মৌলবাদী ঝোঁক দলটিকে দারুণ ইমেজ সংকটে ফেলেছে
লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৬ জুলাই, ২০১৫, ০৫:৪৩:৫৭ বিকাল
বাংলাদেশে ভারতের মতো নির্বাচনমুখী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে খালেদা জিয়ার সহযোগিতা কামনার জবাবে নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য বিএনপির প্রতি জামায়াত ছাড়ারই গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো বিপুল জনসমর্থন থাকার পরও দলটির নেতৃত্ব কাঠামোর অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, মৌলবাদী ঝোঁক দলটিকে দারুণ ইমেজ সংকটে ফেলেছে। খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে এই ইমেজ সংকট কাটানোর মতো ক্যারিশমেটিক নেতৃত্ব এখন বিএনপিতে নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর দলটির অস্পষ্ট ভূমিকা ভাবমূর্তির সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ প্রজন্মের কাছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে-পরে গড়ে ওঠা দেশি-বিদেশি সমর্থক মহলের এবং সর্বশেষ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অন্তর্নিহিত বার্তার শর্ত পূরণ করে হারানো ভাবমূর্তি উদ্ধারে দলটি সচেষ্ট হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। একদিকে নীতি-নির্ধারণী নেতৃত্ব সংকট, অন্যদিকে রাজাকার অপবাদের ভাবমূর্তি সংকট থেকে উদ্ধারের জন্যই দলের প্রতিষ্ঠাকালীন মহাসচিব ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে সসম্মানে দলে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীও তার বক্তব্যে ইতিবাচক কথাবার্তা বলছেন। তবে তিনি একটা বিষয়ে বারবার গুরুত্ব দিচ্ছেন, বিএনপিকে জিয়ার বিএনপিতে ফেরত যেতে হবে অর্থাৎ বিএনপি তার জন্মকালীন আদর্শ থেকে বিচ্যুত। কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে তিনিও 'স্বগৃহে' প্রত্যাবর্তন করছেন। দুই নেতা একা নন, দল-বল নিয়েই পুরনো দলে ফিরছেন বলে খবর মিডিয়ায় আসছে। এমনকি আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার সংস্কার প্রস্তাবের পক্ষে যারা ছিলেন, যারা এখনো দলে ফেরেননি বা ফেরার সুযোগ পাননি, সেই সংস্কাপন্থিরাও পুনরায় দলে ফিরছেন বা তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও খবর বেরুচ্ছে। দল ভাঙার খবরের সঙ্গে এসব খবর সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বি. চৌধুরী এবং কর্নেল (অব.) অলি আহমদদের স্বদলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনায় প্রগতিশীল, দেশপ্রেমিক, জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্রীরা খুশি হলেও মৌলবাদের সমর্থকরা বিচলিত। এরই মধ্যে ২০-দলীয় জোটের প্যাডসর্বস্ব দু'একটি দল বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অস্থিরতা বেড়েছে বিএনপিতে ওদের পৃষ্ঠপোষকদের মধ্যেও। এখন দেখতে হবে, বি. চৌধুরী, কর্নেল (অব.) অলি আহমদরা দলে ফিরলে যে 'অথর্বদের' কপাল পুড়বে, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতাহীন যারা সংসদ সদস্য পদে লড়ার খোয়াব দেখছেন, যে অযোগ্যরা দলে বড় বড় পদ দখল করে বসে আছেন তাদের সব প্রতিরোধ ও চক্রান্তকে প্রতিহত করে বেগম খালেদা জিয়া তার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেন কিনা?
বিষয়: বিবিধ
৮৯৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সরকার বিএনপির মৌনতায় কড়া বিরোধী দল তথা মৌলবাদী দমনে বিদ্যা-বুদ্ধি-দক্ষতা সবই অর্জন করে বসে।
এক পর্যায়ে সরকার ও শাসন বিভাগের অন্যায় ও নির্যাতনের মাত্রাটা সীমার বাহিরে চলে যায়। তারা বুঝতে পারে সরকার বদলালে সরকার ও প্রশাসনের দু'টোর পরিনতি খারাপ হবে। ভারত ব্যতিত দুনিয়ার অন্য কোথাও লুকিয়ে থাকার সুযোগ পাওয়া যাবেন। তাই সরকারের যাতে পতন না হয়, সেটার জন্য যা করা দরকার তাই করতে হবে। সঙ্গত কারণে সরকার বিএনপি হাতে পরাজিত হবে আর বিএনপির কাঁধে চড়ে জামায়াত তাদের বিচার করবে। সুতরাং ছলে, বলে, কলে, কৌশলে বিএনপি নিধন করোই সরকারের ব্রত হয়ে দাড়িয়েছে। মৌলবাদ উৎখাতে সরকার যে জুলুমের পদ্ধতি বাছাই করেছে, সে পদ্ধতি বিনা বাধায় তথা বে-আইনি ভাবে বাস্তবায়ন করতে দেয়াই ছিল বিএনপির অন্যতম, শুধুমাত্র, একমাত্র, কেবলমাত্র ভুল। এই ভুলের পরিনতি থেকে জাতিও বাচবে না। কেননা পুলিশ, আর্মি, বিজিবির খাসিয়ত খারাপ হয়ে গিয়েছে হেফাজত-জামায়াত দমন করতে গিয়ে। তারা দমেছে কিন্তু ওনাদের চরিত্র খারাপ হয়ে গিয়েছে। যেটা আর ভাল করার কোন সুযোগ নাই। জনগনকেই ভুগতে হবে, কেননা তারা প্রতিবাদ করেনি। অনেক ধন্যবাদ
আ 'লীগের একমাত্র ঈর্ষা কারন এ ঐক্য যতদিন থাকবে ততদিন আ 'লীগ জনগনের রায়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন