বাংলালিংক দামে অশালিন ভাষা ব্যবহার হচ্ছে রাজনীতিতে। চলছে ব্যক্তিত্ব হরণের প্রয়াশ

লিখেছেন লিখেছেন জহাসানজয় ১৯ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৪৭:০২ দুপুর

রাজনীতির নিজস্ব কিছু প্রকাশ ভঙ্গী আছে। এখানে চলে "ক্ষমতা"র প্রকাশ এবং প্রদর্শনের মহড়া।

সামপ্রতিক কালে দেশব্যাপী শীর্ষ নেতা, প্রথম সারির নেতা, দ্বিতীয় কিংবা মধ্যম সারির নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন তা একজন ক্ষিপ্ত মাতালও কিংবা বস্তিবাসি ও ব্যবহার করেনা।

অসৌজন্যমূলক কথা বলার ক্ষেত্রে কেবল জাতীয় নেতারাই নয়, পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় নেতারা ও।

মহানগর কিংবা জেলা পর্যায়ের নেতারা যেনো আরও একধাপ এগিয়ে।

একজন বলেন তো দেখে নিবো। আরেকজন বলেন চামড়া তুলে নিবো।

কেউ কেউ তো আবার অন্যের কাপড়-চোপড় খুলে ফেলেন মুখের কথায়

কেউ কেউ বক্তৃতার মাধ্যমেই অন্যের "রক্ত" দিয়ে গোসল করতে চান।

আবার কেউ কেউ "ধইরা ধইরা জবাই" করতে চান।

অনেকেই "ছিইল্লা কাইট্টা লবন" লাগাতে চায়... শরীরের কোন অংশে তা পাঠকদের আশা করি বলতে হবেনা।

অনেক নেতাই প্রতিপক্ষের নেতাদের বংশ কিংবা পারিবারিক রসালো কাহিনি তাদের বক্তৃতায় ফুটিয়ে তোলেন।

মুখের ভাষার সাথে তাদের বাচনভঙ্গি, মুখভঙ্গির ও বহিপ্রকাশ লক্ষনীয়। কারো তো চোখ মনে হয় বেরিয়ে আসতে চায় বক্তৃতার সময়।

শারীরিক ভঙ্গিমা তো আরও নাটকীয় এবং আগ্রাসী। ভাবখানা এইরকম "তোকে যদি হাতের নাগালে পাই তো আস্ত চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো

রাজনীতিদরা বাংলা অভিধানের লেখার অযোগ্য বিলুপ্তির পর্যায়ে যাওয়া শব্দগুলিকে মনে হয় যুগযুগ বাচিয়ে রাখবেন।

তবুও বলি ভাষা ও বাচনভঙ্গি মানুষের ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা প্রকাশ করে। রাজনীতিবিদরা যদি নিজেদের সম্মান নিজেরা না দেন তাহলে জনতা তাদেরকে সম্মান দিবে কেনো?

বাংলালিংক দামে গালাগালি মার্কা ভাষা ব্যবহার করবেন না।

বিষয়: রাজনীতি

১২১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File