আমার দেশের শাক-সবজি।
লিখেছেন লিখেছেন মুমতাহিনা তাজরি ০৪ মে, ২০১৩, ০৭:৪৪:০৫ সকাল

এটা অনেকেরই পছন্দের শাক।আমাদের পরিবারের সবারই প্রায় পছন্দ ।কিন্তু এটা আমি পছন্দ করিনা মুখে দিলেই বমি আসে।বিয়ের আগে প্রতিদিন আমরা সবাই এক সাথে খেতে বসতাম।আমি বসতাম আমার আব্বার বাম পাশের চেয়ারে ডান পাশের চেয়ারে বসতেন আমার ভাই।শাকের বাটিটা যখন আব্বার সামনে আসতো তখন আমি টেবিলের নিচে লুকিয়ে যেতাম।কারন আমি এটা খাবনা এজন্য।আমার আব্বা আমাকে খুব ভালোবাসতেন।আমরা ৫ ভাই বোনদের মধ্যে আমি সবার ছোট।তাই জোর করে কেউ আমাকে কোন কিছু খাওয়াতেননা। আমার যেটা ইচ্ছা হত আমি সেটাই খাইতাম।আব্বা তার প্লেটে শাক নিয়ে ভাইদের ওদিকে পাটিয়ে দিতেন।
আব্বা আমাকে বলতেন আমি ভালো জিনিস খাইনা কে শুনে কার কথা।ছোট আপা আব্বাকে প্রশ্ন করতেন শাক খেলে কি হয় ? আব্বা বলতেন শাকে অনেক ভিটামিন আছে ,আরো অনেক কিছু বলতেন ।ছোট আপা উত্তরে বলতেন তিন মাস থেকে শাক খাইতেছি শরীরের কোন উন্নতিতো হইতেছেনা।আব্বা বলতেন শরীরের উন্নতি হইতেছে কিনা এটা কিভাবে বুঝলে।এত কিছু বলার পরেও আমি শাক খাওয়া শিখতে পারিনাই বা পারার চেষ্টাও যে করিনাই তা না ,চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনাই।আব্বা আমাকে নিয়ে ভাবতেন আমি শাক-সবজির মধ্যে অনেক ধরনের সবজি খাইনা বিয়ের পর আমি কিভাবে কি করব।আর আম্মা আব্বাকে প্রায় বলতেন তুমি ওকে আদর করে করে নষ্ট করেছো।আব্বা আম্মার কথার উত্তরে বলতেন যখন বিয়ে হবে তখন টিক হয়ে যাবে।কিন্তু বিয়ের পরেও আমার এই বদ অভ্যাসটা যায়নি।না খেয়ে থাকবো কিন্তু শাক খাবোনা।অনেকেই অনেক কিছু বলছে কোন কাজ হয়নাই।আমার স্বামীর পরিবারের সবাই পছন্দ করে শুধু আমি করিনা।ফ্রান্সে এসে আমার স্বামী মাঝে মধ্যে বাংলা দোকান থেকে কিনে আনেন আমি রান্না করে দেই ঠিকই কিন্তু মুখে দিয়ে লবনটিও দেখিনা। 
করলা ,অনেক তিতা একটা সবজি। কোনদিন খাইনি তিতার কারনে।করলা খেলে নাকি পেটের ব্যাথা কমে যায়।কিন্তু সেটাও খাওয়া শিখতে পারিনি।
মিষ্টি কুমড়া।
বরবটি,সিলেটিরা এটাকে লুভি উরি বলে ।এটা আবার পছন্দ আছে।
চিছিংগা নামে জানি।বিয়ের আগে এটা খাইতামনা।ফ্রান্সে আসার পর খাওয়া শিখেছি।এখন মাঝে মাঝে ফোন করলে আব্বাকে বলি আমি এখন অনেক কিছু খাওয়া শিখেছি।
মুলা,এটা একটু একটু খাই।
সীম,এটা আমার পছন্দের মধ্যে একটা। 
বেগুন,এটাও আমি খাইনা।
বিষয়: বিবিধ
৭৭১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন