দেশের মানুষকে হিংস্র বাঘের মুখে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষক
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ২০ মার্চ, ২০১৪, ০৭:১৬:১০ সন্ধ্যা
গত ১৭ তারিখ দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় আওয়ামীপন্থি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল আজিজ সরকারের কাছে আবদার জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতাদের মেধা যাচাই না করে চাকরি দিতে। শুধু তাই নয় ‘রেজাল্টের প্রয়োজন নেই’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের গায়ে থাকা ক্ষতচিহ্নই তাদের বড় যোগ্যতা। তাদের আর কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে খুন ,ধর্ষণ,ডাকাতি ,দুর্নীতি,টেন্ডারবাজি ,সন্ত্রাস, দলাদলি এমন হীন অপকর্ম বাকি নেই যা ছাত্রলীগ করেনি।ওযেব কিংবা প্রিন্ট মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখতে পাবেন প্রতিদিনের ছাত্র লীগের জঙ্গি কর্মকান্ড।
ভোটাধিকার ,কথা বলার অধিকার , চাকুরীর অধিকার সর্বপরি সাভাবিক মৃত্যুর গেরান্টি হারিয়ে বর্তমানে দেশের জনগণ পথ হারা পথিকের মত জীবনযাপন করতেছে। খুন গুমের আতঙ্ক সবসময় দেশের মানুষের মনে কাজ করে। সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর বাড়ি হারিয়ে বসেছেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারের বিরোদ্ধে কথা বললেই চাকুরী হারাতে হচ্ছে নয়তো জেল জুলুমের শিকার হতে হচ্ছে এমনকি জীবন দিতে হচ্ছে।
সরকার মানুষকে নির্যাতনের জন্য প্রশাসন কে ব্যাবহার করতেছে এবং প্রশাসনের সহায়তায় অগ্রভাগে রয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ মানেই একটি আতঙ্ক ,ছাত্রলীগের নাম মুখে নিয়ে এখন দেশের মায়েরা তার দুষ্ট সন্তানকে ঘুম পারাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে হাজার হাজার ছাত্র পঙ্গুত্ব জীবন যাপন করতেছে।অনেক ছাত্র খুন হয়েছে এই সন্ত্রাসীদের হাতে তা দেশের মানুষ নিজ চোখে দেখতেছে। ব্যাবসা প্রতিষ্টানে ছাত্রলীগের চাদাবাজি এখন উত্সবে পরিনিত হয়েছে। এক কথায় দেশের সর্বস্থরের মানুষ ছাত্র লীগকে এখন হিংস্র বাঘের মত ভয় পায়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে ।দেশের জনগণ এই হিংস্র বাঘ থেকে রক্ষা পেতে চায়। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান হিংস্র বাঘের থাবাতে লণ্ডবন্ড হয়ে আছে। প্রতি মাসে একাদিক শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ রাখতেছে শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রশাসন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তান্ডবের কারণে। ছাত্রলীগ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান। ছাত্রলীগের গুন্ডামির কারণে শেখ হাসিনা লোক দেখানোর জন্য হউক আর ছাত্রলীগকে ভয় দেখানোর জন্য হউক ছাত্রলীগের মুরব্বির দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন একাদিকবার।
ঢাবি শিক্ষকের যোগ্যতা নিয়ে বা তার মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন করতে চাইনা , তবে একটা কথা পরিষ্কার হয়েছে অন্ধ ভক্ত ও লালসার রাজনীতি মানুষের বিবেক কি রকম পচন সৃষ্টি করে। শিক্ষক বলেছেন ‘তাদের গায়ে থাকা ক্ষতচিহ্নই তাদের বড় যোগ্যতা এই যদি যোগ্যতা হয় তাহলে তো এবার তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে পূর্বের চেয়ে বেশি।এমন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্টান নেই যেখানে ছাত্র লীগের নিজেদের কুন্দলে মারামারি হয় না। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠের শিক্ষক নিজের ও রাজনৈতিক ফায়দার কথা চিন্তা করে দেশের মানুষকে হিংস্র বাঘের মুখে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন।
বিষয়: বিবিধ
১১১৭ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অামি ছাত্রলীগ
উত্তর দক্ষিণ পুর্ব পশ্চিম সবই আমার দিক।
আমি ছাত্রলীগ
বিশ্বজিত হত্যায় রুখাতে পারেনি যখন
সে বাচার আশায় ছুটেছিল দিকবিদিক।
মন্তব্য করতে লগইন করুন