার জায়গা নেই।
তাই অন্তরের গভীরে দুঃখ গোপন করেই বিয়াল্লিশ বছর ধরে কাদছি।
আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন আমার জাতি ও দেশকে প্রকৃত স্বাধীন করে দেন। আমীন
বিষয়: বিবিধ
২০২০ বার পঠিত, ৩২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ যে, আপনি সমাজকে সঠিক ইতিহাসটি আরো চমৎকার করে তুলে ধরলেন।
"সুজাতা সিংকে বলছি, বাবরি মসজিদ ভাঙা শিবসেনা আর বিজেপি সন্ত্রাসীরা জামায়াতের চেয়ে খারাপ হওয়ার কারণ, বঙ্গবীরের ভাষায়, ৪২ বছর আগে জামায়াত যা বুঝতে পেরেছিল, আমরা বুঝলাম ৪২ বছর পরে। তিনি বলছেন, জামায়াতের যুদ্ধ ছিল ভারতীয় উপনিবেশের বিরুদ্ধে। -লেখিকা মিনা ফারাহ
১৮ জানুয়ারি নয়া দিগন্ত
http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=MTA0NjE=&s=Mjc=
বলেন কি
অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগ্লো...
বাক আসেনা মুখে
প্রিন্সিপাল ভাইয়া ব্লগ লিখে
ভীনদেশী এক দুঃখে
দুঃখটাযে আমাকেও আজ
সমান ভাবে পোড়ায়
তাই জমেছে চিন্তা হাজার
ছোট্র মনের গোড়ায়
মন্তব্য করতে লগইন করুন