লিও থেকে আসাদ। মক্কার পথে যাত্রা।

লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:৩০:০৯ দুপুর

”মক্কার পথ” গ্রন্থটি দেখেছিলাম খুব ছোটবেলায়। আমার দাদা বইটি ৪-৫ কপি কিনেছিলেন। তখনও এই বইটি পড়ার বা বোঝার বয়স হয়নি। আরেকটু বড় হওয়ার পর একদিন তৎকালিন জনপ্রিয় ”নতুন ঢাকা ডাইজেষ্ট” এ বইটি ও এর লেখক সম্পর্কে পড়ে বইটি পড়তে ইচ্ছা করে। এর মধ্যে অবশ্য আমার আব্বার কাছে বইটিতে উল্লেখিত কিছু শিক্ষনিয় ঘটনা শুনেছিলাম। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রয়োজনে বইটি থেকে কিছু রেফারেন্স সংগ্রহ করি। আরো বেশ কয়েক বছর পর এসএসসি পরীক্ষার পরের অবসরে বইটি পুনরায় পড়তে নিই এবং প্রথমবারের মত আদ্যোপান্ত একনাগাড়ে পড়ি। একবার নয় বরং মাত্র সপ্তাহখানিক সময় এর মধ্যে বইটি ৩-৪ বার পড়ে ফেলি। এরপর নিজেকে জ্ঞান আর শিক্ষায় নতুন একটি বিশ্বে প্রবেশ করেছি বলে মনে হয়। এতই প্রভাব বিস্তার করেছিল বইটি।

আধুনিক ইউরোপের প্রধান ইসলামি চিন্তাবিদ মুহাম্মদ আসাদ এর জন্ম ১৯০০ সালে তৎকালিন অষ্ট্রো-হাঙ্গেরি রাষ্ট্রের লেমবার্গ শহরে। নাম রাখা হয় লিউপোল্ড উইস তিনি ছিলেন এক ইহুদি রাব্বি পরিবারের সন্তান। তার পিতা যদিও বংশের ধারা ভঙ্গ করে আইনজিবির পেশা গ্রহন করেন তথাপি তাদের পরিবার ছিল রক্ষনশিল গোড়া ইহুদি। পরিবারের তত্বাবধানে হিব্র ও আরমাইক ভাষা শিক্ষা এবং ইহুদি ধর্মিয় পদ্ধতিতেই শিক্ষা লাভ করেন। তবে তিনি সবসময় ছিলেন চঞ্চল এবং অনুসন্ধিৎসু। তার কৈশোরে ইউরোপে শুরু হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। ১৪ বছর বয়সে তিনি বাড়িয়ে থেকে পালিয়ে যান যুদ্ধে যোগদানের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার পিতা তাকে খুজে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ১৬ বছর বয়সে বাধ্যতামুলক সামরিক সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। তবে তিনি সেনাবাহিনিতে যোগ দেওয়ার অল্পদিন পরেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। লিউপোল্ড উচ্চ শিক্ষার জন্য অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরের ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও শিল্পকলার ইতিহাস নিয়ে পড়া শুরু করেন। বোহেমিয়ান মনের অধিকারি এই মেধাবি ব্যাক্তি অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় এর কোর্স সমাপ্ত করেননি। তিনি এরপর ছায়াছবির সহকারি পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেন এবং এক পর্যায়ে একটি নিউজ এজেন্সিতে প্রথমে টেলিফোন অপারেটর এবং পরে রিপোর্টার হিসেবে কাজ নেন।

১৯২২ সালে তিনি প্রথমবারের মত ইউরোপ ছেড়ে তৎকালিন বৃটিশ ম্যান্ডেট ভুক্ত ফিলিস্তিন এ তার মামার কাছে আসেন। ঐতিহাসিক জেরুসালেম শহরে প্রথমবারের মত তিনি পরিচিত হন মুসলিম সমাজ এর সাথে। এখানে তিনি যায়োনিস্ট আন্দোলন এর সাথেও পরিচিত হন এবং ইহুদি হলেও এই আন্দোলন এর প্রথম থেকেই বিরোধিতা করেন। মুসলিম সমাজের সাথে পরিচিত হওয়া ছাড়াও তিনি এই সময় আল-কুরআন অধ্যয়ন ও শুরু করেন। জার্মানির বিখ্যাত সংবাদপত্র ”ফ্রান্কফুর্টার যাইটুং” এর সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। ১৯২৫ সালে তিনি জার্মানি ফিরে যান এবং একটি বই লিখেন। যে বইতে কল্পনা ও মিথ্যার পরিবর্তে প্রথমবারের মত প্রাচ্যের প্রকৃত অবস্থা বর্ননা করেন তিনি। ইউরোপে ফিরে গিয়ে তিনি তৎকালিন ইরোপের নৈতিক ও ধর্মিয় অবস্থা দেখে বিতঃশ্রদ্ধ হন। ১৯২৬ সালে কুরআন অধ্যয়ন এর মাধ্যমে তিনি ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন। এসময় তিনি এবং তার স্ত্রি এলসা বার্লিন এর ছোট্ট প্রধানত ভারতিয় মুসলিম দের নিয়ে গঠিত সমাজের সাথে পরিচিত হন। তাদের কাছেই তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।

১৯২৭ সালে তিনি হজ্জ ও ইসলামি বিশ্বেও সাথে পরিচিত হওয়ার ইচ্ছায় পুনরায় মধ্যপ্রাচ্যে আগমন করেন। এসময় তিনি কয়েকটি ইউরোপিয় পত্রিকার সাংবাদিক ও ছিলেন। মক্কার এক লাইব্রেরিতে তৎকালির প্রিন্স ফয়সাল তথা বাদশাহ ফয়সাল এর সাথে তার পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে তৎকালিন বাদশাহ আবদুল আজিজ আল সেীদ এর সাথে তার হৃদ্যতা গড়ে উঠে। বাদশাহ এর অনুমতিতে তিনি উটের পিঠে চড়ে সৈীদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল ভ্রমন করেন এবং ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন। পরবর্তিতে তার বিখ্যাত গ্রন্থ ” রোড টু মক্কা” তে তার এই ভ্রমন এর বিবরন কে কেন্দ্র করেই তার জিবন আলোচনা করেন। ১৯৩২ সাল পর্যন্ত তিনি সৈীদি আরবে থাকেন। স্বাধিন সাংবাদিকতা ছাড়াও সেীদি বাদশাহর বন্ধু ও প্রতিনিধি হিসেবে তিনি কয়েকটি বিপদজনক অভিযানেও যান। যার মধ্যে সৈীদি ইখওয়ান বিদ্রোহ (সেীদি ইখওয়ান ও মিসরের ইখওয়ান উল মুসলিমিন সম্পুর্ন আলাদা দুটি সংস্থা) যারা আচরনে ছিল বর্তমান আইএস এর মত অতি উগ্র তাদের সম্পর্কে তদন্ত করতে গিয়ে উদঘাটন করেন যে এই অতি ধার্মিক(!) দের পিছনে মদদ দিচ্ছে সাম্রাজ্যবাদি বৃটিশ শক্তি! আরেকটি অভিযান ছিল তৎকালিন লিবিয়া অঞ্চলে সেনুসি আন্দোলন এর নেতা উমর বিন মুখতার কে সামরিক সাহাজ্য প্রেরন এর বিষয়ে সহায়তা করা। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি ইউরোপে এই ষড়যন্ত্র এবং ইহুদিবাদিদের সরুপ উদঘাটন করেন। আরবে থাকতে তার প্রথমা স্ত্রি এলসার মৃত্যু হয় এবং তিনি মুনিরা নামক এক আরব মহিলা কে বিবাহ করেন। তার গর্ভেই তার একমাত্র সন্তান তালাল আসাদ এর জন্ম হয়।

১৯৩২ সালে তিনি মুসলিম জাহান ভ্রমন এর উদ্দেশ্যে আগমন করেন তৎকালিন ভারতে এবং পরিচিত হন মহান দার্শনিক কবি আল্লামা ইকবাল এর সাথে। কবির অনুরোধে তিনি ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল করে ইসলামি সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে গবেষনার জন্য ভারতেই অবস্থান শুরু করেন। তিনি চেীধুরি নিয়ায আলি খান এর প্রতিষ্ঠিত পাঠানকোট এর দারুল ইসলাম এ বসবাস শুরু করেন। উল্লেখযোগ্য একই সময় মাওলানা মওদুদিও সেখানেই ছিলেন। উভয়ই চেীধুরি নিয়ায আলি খান এর প্রতিষ্ঠিত দারুল ইসলাম ট্রাষ্ট এর সদস্য ছিলেন। এই সময় আল্লামা ইকবাল এর অনুরোধে তিনি সহিহ আল বুখারির ইংরেজি অনুবাদ শুরু করেন । ১৯৩৪ সালে তার সারা জাগান গ্রন্থ ”ইসলাম এট দি ক্রস রোড” প্রকাশিত হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলন এর সাথেও জড়িত হন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে জন্মগত জার্মান হওয়ায় দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধ হওয়ার দ্বিতিয় দিনেই তিনি পরিবার সহ গ্রেফতার হন। পরে তার স্ত্রি ও সন্তান কে মুক্তি দেওয়া হলেও দ্বিতিয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হওয়ার আগে তিনি মুক্তি পাননি। দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে তার বাবা-মা এবং বোন এই সময় জার্মান কারাগারে মৃত্যুবরন করেন।

পাকিস্তান স্বাধিন হওয়ার পর তিনি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যোগ দেন এবং মন্ত্রির পদমর্যাদায় জাতিসংঘে প্রেরিত হন। কয়েকবছর পর তিনি পোলা হামিদা নামে একজন পোলিশ বংশদ্ভুত মার্কিন মহিলাকে বিয়ে করলে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এর আইনের ফাঁকে চাকরি ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এরপর তিনি পুনরায় ইউরোপে ফেরত জান এবং সেখানেই তার অমর গ্রন্থ ”রোড টু মক্কা” লিখা শুরু করেন। ইউরোপ থেকে তিনি লিবিয়া ও মরোক্কর তাঞ্জিয়ার এ বসবাস শুরু করেন এবং ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থা সম্পর্কে গবেষনা ও লিখালিখি করেন। শেষ জিবনে তিনি স্পেন এ বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৯২ সালে গ্রানাডাতে ইন্তেকাল করেন।

আল্লামা মুহাম্মদ আসাদ তার ”মক্কার পথ” গ্রন্থটির পটভুমি বর্ননা করতে গিয়ে বলেছেন যে যখন তিনি পাকিস্তান এর প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে যান তখন ইউরোপিয় ও আমেরিকান রা মনে করেছিল যে তিনি স্রেফ চাকুরি করার উদ্দেশ্যেই এই পদ গ্রহন করেছেন। কিন্তু তারা যখন দেখে যে দর্শন এবং মানসিক দিক দিয়েও তিনি সম্পুর্নভাবে মুসলিম দেও সাথে একাত্ম তখন তারা অবাক হয়ে যায়। তাদের কে একজন শিক্ষিত ইউরোপিয়ান হয়েও এই পরিবর্তন এর কারন ব্যাখ্যা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বইটি তিনি রচনা করেন। ইসলামে সর্বদেশকালে গ্রহনযোগ্যতা এবং তথাকথিত পাশ্চাত্য সভ্যতার অসড়তা ও ভন্ডামিকে অত্যন্ত যুক্তির সাথে তুলে ধরেছেন লেখক। সেই সঙ্গে মুসলিম দেশগুলির ভুল ও দুর্বলতাও এখানে দেখান হয়েছে। আধুনিক ইসলামের ইতিহাস এবং পাশ্চাত্য সভ্যতার সরুপ জানতে বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। একজন উচ্চ শিক্ষিত ইহুদি কিভাবে ইসলামের ছায়ায় এসেছেন সেটা জানার সাথে ইসলামের প্রকৃত সরুপ ও পাঠক এর সামনে উন্মোচিত হয়।

”মক্কার পথ” ছাড়াও আরো কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন বই তিনি রচনা করেন। বইগুলো

১. দি আনরোমান্টিক ওরিয়েন্ট।( ইসলাম গ্রহন এর পূর্বে রচনা)

২. ইসলাম এট দি ক্রস রোডস।

৩. প্রিন্সিপলস অফ স্টেট এন্ড গভরমেন্ট ইন ইসলাম। (ইসলামি রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর একটি অতি গুরুত্বপুর্ন বই)।

৪. দিজ ল অফ আওয়ারস। (ইসলামি আইনের যুক্তিপুর্ন ব্যখ্যা। এই আমাদেও আইন নামে বাংলায় অনূদিত।

৫. দি মেসেজ অফ কুরআন। (আল কুরআন এর ইংরেজি অনুবাদ ও তাফসির।

এছাড়াও সহিহ বুখারির অনুবাদ সহ আরো কিছু প্রবন্ধ তিনি রচনা করেছেন। তার লিখা বইগুলি অত্যন্ত জরুরি এবং শিক্ষনিয়। তার লিখা পড়া উচিত। যা আমাদেরই উপকারে আসবে।

বিষয়: বিবিধ

২১৩৪ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339394
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২১
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অনেক জানা হল। "মক্কার পথ" বইটি কোথায় পেতে পারি! জানাবেন জাযাকাল্লাহ খাইর
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
280769
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম।
"মক্কার পথ" বই টি অনুবাদ করেছেন বিশিষ্ট কথাশিল্পি মরহুম অধ্যাপক শাহেদ আলি। এটা প্রথমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে বের হয়েছিল। তাদের বিক্রয় কেন্দ্র খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন।
339395
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২২
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
280770
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গুম!!!
339398
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
280771
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
339403
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩০
আহমদ মুসা লিখেছেন : আল্লামা আসাদ একজন ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। তার অমর সৃষ্টি "মক্কার পথে" বইটি কিনেছিলাম অনেকদিন আগে। কিন্তু দীর্ঘদিন না পড়েই বুক সেলফে রেখে দিয়েছিলাম। গত বছর তিনেক আগে কিছুটা অন্যমনস্ক হয়েই তার বইটা পড়া শুরু করি। তখনই বুঝতে পারি আল্লামা আসাদ কে ছিলেন। আপনাকে ধন্যবাদ তার সম্পর্কে লিখার জন্য। গতকাল আমি ধারণা করছিলাম যখন আপনার সাথে চলার পথে রোড টু মক্কা বইটি এবং উক্ত বইয়ের লেখক সম্পর্কে আলাপ আলোচনা করতেছিলাম তখন মনে মনে ধরেই নিয়েছি আজ হয়তো ব্লগে আল্লামা আসাদ সম্পর্কে কিছু না কিছু লিখবেন।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪০
280772
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ।
চিন্তা জগতে আলোড়ন ঘটনার মত বই। তা বুঝেই যখন ফেলেছিলেন তখন নিজেই পোষ্ট দিলেন না কেন??????????
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:৪২
280828
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..


"রতনে রতন চেনে..."


০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৩
280866
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম। আপনি কি চিনেন ভাই আবু সাইফ?
339411
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০২
নাবিক লিখেছেন : অনেক কিছু জানলাম, ধন্যবাদ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
280776
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
339412
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৬
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : ভাল লাগল,
আমাকে বইটি সংগ্রহ করে দিবেন ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪২
280777
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
339413
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৭
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : ফেবুতে থেকে শুধু এই লেখার জন্যই অসময়ে ব্লগে। রোড টু মক্কা নামটা অনেক বার শুনেছি। মুহাম্মদ আসাদকে আমি মনে করতাম বাংলাদেশের কোন লোক। আজকে বিস্তারিত জানলাম। বইটা সংগ্রহ করা ভীষণ জরুরী।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য। স্টীকি হোক
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
280778
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। তাকে বর্তমান বিশ্বের ইসলামি আন্দোলনগুলির অন্যতম চিন্তাগুরু হিসেবে মনে করা হয়।
উপরে সম্ভাব্য প্রাপ্তিস্থান দিয়েছি।
339425
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৫:০১
ইয়াফি লিখেছেন : আমি দশম শ্রেণীতে থাকাকালে ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রকাশিত জনাব মুহাম্মদ আসাদ রচিত মক্কার পথে বইটি কিনেছিলাম।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
280779
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : পড়েছেন নিশ্চই!!
ধন্যবাদ মন্তব্যটির জন্য।
339459
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২৩
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : সুন্দর তথ্যবহুল পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হলাম। তাঁর সম্পর্কে শোনা মাধ্যমে জানতাম তবে বিস্তারিত পড়া হয়নি। দুভ্যার্গ যে সম্ভবত ১৯৮৮ সালে আমি একদা ইসলামী ফাউন্ডেশন বই কিনতে গিয়েছিলাম। তারা সেই বইটি দেখিয়েছিল। আমি ইতিপূর্বে মক্কা কেন্দ্রিক অনেকগুলো বই পড়েছিলাম বলে এই বইয়ের শিরোনামটি আমাকে কম আকর্ষণ করেছিল! আজ সত্যিই আফসোস লাগছে।

যা্ক আল্লাহ আপনার প্রচেষ্টাকে গ্রহণ করুন। আরো লিখতে থাকুন, আবারো ধন্যবাদ।
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১০:২৬
280825
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য ধন্যবাদ। বিশ্বাস হচ্ছেনা আপনি পড়েননি বইটি। আমাদের বাসায় তো ৪-৫ কপি ছিল। বইটির নামের কারনে অনেকেই একে হজ্জ বিষয়ক বই বলে মনে করে।
১০
339497
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৭
আফরা লিখেছেন : আপনি কত বই পড়েছেন ভাইয়া ?
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০২
280865
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : বেশি হইলে ১৫০০-২০০০ মাত্র!!!
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২২
280941
আফরা লিখেছেন : ওমা !!!
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২৭
280989
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : Crying Crying Crying
১১
339514
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৩২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : পড়ে নিলাম এবং একজন মুসলিম সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এমন একটি পোস্টের জন্য।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
280885
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১২
339515
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৩৮
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। বই পড়তে হলে পরিবেশের প্রয়োজন হয়!! পূর্বপুরুষের সমর্থন দরকার হয়, আপনার বই পড়ার অভিঙ্গতা ও তথ্য গুলো খুবই ভালো লাগলো।

আমি খুব বেশি বই পড়িনি!! বিশেষ করে ইসলামীক বই। আমি যে কটি বই পড়েছি তা আমার গ্রামের একজন দাদার কারনে তিনি বই পড়তে উৎসাহিত করতেন।

তবে তিনি ইসলামীক বই পড়তেন কিনা জানিনা.... ওনার সংগ্রহিত বই থেকে যা পড়েছি তা হুমায়ূন আহমেদ এর ভূতের গল্প!!!!
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
280887
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ওয়ালাইকুমআসসালাম।
বই পড়ার জন্য পরিবেশ খুজতে গেলে জিবনে আর বই পড়কে পারবেন না। আসলে এই সব খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে আমরা জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হতে চাই।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১২
280889
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আমি যে যুক্তি দিয়েছি তা একান্ত আমার অভিঙ্গতার.....! আমার পরিবারের কেউ যদি বই কিনে বাসায় না আনেন আমার কি করার আছে??

যেখানে আমার পাঠ্যবই কেনতে হাসঁফাস করতে হয়!!! Crying
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
280891
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি গুলাতেই লাখখানেক বই থাকে!
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০১
280901
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আমরা ভাই গাঁও গ্রামের মানুষ! পাবলিক লাইব্রেরীতে পেতে গেলে অনেক দূর যেতে হতো!!

অনেক দূর যাওয়া যেতো..... যাওয়ার জন্য যদি বই পড়ার নেশাটা তৈরি হতো নেশা তৈরি হবার মত পরিবেশ পাইনি।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
280922
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তাইলে আপনার উচিত আপনার গ্রামে একটি লাইব্রেরি স্থাপন করা।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:২২
280926
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : চিন্তা আছে Crying
১৩
339565
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
শিকারিমন লিখেছেন : মক্কার পথে বইটির কিছু টা পড়েছিলাম অনেক আগে। মনে নেই কি কারণে আর শেষ করা হয়নি। তবে বইটি পড়া শুরু করলেও লেখক আসাদ সম্পর্কে খুব বেশি জানার চেস্টা করিনি। এই লেখা পড়ে লেখক আসাদ কে ভালো ভাবে জানতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ।
০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
280921
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ।
বইটি পড়ুন তাহলে লেখক সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
১৪
340689
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ভাইয়া পোষ্টটি অনেক আগেই পড়েছিলাম, কিন্তু আরেকবার নজর বুলাতে এসে দেখলাম আমার কমেন্টস করা হয়নি!!! হায় হায়
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
282103
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এখন তো করলেন।
তবে শাস্তি সরুপ আমাকে ১ টা বই দিবেন!!
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:১৩
282118
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : বইতো দেবো সাথে আমার কলিজা কেটে কুটিকুটি করে টুকরো দিয়ে দেবো! Tongue Tongue
আমার প্রিয় বই দেবো।
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৯
282120
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কলিজা খাইতে আমি পছন্দ করি তবে সেটা গরু কিংবা খাসির কলিজা।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File