সান্তনা
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আখন্দ ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৫:৩৪:৪৮ বিকাল
কাল রাতে সিলেটে ফিরলাম জয়ন্তিকায় করে। পেইন+প্যারা পুরো জার্নিতে। অসুস্থ রেলমন্ত্রীর মতো ট্রেনও অসুস্থ হয়ে গেছে। শুরুতেই বলে দিলে আর কে এতক্ষন বসে থাকে! কিন্তু স্টেশন স্টাফদের ডিপলোমেটিক জবাবে আটকে থাকলাম, এই তো আরেকটু পড়েই ছাড়বে ট্রেন! একটু একটু করতেই সাড়ে তিন ঘন্টা লেট! এরপরে বসলাম যার পাশে ইয়া মোটকু মামা! দেড়সিট ওনার দখলে আর অর্ধেকটাতে কোনমতে চেপেচুপে বসলাম। যেমন উনি দেখতে তেমন উনি খানও! শুরু করলেন টাইগার দিয়ে; এরপর একে একে বাদাম, ঝালমুড়ি, পেয়ারা (২টি), চানাচুর, সিদ্ধডিম (২বারে ৪টি), চা, চিপস, কাটলেট (ট্রেনের স্টাফরা এটাকে নাস্তা বলে), মিরিন্ডা ৫০০ মিলি, এনার্জি-প্লাস বিস্কুট--মোটকু মামার খাবারের বহর দেখে আমার আর ক্ষুধা লাগলো না। ওরে বাপরে! এমন খাদকও এখন আছে!
আমি সাধারণত জার্নিতে চুপ থাকি না, কিন্তু ওনার খাওয়ার বাহার দেখে টাসকি লেগে গেল! পুরো জার্নিতে দুইবার কথা হলো, একবার আমি তাকে চা অফার করলাম, উনি 'হুম' করলেন! আরেকবার উনি বললেন, 'আর পারছি না, একটু টয়লেটে যাবো!' আমি বের হয়ে জায়গা করে দিলাম। আমি দেখলাম ওনার সিটটা দেবে গেছে, মিনিট পাঁচেক পড়ে উনি আবার আসলেন--আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। কুলাউড়া পার হবার পর আমার দুজন ছাত্র পেলাম। নানান বিষয়ে কথা বলতে বলতে আমরা সিলেটে পৌছলাম। ওরা আমাকে বাসা পর্যন্ত পৌছে দিলো।
শুরুটা বোরিং হলেও শেষটা বেশ ভালো কাটলো! মনে মনে সান্তনা খুঁজলাম, 'সব ভালো যার শেষ ভালো'।
বিষয়: বিবিধ
১০৩০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই টা নিয়া নৃতাত্বিক গবেষনা করবেন নাকি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন